JustPaste.it

পাঠকের কলাম

 

নারীদেরও জিহাদ চাই


জিহাদ এবং জিহাদী তামান্না ছাড়া মুসলমানের স্বাধীনভাবে, মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার কল্পনা করা যায় না। আমরা জিহাদ থেকে পিঠটান দিয়েছি বলেই আমাদের মুসলিম দেশ, মুসলিম বিশ্বের, মুসলিম জাতির নাজুক অবস্থা। অথচ ইসলাম মুখ বুজে অন্যায় সহ্য করার ধর্ম নয়, মুসলমান মাথা নত করার জাতি নয়। বাংলাদেশ নামক দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রের বাসিন্দা হয়েও আমরা মৃতবৎ পড়ে আছি। ইহুদি ও খৃষ্টচক্র আমাদের নিয়ে কি পুতুল খেলাইনা খেলছে। আমাদের কী কিছুই করার নেই?
জাগো মুজাহিদ কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আন্তরিক আবেদন, যেহেতু আমাদের সোনালী ইতিহাস মুসলিম বীরাঙ্গণাদের স্বতঃস্ফুর্ত ভূমিকার কথাও বলে এবং সেহেতু সে উদ্দেশ্যেই আমরা জিহাদী মায়ের/মহিলার বড় প্রয়োজন অনুভব করছি। তারাই পারবেন এ জাতিকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে। কর্তৃপক্ষ ‘নারীদের জিহাদ’ নামক একটি নিয়মিত বিভাগ আমাদের উপহার দেবেন এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেষ করছি।

মোঃ কুতুবুদ্দিন                                                                                                                       

এখনও সর্তক হোন

 

মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ আজ অধঃপতনের চরম সীমায় উপনীত। সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, নির্যাতন, চাঁদাবাজী, হাইজাক, সন্ত্রাস, অশ্লিলতা, বেহায়াপনায় আকন্ঠ নিমজ্জিত এ সমাজ। এমন ভয়াবহ অবস্থায় এক শ্রেনীর আলিম ব্যক্তি নিজেদের দায়িত্ব ভুল গিয়ে দলাদলি ও অনৈক্যের বীজ বপন করে জাতি বিধ্বংসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। একে অন্যকে সমাজে হেয় করার জন্য বেছে নেন মনগড়া ফতোয়া। এমনকি স্বার্থদ্বন্ধের কারণে একজন আরেক জনকে কাফির, মুনাফিক আখ্যা দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। এ কর্মকান্ড   সত্যিই মর্মান্তিক এবং বড়ই দুর্ভাগ্যজনক। জাতি আজ ধর্মদ্রোহী, মুরতাদ ও এনজিওর দাপটে কম্পমান, তাদের এ অনৈক্যের সুযোগে ইসলামের দুশমনরা হাতে তালি দিচ্ছে এবং ইসলাম বিরোধিতায় সর্ব শক্তি নিয়োগ করছে। এর পরিণতিতে যদি জাতীয় জীবনে কোন বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটে যায় তবে তার জন্য এ অনৈক্য সৃষ্টিকারীরা কি দায়ী হবে না?
সুতরাং এখনও সময় আছে সতর্ক হওয়ার। সংকীর্ণ স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিন। এতেই রয়েছে কল্যাণ ও মুক্তি। নতুবা মহাবিপদ। 

এম কেরামত আলী

 

শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবশ্যই ইসলামীকরণ করতে হবে

 

