JustPaste.it

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

 

ওরা বিবৃতিবাজ মতলববাজঃ কাহালু ও নন্দীগ্রামে সরেজমিনে দু'দিন

শিকদার আবদুর রব

========================================================================

 

        ফতোয়া একটি ইসলামী পরিভাষা। এর সাথে ‘বাজ’ শব্দটি যোগ করে সম্প্রতি ‘ফতোয়াবাজ’নামে একটি কল্পিত চরিত্রের ধারণা গড়ে তোলার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ধর্মীয় চেতনা, ও মূল্যবোধকে কটাক্ষ করার এবং বিষোদগার ছড়ানোর কোন নেতিবাচক প্রবণতার ফল কি এ তৎপরতা? ধর্মীয় নেতৃত্ব একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রতিষ্ঠান। জাতীয়ভাবে তাদের খেদমত স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু কথা উঠেছে যে আলেম সমাজের ভূমিকা দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের প্রতিবন্ধক, এরা শোষকের খেদমতগার! সত্যিই কি এরা মুঢ় ও কৃপমণ্ডুক। দারিদ্র বিমোচন সেবা ও উন্নয়নের খেদমতে নিয়োজিত এনজিওদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারা কি কেবল সেবাই করছে। নাকি তাদের সেবার কর্মকাণ্ডের অন্তরালে কাজ করছে এ সমাজের ভিত্তিমূলে আঘাত করার অশুভ খেয়াল? ওরা কেন ধর্মকে তাদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছো? ওরা কেন সমাজ শৃঙ্খলাকে ডিঙ্গাতে চাইছে?

 

        জগৎশেঠ, রায় দুর্লভ, রাজবল্লভ, উমিচাঁদ প্রমুখের ইস্ট ইন্ডিয়া তোষণের মত এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও পত্র - পত্রিকার এনজিও তোষণের পেছন রহস্য কি? ওদের বিবৃতি আর বক্তৃতার পেছনে কোন মতলব কাজ করছে কি?

 

        প্রশাসন এনজিওদের প্রশ্নবন্দী তৎপরতাকে বাছ-বিচারহীন ভাবে মদদ যোগাচ্ছো কেন? এনজিও প্রশাসনের সমান্তরালে আলাদা সরকার নয়তো? ইত্যাদি জিজ্ঞাসার সূত্র ধরে আলোচিত কাহালু ও নন্দীগ্রামে সরে জমিনে পরিদর্শন করে এসেছেন আমাদের প্রতিবেদক শিকদার আবদুর রব।

        - ঘটনা আমরা ঘটাইনি। ঘটিয়েছে। আপনার মতো সাংবাদিকরা যারা তিলকে তাল বানায়, যা ঘটে তার বেশী লিখে।

        -পত্রিকার খবর কি সত্য নয়?

 

        -তা আমি বলবো কেন? গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করলেই সত্য - মিথ্যা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু সাংবাদিকরা এখন কষ্ট এড়াতে সাধারণ মানুষের কাছে না গিয়ে ব্রাক অফিসে আলাপ করে সেখানকার তথ্য দিয়ে পত্রিকায় ছেপে মানুষকে হয়রানি করতে সাহায্য করছেন। সাংবাদিকতার নীতি    - নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে।

 

        -যে তিলকে তাল বানানো হয় সে তিলটি কি?

 

        ধরুন সমাজ বিরোধী কাজের জন্য কারো সাথে সমাজের লোকজন ওঠা বসা বন্ধ করে দিলেন। সাংবাদিকরা সত্য ঘটনা লুকিয়ে লিখে দিলেন এনজিওদের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার কারণে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। বিচিত্রায় দেয়া তথ্যগুলো যাচাই করে দেখলে আমার কথার সত্যতা প্রমাণিত হবে।

 

        এ কথাগুলো বলেছেন বগুড়া জেলার কাহালু থানার দুর্গাপুর ইউনিয়নের জরজগতপুর গ্রামের স্থানীয় নেতা আজিজার রহমান ( আজি ) । তার বক্তব্যের সত্যতা বিচারের জন্য আমরা কথা বলি দেওগ্রামের এনজিওর স্বাস্থ্য সেবিকা আনিছা বেগমের সাথে। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নেয়ার কারণে মাওলানারা তার মৃত সন্তানের জানাজা পড়েননি। কিন্তু স্থানীয় লোকজন জানান, আনিছা বেগমের মেয়ে গ্রামের ছেলেদের কাছে দেহ বিক্রি করতো। এক সময় তার গর্ভে অবৈধ সন্তানও আসে। কিন্তু শরীয়ত সম্মতভাবে এর বিচার হওয়ায় গ্রামের মানুষ তার সাথে সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এটাকেই পরে রং মাখিয়ে বলেছে যে, ঋণ গ্রহণের কারণে আলেমরা তার ছেলের জানাজা পড়েনি যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একথা আনিছা বেগমের ভাইও স্বীকার করেছেন যিনি নিজেও গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা । আর একই গ্রামের ফরিদার শ্বশুরের কথা? তাকে তো জীবন্ত কবর দিয়েছেন কোন কোন পত্রিকা।

