JustPaste.it

দাওলার ভিডিওঃ "আর তারা তো মিথ্যাবাদী" দেখার পর প্রশ্ন জাগলো...

দাওলার সদস্যরা বেকুব না মিথ্যাবাদী?




দাওলা একটা ভিডিও প্রকাশ করে শায়খ হাসান আব্বুদ রাহিমাহুল্লাহকে মুরতাদ প্রমাণ করতে চেয়েছে... শিরোনাম - "আর তারা তো মিথ্যাবাদী"।

তাদের বাংলাদেশী ফ্র্যঞ্চাইজিও ভিডিওটি অনুবাদাকারে প্রকাশ করেছে!

আহরার আশ শামের প্রাক্তন আমির শায়খ হাসান আব্বুদ রহঃ'র রিদ্দার প্রমাণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে আল জাজিরার সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি (রহঃ) নাকি জানিয়েছেন, তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মানহাজ অনুসরণ করেন।

বিস্তারিত পড়ুন নিচে,

পুরো সাক্ষাৎকারের লিঙ্ক -
Video thumb


দাওলার ভিডিওতে সাক্ষাৎকারের একটি প্রশ্নোত্তরের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হয়, (৪মিনিট থেকে দেখুন)

শায়খকে করা প্রশ্নঃ আপনারা কি খিলাফাহ ফিরিয়ে আনতে চান?

শায়খের উত্তরঃ "আমাদের চুড়ান্ত আকাঙ্খা তো হচ্ছে, আমরা সেইদিনের অপেক্ষা করি যখন ইসলামী রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হবে। যেমন- আমরা দেখতে পাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঠিক এমনটাই করেছে সীমানা ভেঙ্গে দেয়ার মাধ্যমে (অর্থাৎ, ইউরোপিয় দেশগুলো নিয়ে একটি রাস্ট্রের ন্যায় আচরণ করছে)

তাই কেউ যদি এমন কিছু দেখে (অর্থাৎ সীমানাবিহীন ইসলামী রাষ্ট্র) তাহলে এতে অবাক হওয়ার কিছুই না যেখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঠিক এমনটা করেছে!"

#প্রথমত, দাওলা তাদের ভিডীওতে শায়খের পুরো বক্তব্য দেখায় নি।
তারা শুধু শায়খের বক্তব্যের প্রথম অংশ //আমাদের চুড়ান্ত আকাঙ্খা তো হচ্ছে, আমরা সেইদিনের অপেক্ষা করি যখন ইসলামী রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হবে। যেমন- আমরা দেখতে পাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঠিক এমনটাই করেছে সীমানা ভেঙ্গে দেয়ার মাধ্যমে (অর্থাৎ, ইউরোপিয় দেশগুলো নিয়ে একটি রাস্ট্রের ন্যায় আচরণ করছে)// উল্লেখ করেছে!

যেখানে পরের অংশে শায়খ উনার অবস্থান পুরোপুরি তুলে ধরেছেন!

#দ্বিতীয়ত, এখানে ইন্টারভিউ গ্রহণকারীও পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে শায়খ কী বোঝাতে চেয়েছেন।

এবং পুরো বক্তব্য দেখলে যে কেউই বুঝবে যে, এখানে শায়খ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উদাহারণ টেনে এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে,

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তো ইউরোপের ভেতরের রাস্ট্রগুলোর সীমানা ভেঙ্গে একত্রিত হয়েছে, তাই ইসলামী রাষ্ট্রগুলো যদি নিজেদের মাঝখানে সীমানা ভেঙ্গে দেয় (যা পরিষ্কারভাবেই খিলাফা উদ্দেশ্য,
যেটা ইন্টারভিউ গ্রহণকারীও বুঝেছে এবং যে কোনো আকলওয়ালা ব্যক্তিই বুঝবে যদি না ঘৃণা ও বিদ্বেষে অন্তর পূর্ণ না হয়ে থাকে!) তাহলে এতে কারো আপত্তি করার কিছু নেই যেহেতু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গঠিত হওয়াতে কেউ আপত্তি করছে না।

শঠ ও চুড়ান্ত মূর্খ ব্যতীত সকলেই বুঝবে এখানে শায়খ রাজনৈতিক বক্তব্য এমন হওয়াটা কারো সংশয়ের জবাব দেয়ার একটি পরিচিত এপ্রোচ।

অথচ, মিথ্যাবাদী দাওলা ভিডিওতে বলেছে, শায়খ হাসান আব্বুদ রহঃ নাকি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মানহাজ গ্রহণ করেছে!!

