JustPaste.it

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

 

 

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

 

 

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

 

 

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

 

 

نشرة النفير العدد السابع والثلاثين || ربيع الاخر ١٤٤٥ ه
يُسَٰرِعُونَ فِيهِمْ
 

আন নাফির বুলেটিন - ৩৭ || রবিউল আখির ১৪৪৫ হিজরী
মুনাফিকদের দৌঁড়ঝাঁপ

 

An Nafir Bulletin - 37 || Rabi al-Thani 1445 hijri
The run of the hypocrites

 

9dbc38039294b82f39acc8852d0185f3.png

 

মুনাফিকদের দৌঁড়ঝাঁপ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

 

(আন নাফির বুলেটিন - ৩৭)

 

 

এইতো আজ আমরা নতুন করে দেখতে পাচ্ছি, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের উত্তরসূরিরা নিজেদের হৃদয়ের ব্যাধির কারণে জায়নবাদীদের দিকে ছুটে যাচ্ছে। মনিবদের অস্তিত্ব ও প্রাণ রক্ষার জন্য তারা দৌঁড়াচ্ছে। তাদের কার্যকলাপের ভাষা আমাদেরকে এ কথা বলে দিচ্ছে—যেমনটা কুরআনে কারীমে মুনাফিকদের বক্তব্য হিসেবে এসেছে—

 

فَتَرَى الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ يُسَارِعُونَ فِيهِمْ يَقُولُونَ نَخْشَىٰ أَن تُصِيبَنَا دَائِرَةٌ ۚ

 

অর্থঃ “বস্তুতঃ যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, তাদেরকে আপনি দেখবেন, দৌঁড়ে গিয়ে তাদেরই মধ্যে প্রবেশ করে। তারা বলেঃ আমরা আশঙ্কা করি, পাছে না আমরা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হই”। (সূরা মায়েদা ৫: ৫২)

এইতো রিদ্দাহ, মুনাফিকি, খেয়ানত ও বিশ্বাসঘাতকতার প্রবল বাতাস বইতে শুরু করেছে। বনু কায়নুকা যুদ্ধের দিন এই মুনাফিক গোষ্ঠীর পূর্বসূরীদের উপরও এই বাতাস বয়েছিল। এ সমস্ত মুনাফিক, দোদুল্যমান, দ্বিধাগ্রস্ত দল ও পক্ষগুলোকে চিনতে আমাদের চোখ ভুল করছে না। বিশ্বাসঘাতক, তাবেদার সরকারগুলোর পরিচয় পেতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে না।

 

সর্বকালে, সর্বস্থানে মুনাফিক গোষ্ঠীর এটাই চরিত্র। আপন উম্মাহর সঙ্গে সত্যের পরিখায় অবতরণ করে নির্দ্বিধ অবস্থান গ্রহণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই সৎ সাহস তাদের নেই। এ কারণে তারা কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ঘুরপাক খেতে থাকে। যে পথেই থাকুক না কেন, তারা খুব ভয়ে ভয়ে পা ওঠায়। উভয় দিক থেকেই তারা সুবিধা নিতে চায়। তাদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহর চেয়ে বেশি আর কে জানবেন? তাদের সম্পর্কে আল্লাহর ইরশাদ:

 

مُّذَبْذَبِينَ بَيْنَ ذَٰلِكَ لَا إِلَىٰ هَٰؤُلَاءِ وَلَا إِلَىٰ هَٰؤُلَاءِ ۚ

 

অর্থ: “তারা কুফরী ও ঈমানের মাঝে দোদুল্যমান থাকে। না পুরোপুরিভাবে (মুসলিমদের) এদিকে থাকে আর না পুরোপুরিভাবে (কাফিরদের) ওদিকে।” (সূরা নিসা ৪: ১৪৩)

 

