ভুল সবই ভুল
• অসুস্থতা বা অন্য কোনো ওজরের কারণে কারো নামায বসে পড়তে হলে তাকে নামাযের সারির যে কোনো একদিকের সারির একেবারে শেষ মাথায় বসতে হবে বলে অনেকের ধারণা। জামাতের সারির মাধ্যখানে বসে নামায পড়া এমন ব্যক্তির জন্য নাজায়েয মনে করা হয়। এ ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন। সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তির ন্যায় এমন ব্যক্তির জন্যও সারির মধ্যখানে যে কোনো স্থানে নামায পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।
• সাধারণ্যের প্রচলিত আছে যে, মুক্তাদী যদি পাগড়ী বেধে নামায পড়ে আর ইমাম টুপি পড়ে, তাহলে নামায মাকরুহ হয়ে যায়। এ ধারণাটা নিতান্তই ভিত্তিহীন।
• অনেক অহংকারী মুসল্লীর ধারণা ইমামের ঘরে পর্দার ত্রুটি আছে, তার পিছনে নামায পড়া দুরস্ত নয়। অথচ, এদের নিজেদের ঘরেও শরয়ী পর্দার বালাই নেই। এদিক থেকে ইমাম মুসল্লী উভয়ই সমান। অতএব বে-পর্দা মুসল্লীর বে-পর্দা ইমামের পিছনে নামায পড়তে কোনো দোষ নেই।
• অনেকে তাড়াহুড়া বশতঃ ইমামের আগেভাগে তাকবীরে তাহরীমা বলে নামাযের নিয়ত করে ফেলে। এরূপ যারা করে, তাদের নামাযই শুদ্ধ হয় না।
• অনেকে নামাযের শেষ বৈঠকে জামাতে শরীক হতে চায়। কিন্তু তার তাকবীরে তাহরীমা বলা শেষ হওয়ার আগেই ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলে। এ ইক্তেদা শুদ্ধ হয় না। ফলে ঐ নামাযও হয় না। কারো এমনটি হলে তার পুনরায় নামায শুরু করতে হবে।
• অনেকের ধারণা, নামাযের জামাতে দাঁড়িয়ে যাওয়ার আগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া অনর্থক কাজ। এটা মারাত্মক ভুল ধারণা।
• এক ব্যক্তি জামাতের সময় বিসমিল্লাহ্ বলে নামাযের ইকামত দেয়। পরে আমি তাকে বললাম, ভাই! আপনি ইকামতের আগে বিসমিল্লাহ্ বললেন কেন? উত্তরে সে বলল, হযরত! বিসমিল্লাহ্ বলা তো ভালো কাজ! আমি বললাম, ঠিক-ই বিসমিল্লাহ্ বলা ভালো কাজ। কিন্তু এটাও ত ঠিক সব কিছুরই আলাদা ক্ষেত্র আছে। যার ক্ষেত্র যা, তাকে সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করলেই তা ভালো বলে গণ্য হবে। অন্যথায় নয়।
হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশ্রাফ আলী থানুবী (রহঃ)