বিশ্ব প্রভু আল্লাহ্র প্রদত্ত সম্পূর্ণ জীবন বিধান ইসলাম। বিশ্বের প্রায় সকল মনীষী নির্দ্ধিধায় স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।  জীবনের এমন কোন দিক  ও বিভাগ নেই ইসলাম যার সমাধান দেয়নি। এমন কোন বিষয় নেই, আল-কোরআন যার তাত্ত্বিক কিংবা বিশ্লেষণাত্মক সমাধান দেয়নি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে সেভাবে জানার ও বাস্তব জীবনে সুযোগ নেই। যার জন্য মুসলমান হয়েও আমরা অনেকে ইসলাম বিমুখদের সাথে সুর মিলিয়ে কথা বলে থাকি।
আসলে ঐ শিক্ষা মানুষের প্রয়োজন, যে শিক্ষা খোদাকে চিনাতে পারে, খোদাকে মানাতে পারে। কিন্তু আফসোস, যেখানে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা আবশ্যক এবং এস এস সি হতে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষায় ১০০ নম্বর হতে ২০০ নম্বরে উন্নতি করা উচিৎ, সেখানে ৯৬-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষায় সুপরিকল্পিত ভাবে ১০০ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অবশ্যই ধর্মের প্রতি একটা বড় ধরণের হুমকি।
বর্তমান সমাজের  নৈতিক অবক্ষয় ও তরুন প্রজন্মের ধর্ম বিমুখ মানসিকতার অন্যতম কারণ এ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। ধর্মীয় শিক্ষায় তরুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে না তুললে এ সমাজের মুক্তি নেই। মাদ্রাসা শিক্ষা ও প্রচলিত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মন-মানসিকতার তুলনা মুলক পর্যালোচনা করলেই তা অনুমেয়। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট বিষোয়টি ভেবে দেখার আবেদন থাকল।

এম,ওসমান গনী

 

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক

 

আশির  দশকের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তান যখন অধুনা লুপ্ত সোভিয়েত পরাশক্তির গ্রাসে পড়ে আর্তনাদ করছে, আফগান জাতি যখন নিস্পেষিত হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুর প্রহর গুণছিল, সেই যুগ সন্ধিক্ষণে আফগানী বীর মুজাহিদরা রাশিয়ার লাল ফৌজ ও আফগান পুতুল সরকারের বিরুদ্ধে ঈমানী বলে বলীয়ান ও রাসূলের (ﷺ) আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার ইস্পাত কঠিন সংকল্প নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন জিহাদের ময়দানে। লাগাতার দীর্ঘ সংগ্রামের পর সমাজতন্ত্রের মূলে হানলেন নির্মম আঘাত। ঘলস্বরূপ লাভ করলেন আল্লাহ্র পক্ষ হতে প্রতিশ্রুত নুসরাত ও ফতহে মুবীন তথা পরম বিজয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বিজয় পুর্ণ হতে না হতেই তারা মারাত্মক ভাবে জড়িয়ে পড়েন ভ্রাতৃঘাতি আর সর্বনাশা লড়াইয়ে। এ প্রক্ষাপটেই জন্ম নেয় ‘তালিবান মুজাহিদীন’। যুদ্ধ বন্ধ ও শান্তির আহ্বান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে দেখে এরা অবশেষে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তারা এলাকার পর এলাকা বিজয় করতে থাকেন। সে সব বিজিত এলাকায় ইসলামী আইন কার্যকরী করে তারা গড়তে সক্ষম হন। অবশেষে কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আসে কাঙ্ক্ষিত বিরাট সাফল্য।
বেশ ক’বছর থেকে কূটিল রাজনীতির চক্রে পড়ে আফগানীরা নিজেদের অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। তালেবানদের এ বিজয়ের মাধ্যমে এবার তার অবসান হোক। এবার নেমে আসুক শান্তি এবং তা প্রতিষ্ঠিত হোক গোটা আফগানিস্তানে।

ওসমান 

 

আমাদের মিডিয়াগুলো বৃটিশের গোলাম

 