আরবের জায়নবাদী শাসকবর্গ কেমন করে মার্কিন জায়নবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে গলা মিশিয়েছে, কোলাকুলি করে কিরূপে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছে, তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এখানে আসার একটা উদ্দেশ্য তো ছিল এই, পশ্চিমের গোলামগুলোকে হুমকি-ধমকি দেয়া। কারণ তারা ইসরাঈলে তাদের মনিবদের পাহারাদার ও দারোয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালনে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সেই সাথে মুসলিমদের সকল উপায় মাধ্যম, গণমাধ্যম ও জাতীয় সম্পদ অধিগ্রহণ করাও উদ্দেশ্য ছিল। যেন এই সমস্ত সম্পদ জায়নবাদী ক্রুসেডারদের যৌথ যুদ্ধে গাজা উপত্যকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। 

 

গাজায় জায়নবাদীদের হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ, ৭০ বছরের মার্কিন বৃদ্ধের হাতে ২৬টি আঘাত পেয়ে ছয় বছরের ফিলিস্তিনি শিশুর নিহত হওয়া এবং ‘আল-আহলি আরব হাসপাতালে’ ভয়ানক বোমা হামলার ঘটনায় শত শত মুসলিম নারী ও শিশু শহীদ হওয়ার মতো অনেক চিত্র আমরা দেখেছি। এ সকল ঘটনা আমাদেরকে এ কথা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট যে, বর্তমান সময়ের প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব হল: পথের মধ্যে কোনো জায়নিস্টকে পেলেই হত্যা করা।

 

বদর যুদ্ধের মাত্র ২০ দিন পর মদীনার বাজারে বনু নাযির গোত্রের এক ইহুদী, অপর এক মুসলিম নারীর সম্মানে আঘাত করার কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একজন সাহাবী তৎক্ষণাৎ ওই ইহুদীকে হত্যা করে দিয়েছিলেন। অতঃপর ইহুদীরা একত্রিত হয়ে ওই সাহাবীকে শহীদ করে দেয়। এই ঘটনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদীদের সঙ্গে কৃত চুক্তি প্রত্যাহার করে তাদের কেল্লা অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত ইহুদীরা অস্ত্রসমর্পণ করে এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিচার মেনে নিতে তৈরি হয়ে যায়।

 

সেদিনও ইহুদীরা নিজেদের বন্ধু ও মিত্র মুনাফিকদের সাহায্যে হত্যার সিদ্ধান্ত থেকে বাঁচতে চেষ্টা করেছিল। সেদিন ওই মুনাফিক গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল আরবের তাগুতগোষ্ঠীর পূর্বসূরী - আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই।

বনু কায়নুকা যুদ্ধের দিন ইহুদীদের সঙ্গে মুনাফিকদের রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব, সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার কারণে ইহুদীরা হত্যার শাস্তি থেকে বেঁচে গিয়েছিল। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই নবীজিকে বারবার পীড়াপীড়ি করতে থাকে, নবীজিকে ধরে রাখে এবং যতক্ষণ তার মিত্র ‘বনু কায়নুকা’কে মুক্তি দেওয়া না হবে, ততক্ষণ সে কিছুতেই হাল ছাড়বে না- এ কথা বলে বসে। তার যুক্তি এটাই ছিল, তারা তার মিত্র। তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হয়ে ওঠেন এবং ইহুদীদেরকে ছেড়ে দেন। যদিও এ বিষয়ে তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি তাদেরকে বিনা অস্ত্রে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেন। পূর্বসূরীদের মত এটাই তো উত্তরসূরিদের অবস্থান, যুগে যুগে যা নতুন করে দেখা দেয়। আজ আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, ইহুদীদেরকে হত্যা করা। আর তাদের মধ্যে যাদেরকে ছেড়ে দেবো, তাদেরকে সেখানেই ফেরত পাঠানো, ইউরোপ আমেরিকার যেখান থেকে তারা এসেছে।

 

 

সারা বিশ্বের হে মুসলিমরা!

