আমাদের জি হা দে র পূর্বসূরি শাইখ আবু মু স আ ব আল - যা র কা ও য়ী রাহিমাহুল্লাহ, যিনি ছিলেন "জামায়াত আল তাওহীদ ওয়াল জি হা দ" এর প্রতিষ্ঠাতা, ই রা কে র আল - কা য়ে দা র সম্মানিত আমির, এবং নবুয়তের আদলে খি লা ফা হ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা। যিনি মু জা হি দ উমারাগণের নিকট ছিলেন একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব, তা ন জি ম কা য়ে দা তু ল জি হা দে র মু জা হি দ গণের মধ্যে একজন অনুসরণীয় নেতা।
শাইখ যা র কা ও য়ী রাহিমাহুল্লাহ বয়ান করলেন, তিনি গণতন্ত্র এবং এর বাস্তবতা তুলে ধরলেন, এর সঙ্গে তাওহীদের সাংঘর্ষিকতাকে ব্যাখ্যা করলেন।
অতঃপর তিনি বললেন, "গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রার্থীরা নিজেদের ক্ষেত্রে রুবুবিয়্যাত এবং উলুহিয়্যাতের দাবি করে (তা গু তে পরিণত হয়) এবং যারা তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তারা নির্বাচনের প্রার্থীদের আল্লাহর পরিবর্তে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করে নিয়ে আল্লাহর দ্বীনের হুকুমের ক্ষেত্রে শরিক স্থাপন করে। আর এমন কাজ হলো সুস্পষ্ট কু ফ র এবং দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে যাওয়া।"
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) গণতন্ত্রের দিকে আহ্বানকারী এবং একে সাহায্যকারীর (যেমন: ভোটদাতা) উপর একই হুকুম প্রয়োগ করলেন (অর্থাৎ তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে)।
এবং তিনি গণতন্ত্রপন্থীদের বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর যু দ্ধে র ঘোষণা দিলেন।
শাইখের বক্তব্যের চুম্বকাংশ : https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=306891221683207&id=100070869950629&mibextid=ZbWKwL
শাইখের উক্ত বক্তব্যটি প্রচারিত হয় ২৩ জানুয়ারি ২০০৫ সালে। এর কয়েকদিন পর (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় ই রা কি নির্বাচন। এই নির্বাচন ছিল সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ই রা কে র প্রথম পার্লামেন্টারি নির্বাচন।
শাইখ যা র কা ও য়ী তার বক্তব্যে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যু দ্ধে র যে ঘোষণা দিয়েছিলেন মু জা হি দ গণ তার যথাযথ প্রয়োগ করেন। মু জা হি দ গণ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে আ ক্র ম ণ শুরু করেন। ভোটকেন্দ্রগুলো থেকে একের পর এক হা ম লা র খবর আসতে থাকে। বিষ্ফোরণের তীব্রতায় আকাশ বাতাস কম্পিত হয়ে উঠে। গণতন্ত্রের হুবাল আমেরিকা এবং স্থানীয় গণতন্ত্রপন্থীদের হৃদয়ে আতঙ্কের দুঃস্বপ্ন জেগে উঠে।
এভাবেই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মু জা হি দ গণের সেই ভয়ংকর যু দ্ধে র সূচনা হয়। মু জা হি দ নেতৃবৃন্দ সেই আ ক্র ম ণ গুলোকে স্বাগত জানান। গণতন্ত্রপন্থীদের এই দুর্দশা দেখে মুয়াহহিদগণ আনন্দিত হয় এবং মুনাফিকরা হয় রাগান্বিত। জানেন কি - মু জা হি দ গণ সেসময় কোন ব্যানারের অধিনে এইসকল হা ম লা পরিচালনা করছিল বা ঠিক কোন সংগঠনকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সেই যু দ্ধে র সূচনার জন্য কৃতিত্ত্ব দেওয়া যায়?
তা ছিল : "তা ন যি মু ল কা য়ি দা তি ল জি হা দ ফী বিলাদির রাফিদাইন" - সংক্ষেপে 'ইরাকের আল - কা য়ে দা'!
