JustPaste.it

আল কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

“তাদের মুখ থেকে প্রচণ্ড বিদ্বেষ প্রকাশিত হয়েছে আর তাদের অন্তরে যা লুকায়িত আছে তা আরো জঘন্য”

 

 

f12c4e4344c282da81825e46beb62393.jpg

8a930f8a0373b7a33241ebe3a1aa1cfc.jpg

 

3d3da11029f6b8ddd484df2432044fde.jpg

 

 

 

--------------------------------- 

 

 

‘আমি আল্লাহর নামে শপথ করছি, আমেরিকা এবং যারা আমেরিকাতে বসবাস করে তারা শান্তির কল্পনাও করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা ফিলিস্তিনে বাস্তবিকভাবে শান্তিতে থাকি।’

এটা হলো উম্মাহর সেই শহিদের করা রবের কসম যিনি উম্মাহর ইতিহাসে একটি অতি গুরুত্ববহ অবস্থানের জন্য পথ পাকা করেছিলেন; এমন একটি অবস্থান, যাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছিল যে আন্তর্জাতিক কাফেরদের প্রধান - যে ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত করছে, তাদের পবিত্রতাকে লঙ্ঘন করছে, তাদের সম্পদসমূহকে লুণ্ঠন করছে, আর ইহুদিদেরকে, আরব ও প্রাচ্যের জালিমদেরকে সমর্থন করছে - সেটা আমেরিকা ছাড়া আর কেউ নয়। অতিবাহিত প্রতিটি দিনের সাথে, এবং সর্বশেষ পর্যায়ে যা প্রকাশিত হয়েছে, তার দ্বারা এই বাস্তবতায় (আমেরিকা যে কাফেরদের প্রধান) আমাদের বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইহুদি সম্প্রদায়ের রাজধানী হিসেবে আল-কুদসের (জেরুজালেম) স্বীকৃতি ক্রুসেডার ট্রাম্প কর্তৃক মুসলিমদের পবিত্রতার বিরুদ্ধে একটি চরম আগ্রাসন, মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মারাত্মক আঘাত, যা হয়তো এই ঘুমন্ত জাতিকে তার ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে। যদি আমরা জেগে উঠতে ব্যর্থ হই - আগামীকালের বদলে আজ - আরো প্রস্তাবনা, আলোচনাসভা ও চুক্তির মাধ্যমে এই আগ্রাসন মুসলিম হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলবে এবং আমাদের মুসলিম বিশ্বকে সম্পূর্ণভাবে ইহুদি-ক্রুসেডার জোটের কাছে এবং তাদের রাফিজী, আরব ও প্রাচ্যের মিত্রদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য করবে। সন্ত্রাসবাদ এবং কট্টরপন্থীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আমাদের জনসাধারণকে সম্পূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় পরিচয় এবং ঈমান থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। সবচেয়ে নিশ্চিত এবং সংক্ষিপ্ত পথ হলো, এই যুগের ফেরাউনের (আমেরিকা) আগ্রাসন এবং ঔদ্ধত্যের মোকাবেলা করতে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা, সব জায়গায় তাদের প্রধান স্বার্থসমূহকে এবং তাদের ইহুদি ও ক্রুসেডার জোটের স্বার্থসমূহকে টার্গেট করার মাধ্যমে। এটি একটি সরল সমীকরণ; যেহেতু তুমি আমাকে হত্যা করেছ, তোমাকেও নিহত হতে হবে। যেহেতু তোমরা আমাদের উপর বোমা হামলা করেছ তোমাদেরকেও বোমা হামলার শিকার হতে হবে। আর যে এই যুদ্ধবিগ্রহ শুরু করেছে সবকিছুর জন্য সেই দায়ী।

উম্মাহকে অবশ্যই এই বিষয়টি মেনে নিতে হবে যে, ইহুদি-ক্রুসেডার জোট কখনোই এত ঔদ্ধত্যের সাথে মুসলিমদের উপহাস করতে সাহস পেত না, যদি না তারা(কাফেররা) প্রথমে পুতুল শাসকদের (বিশেষ করে সৌদ পরিবারের শাসন) পরিপূর্ণ বশ্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিজেদেরকে নিরাপদ করত। এই সকল পুতুল শাসকেরাই এই অপরাধের পথকে প্রশস্ত করে দেওয়ার জন্য দায়ী। ইহুদি-ক্রুসেডার কখনোই মুসলিমদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হত না, যদি না তারা এটা নিশ্চিত করতে পারত যে, তাদের এজেন্টরা (তথাকথিত আরব এবং ইসলামী সৈন্যরা) নিজেদের উপর তাদের (কাফেরদের) আধিপত্যকে মেনে নিয়েছে, উম্মাহর উপর পরিপূর্ণ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আবেগ ও সতেজতার সকল শিখাকে কঠোরভাবে নিভিয়ে দিয়েছে।

