JustPaste.it


مؤسسة الفردوس
আল ফিরদাউস
Al Firdaws

 

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents


الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ 
Bengali Translation

 

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

 

رسالة تحية
لامير المؤمنين شيخ القرآن والحديث مولوي  هبة الله أخند زاده حفظه الله تعالی
بمناسبة عيد الأضحى المبارك لعام 1444 هـ
  
১৪৪৪ হিজরীর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে

আমীরুল মুমিনীন শাইখুল কুরআন ও হাদীস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র

‘শুভেচ্ছা বার্তা’

 

on the occasion of holy Eid-ul-Adha-1444 hijri
Amir-ul-Muminin Shykh-ul Quran and Hadith Mawlana Hibatullah Akhundzada's (may Allah protect him)
Greeting message 

 

YjojyKC.jpg


روابط بي دي اب
PDF (521 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৫২১ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/eid-ul-azha-barta-1444/Eid%20Ul%20Azha%20Barta%20-%201444%20-%20Amirul%20Muminin%20.pdf


https://jmp.sh/ywH0Y14J


https://www.mediafire.com/file/mfzzbtoqbm2s49o/Eid+Ul+Azha+Barta+-+1444+-+Amirul+Muminin+.pdf/file


https://mega.nz/file/pSt3jRQR#xngY-VVTCuwFTlBVhecvEdCEnQkRHjamu3La86nCz5o

 

 

روابط ورد
Word (856 KB)
ওয়ার্ড [৮৫৬ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/eid-ul-azha-barta-1444/Eid%20Ul%20Azha%20Barta%20-%201444%20-%20Amirul%20Muminin%20.docx


https://jmp.sh/7dH061aC


https://www.mediafire.com/file/bma5rkl7dr9im62/Eid+Ul+Azha+Barta+-+1444+-+Amirul+Muminin+.docx/file


https://mega.nz/file/tbsAXTZL#7QwAnB28btaXS7DjRq1tdgRUi6CQLhJu5lW-oQhQRAw

 

 

روابط الغلاف- ١
book cover [2.6 MB]
বুক কভার ডাউনলোড করুন [২.৬ মেগাবাইট]
https://justpaste.it/img/5c5a5084a01977541f5ee545e8dc1133.jpg


https://jmp.sh/W6zL9pJi


https://www.mediafire.com/file/dlq8gh0tr0y2nug/Eid+Ul+Azha+Barta+-+1444+-+Amirul+Muminin++Cover.jpg/file


https://mega.nz/file/BX0TTbxQ#OwYkqAkyax6Iu3umfI5CEiB2Qp2hBaydO05QtIpyLSU

 

 

روابط الغلاف- ٢
Banner [1.5 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.৫ মেগাবাইট]
https://justpaste.it/img/4d87b7d4011ad095583d3097f1394fd1.jpg 


https://jmp.sh/W6zL9pJi


https://www.mediafire.com/file/fpvrmc34d7wzojm

/Eid+Ul+Azha+Barta+-+1444+-+Amirul+Muminin++Banner.jpg/file


https://mega.nz/file/9OFHUA6L#LqCqARKYQnjdTS1XaaHrIgVY7erCDToTk295ACin430

 

 

****************

 


 

১৪৪৪ হিজরীর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে

 

আমীরুল মুমিনীন শাইখুল কুরআন ও হাদীস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র

 

শুভেচ্ছা বার্তা

 

 

 

 

 

بسم الله الرحمن الرحیم

الله أکبر الله أکبر، لا إله إلا الله والله أکبر، الله أکبر ولله الحمد

হামদ ও সালাতের পর: আল্লাহ তাআলা বলেন:

إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ ﴿١﴾‏ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ ﴿٢﴾‏ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ ﴿٣﴾‏

“অর্থঃ (হে রাসূল!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং  আপনি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামায পড়ুন ও কুরবানী করুন। নিশ্চয়ই আপনার যে শত্রু তারই শেকড় কাটা।” (সূরা কাওসার, ১০৮:০১-০৩)

قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿١٦٢﴾‏

“অর্থঃ বলে দাও, নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার ইবাদত ও আমার জীবন-মরণ সবই আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।” (সূরা আনআম, ০৬:১৬২)

وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ ....... وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

“অর্থঃ এবং আল্লাহর জন্য হজ ও উমরা পূর্ণ কর। ……….. আর আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং জেনে রেখ, আল্লাহর আযাব সুকঠিন।” (সূরা বাকারা, ০২:১৯৬)

عن أنس بن مالكٍ رضي الله عنه قال: «ضَحَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقَرْنَيْنِ ذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ، وَسَمَّى وَكَبَّرَ وَوَضَعَ رِجْلَهُ عَلَى صِفَاحِهِمَا».[صحيح] - [متفق عليه[

(ক) আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিং ওয়ালা সাদা দুটি দুম্বা দ্বারা কুরবানী করেছেন। তিনি সেগুলো নিজ হাতে কুরবানী করেছেন এবং বিসমিল্লাহ ও তাকবীর পড়েছেন। (আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: আমি দেখেছি যে, তিনি তাঁর পা সেগুলোর ঘাড়ের উপর রেখেছেন এবং বলেছেন ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

المثنَّى عن هشامِ بنِ عروةَ عن أبيهِ عن عَائِشَةَ:أنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وسَلَّم قال (ما عملَ آدميٌّ من عملٍ يومَ النَّحرِ أحبُّ إلى اللهِ من إهراقِ الدَّمِ إنَّهُ ليأتي يومَ القيامةِ بقُرونها وأشعَارِها وأظلافِها وإنَّ الدَّمَ ليقعُ من اللهِ بمكانٍ قبلَ أن يقعَ من الأرضِ فطيبُوا بها نفساً

(খ) আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নহরের দিন (কুরবানীর দিন) রক্ত প্রবাহিত করা ছাড়া মানুষের অন্য কোন আমল আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় নয়। নিশ্চয় কুরবানীর পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, তার পশম এবং খুর সহকারে উঠবে। কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার আগে আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। সুতরাং কুরবানী করে আনন্দিত হও।” (সুনানে তিরমিযী- ১৪৯৩)

আফগানিস্তানের মুজাহিদ, জনসাধারণ ও পুরো দুনিয়ার সমস্ত মুসলিমদের প্রতিঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুলল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

সর্বপ্রথম আপনাদেরকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা আপনাদের কুরবানী, দান-সাদাকা, হজ, ইসলামের খেদমত এবং সমস্ত উত্তম আমলকে কবুল করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।

আশা করি আমরা আনন্দ চিত্তে মুবারক ঈদ পালন করবো। আমাদের নামায, কুরবানী, হজ এবং অন্য সকল ইবাদত উত্তমভাবে আদায় করবো, ইনশাআল্লাহ।

ঈদুল আযহার বরকতময় দিনে একদিকে কুরবানীর ওয়াজিব আদায় করা হয়। আর অন্যদিকে পৃথিবীর দিক দিগন্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলিম হারামাইন শরীফাইনে এসে হজের মুবারক ফরয আদায় করেন। এটি ইবাদত, ভ্রাতৃত্ব এবং কুরবানীর এমন দিন, যা মুসলিমদেরকে ঐক্য ও সহমর্মিতার দাওয়াত দেয়। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য কুরবানী ও ইসারের (অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার) অনুভূতি জাগ্রত করে।

এবার ইবাদত ও কুরবানীর এই দিন আমাদের জনসাধারণের উপর এই অবস্থায় এসেছে যখন দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম আছে। শান্তি ও নিরাপত্তার নেয়ামত আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। তাই আমাদের উচিত হবে, আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা। যেন আল্লাহ তাআলা আমাদের নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেন।