কি অদ্ভুত! কি সেলুকাস এই বক্তব্য!

যদি তারা শায়খের কথা না বুঝে থাকে তাহলে তো এটা পরিষ্কার এদের IQ লেভেল কত নিম্ন পর্যায়ে।

আর যদি বুঝেও এমনটা করে থাকে (পুরো বক্তব্য উল্লেখ না করায় এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে)

তাহলে তারা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের তালিকাটি আরেকটু দীর্ঘ করলো মাত্র...

এবং তাদের এই ভিডিওটির মাধ্যমে আমাদের কাছে নিজেদের পরিচয়ও দিল ভিডিওটির শিরোণামের মাধ্যমেই!

নিশ্চয়ই... দাওলার সদস্যরা... "তারা তো মিথ্যাবাদী" !

#...
এখন আরেকটা প্রশ্ন সামনে চলে আসাটা স্বাভাবিক!

কেন তারা এমন ভিডিও প্রকাশ করে আরও অন্য সব ইস্যুকে পাশে রেখে... এদেশে জিহাদই মানুষ ভালোভাবে বোঝে না সেখানে জিহাদি ফ্রন্টের সুক্ষাতিসুক্ষ বিষয়গুলোর উপর বিস্তারিত আলোচনা!! কেন !!?

সাধারণ মানুষ তো এসব শায়খদের ভালো করে চেনেও না। তবুও দাওলার বাংলাদেশী ফ্যঞ্চাইজি কেন ঠিক এধরণের ইস্যুতে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে???

কী তাদের উদ্দেশ্য!?

উত্তর হচ্ছে, এধরণের মিথ্যাচারের উদ্দেশ্য এবং তাদের ভুয়া খিলাফা ঘোষণার উদ্দেশ্য অভিন্ন!!

শায়খ আবু কাতাদা হাফিজাহুল্লাহ যথার্থ বলেছেন যখন বলেছেন,
"আর এই ঘোষণার উদ্দেশ্য জিহাদি জামাতগুলো। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করেই, তাঁদেরকে লক্ষ্য করেই, তাঁদেরকে দলে ভিড়ানোর জন্যই এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মুসলিমদের জন্য নয়।"

শায়খ হাফিজাহুল্লাহ আরও বলেন,
"জিহাদ ও মুজাহিদিনদের জন্য এ এক অপূর্ব সুযোগ উগ্রপন্থী ও বিবেচনাহীনদের ফিতনা থেকে জিহাদকে আলাদা করার।

নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে এই ফিতনা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আসে। আর এই পরীক্ষার ফলে মর্যাদার ভিত্তিতে মানুষকে পৃথক করা হয়। এর জনছ চরম মূল্য দিতে হয়,
কিংবা এমনটা প্রয়োজন। আর মহান আল্লাহ তা’আলার রহমতে যা ঘটেছে তাতে আমি মোটেও দুঃখিত নই,

বরং আমি এতে আল্লাহর হিকমাহ দেখতে পাই যে, এর মাধ্যমে এই পথ (জিহাদী আন্দোলন) থেকে চরমপন্থা, বিপথগামীতা ও পথভ্রস্টতা দূর হবে।

নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষ মুজাহিদ আর চরমপন্থীদের পার্থক্যটা বুঝত না।"

তাই ভ্রস্ট ও বিবেচনাহীন ব্যক্তিরা মিথ্যাচার করবেই... এতে অবাক হওয়ার কী আছে!

ইয়া আল্লাহ্* আপনি তাদের ফিতনা থেকে মুসলমানদের রক্ষা করুন। আমিন।