JustPaste.it

Garments washing

User avatar
Sumon @smn · Sep 23, 2021

গার্মেন্টস ওয়াশিং

যে পদ্ধতি ব্যাবহার করে গার্মেন্টস পোশাকের বাহিরের চেহারা পাল্টে দেয়া যায় এবং পোশাককে আরও আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল করা যায় তাকে গার্মেন্টস ওয়াশিং বলে।গার্মেন্টস ওয়াশিং এর ইতিহাস খুব দীর্ঘ নয়,মাত্র পঞ্চাশ বছর আগে এ পদ্ধতিটির ব্যাবহার শুরু হয়।বিশেষত পদ্ধতিটি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে ১৯৭৮ সাল থেকে যখন জিন্স কাপড়ের ব্যাবহার বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাদেশে এর প্রচলন হয়েছে আরও পরে।১৯৮৮ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন ইন্ডাস্ট্রির ওয়াশিং করার সক্ষমতা ছিল না তখন
ওয়াসিং এর জন্য তৈরিকৃত গার্মেন্টস পোশাককে হংকং এ পাঠানো হত ওয়াশিং শেষে ফিনিশিং ও প্যাকিং এর জন্য পুণরায় তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হত । এভাবে কাজ করতে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর যেমন অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হত সাথে পোশাকের মান নিয়ন্ত্রণে সমস্যার সৃষ্টি হত ।কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশেই খুব সহজে ওয়াশিং করা সম্ভব হচ্ছে , গার্মেন্টস ওয়াশিং ম্যাশিন এখন বাংলাদেশে আঞ্চলিক ভাবে তৈরি হচ্ছে ।

 

যেসব কারণে গার্মেন্টস ওয়াশিং করা হয়ঃ 
তৈরির সময় পদ্ধতিগত কিছু কারণে সাধারণভাবেই পোশাকে কর্কশ অনুভুতির সৃষ্টি হয়।আর সেসব পোশাক পরলে চামড়ায় ফোস্কা পরার সম্ভবনা থাকে,এই সমস্যা দূর করতে তথা তৈরি পোশাককে আরও মসৃণ ও আরামদায়ক করতে গার্মেন্টস ওয়াশ করা প্রয়োজন।তৈরির পর কাঙ্ক্ষিত পোশাকটি পূর্বে নির্ধারিত মাপের তুলনায় কিছু ছোট বড় হতে পারে আবার  পোশাকের  বিভিন্ন  অংশ  সংকুচিত  অবস্থায়  থেকে   যেতে পারে ফলে দেহের সাথে তা ঠিক ভাবে ফিট হয় না। সেক্ষেত্রে গার্মেন্টস ওয়াস করে খুব সহজেই পোশাকের সঠিক আকার আকৃতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।তাছাড়া প্রিন্টিং এর আগে বা পরে পোশাকের গায়ে যদি কোনরূপ ময়লা,তেল বা চর্বি লেগে থাকে তাহলে ওয়াসিং এর দ্বারা সেগুলো দূর করে বিশুদ্ধ ফেব্রিক পাওয়া সম্ভব। 
 

গার্মেন্টস ওয়াশিং এর জন্য ওয়াশিং ম্যাশিন ছাড়াও নিচের ম্যাশিন গুলোর প্রয়োজন হয়
১। গার্মেন্টস ডাইয়িং ম্যাশিন
২। হাইড্রো এক্সট্রাক্টর
৩। গার্মেন্টস ড্রাইয়ার
৪। বইলার
৫। স্যাম্পল ওয়াশিং ম্যাশিন
৬। ওয়াটার পাম্প ইত্যাদি

গার্মেন্টস ওয়াশিং প্ল্যান্ট
বিভিন্ন রকমের গার্মেন্টস ওয়াশিং রয়েছে যেমনঃ
১। সাধারন ওয়াশিং
২। পিগমেন্ট ওয়াশিং
৩। ব্লিছ ওয়াশিং
৪। স্টোন ওয়াশিং
৫। এসিড ওয়াশিং
৬। এঞ্জাইম ওয়াশিং
৭। কস্টিক ওয়াশিং
৮। সুপার হোয়াইট  ওয়াশিং
৯।স্যান্ড ব্লাস্টিং ও ওভার ড্রাই(Dirty wash) ওয়াশিং
অয়াশিং করার পদ্ধতি নির্ভর করে কাপড়ের ধরন ও ভোক্তার চাহিদার উপড়ে।উদাহরণস্বরূপ ডেনিম কাপড়ের এর জন্য স্টোন ওয়াশকে সবচেয়ে উপযুক্ত মানা হয় অন্যদিকে ণিটেড কাপড়ের জন্য লঘূ সফেনার সবচেয়ে উপযোগী।