আলহামদুলিল্লাহ, ইমারাতে ইসলামিয়ার অধীনে ইসলামী নেজাম পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো, তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দীনের নিদর্শনাবলীর মর্যাদা বৃদ্ধি এবং দীনের মারকাযগুলোর প্রশস্ততা ও দৃঢ়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগ, শাসন, বিচার, সমাজ, সংস্কৃতি এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে দীনি সংস্কার অব্যাহত রয়েছে। এটাই সেই মহান লক্ষ্য, যার জন্য আমাদের ঈমানদার জনসাধারণ দীর্ঘ লড়াই এবং বিরাট কুরবানী দিয়েছেন।

জাতীয় ভাবে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা এবং স্বাধীনতা পুনরায় সংরক্ষিত করা হয়েছে। ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ এবং জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় হয়েছে। গোত্র, ভাষা এবং ভূখণ্ড ভিত্তিক জাতীয়তা বাতিল করা হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের পূর্ণ সীমানা দৃঢ়ভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। জাতীয় সম্পদগুলো যেমন, শুল্ক কর এবং অন্যান্য আমদানি মালামাল, খনিজ সম্পদ, সরকারি জমি, বন-জঙ্গল এবং অন্যান্য সম্পদ যা পুরো জাতির যৌথ সম্পত্তি, তা দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে বাইতুল মালের অধীনে আনা হয়েছে।

ইমারাতে ইসলামিয়ার নিয়মনীতির অধীনে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বে জোরপূর্বক বিবাহ প্রদান এবং শত্রুতার উদ্দেশ্যে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার মতো কিছু আঞ্চলিক প্রথা প্রচলিত ছিলো। এগুলোসহ অন্য অনেক অত্যাচারী প্রচলন থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের সকল শরীয়ত সম্মত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নারীরা সমাজের অর্ধেক। তাই নারীদের সংশোধন, পর্দা, সতীত্ব এবং নারী পুরুষের অবাধ সংমিশ্রণ বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়া হয়েছে। বিগত ২০ বছরের আগ্রাসনের ফলে, বেপর্দা ও গোমরাহির মতো মন্দ প্রভাবগুলো সমাজে প্রসারিত হয়েছিলো। এখন এগুলো দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নারী অধিকার সংক্রান্ত ছয়টি পরওয়ানা জারি করে, দ্বিতীয়বারের মতো নারীদের শরয়ীহ প্রদত্ত স্বাধীনতা ও সম্মানজনক মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবাহ, মীরাস এবং অন্যান্য অধিকার সংরক্ষণের জন্য পুরো প্রশাসনকে নারীদের সহায়তা করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

শরীয়া আদালতের মাধ্যমে পুনরায় যথাযথ শরীয়া প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দীনের কিছু বিধান এবং শরীয়তের কিছু আদেশ, যেমন হদ ও কিসাসসহ অন্য বিধানাবলী পূর্বে প্রয়োগের সুযোগ ছিলো না। আলহামদুলিল্লাহ, সেগুলো এখন স্বচক্ষেই প্রয়োগ হতে দেখছি। অনুরূপভাবে ‘আমর বিল মারূফ’ ও ‘নাহী আনিল মুনকার’ এর মহান দায়িত্ব বাস্তবেই পালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইসলামী নীতির আলোকে এবং ‘ভারসাম্য, সুযোগ-সুবিধা ও দয়া’র উপর ভিত্তি করে সমাজ সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এতে করে দিনদিন সমাজে ইসলামী সংস্কার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনৈতিকতা থেকে মুসলিম সমাজ মুক্ত হচ্ছে।

অর্থনীতির ব্যাপারে আমরা বলতে পারি– আমাদের এখানে আর্থিক অধঃপতন এবং সঙ্কট নিয়ে ধারণা প্রসূত যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো, আল্লাহর অনুগ্রহে তা ভুল সাব্যস্ত হয়েছে। ইমারাতে ইসলামিয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। নিকট অতীতে এই প্রথম, আর্থিকভাবে রাষ্ট্র স্বনির্ভর হয়েছে। নতুন স্থাপনা নির্মাণ, চাষাবাদ, সেচ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, সড়ক নির্মাণ, খনিজ উত্তোলনের মতো কাজগুলো শুরু করা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে এবং চলমান আছে।