 

        ফরিদার শ্বশুরের নাম লুৎফর; টিউবয়েলের মেকানিক। এখনও তিনি সুঠাম দেহ নিয়ে মানুষের টিউবওয়েল মেরামত করে বেড়াচ্ছোন। অথচ একই পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ঋণ নেয়ার কারণে আলেমরা তার শ্বশুরের জানাজা পড়তে আসেনি। এ সম্পর্কে ফরিদার শ্বাশুড়ী রশিদা খাতুনের বক্তব্য, তিনি এখন অন্য গ্রামে কাজে গেছেন। আরো সকালে আসলে পেতেন। তবে সন্ধ্যার পরে আসলে তার সাথে কথা বলতে পারবেন। তার প্রশ্ন, জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে সাংবাদিকদের কি লাভ হয়েছে? আমরা কথা বলেছি জামগ্রামের লাইলী বেগমের সাথেও। তিনি ব্রাকের আরডিপি’র ক্যাশিয়ার এবং জিসি কমিটির সেক্রেটারী। তিনি ব্রাক থেকে লোন এনে হাঁস - মুরগী, গরু - ছাগলের চাষ করতেন। সম্প্রতি তার ঘরে আগুন লেগে অনেকগুলো গরু, ছাগল, হাস - মুরগী মারা যায়। পুড়ে যায় নগদ অর্থসহ অনেক ধান - চাল। বিচিত্রা এজন্য দায়ী করেছে কথিত ফতোয়াবাজদের। লাইলী বেগম বলেন, আমার ঘরে আগুন দিয়েছে আমার গ্রামের আবদুল গফফার এবং তার ছেলে জাহাঙ্গীর। তারা আলেম নয়। এমনকি ঠিকমতো নামাযও পড়ে না। ব্রাক থেকে দরিদ্র মানুষকে লোনের ব্যবস্থা করে দেয়ায় তাদের দাদন ব্যবসায় ভাটা পরে। সে কারণে আমার উপর ক্ষেপে যায় এবং আমি গ্রামের মেয়েদের নষ্ট করছি অভিযোগ তুলে। একদিন রাতে তারা বাপ - বেটায় আমার ঘরে আগুন দেয়। আমার সবকিছু পুড়ে যায়। থানায় তাদের নামে মামলা করলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়। তারা আত্মগোপন করে। কিন্তু পত্রিকায় আগুন দেয়ার জন্য মাওলানাদেরকে দায়ী করা হলে পুলিশের তৎপরতা থেমে যায়। আসামীরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছো। তিনি বলেন, ব্রাকের কর্মী হবার কারণে আলেমরা আমার সম্পর্কে কোন কিছুই বলেননি। তারা কখনওই আমার ঘরে আগুন দিতে পারেন না। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা লেখা হয়েছে। আমার ঘর পোড়ার পিছনে তাদের সামান্যতম ভুমিকাও নেই।

 

        গ্রামীণ ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ গ্রহন এবং ব্রাক - এর স্কুল প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করায় জামগ্রাম ইউনিয়নের নিমার পাড়া গ্রামের হাসান আলী, তোজাম্মেল , মনতাজুর সহ এ রকম আটটি পরিবার, নন্দীগ্রাম থানার বাটদীঘি গ্রামের নুরুন্নাহার, ফাতেমা ও রহিমাকে এবং কেশবপুরের নাজমার পরিবারকে একঘরে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন পত্র - পত্রিকায়। অভিযোগগুলো যাচাই করতে আমরা যাই নিমের পাড়া গ্রামের হাসলান আলী, তোজাম্মেল ও মনতাজুর বাড়িতে। তারা এ সময় বাড়ীতে না থাকায় আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলি স্থানীয় লোকজনের সাথে। কাহালু কলেজের ছাত্র মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে এটা মিথ্যা কথা। ব্রাক ও গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতারা নিজেদেরকে নিয়ে একটি আলাদা সমাজ গড়ে তোলেন এবং অন্যদের সাথে উঠাবসা বন্ধ করে দেন। অবশ্য এখন তারা আবার সমাজের সাথে মেলামেশা শুরু করেছেন নিজেদের মর্জি মতো। উপস্থিত অন্যান্য লোকেরাও এ কথার সমর্থন জানান। তারা বলেন, আলেমদেরকে ছোট করার জন্য তারা এখন ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে।