জি! আল - কা য়ে দা, যা ছিল আধুনিক জি হা দে র ভিত্তিপ্রস্তর, মু জা হি দী ন দের আশার আলো এবং কু ফ ফা র ও মুনাফিকীনদের নিকট এক আতঙ্কের নাম। এই আল - কা য়ে দা ই বিলাদির রাফিদাইনের ভূমিতে গণতন্ত্রপন্থীদের উপর আক্রমণের সূচনা করে। এটাই ছিল তা ন জি ম কা য়ে দা তু ল জি হা দে র আদর্শ, আমাদের জি হা দে র পূর্বসূরিদের আদর্শ। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, এর প্রতি আহ্বানকারী এবং একে সাহায্যকারীর উপর একই হুকুম প্রয়োগ করতেন, তাদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর সব অভিযান পরিচালনা করতেন। তারা যখন কোনো কথা বলতেন তখন তা সুস্পষ্টভাবে বলতেন, এবং তাদের কাজ তাদের সত্যবাদিতার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করত। তারা না বুঝতেন জনসমর্থনের অর্থ আর না জানতেন গণতন্ত্রপন্থি কোনো "মুসলিমের" পরিচয়! তারা তা ই করতেন যা কুরআন এবং সুন্নাহ'র মাপকাঠি অনুযায়ী করা ছিল কর্তব্য, এবং সেসকল বিষয় ঘৃণাভরে বর্জন করতেন যেগুলো ছিল ইসলাম অনুযায়ী নিষিদ্ধ। যদিও তাদের এই কর্মকান্ডে সমগ্র দুনিয়ার মুনাফিকরা রাগান্বিত হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে জঘন্যতম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
আমাদের রব আজ্জা ওয়া জাল্লা দা ও লা তু ল ইসলামের উমারাগণকে তাদের পথেই পরিচালিত করে অনুগ্রহ করেছেন। এজন্য আমরা বলি আলহামদুলিল্লাহ। কেননা তাদের পথ ছিল আধুনিক জি হা দে র সর্বত্তোম দৃষ্টান্ত। বিশুদ্ধ মানহাযের সুউজ্জল প্রতীক। মানবিক ভুল ত্রুটির বিষয়টি বাদ দিলে তাদের মানহায ছিল সমস্ত হকপন্থি উলামার নিকট গ্রহনীয় মানহায। তারাই ছিলেন প্রকৃত আল - কা য়ে দা র ধারক বাহক, যাদের প্রতিটি ফোটা রক্ত ঝরেছে রবের সন্তুষ্টি এবং মুসলিমদের পক্ষে প্রতিশোধ গ্রহণের উদ্দেশ্যে।
অথচ আজ আমরা অবাক হই যখন দেখি বর্তমান আল - কা য়ে দা তাদের পূর্বসূরিদের মানহাযকে পরিত্যাগ করে একে পশ্চাতে নিক্ষেপ করে, যখন দেখি আল - কা য়ে দা সেই গণতান্ত্রিকদের উপর পরিচালিত হা ম লা কে ঘৃণাভরে নিন্দা জানায়, এবং একে কেন্দ্র করে জনসমর্থনের আবর্জনাকে জড়ো করার প্রয়াস করে।
জি এমনটাই ঘটেছে যখন পাকিস্তানের বাজাওরে তা গু ত সরকারের সঙ্গে জোট গঠনকারী এক গণতান্ত্রিক দলের নেতাদের উপর দা ও লা তু ল ইসলাম হা ম লা পরিচালনা করে। আল - কা য়ে দা র মিডিয়া উইং "আস - সা হা ব" থেকে এই হা ম লা কে একটি 'ক্রিমিনাল এটাক' বলে মন্তব্য করা হয়। সুবহানাল্লাহ! কতোই না উত্তম হতো যদি তারা এটুকুতেই থেমে যেতো, বরং তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়! তারা এই হা ম লা য় নিহতদের "শ হী দ" হিসেবে আখ্যায়িত করে, গণতন্ত্রপন্থি দল "জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম" এবং "জা মা য়া তে ইসলামী" -কে বিশিষ্ট 'দ্বীনদার' রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে প্রচার করে! তারা সেখানে ঘোষণা দেয় : এরকম হামলা ইসলামি শরিয়তের পরিপন্থী!
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!
তারা এখানে ঠিক কোন শরিয়তের কথা বলছে আমাদের তা জানা নেই!