আমাদের বাংলাদেশে যতগুলো পত্রিকা আছে তার মধ্যে নেহাত দু একটি আদর্শবাদী ও আপোষহীন ধর্মীয় পত্রিকা ছাড়া বাকী সবগুলো পত্রিকা-ম্যাগাজিন এমনকি সরাকারী সম্প্রচার বিভাগ রেডিও-টিভি সরাসরি অথবা কখনো পরোক্ষভাবে বৃটিশ বেনিয়া গোষ্ঠীর গোলামী করে চলছে। পাশ্চাত্যের সে গড ফাদাররা আমাদের যা বলছে  আমরা তা পুরোপুরি আমল করছি। আজকাল লক্ষ্য করা যায়, ইসলাম ধর্ম বা তার অনুসারীদের বৃটিশ লাল মিয়ারা যেভাবে বিভিন্ন খেতাব দিয়ে থাকেন-মৌলবাদী, সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী, ঠিক তেমন আমাদের দেশের সাংবাদিকরাও হুবহু তাই লিখে থাকেন। মুসলমাদের কোন একটি খবরকে তারা সঠিকভাবে উপস্থাপন করেন না। এতে তাদের কিছু ফায়দাও আছে। কারণ গডফাদারদের যে যতবেশী মোসাহেবী করবেন ততবেশী বোনাস। দৈনিক জনকণ্ঠ এবং ইত্তেফাক পত্রিকায় ইদানিং যোগকরা হয়েছে ‘করচা’ নামে একটি পাতা যা সম্পূর্ণ উলঙ্গপনা, বেহায়াপনা ছাড়া কিছুই নয় এবং যা সম্পূর্ণ ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী।  উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীদের জন্য নাকি ছাপা হয়ে থাকে এ পাতাটি। বিভিন্ন গল্প গুজব, আড্ডা, নাচানাচি, ফ্যাশন, ফটো সুন্দরী প্রতিযোগিতা, সুন্দরী প্রতিযোগিতা, হাসাহাসি ঠেলাঠেলি ইত্যাদি মনুষ্যত্বের কবর আর পশুত্বের চর্চা এ পাতায় সাংবাদিক মহল তুলে ধরেন। কিভাবে ছেলে মেয়েদের আরো বেশী আকর্ষণীয় করা যায়, এ সমাজটাকে আরো বেশী পাশ্চাত্যের ভোগবাদী সমাজের মত করে গড়ে তোলা যায় এ পাতাটি রয়েছে তারাই সুরসুরানী। কোন দেশে সুন্দিরী প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, নাইট ক্লাবের ভেতর কি হচ্ছে তার যত উলঙ্গ ছবি আছে তা এ সাংবাদিকরা খুঁজে বের করেন এবং রঙিন প্রিন্টে তা প্রকাশ করে থাকেন। অথচ এসব পত্রিকা স্কুলের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষ পড়ে থাকে। যখন স্কুলের ছেলে মেয়েরা তাদের “শিক্ষার আসর”  পাতাটি খুলে পড়তে চায় তখন এই কিশোররা কোন পাতাটির দিকে দৃষ্টি নিব্ধ করে থাকে তা কি তারা বিবেচনা করে? একজন সম্পাদক ও সাংবাদিকের মন-মানসিকতা বা রুচীর খবর পাওয়া যায় তার পত্রিকা বা তার লেখা, প্রতিবেদন দেখে। সাংবাদিক সাহেবরা এ পাতায় নর্তকী ও তাদের ভক্তদের যে ছবি, প্রতিবেদন ছেপে থাকেন তাতে তাদের রুচীর পরিচয় মেলে। এ সাংবাদিকরা আবার মাদের সমাজকে আরো বেশী প্রগতিশীল আরো বেশী উন্নয়নশীল সমাজে পরিণত করার গল্প শোনান। অথচ যুবক যুবতীদের চরিত্রকে ধ্বংস করে দেবার জন্য এরাই পাশ্চাত্যের উলঙ্গ মিডিয়ার এজেন্ট  হিসাবে কাজ করছেন। পত্রিকা-ম্যাগাজিন ছাড়া টিভিতেও যত রকম শয়তানি আছে তা ফলাও করে দেখানো হচ্ছে। আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা নাকি গর্ব করে বলে থাকেন, আগের তুলনায় এখন টিভি দর্শকের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।পাবেই তো, বাউবি ১২ নামে অর্থ্যাত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় যা শুধু ছাত্র তরুণ তরুনীদের নিয়ে। আমাদের দেশের কবিরা যেমন নারী দেহের খুটিনাটি বিষয় কবিতার মাধুমে তুলে ধরে তাদের কবিত্বের পরিচয় দেন ঠিক তেমনি এই অনুষ্ঠানটিও নারী পুরুষের তথাকথিত স্মার্টনেসের নামে বেশী আকর্ষণীয় করে তুলতে গিয়ে যত ধরণের বেলেল্লাপনা আছে এখানে তার চর্চা করা হয়ে থাকে। যারা এই অনুষ্ঠানের প্রযোজনা বা উপস্থাপনায় আছেন তারা এত পারদর্শী যে মনে হয় এরা মায়ের কোল থেকেই এ শিক্ষা নিয়ে এসেছেন।  এরকম আরো বহু প্রচারণাই না আজ চলছে। আজ অনেক দূরে চলে গেছি আমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য থেকে। ওরা ধীরে ধীরে আমাদের এই সমাজকে ইউরোপের রাতের নগরীতে পরিণত করতে চাচ্ছে। এবার ওদের রুখতে হবে। জাগো মুজাহিদ পত্রিকার কর্তৃপক্ষ হয়তো এজন্যই পত্রিকার নাম দিয়েছেন “জাগো মুজাহিদ”। তাই অবশ্যই আমাদের জাগতে হবে, ওদের রুখতে হবে।
 

