পাঠকের কলাম
এ ধৃষ্টতার কোন ক্ষমা নেই .
পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট অনেক মানুষ আছে, যারা অপকর্মের মাধ্যমে হলেও নিজেদের নাম ছড়াতে উন্মাদ। কুখ্যাত মুরতাদ সালমান রুশদীর মৃত্যু পরোয়ানা যখন এখনো তাকে বিশ্ব কুফরী চক্রের অন্ধকার খোঁয়াড়ে খোঁয়াড়ে তাড়া, করে চলেছে, তখন তারই জম্মভূমি হিন্দুস্তানের মাটি থেকে আরেক লেখকের সখ চেপেছে মুরতাদ হওয়ার। সালমান রুশদী হওয়ার খায়েশ পোষণকারী এ কলমবাজের নাম আবুল বাশার। হিন্দুদের দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রকাশিত শারদীয় ১৪০৩ ‘দেশ’ পত্রিকায় আবুল বাশারের কালো হাত দিয়ে রচিত হয়েছে আরেক স্যাটানিক ভার্সেস। এর নাম দেয়া হয়েছে রাজাবলি। ধর্মের দোহাই দিয়ে প্রকাশিত ধর্ম বিকৃতির পত্রিকার বিরাট অংশ জুড়ে আছে আবুল বাশার নাম ধারণকারী মানুষ্য শয়তানের রাজাবলি নামক জঘন্য উপন্যাসটি৷ লেখক ইসলাম তথা সকল ঐশী ধর্মের ঘটনাবলি সাংঘাতিক বিকৃতি ঘটানোর সাথে সাথে হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সকল নবী রাসূল ও তাদের পবিত্র পরিবারবর্গের,নামযশ ও কীর্তির ভীষণ বিকৃতি ঘটানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আসমানী ধর্মসমূহ বিশেষ করে দ্বীন ইসলামের সকল মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও পবিত্রতার প্রতি দারুন আক্রোশ ভরা আগ্রাসন চালানো হয়েছে রাজাবলিতে। ভীষণ হযবরল স্টাইলের উপন্যাসটির কয়েকটি পাতা উল্টালেই ধরা পড়বে নয়া মুরতাদের মাতলামির মাত্রা। শারদীয় ১৪০৩ দেশ পত্রিকার ২১২-২১৩ পৃষ্ঠা, থেকে শুরু করে ২৯২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ডবল কলামে প্রকাশিত এ অবমাননাকর উপন্যাস দেশ ও আনন্দ বাজার গ্রুপের নির্দিষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নেরই কিঞ্চিৎ নমুনা। ইসলাম ধর্ম আর নবী রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গণের পুত পবিত্র চরিত্রের প্রতি নির্লজ্জ অপবাদ। এই মুরতাদ লেখক যেন ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মারছে যে, দেখি তোমরা আমার কি করতে পার। কোটি কোটি মুসলমানের প্রশ্নবানে হিন্দুস্থান সরকারও আনন্দবাজার গোষ্ঠী কি জবাব দেবে জানি না। তবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বীর বিক্রম মুসলিম উম্মাহ ও দ্বীনদার বিশ্ববাসী অতীতে সালমান রুশদী ও তার প্রভূদের প্রতি যে দৃঢ় জবাব দিয়েছে এর কোন ব্যতিক্রম এক্ষেত্রেও হবে না বলে আমার ধারণা। কুখ্যাত রাজাবলি উপন্যাস যে কত জঘন্য মানসিতার ফসল তা বুঝতে হলে কয়েকটি উদ্ধৃতিই যথেষ্ট।
১। বৎসেবা ছিলেন দাউদ (আঃ) এর পরকিয়া প্রেমের নারী।
২। বৎসেবা কে হযরত -দাউদ (আঃ) পুকুরের জল থেকে তুলে এনে ধর্ষণ করেন। নাউজুবিল্লাহ।
৩। অতএব মরুভূমির প্রথম খুনি হযরত মুছা (আঃ) (নোউজুবিল্লাহ)
- নবী রসূলগণের বিরুদ্ধে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী_এ পত্রিকাটি কি করে বংলাদেশে ঢোকার অনুমতি পেল তা আমাদের জিজ্ঞাসার ব্যাপার৷ এই কুখ্যাত মুরতাদ লেখক আর তাদের সাহায্যকারী মুসলমান নামধারী মুনাফিকদের জানা থাকা উচিত যে, তাদের সঠিক জবাব দেয়ার জন্যে আজও বিশ্বের ঘরে ঘরে আনাচে কানাচে জন্ম নিয়েছে লাখো লাখো মর্দে মুজাহিদ আল্লাহর তেজোদীপ্ত বান্দারা। নিজের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতেও ইসলামের অবমাননা তারা সহ্য করবে না।
-মুহাম্মদ ওসমান গনী
শহীদ কারা?
আজকাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলেই দেখতে পাই বিভিন্ন রং বেরংয়ের পোস্টার৷ তাতে রক্তাক্ত যুবকের লাশের ছবি। বড় বড় করে লেখা থাকে শহীদ.......খুনীদের ফীসি চাই! অনেক পোস্টার কিংবা দেওয়ালে লেখা থাকে শিক্ষা শান্তি ঐক্য...ইত্যাদি। আর একটু ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের মিছিল সমাবেশ। তারা গলা ফাটিয়ে বলছে সোনার সন্তান; বাংলার গৌরব; এদেশের রতন.......কের মিথ্যা মামলা তুলে লও; নিঃশর্ত মুক্তি দাও ইত্যাদি।
শহীদ কাকে বলে? কিসের জন্য প্রাণ হারালে শহীদ হয়? আমরা জানি শহীদ হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার; বড় কঠিন জিনিস। মাতৃভূমি, স্বাধীনতা, সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যে যারা জীবন উৎসর্গ করেন, যেমন আফগানিস্তান, ফিলিস্তীন, কাশ্মীর অঞ্চলে সত্য ন্যায় শাস্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে যারা প্রাণ দিয়েছেন তারাইকি শহীদ না অপরাধকরে যারা খেসারত হিসাবে প্রাণ হারায় তারা শহীদ? আজকের দিনে পারিবারিক, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার ও প্রেমের সূত্র ধরেই, অধিকাংশ হত্যাকান্ড ঘটে (কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। মৃত ব্যক্তি হয়ে যায় শহীদ। তার নাম ছবি পোস্টারে ছাপানো হয়। আর যে ব্যক্তি হত্যা করল তাকে পুলিশে কদাচিৎ গ্রেফতার করলেও সেই গ্রুপের মিছিল চলে, শুরু করে ধর্মঘট, ভাংচুর।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষা শান্তি ঐক্যের নামে পোস্টার লাগায়, বড় বড় বুলি আওড়ায় তারা কতটুকু শান্তি-শিক্ষার পক্ষপাতী? যারা সন্ত্রাস চাঁদাবাজী, খুন করে জেলে যায় তারা কেমন সোনার সন্তান? তারা কতটুকু আমাদের গৌরব? এদের বিচারই বা হয় কতটুকু? কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজকে পুলিশে গ্রেফতার করতে না করতেই ফোন আসে, বলা হয়, ছেড়ে দিন, আমার লোক। পুলিশ যদি বলে অনেক অস্ত্রসহ পেয়েছি,ফোনে এবার একটু রাগের সুরে বলা হয়, অস্ত্র সহকারেই বিদায় দিন। আমাদের এ কেমন নীতি, এ কি জনদরদী দেশ প্রেমিকের রূপ? এর জন্যে কি আমরা জন্মলগ্ন হতেই প্রশিক্ষণ কিংবা প্রতিজ্ঞা করে এসেছি? না কারও চক্রান্তের শিকার হয়েছি? আসুন এসব ধোকাবাজি ভন্ডামী ছেড়ে সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করি।
-জিম
ইসলামী এনজিও প্রতিষ্ঠা করা হোক
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম মুসলিম দেশ। মুসলমানরা এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও কতিপয় বিদেশী মদদপুষ্ট এনজিও আমাদের ধর্ম বিশ্বাস, ঈমান আকীদা নিয়ে জঘন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা এদেশকে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয়ভাবে ইসলাম শূন্য করতে বিভিন্ন তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এ অশুভ অপতৎপরতা রুখতে প্রয়োজন বিত্তবান মুসলিম ব্যক্তিত্ব ও ওলামা সমাজের সমন্বয়ে ইসলামী এনজিও গড়ে তোলা। ইসলামী পন্থায় দারিদ্র বিমোচনের উদ্যোগ গ্রহণ, একটি সমৃদ্ধ ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা তথা একটি আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের পদক্ষেপ গ্রহণ। দেশের ইসলাম দরদী বুদ্ধিজীবী, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, অর্থনীতিবীদদের এ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কে, এম ওয়াহাব
মহিলা বিভাগ চাই