সম্মানিত মুসলিমগণ, এই হলো তাদের বতর্মান মানহায। আপনারা সাক্ষী থাকুন। নিশ্চয়ই তারা তাদের পূর্বের মানহায ত্যাগ করেছে। তারা আজকে দা ও লা তু ল ইসলামের হা ম লা কে নিন্দা জানাচ্ছে, তবে তারা কেন শাইখ যা র কা ও য়ী র হামলাকে নিন্দা জানায় না? তারা কেন শাইখ যা র কা ও য়ী কে খারেজি বলে অপবাদ দেয় না? আমাদের ভাই আব্দুল্লাহ আল মুহাজির تقبله الله (বাজাওরে হা ম লা কা রী) যদি গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের উপর হা ম লা করে থাকে তবে শাইখ যা র কা ও য়ী রাহিমাহুল্লাহ সাধারণ ভোটারদের উপর হা ম লা চালিয়েছেন। তবে তিনি কেন এর কারণে তাদের নিকট খারেজি সাব্যস্ত হন না? এটা কী এই কারণে যে এতে করে তাদের মুখমন্ডল থেকে রঙিন মুখোশগুলো খসে পড়বে? এবং তাদের বাহ্যিক দ্বিনদারিতার আড়ালে থাকা কুৎসিত কপটতার চিত্র প্রকাশিত হয়ে যাবে?!
তারা আর কতভাবে দা ও লা তু ল ইসলামের প্রতি অপবাদ আরোপ করবে, যে দা ও লা হ পূর্ববর্তী ওলামাগণের স্বচ্ছ মানহাযের দৃঢ় ভীতের উপর প্রতিষ্ঠিত? যে দা ও লা হ একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে যু দ্ধ করে যাচ্ছে; কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী কিংবা জনগণের অসন্তুষ্টিতে দা ও লা তু ল ইসলামের উমারাগণের কিছু যায় আসে না।
এমনটাই ছিল শাইখ ও সা মা ইবনে লা দে ন, শাইখ যা র কা ও য়ী, শাইখ আবু উমর আল বা গ দা দী এবং শাইখ আবু হামজাহ আল মুহাজির (আল্লাহ উনাদের প্রত্যেককে কবুল করুন) - এর মানহায, যার উপর আজ পর্যন্ত দা ও লা তু ল ইসলাম এবং এর নেতাগণ টিকে আছে। এটা সেই আদর্শ, যার উপর আমাদের পুণ্যবান সালাফ এবং জি হা দে র পূর্বসূরিগণ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। না আমরা একে পরিত্যাগ করব আর না একে কোনো বাতিল মানহায দ্বারা কলুষিত হতে দিব। আমাদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটার সিঞ্চনে একে আমরা বিশুদ্ধ রাখব, যদিও মুনাফিকরা তা অপছন্দ করে। দা ও লা তু ল ইসলামের সাবেক মুখপাত্র শাইখ আবু মুহাম্মদ আল আ দ না নী রাহিমাহুল্লাহ তার বক্তব্যে এটাই বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন : "আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা ইমাম শাইখ উ সা মা হ এবং শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষীদের আমীর আবু মু স আ ব আয - যা র কা ও য়ী, দা ও লা তু ল ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আবু উমার আল - বা গ দা দী এবং যু দ্ধ ম ন্ত্রী আবু হামজা আল - মু হা জি র এর মানহাযের উপর অগ্রসর হচ্ছি। আল্লাহর ইচ্ছায় কখনই আমরা আমাদের প্রতিজ্ঞা বদলাবো না বা পরিবর্তন করব না, যতক্ষণ না আমরা সেই স্বাদ আস্বাদন করি যা তাঁরা আস্বাদন করেছিলেন।" ("এটা আমাদের মানহাজ নয় এবং কখনো হবেও না" নামক বক্তব্য)
নিশ্চয়ই শাইখ আ দ না নী রাহিমাহুল্লাহ সত্যবাদী ছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত এই মানহাযের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত থেকেই শাহাদাত বরণ করেন। আমরা তার প্রতি এমনটাই ধারণা রাখি, এবং আল্লাহই তার হিসাব গ্রহণকারী।