 সাইফুল্লাহ
 

সংশয় দূর করুন

 

গত আগষ্ট সংখ্যায় প্রশ্নোত্তরে তাবলীগ সম্পর্কে যে ধারণা দেয়া হয়েছে তাতে কেউ হয়ত মনে করছেন, জাগো মুজাহিদ কর্তৃপক্ষ তাবলীগ বিরোধী। কিন্তু আমরা জানি এবং দৃঢ় বিশ্বাস করি, কশ্মিন কালেও জাগো মুজাহিদ তাবলীগ বিরোধী নয়। কেননা মুজাহিদদের কর্মসূচী তিনটি, যে তিনটি কর্মসূচী ছিল মসজিদে নববীর। আর তা হলোঃ (১) তা’লীম (২) দাওয়াত ও তাবলীগ (৩) জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
কাঠাল বৃক্ষের একটি চারা তখনই বড় হয়ে ফল দিতে সক্ষম হবে যখন তার পরিচর্যা করা হবে, সাথে সাথে সংরক্ষণের সুব্যবস্থাও থাকবে। দ্বীন ইসলাম নামক বৃক্ষটির অবস্থাও অনুরূপ। তাই মসজিদে নববীর উক্ত পরিকল্পনার মাধ্যমে শুরু লগ্ন থেকে দ্বীন ইসলামের বৃক্ষ বড় করা হচ্ছে, যার ফল পাওয়া যাবে আখিরাত।
তালীমে দ্বীন হলো এর পরিচর্যার উপকরণাদী এবং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ হলো এর সুরক্ষাকারী। বৃক্ষকে সতেজ ও বড় করার জন্যে এ তিনটি বিষয়ই অপরিহার্য। পরিচর্যাকারী আছে কিন্তু তার উপকরণ তথা পানি অ সেচ সরঞ্জাম ইত্যাদি নেই, তবে বৃক্ষ শুকিয়ে মরবে শক্ত ও শুকনা মাটিতে। অথবা পরিচর্যার উপকরণ আছে কিন্তু পরিচর্যাকারী নেই, এ ক্ষেত্রে বৃক্ষকে সতেজ রাখা আদৌ সম্ভব নয়। অথবা এ উভয়টিই আছে কিন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই, তাহলে চারা-বৃক্ষের অস্তিত্বের উপরই হুমকি এসে দাড়াবে-গরু-ছাগলে খেয়ে মেরে ফেলবে চারাটিকে। অতএব বুঝা গেল, এই তিনটি কর্মসূচীর প্রতিটি অপরটির অবিচ্ছেদ্য অংগ। আজ সারা বিশ্বে তালিমে দ্বীনের প্রতিষ্ঠান যেমন পর্য্যাপ্ত রয়েছে, তেমনি দাওয়াত ও তাবলীগ তৎপরতা বিশ্বজুড়ে  বিস্তৃত  এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তা এক সঙ্গে একক নেতৃত্বে হচ্ছে না। আর এক ব্যক্তির পক্ষে এতিনটি কাজ এক সঙ্গে পরিচালনা করাও অসম্ভবও বটে। তবে একথা পরিষ্কার যে, দ্বীন ইসলামকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ তিনটি কর্মসূচীর হৃদ্যতা ও সখ্যতা থাকা একান্ত জরুরী। এর কোন একটিতে অবহেলা করলে চলবে না। 