আমি মাসিক জাগো মুজাহিদ পত্রিকার একজন নিয়মিত পাঠিকা। জাগো মুজাহিদ বর্তমান যুগে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী মাসিক পত্রিকা যা নিষ্প্রাণ ব্যক্তির ঈমানের চেতনাকে সুদৃঢ় করতে এক মহৌষধ। এ পত্রিকা বাতিলের মোকাবিলায় বর্তমান ঘুণে ধরা সমাজে টিকে থাকার পথ নির্দেশিকা বাতলে দেয়। জাগো মুজাহিদের মাধ্যমে আজ আমরা বিশ্বের সঠিক পরিস্থিতি, নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর অবস্থা এবং ইহুদী' খৃষ্টানদের বেড়াজালে আবদ্ধ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কথা জানতে পারি। সব দিক মিলিয়ে জাগো মুজাহিদ - আমার হৃদয়ের স্পন্দন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ বহুল প্রচারিত জনপ্রিয় পত্রিকাটিতে মহিলাদের জন্যে কোন বিভাগ নেই'। মহিলাদের জন্যে দি কোন বিভাগ থাকত তাহলে জাগো মুজাহিদের অনেক নিবেদিত পরিবারের প্রতি অনুরোধ মহিলাদের জন্যে একটা আলাদা বিভাগ খোলা হোক। আশা করি জাগো মুজাহিদ কর্তৃপক্ষ মহিলা বিভাগ খুলে অসংখ্য মুজাহিদ বোনদের মনের দাবী পুরণ করবেন।
- শাহীন জান্নাত (ডেইজী)
এসো, শান্তি প্রতিষ্ঠার শপথ নেই
হে জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, মাআজ-মোয়াজের সুযোগ্য উত্তরসূরী, ইসলামের অতন্দ্র প্রহরী বাংলার দামাল তরুণেরা, আজ আমাদের সামনে দিবালোকের মতো একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বিশ্বের ইসলামদ্রোহী সকল অপশক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। গোটা মুসলিম মিল্লাতকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে তারা সংকল্পবদ্ধ। ওদের সকল ষড়যন্ত্র যখন ব্যর্থতায় রূপ নিচ্ছে তখনী এ হিংস্র হায়েনারা আমাদের মুসলমান ভাইদের বুক স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্র দ্বারা ঝাঝরা করে দিচ্ছে, নরপশুরা আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানা হেছড়া করছে।
হে বন্ধুরা, আজ যখন মুসলিম জাতি হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হাতে রাইফেল, বুকে কুরআন নিয়ে বজ্রকণ্ঠে জিহাদের ডাক দিচ্ছে তখনি বেঈমান কাপুরুষরা ভীত হয়ে আমাদের দুর্বল করে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের মধ্যে দলাদলী ও মতানৈক্য সৃষ্টি করে দেয়ার ঘৃণ্য অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। হে বন্ধুরা এসো, আজ জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকল মতানৈক্য ভুলে আমরা সমবেত হই এক কালেমার ঝান্ডার নিচে। ফিলিস্তিনী, কাশ্মীর ও আরাকানের নিপীড়িত অসহায় মা বোনেরা অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে আছে আমাদের দিকে। হামাস ও তালেবান মুজাহিদদের মতো আমাদের গর্জে উঠতে হবে, শহীদ জিয়াউর রহমান ফারুকীর (রাঃ) রক্তের প্রতিশোধ নিতে হবে বেঈমানদের কাছ থেকে, মুসলিম মিল্লাতের নয়নমনি মাওঃ মাসউদ আজহারকে জালিম ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতের কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে হবে। সর্বোপরি যে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফররা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করতে চায় ওদের কালোহাত ভেঙ্গে দিতে হবে । তাই এসো, হে তরুন মুজাহিদ বন্ধুরা, আমরা বজ্র মুষ্টিতে জিহাদের শপথ গ্রহণ করি।
-নোমান আহম্মদ হামিদী
স্বাধীন বাংলাদেশ কি একদিন মানচিত্র থেকে মুছে যাবেঃ
২৬ শে জানুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান নিয়ে বর্তমান সরকার এবং বিদ্রোহী শান্তি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়। আলোচনা কতটুকু সফলকাম হয়েছে তা জানা না গেলেও কতগুলি আশঙ্কাজনক বিষয় পরিলক্ষিত হয়। সরকারী প্রতিনিধিদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং শাস্তি বাহিনীর হয়ে নেতৃত্ব দেন বিদ্রোহী সন্তু লারমা। শান্তি বাহিনীর দাবী হচ্ছে পার্বত্য চট্রগ্রাম হতে বাঙ্গালী বসতি তুলে নিতে হবে, সেনা বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বায়ত্বশাসন দিতে হবে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সাল থেকে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ শান্তি বাহিনী বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে, প্রশ্ন হচ্ছে ক্ষুদ্র বিদ্রোহী বাহিনী কিভাবে একটা স্বাধীন দেশের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে? এদের খুঁটির জোর কোথায়? এদের অস্ত্র সরবরাহ কে করে? এই ক্ষুদ্র-বিদ্রোহী বাহিনীকে দমানো যাচ্ছে না কেন?