 

ইসরাঈল ঘোষণা করে দিয়েছে, আমাদের বীর বাহাদুরদের সঙ্গে তারা যুদ্ধের অবস্থায় রয়েছে। তাই আমরা আমাদের নিজেদেরকে এবং গোটা মুসলিম উম্মাহকে ইহুদীদের এই ঘোষণার পর এ বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছি যে, আসুন আমরাও জায়নবাদী ইহুদীদের সঙ্গে সে রূপেই সম্পর্ক নরমালাইজেশন(!) করি, যেমনটা আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন। এ বিষয়ে তিনি নিজ কিতাবে উল্লেখ করেছেন:

فَإِمَّا تَثْقَفَنَّهُمْ فِي الْحَرْبِ فَشَرِّدْ بِهِم مَّنْ خَلْفَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ﴿٥٧﴾‏

অর্থ: “সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।” (সূরা আনফাল ৮: ৫৭)

 

আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন:

وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَن يَسُومُهُمْ سُوءَ الْعَذَابِ ۗ إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ الْعِقَابِ

অর্থ: “আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে।” (সূরা আরাফ ৭: ১৬৭)

 

অতএব, কিয়ামত পর্যন্ত ইসরাঈলের সঙ্গে কোনো শান্তি চুক্তি হতে পারে না। জায়নবাদীদের সঙ্গে যদি আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই, তাহলে তার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা সেটাই, যা ‘তুফানুল আকসা’ অভিযানের বীর বাহাদুররা আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা ইসরাঈলের সঙ্গে অগ্নি ও রক্তের ভয়াবহ সম্পর্ক নির্মাণ করেছেন। অতএব, এটাই সেই সঠিক কর্মপন্থা, যা আমাদের রব আমাদের সঙ্গে ইহুদীদের স্বাভাবিক সম্পর্ক হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। আজ সকল মুসলিমের জন্য ফরযে আইন হলো:

 

দখলদার জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ও কিতালের জন্য বের হওয়া, তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা— যাদেরকে ‘মুসলিমদের শাসক’ বলা হয়। আজ আমাদের কাছে সর্বতোভাবে সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, শাসক ও শাসিতের মাঝে নামের কোনো পার্থক্য অবশিষ্ট নেই। রাজা-প্রজা, শাসক, শাসিত নির্বিশেষে সকলেই জায়নবাদী কাফের ও পাপিষ্ঠদের এতটা দাসত্বের শিকার যে, বিশ্বাসঘাতক শাসকবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কাপুরুষ সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও মুসলিম জনসাধারণ এক ফোঁটা পানি, এক দানা ঔষধ এবং এক টুকরা রুটিও গাজার মুসলিমদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না! এ বিষয়টা বোঝানোর জন্য এর চেয়ে সুস্পষ্ট আর কোন চিত্র থাকতে পারে?

 

এই সকল মুরতাদ শাসক ইসরাঈল ও আমেরিকার দাস। তারা কুরআনে বর্ণিত ‘মাগদুব আলাইহিম’ তথা আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশপ্ত জাতি এবং ‘দোয়াললীন’ তথা বিভ্রান্ত জাতির অনুসারী। তারা ইহুদী-খ্রিস্টানদেরকে পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্ট করতে ব্যস্ত। ইহুদী-খ্রিস্টানদের হেফাযত ও নিরাপত্তার জন্য তারা কুকুর ও চাকরের মত। তারা শুধু তাদের দিকে অগ্রসর হয় না বরং তাদের সারিতে অবস্থান নেয়ার জন্য দৌঁড়ে বেড়ায়। কারণ তারা তো ইহুদী খ্রিস্টানদেরই অন্তর্ভুক্ত; আমাদের আপনাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা তাদের সাথেই থাকবে; আমাদের আপনাদের সাথে নয়। এ কারণেই আল-আকসাকে সাহায্যের জন্য এবং গাজায় আমাদের ভাই-বোনদের মুক্তির জন্য একমাত্র পথ হলো এমন তুফান বইয়ে দেয়া, যা আরবের জায়নবাদী তাবেদার তাগুত গোষ্ঠীর সিংহাসন উল্টে দেবে।