খালিদ সাইফুল্লাহ (দিলাওয়ার)

 

তালেবানদের জন্য দোয়া করা ঈমানের দাবী


একটি সঠিক ইসলামী রাষ্ট্র চায় নিজেদের দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। এ ক্ষেত্রে তারা অনেকাংশে সাফল্য লাভ করেছে বটে। তবে যুদ্ধ এখনো থামেনি। দোস্তাম বাহিনীসহ সাবেক সরকারের সেনারা তাদের সকল শক্তি ব্যয় করে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়ছে। বীর তালিবানরা কিন্তু এসবকে থোড়াই কেয়ার করে। তালিবানদের চোখে মুখে সপ্ন, ‘জা-আলহক’-বাতিল অবশ্যই সরে দাঁড়াবে। জগা-খিচুড়ি ধরণের ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার দাবীদাররা কখনই টিকবে না। আমাদের দেশের ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠী ও জোড়াতালির ইসলাম ওয়ালারা মাসুদ বা দোস্তাম বাহিনীর জন্য মায়া কান্না করছে, মিডিয়া গুলোতে তালিবান বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। তালিবানদের ওরা গোড়াপন্থী, কট্টর বলছে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পাক্ষিক পাক্ষিক পত্রিকায় তো তালিবানদের কথা লিখতে গিয়ে বলেই ফেলেছে, ‘তালিবান মূলত মধ্যযুগীয় চিন্তা চেতনা থেকেই বের হয়ে আসতে পারেননি।‘ এ মূর্খদের কথার প্রতিবাদ করতে আমার প্রবৃত্তি হয় না। তবে তাদের মনে রাখা উচিৎ, তালিবান আল্লাহ্র দল, ওরা আল্লাহ্র পক্ষ হয়ে আল্লাহ্র আইন পুর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ ঈমানের দাবীদারদের আজ উচিৎ, তালিবানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাযান্তে দোয়া করা।

মোহাম্মদ জোবায়ের শাহ

                          
এ কেমন প্রগতি


আল্লাহ্ পাক আল কুরআনকে আমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অথচ আমরা পদে পদে তা উপেক্ষা করে চলছি। আল্লাহ্ বলেছেন তাঁর নির্দেশিত ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে আর আমরা মানুষের মনগড়া শাসন ব্যবস্থা কায়েমেই সর্ব শক্তি নিয়োগ করছি। নারী সমাজকে বলা হয়েছে পর্দা করতে আর তারা আরো উলঙ্গ হয়ে দেহ প্রদর্শনী করছে, দেহ ও মুখশ্রীকে পথিকের চোখে আরো কি করে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তারা সে চিন্তায় গলদঘর্ম হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সুন্নতি পোষাক পরলে, টুপি পরলে, দাড়ি রাখলে উপেক্ষার পাত্র হন, বিভিন্ন কটুক্তির শিকার হন। মুসলিম প্রধান এ দেশের ছাত্রদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করার ব্যবস্থা তো নেই উল্টো তাদের ধর্মহীন শিক্ষা সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নাচ, গান ও বিভিন্ন অশ্লিলতার প্রতি উৎসাহিত লরা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছর পর হয়তো মুসলিম পরিচয় খুজতে পুরনো দলিল পত্রের সাহায্য নিতে হবে। অথচ আমরা এ চারিত্রিক অধঃপতন, ধর্ম বিরোধী জীবন যাপন এবং নৈতিক দেউলিয়াপনাকে কিনা বলছি প্রগতির পথে চলা। মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে জন্তুর মত স্বেচ্ছাচারী জীবন যাপন করার নামই কি প্রগতি?

মোঃ আল আমিন 

 

কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও আলিম সমাজের প্রতি আহ্বান


শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমাদের সামনে প্রতি মাসে “জাগো মুজাহিদ” নামক উপহার তুলে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নভেম্বর সংখ্যার সম্পাদকীয় কলামের এ বাক্যটি আমাকে দারুন মোহিত করেছে “জিহাদই মুক্তি দিতে পারে একটি জাতিকে, স্বাধীনতা ও সম্মান দিতে পারে একটি জাতিকে” । এ বাক্যটি আমাকে স্বরণ করিয়ে দেয় রাসূলের (ﷺ) মাদানী জিন্দেগীর কথা। সুবহে সাদিকের প্রথমে যখন সূর্যের গোলাপি মিষ্টি কিরণ মনে খুশির আমেজ সৃষ্টি করে তেমনি আমার অন্তরে সম্পাদকীয়র এ বাক্যটিও প্রচণ্ড অনুভূতির শিহরণ সৃষ্টি করেছে।
মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররূখ যেমনি জিহাদের মাঝে জিন্দেগানির কথা ভেবেছেন এবং তার পথের পথিকদেরকে জালিমের উৎখাতে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জিহাদের মাধ্যমে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন, তেমনিভাবে আমিও আজ জিহাদের মূলমন্ত্রে উদ্দীপ্তি হওয়ার জন্য হতাশায় আচ্ছন্ন জনগণের হেদায়তের রবী আলেম সমাজকে আহবান জানাচ্ছি।
সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবের ‘শিল্প সংস্কৃতি’ পাতার এক লেখার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, এক শ্রেণীর লোক ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুনকে পরিবর্তন করতে উদগ্রীব। তারা চায়, আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি ও বিসমিল্লাহ্র পরিবর্তন। জাতির এ ক্রান্তি লগ্নে তাই জালিমের বিরুদ্ধে দুর্ভেদ্য কেল্লা গড়ে তুলতে যুগের নকীব আলিম সমাজকে আহবান জানাচ্ছি।

মোঃ কামরুল হাসান

 

ইবাদত আর ভন্ডামী এক সাথে চলে না


বিগত সরকারের আমলে বিটিভি যে সকল ভন্ডামী আর অশ্লিলতা প্রদর্শন করত বর্তমান ‘হাজী সাহেবানের’ নেতৃত্বাধানী সরকারের আমলেও তা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। বর্তমান সরকারের ধর্মের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাবান সরকার প্রধানকে বলছি, প্রচার মাধ্যমে কি ঘটছে আপনি তার খবর রাখেন কি? কুরআন তেলাওয়াত, তাফসির, আজান, হাদিসের বাণী প্রচারের পরক্ষণেই শুরু হয়ে যায় লাগাতার বেহায়াপনা, নাচ-গান, অশ্লীলতা। এভাবে ইবাদত আর ভন্ডামী বিটভির কল্যাণে পাশাপাশি চলছে। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশের প্রচার মাধ্যমের এ কেমন তৎপরতা? ধর্মপ্রাণ মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী এ দিকে একটু সুদৃষ্টি দিবেন কি?