 

        একই ঘটনা ঘটেছে কেশবপুরের নাজমার বেলায়। ব্রাক অফিসে ব্রাকের এরিয়া ম্যানেজারের সামনে বসে নাজমা বলেন, আমাকে সমাজে সমাজচ্যুত করেছে। আমার বাড়ীর মাঝখানে বেড়া দিয়ে আমাকে আলাদা করে দিয়েছে। সরে জমিনে তদন্তে গেলে এ সম্পর্কে বান্দাইখাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জামগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, মেয়েদের গোসলকালীন সময় ব্রাক কর্মীরা নাজিমুদ্দিনের পরিবারের পাশ দিয়ে নাজমার বাড়িতে যায়। সেজন্য মেয়েদের আব্রু রক্ষায় কষ্ট হয়। তাছাড়া ব্রাক কর্মীদের মটর সাইকেলের শব্দে গরু - বাছুর দড়ি ছিরে পালায়। কিন্তু বাড়িতে পুরুষ মানুষের অভাবে গরুগুলো আর বাঁধা না হওয়ায় সেগুলো মানুষের ফসল নষ্ট করে। তাই আবদুস সামাদ একদিন ব্রাক কর্মীদের দূরে মটর সাইকেল রেখে অন্যপথে নাজমার বাড়িতে যাতায়াতের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তারা তার সে অনুরোধ রক্ষা না করলে নাজিমুদ্দিন বাড়ির মহিলাদের আব্রু রক্ষার জন্য বেড়া দেন। এটাতো কাউকে সমাজচ্যুত করা নয়, নিজের ইজ্জত বাঁচানো।

 

        বিয়ে দোহরানোর (নতুন করে আবার বিয়ে পড়ানো) অভিযোগটিও বিস্ময় জোগায়।বলা হয়েছে আলেমরা ফতোয়া দিয়েছেন, এনজিও এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বউ তালাক হয়ে যায়। সে কারণে দেওগ্রামের জালাল - ফরিদা, বাটদীঘি গ্রামের আবদুস সাত্তার - রাশেদা এবং আটাশে গ্রামের আমিরুল ইসলাম - রওশন আরা দম্পতির নতুন করে বিয়ে পড়তে হয়েছে। কিন্তু ফরিদা বাবার বাড়িতে থাকায় তার শ্বাশুরী রাশিদা খাতুন বলেছেন, ঋণ গ্রহণের কারণে নয়, তারা এমন কিছু কাজ করেছেন যাতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক থাকে না। তাই শরিয়তের বিধানমতে তাদের ঘর সংসার করার জন্য নতুন করে বিয়ে পড়তে হয়। এর সাথে ঋণ গ্রহণের কোন সম্পর্ক নেই। ঋণ গ্রহণ করলেই যদি বিয়ে দোহরাতে হয় তাহলে এ পাড়ায় কম করে হলেও তিনশ দম্পতির নতুন বিয়ে পড়া উচিৎ। উপস্থিত সকলেই একই মন্তব্য করেছেন।

 

        আটাশ গ্রামের আমিরুল  সলামের বক্তব্যও একই । তিনি বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার একটি ব্যক্তিগত কারণে আমি বিয়ে দোহরাইছি। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। ইব্রাহীম মাওলানা সহ দেশের আলেমদেরকে মামলায় জড়ানোর জন্য গ্রামীণ ব্যাংক এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তাছাড়া আমার বিয়ের বয়স দশ বছরও হয়নি, আর তিন বছর পূর্বে আমার বউ ঋণও আনেনি। আচ্ছা, সাংবাদিকরা কেন সত্য মিথ্যা যাচাই না করে লেখেন, বিনা অনুমতিতে দাম্পত্য জীবন নিয়ে নাড়াচাড়া করা সাংবাদিকতার কোন নীতিতে পড়ে? এ প্রশ্ন আমিরুল ইসলামের ।

 