 

এদের শীর্ষে রয়েছে ‘আরব রিং স্টেটগুলোর (Arab ring countries) শাসকবৃন্দ। যেমন সৌদি আরব, জর্ডান, সিরিয়া, মিশর ও লেবানন। তাদের প্রথম অংশে রয়েছে রামাল্লা সিটির শাসক অপরাধী মাহমুদ আব্বাস। তার আকাঙ্ক্ষা মার্কিন ট্যাংকের উপর বসে গাজা উপত্যকায় কারজাই-এর ভূমিকা পালন করার সুযোগ পাওয়া। আমরা কিছুতেই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের ইহুদী পৌত্র - বিন সালমান এবং বর্তমান যুগে আরবের শয়তান - ইবনে জায়েদের ব্যাপারে উদাসীন হতে পারি না।

প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক এরদোগানের ব্যাপারেও কেমন করে আমরা গাফেল হতে পারি? বায়রাক্তার নামক চালকবিহীন ড্রোন বিমান যেগুলো সোমালিয়া, মালিতে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনের উপর ভয়াবহ বোমা বর্ষণ করে, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা তাকে আহ্বান জানিয়েছি, চালকবিহীন এই ড্রোন বিমানগুলো আপনি গর্বিত গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণতকারী জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করুন- 

 

যাদেরকে আপনি ‘বর্বর ও সন্ত্রাসী’ বলে থাকেন। এ কাজ না করে জায়নবাদীদের বন্দীদেরকে মুক্ত করার জন্য গাজার ভাইদের উপর কেন চাপ প্রয়োগ করছেন?

এছাড়াও আরব অনারবের অন্যান্য তাগুতের ব্যাপারেও কিছুতেই আমাদের উদাসীন হয়ে বসে থাকলে চলবে না। তাদের নামের তালিকা এবং তাদের অপরাধনামা অনেক দীর্ঘ। আল্লাহর কসম! এই উম্মাহর বিশ্বাসঘাতকদের ইতিহাসে তারাই সর্ব নিকৃষ্ট— যাদেরকে এই উম্মাহ জন্ম দিয়েছে। বিশ্বাসঘাতক এই তাগুতগোষ্ঠীকে এই উম্মাহ যখন বর্জন করবে, তখন তারা অধিকৃত ফিলিস্তিনে আপন ভাই-বোনদের সাহায্য করতে সক্ষম হবে। মুসলিমদের প্রতিটি ভূমি, সকল বন্দী ও অধিকৃত মসজিদে আকসা তারা পুনরুদ্ধার করতে পারবে। আল্লাহর কসম! মিশরের সিসি এবং ইবনে সালমানের কারাগার থেকে আপন ভাই-বোনদেরকে মুক্ত করার এটা একটি বিরল সুযোগ। অতএব, কল্যাণের কাজে বিলম্ব করা উচিত নয়।

একইভাবে পাকিস্তানি ভাইদেরকে আমরা জিহাদের জন্য আহ্বান জানাই।

 

 

হে কাবায়েলি অঞ্চল, সিন্ধু, পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানের গর্বিত সন্তানেরা!

আপনারা যেভাবে মসজিদে আকসার ভাইদের সাহায্যে দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন, তার জন্য আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন! কিন্তু আপনাদের কাছে উম্মাহর আশা আরো অনেক বেশি। আপনারা সর্বদাই জিহাদ ও শাহাদাতের ভূমিতে বসবাসের সৌভাগ্য বহন করে আছেন। আপনাদের জন্য এটা সোনালী সুযোগ। আপনারা ওই সমস্ত লোকের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করুন, যারা আপনাদেরকে গৃহহীন করেছে, আপনাদের সন্তানদেরকে হত্যা করেছে, আপনাদের উলামায়ে কেরাম ও সৎকর্মশীল মুজাহিদদেরকে গ্রেফতার করেছে।

 