ট্রেনিংবিহীন এদেশের সাধারণ জনগণ হাতের লাঠি এবং নিম্ন মানের বন্দুকের সাহায্যে ইয়াহিয়া খানের শক্তিশালী বাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে হাত গুটিয়ে নিতে বাধ্য করেছিল অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের শক্তিশালী সেনাবাহিনী দিয়ে ক্ষুদ্র এই বিদ্রোহী বাহিনীকে দমানো যাচ্ছেনা। কিভাবে দমানো যাবে, এদের পেছনে ইন্দন যোগাচ্ছে স্বাধীনতাত্তোর জাতীয় সম্পদ লুষ্ঠনকারী প্রবল শক্তি সম্পন্ন রাষ্ট্র ভারত। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর বিদ্রোহ সরাসরি ভারতের সৃষ্টি। ভারতের ত্রিপুরাসহ পূর্ব-ভারতে অন্তত ৫০ হাজার চাকমা বিদ্রোহীকে ভারত বিগত ২০ বছর ধরে আশ্রয় দিয়েছে এবং এদের ভরণ পোষণ করছে। ভারত সরকার তাদেরকে ট্রেনিং দিয়ে এবং হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বিদ্রোহ করার জন্যে। ২০ বছরে তারা প্রায় ৫০০০ লোককে হত্যা করে। হত্যা, ধর্ষণ, লুষ্ঠন, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় তাদের নিত্যদিনের ব্যাপার, এ শান্ত দেশে তারাই একমাত্র বিশৃংখলা সৃষ্টি করে ।
অথচ ২৬ শে জানুয়ারী বিদ্রোহী হিসাবে নয় সরকারী অতিথি হিসাবে এবং অত্যন্ত সম্মানের সহিত এ বিদ্রোহী গ্রুপকে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দুদুকছড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় থাকা খাওয়া এবং মেঘনায় আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। এ যেন দু'দেশের মধ্যে কোন এক আলোচনা। দেশের একটি জনস্বীকৃত বিদ্রোহী গ্রুপ কি ভাবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে জামাই আদরে আলোচনার সুযোগ পায়? তাদের কতগুলি অযৌক্তিক দাবীর মুখে কিভাবে মাথানত করে?
বিদ্রোহী শান্তি বাহিনী দাবী তুলেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে বাঙ্গালী বসতি তুলে নিতে হবে অর্থাৎ পার্বত্য চট্রগ্রাম বাংলাদেশের অংশ হওয়া সত্ত্বেও বাঙ্গালীরা সেখানে ঘরবাড়ী করতে পারবেনা, জমি কিনতে পারবেনা, এমন কি বাঙ্গালীরা পার্বত্য চট্টথামে যেতে চাইলে পাসপোর্ট নিতে হবে। পক্ষান্তরে পাহাড়ীরা বাংলাদেশের যে কোন স্থানে বসবাস করতে পারবে এবং যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানে যে কোন নাগরিককে যে কোন স্থানে বসবাস করার অধিকার দেয়। পার্বত্য চট্রগাম বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ইত্যাদি সকল সুযোগ সবিধা পায়।
বাংলাদেশের এক দশমাংশ স্থান দখল করে আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম, এই জনবিরল স্থানে লোক সংখ্যা পৌনে দশ লাখ এর মধ্যে উপজাতির সংখ্যা ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং বাঙ্গালীর সংখ্যা ৪৪ শতাংশ। বিদ্রোহী বাহিনী চায় ৪৪ শতাংশ বাঙ্গালীকে পাহাড়ী এলাকা হতে উচ্ছেদ করতে।
প্রভু রাষ্ট্র ভারত একদিকে বাংলাদেশের সুখ শান্তির জন্যে বড় বড় বুলি আওড়ায় অন্যদিকে বিদ্রোহী বাহিনীকে দিয়ে বাংলাদেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্যে কল কবজা নাড়ে। প্রশ্ন হল বিদ্রোহী শান্তি বাহিনীর সাথে আলোচনার অর্থ কি? কারণ এ শান্তি বাহিনীর মেরদন্ড ভারতীয়দের দ্বারা নির্মিত।
তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দান করে ভারত সরকার, কাজেই এ আলোচনা ভারত সরকারের সাথেই হওয়া উচিত।
বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের ভবিষ্যৎ কি হবে? সেখান থেকে সেনাবাহিনী কি তুলে নেয়া হবে? পার্বত্য চট্টগ্রামকে যদি স্বায়ত্বশাসন দেয়া হয় তাহলে পরবর্তী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের কি হবে? এভাবে কি স্বাধীন বাংলাদেশ একদিন বাংলাদেশের মানচিত্র হতে চিরতরে মুছে যাবে?
-মুহাম্মাদ জুনাইদ ইসলাম