ইসলামী উম্মাহ, মুসলিম যুবক, উম্মাহর মুজাহিদীন! তোমাদের সময় এসেছে। তাই তোমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহকে দেখাও যা তাঁকে সন্তুষ্ট করে। প্রস্তুত কর হালকা বা ভারী, জিহাদের ময়দানের জন্য, আর প্রস্তুত হও তোমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে। তোমাদের সারিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ কর, তোমাদের প্রচেষ্টাগুলোকে একত্র কর, পরস্পরের মধ্যেকার বিরোধকে ভুলে যাও, তোমার রবের নিকট অনুতপ্ত হও এবং তোমার পাপসমূহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। যারা ময়দানে আছ তারা অবশ্যই জিহাদ চালিয়ে যাও এবং জোরালোভাবে ঘোষণা দাও, “এখান থেকে আমরা শুরু করেছি এবং আল আকসা গিয়ে আমরা মিলিত হব।” কাফের জাতির বিরুদ্ধে বিরামহীন একটি যুদ্ধের ঘোষণা দাও, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি অঞ্চল থেকে একত্রিত হয়েছে। তোমাদের প্রচেষ্টাগুলোকে কেন্দ্রীভূত কর কাফেরদের মাথার (প্রধানের) উপর। তাকে তার নিজের সমস্যাগুলোর মধ্যে আটকে রাখ, তার বিরুদ্ধে তোমাদের আক্রমণগুলোকে তীব্রতর কর যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার আগ্রাসন থেকে বিরত হয়। তারর ধ্বংস নিকটেই, আর তোমাদের বিজয় কিছু সময় ধৈর্য ধারণের পরই আসবে।

পরিসমাপ্তিতে রাসূল এবং নবীগণের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী মুসলিম আলেম এবং দা’য়ীদের প্রতি একটি আহ্বান। আল্লাহর খাতিরে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। এমন পদক্ষেপ নিন যেটা এই ধর্মকে সম্মান এনে দেবে, তাওহীদের পতাকাকে উত্তোলন করবে, কাফেরদের অপদস্থ করবে এবং তাদের ঝাণ্ডাকে নামিয়ে ফেলবে। সৈন্যদের নেতৃত্ব দিন, আপনাদের অস্ত্রসমূহ তুলে নিন, খন্দকের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রতিরক্ষা করুন, আর মুজাহিদদেরকে পরিচালিত করুন একটি কিতাবের মাধ্যমে যেটা পথনির্দেশ দেয় এবং একটি তলোয়ারের মাধ্যমে যেটা বিজয়ের পথকে পাকা করে...বিজয় অথবা শাহাদাত লাভের পূর্বপর্যন্ত এটাকে আঁকড়ে ধরুন।

হে আল্লাহ! তোমার মুজাহিদ বান্দাদের সাহায্য করো, তাদের সারিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে দাও, তাদের দুর্বলতা দূর করে দাও, আর তোমার সাহায্যকারীর মাধ্যমে তাদেরকে সাহায্য করো। হে আল্লাহ! কুফফার এবং তাদের জোটসমূহের কাছ থেকে প্রতিশোধ নাও। হে আল্লাহ! তাদেরকে অপদস্থ করো, তাদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দাও, তাদের সারিগুলোকে ছত্রভঙ্গ করে দাও এবং যেভাবে তুমি উপযুক্ত মনে করো সেভাবে তাদের শয়তানী থেকে আমাদেরকে হেফাজত করো। আমীন হে মহাবিশ্বের প্রতিপালক।

 

আমার প্রসঙ্গে, আমি আল কুদসের ক্ষত,

এখনো আমাকে খুব আঘাত করে।

সেই ক্ষতের ব্যথা আগুনের মত,
আমার ভেতরটা পুড়িয়ে দেয়।
আল্লাহর সাথে আমার শপথে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করিনি,
যখন রাষ্ট্রগুলো প্রতারণা করেছিল।

আস-সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত

১৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৯ হিজরী

৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ইংরেজি