ইমারাতে ইসলামিয়া আর্থিকভাবে আরও অগ্রগতির চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রের আর্থিক সমস্যা দূর করার জন্য সকল ধরনের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদেরকে আহ্বান করছি - আপনারা বিভিন্ন শাখায় বিনিয়োগ করে রাষ্ট্র গঠন ও উন্নতির কাজে এগিয়ে আসুন। ইমারাতে ইসলামিয়া আপনাদের হেফাযত এবং সকল অধিকার প্রদানের বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে আদেশ করা হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও আর্থিক উন্নতির জন্য বিনিয়োগকারীদেরকে সার্বিক নিরাপত্তা ও সুবিধার বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয়।

আমাদের এখানে কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ চলছে। তাই লক্ষ লক্ষ ইয়াতীম শিশু, বিধবা ও অসহায় মানুষ আমাদের সাথে আছেন। ইমারাতে ইসলামিয়া তাদের অধিকার রক্ষা এবং সাহায্য সহযোগিতার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আহলে খায়ের মর্যাদাবান নাগরিকদেরকে, বিশেষ করে ইয়াতীম ও অসহায় শিশুদের আত্মীয়দেরকে আহ্বান করা হচ্ছে - আপনারা তাদেরকে ভুলে যাবেন না। পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে তাদের লালন-পালন, শিক্ষা এবং সাহায্য সহযোগিতার উপর মনোনিবেশ করুন।

সারা দেশে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী আইনে বিচার হচ্ছে। তাই সমাজে যারা মানুষের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর তাদের কাছে অনুরোধ - আপনারা স্বদেশে নিজ দেশীয়দের সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন। টেকসই নিরাপত্তার জন্য ইমারাতে ইসলামিয়াকে সাহায্য করুন। অন্যদের সুবিধার্থে নিজ দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্ট করবেন না।

ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরিয়ে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পূর্বে আমরা হাজার হাজার ভিক্ষুক দেখেছি। অনুসন্ধানের পরে, যাদের আসলেই সাহায্যের দরকার বলে প্রমাণিত হয়েছে - তাদের জন্য ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে মাসিক ভাতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু পেশাদার ভিক্ষুকদের উৎপাত বন্ধ করতে উলামায়ে কেরাম, ইমামগণ ও গোত্রের প্রভাবশালীদের সাহায্য প্রয়োজন। ভিক্ষাবৃত্তির নিকৃষ্টতা এবং হালাল উপার্জনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

ইমারাতে ইসলামিয়ার গঠনমূলক ও উপকারী পদক্ষেপের বরকতে ‘মাদক চাষ’ শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে। আমাদের সম্মানিত নাগরিকগণ, ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী, বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোন ধরনের সাহায্য ব্যতিরেকে, বিকল্প আর্থিক কার্যক্রমের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর ইতিবাচক প্রভাব ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট হচ্ছে। একইসাথে দেশে সকল ধরনের মাদকের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে অনেক মানুষকে, বিশেষ করে যুবকদেরকে মাদকের অভিশাপ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

বিগত ২০ বছরের দখলদারিত্বের কারণে অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পরেছিলেন। এই মুহূর্তে ইমারাতে ইসলামিয়ার অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান একযোগে এসকল মাদকাসক্তের চিকিৎসায় কাজ করছে। তাদেরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কঠোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। 

বিগত ২০ বছরের দখলদারিত্বের সময়ে, আফগান মুসলিমদেরকে অনেক ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ক্ষমতাশীলদের অনেকেই রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করেছিলো। তাই ইমারাতে ইসলামিয়া রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে একটি কমিশন নিয়োগ করেছে। জনসাধারণ ও বাইতুল মালের হারানো সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে তার প্রকৃত হকদারের নিকট পৌঁছানোয় এই কমিশনের লক্ষ্য।

ইমারাতে ইসলামিয়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে, বিশেষ করে ইসলামী দেশগুলোর সাথে, ভালো রাজনৈতিক ও আর্থিক সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। এব্যাপারে ইমারাতে ইসলামিয়া তার দায়িত্ব পূরণ করেছে। আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করি না। আমরাও অন্য কোন দেশকে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করার অনুমতি দেই না।

ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রিয় কর্মকর্তাদের প্রতি আমার আহ্বান,

আপনারা সতর্কতা ও গুরুত্বের সাথে সর্বক্ষেত্রে মুসলিম জনগণের খেদমত, হেফাযত ও তাদের কল্যাণে আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। তাদের জন্য আপনাদের দরজা খুলে দিন। লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী তৎক্ষণাৎ তাদেরকে সেবা প্রদান করুন। এমন কোন আচরণ করবেন না, যাতে তারা নিজেদেরকে আপনাদের চেয়ে ছোট মনে করে। মনে রাখবেন, এরাই সেই জনগণ যারা যুদ্ধ চলাকালীন বিশ বছরে তাদের জান, মাল, ঘর-বাড়ি ও সন্তানাদি মুজাহিদদের জন্য কুরবান করেছেন এবং সব ধরনের কুরবানী দিতে তৈরি ছিলেন। এখন ইমারাতের সরকারি কর্মকর্তাদের পরীক্ষার সময় যে, তারা এদের সাথে কেমন আচরণ করে?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আমার নির্দেশনা -

জনগণের সেবা ও সুরক্ষার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিন, বিশেষ করে ঈদের সময়টাতে। দেশবাসীর উন্নতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিন। শহীদ, যুদ্ধাহত ও ইয়াতীমদের পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিন। তাদের প্রতি সাধ্যানুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।

আমাদের ঈমানদার দেশবাসী!

আল্লাহর জমিনে ইসলামী শরীয়তকে প্রতিষ্ঠা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং মুজাহিদদের কুরবানীর বিনিময়ে আজকের ইসলামী ইমারাত আমরা পেয়েছি। আসুন, একে রক্ষা করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। পরস্পর ভাই ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াই। আমাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেই। নিরাপত্তা ও উন্নতি নিশ্চিত করি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একসাথে কাজ করি।

এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ যে, এবছর হাজারো আফগানবাসী হজ করার উদ্দেশে বাইতুল্লায় গিয়েছেন। ইমারাতে ইসলামিয়া পরিপূর্ণ ইহতেমামের সাথে তাদের সেবা করেছে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করেছে।

হজের উদ্দেশ্যে বাইতুল্লায় আগত সারা পৃথিবীর মুসলিমদের প্রতি আহ্বান- আপনারা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করবেন। বিশেষ করে আফগানিস্তানের অধিবাসীদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাদেরকে দুনিয়া এবং আখিরাতে খুশি রাখেন, আমীন।

ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের নারী, শিশু ও অসহায় মুসলিম জনসাধারণের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অন্যান্য দেশের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা এধরনের অমানবিক ও জঘন্য জুলুম প্রতিহত করার জন্য আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন।

সুদান সরকার ও দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান,

আপনারা মতপার্থক্য ভুলে যান। ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করুন। বরং বাস্তবতা তো এই যে, মুসলিম উম্মাহর সকল সমস্যার সমাধান তাদের ঐক্যের মধ্যে নিহিত। ঐক্যে পৌঁছানোর জন্য প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব হল; এ বিষয়টি বুঝা এবং ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করা। তাহলে স্বার্থলোভী বিচ্ছিন্নকারীদের ষড়যন্ত্র রুখে যাবে। মুসলিমরাও ঐক্য এবং ভ্রাতৃত্বের রহমত ও বরকত লাভ করবে

পরিশেষে আবারও সকল ঈমানদারকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্বাধীনভাবে, ইসলামী শরীয়াহর অধীনে, সর্বদা ঈদের আনন্দ উদযাপনের সুযোগ দান করুন, আমীন।

 

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধান

আমীরুল মুমিনীন শাইখুল কুরআন ও হাদীস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ

৭/১২/১৪৪৪ হিজরী চন্দ্র-বর্ষ

২৫/০৬/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

 

 


************
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الفردوس للإنتاج الإعلامي
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
In your dua remember your brothers of
Al Firdaws Media Foundation