সাধারণ ওয়াশ মানে বোঝায় গরম পানির সাথে ডিটারজেন্ট ও সফেনার মিশিয়ে গার্মেন্টস পোশাক কে ধৌত করা।তারপর একে পরিষ্কার পানি দ্বারা পুনরায় ধৌত করে টাম্বেল ড্রাইয়ার দিয়ে ১০০ ভাগ শুকিয়ে ফেলা হয়।অধিক ওয়াশ লুক সৃষ্টির করতে এতে কিছু সোডিয়াম যোগ করা যেতে পারে ।কাপড়ের ধরন এবং ওয়াশইং এর উদ্দেশ্য বিবেচনা করে পানির তাপমাত্রা,ধৌত করার সময়,ব্যাবহৃত সোডিয়াম ও ডিটারজেন্ট এর পরিমান ঠিক করা হয়।
এখানে ব্যাবহার হওয়া ভিন্ন ভিন্ন ক্যামিক্যালের প্রভাব কাপড়ের উপড় ভিন্ন ভিন্ন । যেমন সফেনার কাপড়কে স্মুথ করে,ট্যাঁম্বেল ড্রাইং কাপড়কে মচমচে করে এবং গরম পানি,ডিটারজেন্ট ও সোডিয়াম কাপড়ের ভিতরের ইয়ার্ণের বন্ধন গুলো শক্ত করে ।কাপড়ে কোন ময়লা বা তেলের স্পট থাকলে সেগুলো এই ওয়াশিং ট্রিটমেন্টের ফলে দূর হয়ে যায় ।
যে কাপড়কে ওয়াশ করা হবে সেটি যদি পিগমেন্ট নির্মিত ডাই দিয়ে ডাই করা হয়ে থাকে তবে সে ওয়াশিং পদ্ধতিকে পিগমেন্ট ওয়াশ বলা হবে।পার্থক্য শুধু এটুকুই,তাছাড়া ওয়াশিং এর ধরন সাধারণ ওয়াশিং এর অনুরুপ।পিগমেন্ট ওয়াশে যে পানি ব্যাবহার করা হয় তার তাপমাত্রা ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া বাঞ্ছনীয়।এছাড়া টাম্বেল ড্রাইয়ারে তার ধারণ ক্ষমতার ৭০ ভাগ ওজোনের ফেব্রিক চাপাতে হবে যাতে করে ক্যামিক্যল গুলো আরও ভালভাবে ফেব্রিকের অভ্যন্তরে ঢুকতে পারে।

লিখেছেন ঃ অমিত, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

সংগ্রহ করা হয়েছে ঃ টেক্সটাইল ম্যানইয়া ওয়েব পেজ ( অসাধারণ একটা সাইট)

 

 

ডেনিম ওয়াশিং

সাধারনত গার্মেন্টস ওয়াশিং বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো, নোংরা-অপরিস্কার পোশাককে সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করা। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল গার্মেন্টস ওয়াশিং এমন একটি প্রযুক্তি যা কিনা একটি গার্মেন্টস এর outlook, appearance, comfortability এবং design কে বিশেষায়িত করতে পারে। গার্মেন্টস ওয়াশিং এর সঠিক নলেজ না থাকলে, কোনো একটি অ্যাপ্পারেল এর সঠিক আউটলুক আমরা দিতে পারবো না। সবচেয়ে মজার বিষয়, এই ওয়াশিং আমাদের বাংলাদেশের অ্যাপ্পারেল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা গার্মেন্টস ওয়াশিং কেন করি?

১) সাইজিং ম্যাটেরিয়াল দূর করার জন্য।

 
২) ময়লা, ধুলো, মরিচা, তেল, দাগ দূর করতে।

৩) অ্যাপ্পারেলে Old worn fashionable outlook দেওয়ার জন্য।

৪) ফেব্রিকের হার্ডনেস দূর করে সফটনেস আনতে।

৫) পোশাকে টিন্টেড ইফেক্ট তৈরি করতে।

৬) বায়ারের চাহিদা মিটাতে।

আজকে কথা বলতে যাচ্ছি, ডেনিম ওয়াশ নিয়ে। সাধারনত এই ওয়াশিং ডেনিমে করা হয়। বলে রাখা ভাল যে, ডেনিম হচ্ছে, ২/১ অথবা ৩/১ ওয়ারপ ফেইসড টুইল ফেব্রিক যেখানে ওয়ারপ ইয়ার্ন ব্লু ডাইড আর অয়েফট ইয়ার্ন সাদা থাকে। বর্তমান সময়ে এই ডেনিম কে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এর আইকন হিসেবে উন্মোচিত করা তাছাড়া স্পিনিং, উইভিং এবং ফিনিশিং এর জগতে যথেষ্ট পরিমান উন্নতি সাধন করতে যে কয়েকটি প্রযুক্তিগত কারণ অবদান রেখেছে তার মধ্যে ওয়াশিং অন্যতম।আজকে আমরা যত চোখ ধাঁধানো ডেনিম দেখি তা এই ওয়াশিং এর কারনেই সম্ভব হয়েছে।