মোঃ এ রহমান

 

চাই শুধু একটি কাফেলা


বিপুল শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাশ্চাত্যের সমস্ত খৃষ্টান শক্তিসহ মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে আজ এক সর্বগ্রাসী ক্রুসেডে অবতীর্ণ হয়েছে। তাদের সেবাদাসদের মাধ্যমে বিভিন্ন মুসলিম অঞ্চলে চালাচ্ছে গণ হত্যা গুম ধর্ষণ ও নির্মল অভিযান। বসনিয়া, চেচনিয়া, মিন্দানাও, কুর্দিস্তান, ফিলিস্তিন, বার্মা, আসাম ও ভারত যার রক্তাক্ত প্রমাণ।
খৃষ্টান শক্তিগুলো নানা ধরনের ঠুনকো অজুহাত সৃষ্টি করে উন্নয়নশীল মুসলিম দেশগুলোতে লুন্ঠন, সন্ত্রাস এবং আগ্রাসনের শিকারে পরিণত করেছে, দেশগুলোর উন্নতি আগ্রগতি স্তব্ধ করে রাখছে। শুধু কি তাই? ওরা বিশ্বব্যাপী মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণার প্লাবন সৃষ্টি করে ইসলামী আইন, নীতি, মূল্যবোধকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, মুসলিম দেশ গুলোতে নিত্য নতুন ধর্মীয় ফিরকা সৃষ্টিতে মদদ যোগাচ্ছে এবং মুসলমানদের ঐক্যের ভীত ধ্বসিয়ে দিয়ে এককে অন্যের বিরুদ্ধে নিয়োজিত করে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ ছাড়াও রকমারী মিশন ও এনজিওর মাধ্যমে ইসলাম পরিপন্থী চিন্তা-চেতনা ও মতাদর্শের ব্যপক প্রচারণা চালাচ্ছে। বলা বাহুল্য বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের ন্যায় এ হীন অপতৎপরতা থেকে আমাদের দেশও মুক্ত নয়। 
তাই আজ আল্লাহ্র দ্বীনকে বাতিলের সকল প্রচার বাতুলতা আর ফ্যাসিষ্টদের সব ধরনের নীতিহীন কর্মকান্ড থেকে মুক্ত ও নিষ্কলুষ করে তাকে সর্ব বিজয়ী করতে প্রয়োজন-প্রত্যয় দীপ্ত, চেতনায় উজ্জীবিত, শপথে বলিয়ান তেজস্বী এক কাফেলার। যারা তাগুতি শক্তির দন্ত নখর উপড়ে ফেলে প্লাবনের বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় দ্বীনের আলোক বর্তিকা হতে নিয়ে আদর্শচুত্য মুসলিম উম্মাহকে সম্বেত করবে ইসলামী ঝান্ডা তলে।

 শেখ মুহাঃ এনামুল হক

 

সুদৃঢ় ঐক্যের প্রত্যাশায়


১৯৭১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। রাষ্ট্রটি আকারে ছোট বা ক্ষুদ্র হলেও এদেশে রয়েছে ইসলামী শিক্ষার অসংখ্য মাদ্রাসা, মসজিদ, মক্তব, অগণিত আলিম ও মাশায়েখ। এদশের শতকরা ৯০% লোক মুসলিম। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী এদেশের বিশাল ইসলামী শক্তি সমগ্র বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা রাখে বটে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এদেশে ইসলামপন্থীরা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। এর অন্যতম কারণ, ইসলামী দলগুলোর পারস্পারিক অনৈক্য। পক্ষান্তরে ইসলামের বিরুদ্ধে সকল বাম ও রাম্পন্থী প্রয়জনে এক মঞ্চে সমবেত হতে দেখা যায়। কিন্তু ইসলামপন্থী দলগুলোর এক মঞ্চে এক হওয়াটা এক অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে! 
যে অনৈক্যের দরুন মুরতাদ ও ধর্মবিরোধীরা ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ্ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। অন্যদিকে এই সুযোগে কাদিয়ানিরা তাদের ভন্ড মতবাদ দ্বারা সরল প্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। এসব ইসলামদ্রোহী ও ভন্ড মতবাদের ধারকদের প্রতিহত করা সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। আসুন, আমরা দলাদলি ভুলে গিয়ে সুদৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করি। বাতিলের বিরুদ্ধে গড়ে তুলি দুর্জয় এক দূর্গ।

হামিদ হোছাইন (মছরুর)