বিশ্বব্যাপি মুজাহিদদের তৎপরতা
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সার্বদের পক্ষে
ওকালতি করছে,
সিলাদজিক
বসনিয়ার প্রধানমন্ত্রী হারিস সিলাদজিক সার্বদের পক্ষে ওকালতি ও সারাজেভোর দুর্দশা উপেক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনা করেছেন। -রয়টার।
সার্বরা সারাজেভোর চারপাশে জাতিসংঘ নিরাপত্তা অঞ্চলে বসনীয় সরকারী-বাহিনীর ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত খেছে। তবে উল্লেখযোগ্য তু-খন্ড দখলে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ শাস্তি রক্ষা বাহিনী এ খবর জানিয়েছে। সিলাদজিক বলেন, বড় বড় শক্তিগুলো বসনিয়ার রাজধানীতে মানবিক সংকটের প্রতি নজর দিচ্ছে! কিন্তু বসনীয় সার্ব বাহিনীর ৩০ মাসের অবরোধ সম্পর্কে কিছুই করতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, বসনিয়ার সর্বশেষ শান্তি প্রক্রিয়া এখন সাবীয় প্রেসিডেন্ট স্লোবদান মিতেরাসোভিচের তের খেলার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
গত শনিবার তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, তারা এই সংকটকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখছেন এবং সে মতোই সরাজেভোকে সাহায্য করছে।
ইসরাইলে বাসে হামাসের আত্মঘাতী বোমা হামলাঃ
২২ জন নিহতঃ আহত ৪৮
ইসরাইলে গতকাল একটি বাসে আত্নঘাতি বোমা হামলায় ২২ জন নিহত এবং ৪৮ জন্ আহত হয়েছে। ইসরহিলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী বোমা হামলার ঘটনা। একজন হামাস সদস্য এ আত্মঘাতী হামলা চালায়।
এফপি, এপি ও রয়টারের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৯ টার দিকে রাজধানী তেলআবিবের প্রাণকেন্দ্র প্রধান চত্ত্বরে লোকজন পরিপূর্ণ বিপণী এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাসটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এ সময় ঐ স্থান অতিত্রমকারী আরেকটি বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিথন্ত হয়।
অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে বাসটি সম্পূর্ণ ভশ্বীভূত হয়ে পোড়া-গলা ধাতুর কংকালে পরিণত হয়। বোমার প্রচন্ড ধাক্কায় একটি ধাতু টুকরা বিদ্যুৎ লাইনের উপর গিয়ে, পড়ে। আশপাশের ভবনের ছাদেও-অনেক টুকরা ছিটকে পড়ে।
জনাকীর্ণ ব্যস্ত এলাকায় সংঘটিত এ প্রচন্ড বিস্ফোণের পর রাস্তায় চূর্ণ চূর্ণ কাচ ও বাসের অংশ, বিচ্ছিন্ন হাত-পা ও দেহের ছিন্নভিন্ন অংশ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মোশে রেইনার নামক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আর বোধ হয় জীরনে এমন দৃশ্য দেখেনি। আমি দেখলাম, মানুষ আকাশে উড়ছে, উড়ছে হাত-পা। সে এক ভয়ংকর দৃশ্য।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ৩টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল। বাসটি আমি শূন্যে উঠে যেতে দেখলাম। তার পরই বহু মানুষের আর্তনাদ, চিৎকার। লোকজন দৌড়াচ্ছিল এবং কাঁদছিল। বহু লাশ পড়ে ছিল রাস্তায়।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি মনে করলাম আরার ইরাকী স্কাড হামলা হয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে-এবং আরো বোমার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। এ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস-এর একজন আত্মঘাতী বোমাবাজ. এ হামলা চালায়। ইসরাইলী সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ জেনারেল এহুদ বারাক বলেন, বোমাবাজ সন্ত্রাসী নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে।
ফিলিপিন্সের মরো গেরিলা মুজাহিদদের হাতে ২৬ খ্রিষ্ট্রান জিম্মি
ফিলিপিন্সের মরো মুসলিম গেরিলারা ২৬ জন বেসামরিক শ্রীষ্টানকে জিম্মি করেছে। উত্তরাঞ্চলীয় কোটাবাটো প্রদেশের গভর্নর. রোজারিও ভিয়াজ বলেন, জিম্মিদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। গত সোমবার ম্যানিলা থেকে ৫৫৫ মাইল দক্ষিণে কারাকান শহর থেকে এদের অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের (এমআইএলএফ) সদস্য বলে জানা গেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে ৪০ মরো গেরিলা একটি গ্রামে হামলা চালিয়েছে। একটি গির্জা ও ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মরো গেরিলাদের ভয়ে খ্রিষ্টান বসতি স্থাপনকারীরা আগেই এ গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। কোটাবাটো থেকে এএফপি।
ফিলিপিনো সেনাবাহীনি জানায় কারমেন শহরের সাড়ে ছ 'কোটি ডলারের একটি সেচ প্রকল্প দখল করার পর সেখান থেকে হটিয়ে দেয়ার জন্য 'মরো গেরিলাদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে একটি অভিযান চালানো হয। এরপরই, মরো গেরিলারা ভিন্নস্থানে হঠাৎ আক্রমণ শুরু করে। রোজারিও'ডিয়াজ জানান, সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর সংঘর্ষে ২ সৈন্য, ১৬ বেসামরিক লোক -এবং ২০ গেরিলা নিহত হয়েছে। এ সময়ে ২ হাজারেরও বেশি মুসলমান ও খ্রিস্টান তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। সেচ প্রকল্পের আশপাশে টি শহরে এই ঘটনা ঘটে।