ডেনিম ওয়াশিং এমন একটি নান্দনিক গার্মেন্টস ফিনিশিং যা কিনা ফ্যাব্রিকের সফটনেস এবং কম্ফোরট বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। তারই সাথে ফেব্রিকের faded এবং worn-out স্টাইলও এই ওয়াশিং এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফ্যাশন ট্রেন্ড সর্বদাই পরিবর্তনশীল। আর বর্তমানকালে ফেব্রিকের broken-in look এবং worn/faded স্টাইল সবার নিকট সমাদৃত, যা এই ওয়াশিং এর মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। আর এই ডেনিম এমনি এক ফেব্রিক যা সময়ের সাথে সাথে ফেডেড বা বিবর্ণ হয়ে যায় আর তখন এই ডেনিমকে আরো সুন্দর দেখায়।

ডেনিম ওয়াশিং

ড্রাই প্রসেসঃ

Unwashed garments এ এই ড্রাই প্রসেস এপ্লাই করা হয়। এইখানে, গার্মেন্টসকে কতিপয় মেকানিক্যাল এব্রাশন প্রসেসের মধ্য দিয়ে পার হতে হয়। যা কিনা গার্মেন্টস এর সম্পূর্ণ শুষ্ক অবস্থাতেই সম্পন্ন করা হয়। তাই এর নাম ড্রাই প্রসেস। আর এই মেকানিক্যাল এব্রাশন এর কারনেই ডেনিমে old worn outlook এর সৃষ্টি হয়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এটি ম্যানুয়ালি করা হয়।
ড্রাই প্রসেস এ ব্যবহৃত কিছু মেশিন ও টুলঃ
ক্রাউন হিট গান, চক, পেন্সিল, ডামি, রোটেটিং ব্রাশ, গ্রাইন্ডিং মেশিন, থ্রিডি ক্রিঙ্কেল মেশিন, ট্যাগিং মেশিন, ড্রায়ার, হুইস্কার প্যাটার্ন, হিট সেটার, লাইট বক্স।

ওয়েট প্রসেসঃ

সাধারনত ড্রাই প্রসেস শেষ করার পর কাঙ্ক্ষিত আউটলুক পাওয়ার জন্য গার্মেন্টসকে এনজাইম, ব্লিচিং এজেন্ট ও রিঞ্জ করা হয়। এইখানে গার্মেন্টস অনেকগুলো কেমিক্যাল প্রসেস এর মধ্য দিয়ে যায়।
ওয়েট প্রসেস এ ব্যবহৃত কিছু মেশিন ও টুলঃ
১) ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং এবং ডাইং মেশিন।২) টপ লোডিং ওয়াশিং এবং ডাইং মেশিন।৩) কেমিক্যাল মিক্সার মেশিন।৪) হাইড্রো-এক্সট্রেক্টর।৫) ড্রায়ার।

গত কয়েক দশক ধরে, বিভিন্ন ধরনের ডেনিম ওয়াশিং টেকনিক ডেভেলপ হয়ে আসছে এবং এইগুলোর প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অনেক ট্রেন্ডি ডেনিম গার্মেন্টস ও জিন্স তৈরি হয়ে আসছে।
ডেনিম ওয়াশিং এর কিছু প্রকারভেদঃ
সাধারনত ডেনিম ওয়াশিং ২ ধরনের। যথাঃ
১) মেকানিক্যাল ওয়াশঃ- স্টোন ওয়াশ, মাইক্রো স্যান্ডিং।২) কেমিক্যাল ওয়াশঃ- ডেনিম ব্লিচিং, এনজাইম ওয়াশ, এসিড ওয়াশ।

ডেনিম ওয়াশিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেপঃ-

1. Pre-treatment.
2. Enzyme/Stone wash.
3. Clean up.
4. Bleaching.
5. Tinting/Dyeing.
6. Sand Blasting.
7. Softening এবং আরো অনেক।

 
কিছু ওয়াশিং কেমিক্যাল এর নাম নিম্নরুপঃ

1. Detergents
2. Sequestering Agents
3. Anticreasing Agents
4. Desizing Agents
5. Enzymes
6. Anti BackStainer
7. Neutralizing Agents
8. Softening agents
9. Bleaching Agents
10. Oxidizing Agents
11. Reducing Agents
12. Fixing Agents
13. Catanizer
14. Wetting Agent
15. Rubbing fastness improvers
16.Tinting Agent
17. Resins
18. Silicon
19. Defoaming agents
20. Antimeldew agents
21. Salt
22. Soda
23. Caustic
24. Acids
25. Whitening agents
26. Hygroscopic agents
27. Stiffening agent