অপরাধী বাগদাদীর কল্পিত তথাকথিত “খিলাফাহ” প্রত্যাখ্যান করে দশজন প্রখ্যাত আলিম ও দাঈ-র বিবৃতি
download
https://archive.org/download/10JonAlim/10%20jon%20alim.pdf
Word
http://www.mediafire.com/file/33pzplr3q5xojty/59.10_jon_alim.docx/file
https://mega.nz/#!4GhhmA5S!cu2LyUEXmi1Uh4Fp4KOIJiPbd1EtOZYXpxgoHVYSK68
PDF
http://www.mediafire.com/file/ogtip5794sl3jrc/59.10_jon_alim.pdf/file
https://mega.nz/#!5HoHnIwJ!Zm_2Q2491-LS_WiBCREa3QBhdy2n7WHceYLSgTMD8JU
====================
অপরাধী বাগদাদীর কল্পিত তথাকথিত ‘খিলাফাহ’ প্রত্যাখ্যান করে ১০ জন প্রখ্যাত আলেম এবং দায়ী’র বিবৃতি
======================================
১- ডক্টর শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আল মুহাইসিনী
শায়খ ডক্টর আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ মুহাইসিনি বলেন,
এখানে আমাদের সামনে খিলাফাহ ঘোষণা করা হয়েছে অথচ কোনো একক ভূখন্ডে তামকীন(পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ) ও পরামর্শ ব্যতীত, এটা নবুওতের আদলে হয় নি বরং এটা হয়েছে স্বৈরাচারীর আদলে, এর জন্যে শামে কী পরিমান রক্ত প্রবাহিত হয়েছে তা আমি স্বচক্ষে অবলোকন করেছি, অথচ বাগদাদীর শামের অধিকাংশ এলাকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই, যেমন- আলেপ্পা, সমুদ্র উপকুল, হিমস, দামেস্ক, গুতা এবং অন্যান্য অঞ্চলে।
তাহলে এটা কীভাবে সমগ্র উম্মতের জন্যে ঘোষণা করা হলো ?
আল্লাহ্র কসম! নিশ্চয় এটা সুষ্পষ্ট ভ্রান্তি এবং অন্ধকার ফেতনা।
ভ্রান্তিটা ঘৃণিতভাবে আরো বিস্তৃত হয় যখন এর ভিত্তিই ভ্রান্ত হয়, রক্তপ্রবাহ ও সম্মান ভূলন্ঠিত হওয়া এবং বাগদাদির খিলাফাহ ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা যারা তার স্বৈরাচারিতা স্বীকার করবে না। অচিরেই এই ঘোষণার ফলে তাওহীদবাদীদের রক্তের ঝর্ণা বয়ে যাবে। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্যে যারা তার কাছে বাইআহ দিয়েছে এবং তাকে অশুভ রক্তপ্রবাহে সাহায্য করছে , তারা সেদিন কী জবাব দিবে যেদিন তারা মহান আল্লাহ্র সামনে দাঁড়াবে…
ধ্বংস তাদের জন্যে যারা গ্লোবাল জিহাদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করেছে, মনে হচ্ছে এই ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে ইয়েমেন, মরক্কো ও সোমালিয়ায়। তাকদীর আল্লাহ্র হাতে, আহ! এখন কতই না আনন্দিত হচ্ছে আমেরিকা এবং তার অনুসারীরা…!!!
এই বিষয়ে জড়িয়ে পড়ার অর্থই হচ্ছে মুসলমানদের রক্তকে বিনা দোষে প্রবাহিত করা,
আল্লাহ্র কসম! আমরা এবং মুজাহিদরা বের হইনি (মুসলমানদের) রক্ত প্রবাহ করা এবং সম্ভ্রমহানি করার জন্যে, বরং আমরা বের হয়েছি অত্যাচার, কুফর এবং ফিতনা দূর করার জন্যে, সুতরাং এদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো…
(বাগদাদির দল কর্তৃক খিলাফাহ ঘোষণায় অবস্থান-লিখেছেনঃ শায়খ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনি)
২- শায়খ হাজ্জাজ বিন ফাহদ আল আজমি
শায়খ হাজ্জাজ বিন ফাহদ আল আজমি বলেন,
বাগদাদি এবং তার ধারণাকৃত রাষ্ট্রের নীতি হচ্ছে-
১- বিনা কারণে অন্য মুসলমানকে তাকফীর করা।
২- বিনা অপরাধে মানবহত্যা করা।
আসাদ এবং মালিকি যা চায় তারা তা-ই করছে খিলাফাহের নামে…
ইসলামে খলীফার দায়িত্ব হচ্ছে ইসলামের একটি ডিমেরও হেফাজত করা, অপরাধী বাগদাদির কী হলো যে, সে মুসলমানদের রক্তপাত করছে ? …
আল্লাহ এদেরকে হত্যা করুন… আল্লাহ্ এদেরকে হত্যা করুন…।
৩-শায়খ ডক্টর সামী আল উরাইদি
শায়খ ডক্টর সামী আল উরাইদি বলেন,
“আমরা তাদেরকে বলি যে আমরা নবুওতের আদলে খিলাফতে রাশেদা চাই,
তারা নিজেদের কার্য ও অবস্থা দিয়ে সুর মিলিয়ে বলে,’আমরা তা চাই জবরদস্তি ও জোরপূর্ব্ক আমরা চাই হাজ্জাজের আদলে ।
আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, তিনিই উত্তম রক্ষক।
খলীফা ইব্রাহীমের অনেক অনুসারীরা নিজেদের খিলাফাহ নিয়ে তুষ্ট নয়…
তারা সর্বদা অজানা জ্ঞানে শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণ করে হে খলীফাহের অনুসারীরা্…
الإمام جنة অর্থাৎ ইমাম হচ্ছেন ঢাল স্বরূপ”। (বুখারী)
৪- শায়খ আবু সুলাইমান আল মুহাজির
শায়খ আবু সুলাইমান আল মুহাজির বলেনঃ
মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, এই ঘোষণার পর তাদের নীতি কী হবে ?
এই (খিলাফাহ) নামকরণের পর নীতি কী হবে ?
যে সব মুসলমানদের উপর বাইআহ ওয়াজিব করা হয়েছে তারা কীভাবে এই খিলাফতে পৌছবে ?
খলীফার কি এই দায়িত্ব নয় যে, মুসলমানদের একটি ডিমেরও হেফাজত করা হবে ?
খলীফার কি এই দায়িত্ব নয় যে, যেসব মুমিন এই দুর্বল খিলাফাহের দিকে হিজরত করবে তাদের আবাসস্থলের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করা ?
যেভাবে আল্লাহ্ তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন- إن الذين توفاهم الملائكة নিশ্চয় যাদেরকে ফেরেশতারা উঠিয়ে নিয়েছে… (আল কোরআন)
না তারা এই নাম গ্রহণের পর তারা সবার বিরুদ্ধে তলোয়ার খাপমুক্ত করবে যারা তাদের দাবি মানবে না ?!!
এই ঘোষণা কি এমন একটি দলের মজলিশে শূরার দ্বারা গৃহীত হয় নি যেটি উম্মতের নিকট অপরিচিত…অজ্ঞাত ?!!
এর দ্বারা কি সমাপ্ত হয়ে যাবে সমস্ত আন্দোলন, দলসমুহ, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমুহ এবং যারা আল্লাহ্র শরীয়াহ ও ‘নবুওতের আদলে খিলাফতে রাশেদা’ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে ?!!
এসব কি হচ্ছে না তাদের পরামর্শ গ্রহণ এবং তাদের মতামত নেওয়া ব্যতীত?
এটা কি কারো অধিকারের মধ্যে পড়ে যে, সে পরামর্শের ক্ষেত্রে সমস্ত উম্মতের অধিকার হরন করবে ও উলামা-উমারার অধিকার মিটিয়ে দিবে ?
নিশ্চয় এটা একটি চরম ধৃষ্টতা … উলামাদের উপর ধৃষ্টতা…উমারাদের উপর ধৃষ্টতা…মুজাহিদদের গ্রুপসমূহের উপর ধৃষ্টতা…সমগ্র উম্মাহের উপর ধৃষ্টতা…
হে আল্লাহ্ আমাদের জন্যে আমাদের শ্রেষ্ঠদেরকে কর্তৃত্ব দান করো,ভুপৃষ্টে ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের অকল্যাণ কর!
হে মহান শক্তিধর পরাক্রমশালী! এদেরকে অন্যদের জন্যে দৃষ্টান্ত বানিয়ে দাও…
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে যারা তাদের এই ঘোষণার অন্তরায় হবে
সে অবশ্যই ইসলামী আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবে,
বরং সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের যোদ্ধা হবে।
৫- শায়খ হানী আস সিবায়ী
শায়খ হানী আস সিবায়ী বলেন,
এখন রমাজানের ইফতারীর প্রস্তুতি নিচ্ছি এমনই সময় আদনানির খিলাফাহের ঘোষণা শুনলাম !!!
হয়তো বাইয়াহ দাও নতুবা নক্ষত্রের দেশে পালাও! আমি বললাম, আমার কাছে সাত তারায় পালানোর টিকিট নাই।
(আদনানির খিলাফাহ ঘোষণায় টীকা- শায়খ হানী আস সিবায়ী)
৬- শায়খ আবু মুহাম্মদ আল মাকদিসি
শায়খ আবু মুহাম্মদ আল মাকদিসি বলেন,
তাদের নামকরণ ও ঘোষণায় আমার কোনো ক্ষতি হবে না এবং কক্ষনো আমার সময় ব্যয় করবো না ওই ব্যক্তি যা লিখেছেন এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কথা বলে;আমরা প্রত্যেকেই কামনা করি খিলাফাহ প্রত্যাবর্তনের জন্যে, সীমান্ত চুর্ণ হওয়ার জন্যে, তাওহীদের ঝান্ডা বুলন্দের জন্যে, শিরকের
পতাকা অবদমিতের জন্যে এবং এটা মুনাফিক ছাড়া কারো কাছে অপছন্দনীয়
হবে না; আসল কথা হচ্ছে, নামের সাথে কাজের মিল, বাস্তবে তা প্রয়োগ, কার্যত তা ভূমিতে বাস্তবায়ন; যে ব্যক্তি সময়ের পূর্বে কোনো কিছু
পাওয়ার জন্যে তাড়াহুড়ো করে তা হারিয়ে সে এর পরিণাম ভোগ করে; কিন্তু
যে বিষয়কে আমি অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি যে এই ঘোষণাকে জাতি কীভাবে দেখবে এবং এই নামকরণকে যা ক্রমান্বয়ে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক অত:পর ইরাক ও শাম অত:পর জনসাধারণের খিলাফাহ; এটা কি হতে পারবে প্রত্যেক দুর্বলের আশ্রয়স্থল এবং প্রত্যেক মুসলিমের নিরাপদস্থল; না এটা এই (খিলাফাহ) নামকরণ হবে তাদের বিরোধীদের জন্যে উন্মুক্ত তরবারী; এবং এর দ্বারা ওইসব ইমারাহ লুপ্ত করা যেগুলো তাদের রাষ্ট্র ঘোষণার পুর্বে হয়েছে, এর দ্বারা ওইসব গ্রুপ বাতিল বলে গণ্য হবে যারা তাদের পুর্ব থেকে বিভিন্ন ময়দানে জিহাদ করছে ?!!
৭- শায়খ আবু বাসীর আত ত্বারতুসী।
শায়খ আবু বাসীর আত ত্বারতুসী বলেন,
প্রত্যেক নতুন ঘোষণার দ্বারা হারাম রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে!
যখন দাওলাহ গ্রুপ নিজেদেরকে শুধু একটি দল বা সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিত… তখন তারা এই হিসেবে রক্ত প্রবাহ করত যে তারা হচ্ছে একটি মৌলিক ও বড় দল, এবং প্রথমে… অতঃপর তারা যা দেওয়া হয় নি ও যা নেই তা নিয়ে পরিতৃপ্ত হল… তখন তারা ধারণ করলো যে তারা ‘ইরাকের রাষ্ট্র’… সুতরাং হারাম রক্তপাত শুরু হলো…অতঃপর তারা ধারণা করল, তারা ‘ইরাক ও শামের রাষ্ট্র’… তখন কয়েকগুণ রক্তপাত বৃদ্ধি পেলো… ধারণা করা হয় যে সেটি রাষ্ট্র… বাহিরেও রাষ্ট্র… তাদের প্রতি কখনো আনুগত্য এবং বাধ্যতার হস্তপ্রসারিত হয় নি… তাহলে কি এগুলো হালাল রক্ত…!
আর আজও তাদের তৃষ্ণা মিটেনি,… না হারাম রক্তের পিপাসা মিটেছে… ওইসব ধারণাপ্রসূত নামকরণ ও উপাধি ধারণ… সুতরাং তারা ধারণা করেছে যে সেটি হচ্ছে খিলাফাহ… এবং তাদের আমীর হচ্ছেন খলীফা… তার জন্যে রয়েছে খলীফার পূর্ণ অধিকার… যারা তাদের বিরোধিতা করবে এবং তাদের আনুগত্যে আসবে না তাদেরকে হত্যা করা হবে..!!!
আহ! শত্রুদের জন্যে কতই না আনন্দ… এইসব মূর্খদের নিয়ে… কমবয়েসী… যুগের খারেজি… যারা তলোয়ার মুসলমানদের কাধে রাখে… তাদের ধারণাপ্রসুত ওইসব নামকরণ ও উপাধি ধারণের বিজয় আনতে… যারা তাদের পুর্বে এদিকে অগ্রসর হয়েছে সেসব রুগ্নদের জন্যে… উগ্র প্রবৃত্তির অনুসারী যারা সবার নিকট পরিচিত!
এইসব উগ্র খারেজিদের নতুন ঘোষণার সাথে সাথে মুসলমানদের দুশ্চিন্তা ও ব্যাকুলতা বেড়ে যায়… হত্যা ও টুকরো টুকরো করা… বিচ্ছিন্নতা বৃদ্ধি… কাটার বিস্তৃতি… রক্তপাত… সাথে সাথে এই উগ্র খারেজিদেরও শত্রুতা বেড়ে যায় (প্রতিটি নতুন ঘোষণার সাথে সাথে) আর তাদের পক্ষ থেকে চিৎকার… চেচামেচি… ও হুংকারও বেড়ে যায়…
এবং শত্রুরাও জানে এই বাস্তবতা… তাই তারা যথাসাধ্য তাদেরকে ছেড়ে দেয় … তাদের থেকে চোখ বুজে নেয়… কখনো কখনো তাদেরকে শক্তির রজ্জু দেয়…!
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের যথার্থ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেনঃ يقتلون أهل الإسلام، ويتركون أهل الأوثانতাঁরা (খারেজীরা) মুসলমানদেরকে হত্যা করবে, এবং মুর্তিপুজারীদেরকে ছেড়ে দিবে!”
৮- শায়খ সালিম আবু সুবাইতান
শায়খ সালিম আবু সুবাইতান বলেন,
প্রথম পয়েন্ট হচ্ছে যার কাছে বাইআত নেওয়া হচ্ছে তিনি অপরিচিত অজ্ঞাত…।
৯-শায়খ ডক্টর ত্বারিক আব্দুল হালীম
শায়খ ডক্টর ত্বারিক আব্দুল হালীম বলেন,
আমি কয়েকদিন পূর্বে উম্মতের উলামা ও দায়ীদের প্রতি ত্বরিত আহবান জানিয়েছিলাম, হারুরিয়্যাদের [খারিজিদের একটি ভয়ংকর উপদলের নাম] সংগঠনের দ্বারা নতুন বিপদ প্রকাশ পাবার পূর্বে, বাগদাদির খেলাফত!
আল্লাহ্র কসম! সে হচ্ছে ঐ প্রবাদের বাস্তব নমুনা যে, “সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিপদ হচ্ছে যা নিয়ে হাসা হয়”, উম্মতে মুসলিমার এই সঙ্কটময় মুহূর্তে, যখন সমগ্র কুফরী শক্তি কোনো রাখ-ঢাক ছাড়াই এদের বিরুদ্ধে একে অপরকে ডাকছে, এই কুফরিশক্তি হচ্ছে রাফেজি, নুসাইরিয়া, ইয়াহুদী এবং ক্রুসেডাররা । অতঃপর নতুন বিপদ হচ্ছে হারুরিয়্যাহ বাগদাদি, আর নিহত হচ্ছে মুসলিম উম্মাহ এবং তাদের সব কিছুকে মুবাহ করা হয়েছে, তাদের মালকে হালাল করা হয়েছে, এ ব্যাপারে প্রত্যেক কাফিরই সমান।
আর রাফেজি, নুসাইরিয়া, জায়নবাদি এবং ক্রুসেডারদের বিষয় তো সবার কাছে পরিচিত, তাদের ঐক্যবদ্ধের কারণ অস্পষ্ট নয়। যেহেতু তারা প্রত্যেকেই দ্বীন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের শত্রু। কিন্তু হারুরিয়্যাহ বাগদাদি নব উদভাবিত বিভীষিকা,যার কাজ হচ্ছে উম্মতের শরীর খাবলে খাওয়া। রাজনীতির বিচ্ছিন্ন ঘোড়া চালিয়ে এর মুজাহিদদেরকে হত্যা করা, যারা বাহ্যত ইসলামের প্রকাশ করে অতঃপর মুসলমানদেরকে হত্যা করে এবং মুর্তি পুজারিদেরকে ছেড়ে দেয়।
১০- শায়খ ডক্টর হামিদ বিন হামদ আলী
শায়খ হামিদ বিন হামদ আলী বলেন,
খিলাফাহ নামকরণ ঘোষণা সম্পর্কে জবাব হচ্ছে, ঐ জবাব যা পুর্বে গত হয়েছে যে তাদের রাষ্ট্র ঘোষণা তা ইরাকে হউক বা অতঃপর ইরাক ও শামে হউক এইসব ঘোষণা বাতিল।
২- আগে গত হয়েছে যেমনি বর্ণনা করেছেন তানযীমে কায়েদায় জিহাদের সেনাপতি যেমন শায়খ জাওয়াহিরি এবং অন্য আলেমরা যেমন শায়খ উলওয়ান (আল্লাহ্ তাকে মুক্ত করুন) এবং তারা এটাকে বাতিল বলে আখ্যায়িত করেছেন।
৩- সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জুলুম ও ভয়াবহ ফাসাদ হচ্ছে এই দাবি করা যে যেসব সংগঠন ও দল এই রাষ্ট্রের কাছে নত হবে না তা বাতিল। তাদের ভ্রান্ত ধারণা অনুযায়ী তাদের সাথে যুদ্ধ ও তাদেরকে হত্যা করা হালাল।
তারা এই হাদীস দ্বারা দলীল দেয় যে “যা তোমাদের কাছে আসবে এবং তোমাদের সবাইকে নির্দেশ দিবে…”
এই হাদীস সহীহ, কিন্তু তাদের পক্ষে নয় বরং তাদের বিপক্ষে, কেননা মুসলমানদের নির্দেশনাবলী তাদের ধারণা মত একতাবদ্ধ নয়।
৪- মুসলমানরা হচ্ছে তাদের ধারণা অনুযায়ী তাদের মজলিশে শুরা, তারা ব্যতীত অবশিষ্ট কোটি কোটি মুসলমানদের কোনো মূল্য নেই। এই দিকেই তাদের অফিসিয়াল মুখপাত্রের কথা ইঙ্গিত বহন করে যখন তিনি বলেছেন, ‘আমরা কাদের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করবো…’ !! যেনো তাদের নির্দেশই উম্মতের নির্দেশনা।
৫- তারা হচ্ছে অত্যাচারী যেখানে তারা নিজেদের বিরোধীদের গণ্য করা হয় যে হয় তো এরা মুরতাদ নতুবা তাদের বিপরীত যোদ্ধা, না কোনো আলেম, না কোনো মুজাহিদ, না কোনো উপদেশদাতার কথা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য, তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য কথা হচ্ছে তাদের জাহেল আহলে হাল ও আকদের!