সবচেয়ে বড় কথা: ওই সমস্ত লোকের কাছ থেকে আপনারা প্রতিশোধ গ্রহণ করুন, যাদের কারণে এই সব কিছু হয়েছে—নিঃসন্দেহে সেই শত্রু হচ্ছে আমেরিকা। তারা গতকাল আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অস্ত্র বহন করেছিল, আর আজ তারা আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরার ভূমি আল-আকসার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অতএব, আপনারা জেগে উঠুন! আপন ভাই ও দীনের পক্ষে প্রতিশোধ গ্রহণ করুন! মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং তার নিরাপত্তার জন্য যত সেনা চৌকি রয়েছে, সেগুলো ধ্বংস করে দিন।

 

 

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যাদের সম্পর্ক রয়েছে, তাদের কাছে আমাদের বার্তা হল:

যার মধ্যে কিছুটা হলেও সাহসিকতা ও পৌরুষ বিদ্যমান রয়েছে, তার জন্য আপন দীন অভিমুখে ফিরে আসার এটা উত্তম সময়! বিরল সুযোগ! নিজের স্রষ্টার সামনে তওবা করুন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিজেদের অস্ত্রকে উম্মাহ ও জাতির শত্রু আমেরিকা, জায়নবাদী এবং তাদের মিত্রদের দিকে ঘুরিয়ে দিন।

অতএব, যদি আজ মুসলিম উম্মাহ ফিলিস্তিনি ভাইদের হেফাযত এবং নিজের হেফাযতের জন্য জিহাদ না করে, তবে কি শতকোটি মুসলমান ফিলিস্তিনে ইহুদীদের বেদিতে আপন ভাই-বোনদেরকে জবাই হতে দেখে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে চায়? এই নির্মম দৃশ্য দেখে তারা কি তাদের এবং নিজেদের মুক্তির জন্য লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে বের হবে না? তবে কি এটা চূড়ান্ত কাপুরুষতা এবং লাঞ্ছনা গঞ্জনার সর্বশেষ স্তর?

 

وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَىٰ أَمْرِهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

“আল্লাহ নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুরোপুরি সক্ষম কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।” (সূরা ইউসুফ ১২:২১)

 

***

 


روابط بي دي اب
PDF (841 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৮৪১ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/an-nafir-37/An-nafir%2037.pdf


https://www.mediafire.com/file/e6t9q26qmaaatga/An-nafir+37.pdf/file


https://upload08.files.wordpress.com/2023/11/an-nafir-37-1.pdf


https://mega.nz/file/CVkUgALC#MX-cMzv_NC80NhQsQPb52A8_dnjTvjpPY9VN5QpPDyE


https://drive.proton.me/urls/1TNTQ99EVR#chJoeWBn9q45


 


روابط ورد
Word (2.9 MB)
ওয়ার্ড [২.৯ মেগাবাইট]
https://archive.org/download/an-nafir-37/An-nafir%2037.docx


https://www.mediafire.com/file/ou2sid8u5mpihsm/An-nafir+37.docx/file


https://upload08.files.wordpress.com/2023/11/an-nafir-37-1.docx


https://mega.nz/file/KFsiFYSA#F4TMF6ne0hbVoStCWE_kafRnYTeRhrzUBfHvbQSoIn0


https://drive.proton.me/urls/K0XYXTN2M0#MTbOkCzUt1OR

 

 

روابط الغلاف
Banner [3.9 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩.৯ মেগাবাইট]
https://justpaste.it/img/c8511f1cd4ef14500af3692dff0dacba.jpg


https://www.mediafire.com/file/6g2aiuubjomjgv8/An-nafir-37.jpg/file


https://justpaste.it/img/0ebbad994da54296339750db7144b3ae.jpg


https://mega.nz/file/qJsGFB5K#2tDCbBP68_RmxfQ3CUpWS3EZNjtN5sJP8ieMibINi2E


https://drive.proton.me/urls/6KQ6GDQP54#wN88CI8Zrp7G


 

 

 مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent