JustPaste.it

নির্বাচিত নিবন্ধ

 

রবিউল আউয়াল এলে তোমারি গান গাই

রবিউল আউয়াল গেলে তোমায় ভুলে যাই

কামরুজ্জামান লসকর

 

            রবিউল আউয়াল মাস এলে সীরাতুন্নবীর জন্য প্যান্ডেল ও রাজপথে তোরণ দেখলে আমাদের কি নবীর কথা খুব মনে পড়ে যায়? নবীকে তো আমরা প্রায় ভুলে যেতেই বসেছি।

            প্রতিদিন সকালে গাড়ীতে করে অফিসে যাই। সাথে থাকেন সহকর্মী দশ থেকে বারোজন। অধিকাংশই পৌঢ় এবং কেউ কেউ বৃদ্ধ। সর্বশেষ আসনটি আমার ভাগে পড়ে অর্থাৎ সবার শেষে উঠি আবার সবার আগে নেমে যাই; সুদূর এই পথে আসা যাওয়ার কালে দীর্ঘ আলোচনায় কোনো কিছুই বাদ যায় না। রাজনীতি তো আছেই। ঘর-সংসার, দেশ-বিদেশ, হাট-বাজার কিছুই বাদ নেই। ভোরের বেলা সকলেই এক পলক দৈনিক পত্রিকা পড়ে ফেলেন। অতএব বিচিত্র সংবাদ সহ নানাবিধ জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথাও শুনতে পাওয়া যায়। শুধু কোনোদিন আলোচনার বিষয় বস্তু হয়ে আসেননি মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সঃ)। তাঁর জীবনের কথা, দ্বীনের কথা কেউ কখনো বলেননা। যেন তিনি আমাদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে গেছেন।

            ছেলে- মেয়েরা স্কুল-কলেজে কত কিছু লিখা পড়া করে। কত জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা আলোচনা করে। ওদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, কোনোদিন কোনো আলোচনার বিষয়বস্তু নবী মোহাম্মদুর রসূলুল্লাহ (সাঃ) ছিলো কিনা, নবী জীবনের ঘটনা-দুর্ঘটনা দুঃখ-কষ্ট নিয়ে তারা। আলাপ- আলোচনা করেছে কিনা। তাদের জবাব শুনে বিস্মিত হবেন এবং আফসোস করবেন।

            পথে- ঘাটে, হোটেল-রেস্তোরায়, দোকান-পাটে, রেলে-বাসে হাজার হাজার কথামালায় আলাপ- আলোচনায় কাছের-দূরের অতীত-বর্তমানের কত মানুষের কত কথাই শুনবেন, শুনবেন না মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহর নাম। এই মহামানবের কথা না কেউ বলতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন, না কেউ শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বাইরে নয় শুধু, ঘরেও নবীর কথা বলাবলি করেন কেউ? পূর্ব পুরুষের স্মৃতিচারণ করি, আত্মীয়-স্বজনের কথা বলি, বন্ধু-বান্ধবের প্রসঙ্গ নিয়ে কথাবার্তা বলি, কিন্তু মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ (সঃ), তাঁর প্রিয়তম সাহাবী, নবী পরিবার, তার জীবন যাপন নিয়ে আমাদের পরিবার কখনো মুখরিত হয়ে উঠেনা। পরিবারের সবাইকে নিয়ে গল্পগুজব করতে সকলেরই ভালো লাগে। ঐ ভালো লাগার মাঝখানে নবী-জীবনের সুখ-দুঃখ গভীর আবেগ নিয়ে কখনো প্রবশে করে না।

            স্বামী স্ত্রীকে বলেন না নবীর এই স্ত্রী এমন এমন করতেন তুমিও করো, স্ত্রী বলেন না নবীজি এমনভাবে ব্যবহার করতেন তুমি কেননা করোনা। অথবা স্বামী-স্ত্রী দাম্পত্য জীবনের ভালো-মন্দে হাজার মানুষের নজীর পেশ করবেন, কিন্তু নবী জীবনের অপরূপ চিত্রটি একে অন্যের কাছে তুলে ধরবেন না।

            এইভাবে আমাদের আপন গৃহকোণ থেকে বিশাল কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত, এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সর্বত্র, এখানে ওখানে, কোনোখানে আর নবী নেই, জন্ম জন্মান্তরের সাধনার ধন মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ (সঃ) এখন আর আমাদের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত নন। এখন আমরা নবীহারা। আমরা পুত্রহারা হয়ে কাঁদি, মাতৃহারা হয়ে পিতৃহারা হয়ে কাদি। কিন্তু নবীহারা হয়ে আমাদের কোনো দুঃখ নেই।

            যে জীবনে নবী নেই সেই নবীর নামে সীরাতুন্নবী পালন করতে পাগল হই। প্রশ্ন করা হয়েছিলো, নবী কেমন ছিলেন, জবাব এলো তোমরা কুরআন শরীফ পড়ো, নবীর কথা জানতে পারবে কুরআন শরীফে। তাহলে নবীর সীরাত তো খুঁজতে হবে কুরআন শরীফে। তাই ১২ই রবিউল আউয়ালে নবীকে খুঁজেনা কেউ আমরা ছাড়া। নবীর দেশেও না। সেখানে নবীর সুন্নত, তার অনুসারী অনুগামীদের দেখা পাবেন প্রতিদিন, প্রতিটি ঘরে এবং বাইরে। নবীর জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ানোর ফাঁক-ফোকর ওরা খুব কমই খুঁজে।

             কিছুদিন আগে মীনার তাঁবুতে আগুন লাগলো। ইহরাম পরিহিত বান্দারা পরের দিন আরাফাতে যাবেন, অথচ আগের দিন পুড়ে ছাই হয়ে গেলেন। কাছাকাছি যারা ছিলেন তারা তো বটেই, আমরা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছিলাম, তবু কেউ কেউ বলছেন পালাও, পালাও। যতই আগুনের দিকে যেতে চাই, ততই একদল টেনে হেচড়ে অন্যদিকে নিয়ে যায়। অর্থাৎ ইয়া নফসি, নিজের জান আগে বাচাও। এই শিক্ষা আমরা কোথায় পেলাম? দুনিয়াতে ইয়া নফসির শিক্ষা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ কখনো দেননি। নবীর শিক্ষাকে করছি উপেক্ষা। কেননা কুরআনুল কারীম পড়ে সীরাতুন্নবীর সন্ধান আমরা করি না।

            সীরাতুন্নবী এখন ১২ই রবিউল আউয়ালে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনো মকতব ছিলো, বাড়ী বাড়ী ইমাম, মুয়াজ্জিন, তালেবে ইলমদের রাখার রেওয়াজ ছিলো, বাড়ীতে আলেম বুজুর্গদের যাতায়াত ছিলো; এক কথায় দ্বীন ও দ্বীনদারীর কদর ছিলো, আর এই সব পরিবেশে আমরাও দ্বীনের সাথে দৈনন্দিন পরিচিত হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম। কী অপরাধে আজ আমরা আমাদের সন্তানদের সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত করলাম? ১২ই রবিউল আউয়ালে মিলাদ ছাড়া আমরা ওদেরকে নবী জীবনের আর কী দিতে পারলাম।

            তাগুতের পদাংক অনুসরণ করে আমরা এই দল সেই দল নিয়ে মেতে আছি; আমাদের বংশধররা আমাদের পদাংক অনুসরণ করে আরো অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে ইতিমধ্যে। যার তার নামে শ্লোগান দিয়ে মাতম করে পথ-ঘাট শহর গ্রাম অস্থির করে তুলছে। নবীর সীরাত ওরা জানেও না, শুনেও না। তাগুতের আহ্বানকারীরা নবীর উম্মতকে ভাগিয়ে নিয়ে গেলো; ওরাও হতভাগা দলছুটরা বুঝতে পারলো না, কেমন করে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে চলে গেলো। এ বছর ইন্দোনেশিয়ার দুই লক্ষ মুসলমান পবিত্র হজ্জব্রত পালন করেছেন। একেকটি ফ্লাইটে প্রায় পাঁচশত যাত্রীকে বহন করা হয়েছে। খুব কাছে থেকে লক্ষ্য করে দেখেছি, এদের খুব কম সংখ্যকই বৃদ্ধ কিংবা পৌঢ় আর বাদবাকি সবাই কেবল যৌবনে পদার্পন করেছে মাত্র। মালয়েশিয়ার মুসলমানরাও মধ্য বয়সে অথবা তার আগেই হজ্জব্রত পালন করেন। এছাড়া তাদের রয়েছে ওমরা পালন করার জন্য সারা বৎসরব্যাপী অসংখ্য ভ্রমণ স্কীম। প্রবল প্রতিযোগিতামূলক এই সব স্কীমের অধীনে খুব সস্তায় এবং পরম আতিথেয়তায় এজেন্টরা ওমরাহর আয়োজন করে থাকেন। যে যা চিনে সে-ই তা কিনে। দাম বেশী হলেও কিনে। নবীকে যে চিনে সেই নবীর দেশে যেতে চাইবে। যে চিনেনা সে অন্যত্র যাবে এতে আর বিচিত্র কী? জাতীয় জীবন থেকে ইসলামকে বনবাস দেয়া হয়েছে। এরপর হয়তো দেয়া হবে অজ্ঞাতবাস। জাতির দিক-নির্দেশকরা এখন নিজেরাই দিশাহারা, পথহারা। মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহর উম্মত হয়ে, ইসলামের মতো সম্পদ পেয়ে যে জাতি ভিক্ষুকের মতো পরাশ্রয়ী হয়, পরমুখাপেক্ষী হয়, তা শুধু ঐ পথ হারানোর কারণে।

            আমাদের বাবা-মা এবং তাদের বাবা-মায়েরা কি জানতেন, এত অল্প সময়ে মাত্র দুই এক পুরুষে দ্বীনের আকিদা, সুন্নতের পাবন্দী, কোরআনী জিন্দেগী থেকে তাদের বংশধররা মাহরুম হয়ে যাবে? তারা তো দিনরাত প্রার্থনা করতেন, তাদের বংশধররা যেন কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামের উপর কায়েম থাকে, দৃঢ়পদ থাকে। আজ আমরা যে সন্তান রেখে যাচ্ছি তার জন্য তো প্রাণপাত করছি। কিন্তু আমি চলে গেলে আমার কবরের পারে একবার দাড়াবার যোগ্যতাটুকুও কি তাকে আমি দিয়ে যেতে পারছি? একটি গল্প মনে পড়ে গেলো। গল্প সত্য নয় কিন্তু সত্য তার চেয়েও রূঢ়, কঠিন।

            কোনো এক গাঁয়ে অথবা শহরে এক উচ্চাকাংখী ব্যক্তি ছিলেন। সাত সমুদ্র তের-নদীর ওপারে সব সুখ রয়েছে মনে করে তার ঘুম হতোনা। মাতৃভূমির কোনো কিছুই তার ভালো লাগতোনা। একদিন সবাইকে, সবকিছুকে ছেড়ে চলে গেলেন সেই স্বপ্নের দেশে। দিন গেলো, বৎসর গেলো। ছেলে সন্তান একটি ছিলো, আরেকটি হলো, ওরা বড় হলো তিনি বৃদ্ধ হলেন। আশার তরী বহু ঘাট বাইতে বাইতে একদিন শেষঘাটে পৌঁছলো। পিছনে বহু দূরে পড়ে রইলো, ইসলামের সোনার দিনগুলি। সেই যে ফেলে গেলো এখন আর কোনোদিন তার দিকে চেয়ে দেখার অবসর হলোনা। সব কোলাহল সাংগ হলে একদিন দু'চোখ বন্ধ হয়ে গেল। সন্তানরা মায়ের সাথে পরামর্শ করে পিতার লাশ দেশেই পাঠিয়ে দিলো। মাকেও সাথে দিয়ে দিলো। আবার দিন যায়, মাস যায়। মা ছেলেদের জন্য আকুল হয়ে উঠেন। তাদেরকে দেশে ডেকে পাঠান। ওরা এলে মা তাদেরকে বাপের কবর জিয়ারত করতে পাঠান। দুই ভাই বাঁধানো কবরের পাশে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু তারপর? কী পড়তে হবে কী বলতে হবে, কার কাছে বলতে হবে, কেমন করে বলতে হবে, তাতো ওরা জানেনা। এক ভাই আরেক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। বড়টি ছোটটিকে বললোঃ বাবা তোকে খুব আদর করতেন, তুই কিছু বল। ছোটটি বললোঃ তোমাকে মানুষ করতে গিয়ে বাবা দেশত্যাগ পর্যন্ত করেছেন। আজ তোমারই কিছু বলা উচিৎ। অবশেষে দু'ভাইয়ে সন্ধি হলো ছোট ভাইয়ের পরামর্শে। সে বললোঃ ভাইয়া, বিদেশের কথা তুমিও জাননা, আমিও জানি। কিন্তু দেশে থাকতে তুমি তো কিছু পড়াশুনা করেছো, মায়ের মুখেই শুনেছি। অন্ততঃ সেসব কিছু তো পড়তে পারো। নিরুপায় বড় ভাই অনেক কষ্টে সেই শিশুকালে শিখানো সামান্য কয়টি লাইন মনে করতে পারলো। আর তাই সে গভীর আবেগে পড়তে লাগলোঃ

