JustPaste.it - Share Text & Images the Easy Way

আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করি, তিনি যেন এই উম্মতের সংশোধন করে দেন। আমাদেরকে তাঁর রাস্তায় জিহাদ করার তাওফিক দান করেন। জুলম ও কুফরের বিরুদ্ধে আমাদের দীনী কাজগুলোকে কবুল করে নেন। শহীদদের এই জমিনে তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করেন। আমীন, ইয়া রাব্বাল আ'লামীন।

এবারের ঈদ, কাশ্মীরে এমন সময়ে এসেছে, যখন হিন্দু কাফেররা জিহাদ, মুজাহিদ এবং কাশ্মীরের মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপন করছে। ভারত একদিকে তার জুলুম ও নির্যাতনকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির লেবাস পরাতে বেপরোয়া হয়ে আছে, অন্যদিকে কাশ্মীরী মুসলিমদের দ্বীন, জান ও মালকে উৎখাত করতে সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আজ আমাদের হাজার হাজার ভাইয়েরা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক। ‘আগ্রা’ থেকে ‘তিহার’ ও ‘রাজস্থান’ অবধি কারাগারগুলোতে কাশ্মীরের মুসলিমরা আজ বন্দি।

আমাদের বোনেরাও ভারতের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কালগামের ‘নাসীমা বানু’ বা পুলওয়ামার ‘ইনশা জান’, শ্রীনগরের ‘সুফিয়া’ বা বান্দিপুরার ‘শিমা শফী’- এরা সবাই আজ ভারতের কারাগারে বন্দি।

ভারতীয় কাফেরদের এই চূড়ান্ত আক্রমণের মূল লক্ষ্য আমাদের 'ঈমান'। একারণে তারা আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ও প্রবলভাবে নজরদারি করছে। কাশ্মীরী মুসলিমদেরকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে, হিন্দুত্ববাদীদের বসতি স্থাপন করাও এই চূড়ান্ত আক্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্যে। এ লক্ষ্যেই কয়েক মাস পূর্বে, বুলডোজার দিয়ে কাশ্মীরী মুসলিমদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

কাশ্মীরের মুমিনরা কখনোই ভারতের কুফুরি শাসন মেনে নিবে না - ভারত একথা জানে। তাইতো আমাদের ঈমানি পরীক্ষা চলছে। এমনটিই হয়েছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের সাথে। মক্কার কাফেররা তাদেরকে (শিআবে আবু তালেব) তথা আবু তালিবের গিরিবর্তে অবরোধ করে, তাদের খাদ্য-দ্রব্যের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই অবরোধ প্রায় তিন বছর অবধি স্থায়ী ছিল। বর্তমানে কাশ্মীরও এমন অবরোধের মধ্যে রয়েছে। এখানে আমাদের জিহাদি আন্দোলনের উপর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় দিক থেকে কঠোর অবরোধ আরোপ করা রয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের জন্য আল্লাহর পথে ফিরে আসা এবং আসন্ন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

সঠিক সময়ে সঠিক প্রস্তুতি, যুদ্ধ এবং যুদ্ধের নকশা পাল্টে দিতে সক্ষম। তাই আমাদের জন্য জরুরী হল ঈমানী, শারীরিক ও সামরিক প্রশিক্ষণ (যতটুকু সম্ভব) নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এই রাত দীর্ঘ ঠিক, তবে আলো আসবেই। ভোর হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।

এই উপলক্ষে আমরা আরো একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। বিগত কয়েক বছরে, দখলকৃত কাশ্মীর এবং আজাদ কাশ্মীরের কিছু লোক ‘হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাদাত’ এবং প্রকৃত স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপরীতে ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’ এর নাম ব্যবহার করে দীন-দরদী তরুণ যুবকদেরকে তাদের সাথে যুক্ত করে নিয়েছে।

‘শিহাবুদ্দিন’ নামে একজনকে তারা আমীর বলে ডাকে। এই চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মূল রূপকার হল ‘বশীর পীর’ ওরফে ‘ইমতিয়াজ আলম’ এবং ‘আমের’ ওরফে ‘ফিরোজ’ ওরফে ‘দ্বাদশীরা’ এবং তারাল এর (জুম্মু কাশ্মীরের একটি অংশ) মুদ্দাসসির আহমাদ।

‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’ কাশ্মীর এবং উপমহাদেশের মুসলিমদের এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করছে এবং এই লোকদের থেকে দূরে থাকার আহবান জানাচ্ছে।

পরিশেষে আমরা গত বছরের মার্চ মাসে শ্রীনগরের নো’গাম এলাকায় শহীদ হওয়া তিন সাথীর শাহাদাতের জন্য কাশ্মীরবাসী এবং তাদের পরিবারকে আন্তরিক মুবারাকবাদ জানাচ্ছি। আমরা শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানাচ্ছি।

শোপিয়ার শহীদ শাকের, পানপুরের আদিল তীলী এবং কালগামের ইয়াসির তাদের রবের সাথে করা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাদের শাহাদাত কবুল করুন এবং তাদের রক্তের বরকতে কাশ্মীরে ‘হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাদাত’ আন্দোলন এবং জিহাদের মানহাজকে শক্তিশালী ও মজবুত করুন। আমীন।

وآخر دعوانا ان الحمد لله رب العالمين

জিলহজ্জ, ১৪৪৪ হিজরি

জুন, ২০২৩ ঈসায়ী