        পত্রিকার সংবাদকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেছেন কেশবপুরে সত্তোরোর্ধ্ব যক্ষারোগী মরিয়ম এবং পাতাঞ্জোর গ্রামের গর্ভবতী শাহীনুরের স্বামী মোখলেসার। মোখলেসার বলেন, ব্রাকে গিয়ে চেকআপ করার জন্য আমার স্ত্রীকে মারধোর করেছি, বিচিত্রার এ সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ব্রাক কর্মী নীলিমা আমার বাড়ি আসলে আমি রাগ করি- এ কথাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। আপনি আসার কিছু পূর্বেও সে এসেছিলো। এসে, আমাদের বাড়ির বিভিন্নজনকে ঔষধ দিয়ে যায়, যা তারা খাচ্ছো। সকল অভিযোগ মিথ্যা। আর এই চেকআপের ব্যাপারে আলেমদেরকে জড়ানো হয়েছে অহেতুকভাবে।

 

        মোখলেসারের স্ত্রী বলেন, আমার ঘরের ও স্বামীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার বা পত্রিকায় ছাপার জন্য নীলিমা কে?

 

        কেশবপুরের যক্ষ্মারোগী মরিয়ম বলেন, রোজায় আমি অন্য অসুখের জন্য ঔষধ খাওয়া শুরু করলে যক্ষ্মারোগের ঔষধ খাওয়া কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করি। সে ঔষধ শেষ হলে আবার ব্রাকের দেয়া ঔষধ খাওয়া ধরেছি এবং এখনও খাচ্ছি। কিন্তু খৃস্টান হবার ভয়ে ব্রাকের ঔষধ খাওয়া বন্ধ করেছি এই মিথ্যা খবর পেলো কোথায়? বিচিত্রায় ছাপা তার ছবি এবং এর ক্যাপশন দেখালে তিনি বলেন আমার ছবি তোলার সময় এসব লিখবে তাতো বলেনি।

 

        মরিয়মের ছেলে বলেন, প্রথমে ব্রাক ঔষধ নিয়ে আসলে আমরা বাড়ীর সকলে মিলে আলোচনা করি। তারপর পাড়ার মৌলবীর কাছে যাই। তিনি বলেন, হিন্দুদের কাছ থেকে ঔষধ কিনে খাওয়ায় যেহেতু কোন দোষ নেই সেহেতু ব্রাকের ঔষধ খেতেও আপত্তি থাকবে কেন? তারপর থেকেই ঔষধ খাওয়া শুরু হয়।

 

        এরপর আমরা কথা বলি বিচিত্রার প্রচ্ছদ কন্যা নজিমনের সাথে। নজিমন বগুড়ার দুর্গাপুরা ইউনিয়নের দেওগ্রামের বাসিন্দা। গত এক বছর ধরে ব্রাক - এর সেরিকালচার প্রকল্পের তুত গাছ পাহাড়া দেন গ্রামের চৌমুহনী রাস্তায় লাল নিশান হাতে। বিনিময়ে প্রতি মাসে তাকে নেয়া হয় ৯০ কেজি গম। স্বামী আনছার দিনমজুর। গ্রামে কৃষি ও টিউবয়েল বসানোর কাজ করে। দু'জনের মধ্যে মুহূর্তের জন্যও মিল মিশ হয় না। তাই এর আগেও উভয়ের মধ্যে তিনবার ছাড়াছাড়ি হয়েছে। আবার একত্রে সংসার পেতেছে। সর্বশেষ ঘটনার দিন নজিমন গ্রামের এক ছেলেকে(২০) দিয়ে বাজার থেকে কাগজ - পত্র আনিয়ে নিজে স্বামীকে ডিভোর্স করে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নিজে কামাই করে খেতে পারে না, আমাকে কাজ করে সংসার  চালাতে হয়। কাজ করতে গেলে ঠিকমত ভাত রান্না হয় না। স্বামীর কাজ করতে পারি না। রাস্তায় গিয়ে গাছ পাহারা দেই বলে তার সম্মান বাঁচে না। তাই সে আমার সাথে ঝগড়া করে, মারে। আমি আর সহ্য করতে পারি না। তাই তার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য আমি তাকে ত্যাগ করছি। এখানে আলেমদের। কোন ভূমিকা নেই। পত্রিকায় আলেমদের ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলেছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরাও একই কথা বলেছেন। অথচ পত্রিকা বলেছে, আলেমদের ফতোয়ার কারণে আনসার নজিমনকে তালাক দিয়েছে।

 

সৌজন্যেঃ সাপ্তাহিক বিক্রম,

১৮-২৪ এপ্রিল ৯৪ সংখ্যা।

 

 

═──────────────═