 

হাট্টিমা টিম টিম

তাদের খাড়া দুটো শিং

তারা মাঠে পাড়ে ডিম

তারা হাট্টিমা টিম টিম।

 

            মাত্র কয়দিন আগে মাওলানা ওমর পালনপুরী তার লক্ষ লক্ষ ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। এখনো কানে বাজে তার মধুর কন্ঠের কুরআনুল কারীমের আয়াতে কারীমাগুলি। শুধু দুনিয়ার সোয়াশো কোটি মুসলমানের জন্যই নয়, পৌনে তিনশো কোটি অমুসলমানের জন্য তিনি যখন অঝোর ধারায় কাঁদতেন, তখন ইচ্ছে হতো তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরি। নবীওয়ালা কাজের কথা বলে বলে জীবনটা শেষ করে দিলেন, সেই নবীর ঝঞ্চাবিক্ষুব্ধ কর্মময় জীবনকে আমরা এমনভাবে ভুলেছি যে, কেবল ১২ই রবিউর আউয়াল এলে তার স্মৃতি রোমন্থন করার আয়োজন করি। আল্লাহর মনোনীত দ্বীনের দিকে মানুষকে আহ্বানকারীও সেই দ্বীনকে সমস্ত বাতিলের মোকাবিলায় গালিব করার জন্য জীবনপন জিহাদকারী নবীর অসিয়তকে পূর্ণ করার জন্য দ্বীনের রাহবাররা আমাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন আর আমরা উদয়াস্ত ব্যস্ততার মধ্যে কোনোমতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে হাজিরা দিয়ে পুলাসিরাত পার হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিয়ামতের হিসাব-নিকাশ অত্যন্ত কঠিন ও ব্যাপক হবে বলেই প্রিয় নবীজি (সঃ) দীর্ঘ তেইশ বৎসর কঠোর জীবন যাপন করে আমাদের জন্য জীবন যাপনের একটি আদর্শ রেখে গেছেন, সে জীবন ব্যবস্থার উপর আজ আমরা পানি ঢেলে দিয়েছি। ১২ই রবিউল আউয়ালে আমরা কী পেয়েছিলাম আবার আরেক ১২ই রবিউল আউয়ালে আমরা কী হারিয়েছিলাম সেই সংবাদ জানার জন্য কিছু সময় কোনো মজলিসে হয়তো বসি। কিন্তু এই পরম পাওয়া এবং দুঃখময় হারানোর সাথে আমাদের বিধিলিপিও যে জড়িত, সে কথাটি বুঝিনা বলে এমন উদাসী ও নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করছি।

            মাইথোলজি ও ধর্ম এক জিনিস নয়। কল্পনার সাথে বাস্তব ন্যূনতম সম্পর্কও রাখেনা, অথচ এইসব কল্পরাজ্যের রাজা উজিররা উম্মতে মোহাম্মদীর মোকবিলা করতে চায়। ওরা ইসলামের মোকবিলা করতে চায়না; ইসলাম তো তাদের প্রতি চৌদ্দশত বৎসরের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ স্বয়ং আল্লাহ তাআলার। তারা চ্যালেঞ্জ করছে মুসলমানকে। আর এই চ্যালেঞ্জকে মোকবিলা করার জন্য কুরআনের চ্যালেঞ্জকে নিয়ে হাজির হবার জ্ঞান-বুদ্ধিটুকুও মুসলমান আজ খুইয়ে বসেছে।

            তাই তো আজ আর রাজ পথে তোরণ নয়। চরমোনাইর পথ ধরে যিনি আজ রাজধানীর রাজপথে চলে এসেছেন, দিল্লীর রাজপথ ধরে যিনি তার কাফেলাকে আমাদের অলিতে-গলিতে পৌঁছে দিয়েছেন, তাদের সবাইকে নিয়ে এক মিছিলে শামিল হয়ে যেতে হবে। এই মিছিল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের জীবন পরিক্রমায় সব পথিককে সাথে নিবে। মহানবীর ওয়ারিশগণ আমাদেরই অগ্রপথিক। সামনে ওরা কাতার বন্দী, পিছনে আমরা; এই পথ চলা প্রতিদিনের, নিরবধি, ক্লান্তিহীন মুমিনের।