JustPaste.it

বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা মুললিম বিশ্ব সংবাদ

 

* তালেবান গভর্নর মোল্লা হাসানের বিশ্বাস অপচয় বিলাসিতা না জায়েজ ব্যয় যে কোনো দেশ বাইরের সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারে

             ‘আমাদের তিন বছরের অভিজ্ঞতা একথা প্রমাণ করে যে, অপচয় বিলাসিতা সহ সব রকম না-জায়েজ ব্যয়ের পথ বন্ধ করতে পারলে যে কোনো বাইরের সহযোগিতা ছাড়া চলা যাবে।’ আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর মোল্লা মুহাম্মদ হাসান রাহমানী একথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোল্লা হাসান বলেন, বর্তমানে আমাদের উৎস নিতান্তই সীমিত। কিন্তু, তা সত্ত্বেও আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, যদি আফগানিস্তানের বর্তমান সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এবং আমাদের সামরিক খাতে ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাস পায়, তা হলে এই সীমিত আয় দ্বারা-ই আমরা দেশ পুনঃর্গঠন ও উন্নয়ন কাজে দ্রুত উন্নতি করতে সক্ষম হবো। এ কাজে আমাদের কারো কাছে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে না, ইনশাআল্লাহ। তালেবান গভর্নর মোল্লা হাসান অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে বলেন, যুদ্ধবিদ্ধস্ত না হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশ কেন যে ঋণ নিয়ে দেশ চালায়, তা আমাদের বুঝে আসেনা।

 

* গ্রেফতারকৃত ফরাসীদের মুক্তি না দিলে জাতিসংঘের সাহায্য বন্ধের ইমকিঃ তালেবানের সাফ জবাব, পরোয়া নেই, জীবিকার মালিক আল্লাহ

              ইসলাম পরিপন্থী কাজে জড়িত হওয়ার অপরাধে গ্রেফতারকৃত দু’ফরাসীকে মুক্তি দিতে তালেবান সরকার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বন্দী ফরাসীদের মুক্ত করে নিতে আসা জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলকে তালেবান সরকার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, ‘আমরা অতি আন্তরিকতার ইসলামী আইনের অনুসারী। অনৈসলামী কোনো আচরণকে কোনোক্রমেই আমরা সমর্থ করতে পারি না।’ এর জবাবে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল বন্দী ফরাসীদের মুক্তি না দিলে আফগানিস্তানকে সবরকম সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। এর জবাবে তালেবান বলেছে, ‘আমাদের জীবিকার মালিক আল্লাহ। জাতিসংঘ সাহায্য বন্ধ করে দিক, তাতে আমাদের বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই।’

             এদিকে এই ঘটনার পর্যালোচনা করে বিবিসি বলেছে, তালেবানের এই ঘোষণা প্রমাণ করছে যে, তারা জাতিসংঘের আলটিমেটামকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

              অবশেষে তালেবান জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, এই বন্দী দু’ফরাসী নারী-পুরুষ সম্মিলিত অনুষ্ঠানে ছবি তুলে আমাদের দেশের ইসলামী আই-ন অমান্য করেছে। ইসলামী দন্ড থেকে বিশ্বের কেনো শক্তি এদের রেহাই দিতে পারবেনা।

 

* নিউইয়র্ক টাইম্ এর রিপোর্টঃ

তালেবানের সাম্প্রতিক বিজয়ে চীনের ঝিংঝিয়াং প্রদেশ থেকে

কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে

                তালেবানের সাম্প্রতিক বিজয়ে চীনের ঝিংঝিয়াং প্রদেশ থেকে কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত এক থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ তার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে। তাতে আরো উল্লেখিত হয়েছে যে, মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলোর সরকার এখন চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের দখল প্রতিষ্ঠিত হলে তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানেও তাদের কর্তৃত্ব বহাল রাখতে ব্যর্থ হতে পারে।

               টাইমস আরো লিখেছে যে, উত্তর আফগানিস্তানে তালেবানের দখল প্রতিষ্ঠিত হলে সেখান থেকে প্রায় পাঁচ লাখ মুহাজির উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। যার ফলে প্রজাতন্ত্রগুলোতে গৃহযুদ্ধ ও হানাহানি সৃষ্টি হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে এবং তালেবানও এর পিছনে ইন্ধন জোগাতে পারে।

                শংকাগ্রস্ত প্রজাতন্ত্রগুলো ইরান, আমেরিকা, ভারত ও রাশিয়ার কাছে দাবী জানিয়েছে যে, যেন তারা আফগান সমস্যার উপর যৌথ কনফারেন্স ডেকে তালেবানের অগ্রযাত্রা রুখে দেয়ার চেষ্টা করে।

                এদিকে উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান নিজেদের দেশে কথিত মৌলবাদ ঠেকাতে চরম ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকাও এ ব্যাপারে অতি সতর্কতার সাথে এমন পলিসি অবলম্বন করতে চাচ্ছে, যাতে তালেবান আন্দোলনের প্রভাব মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্রগুলো পর্যন্ত বিস্তার লাভ করার সম্ভাব্য পরিস্থিতিতে তালেবান আমেরিকায় ইসলামী উত্থানে সহযোগিতা দিতে এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে এক প্লাট-ফর্মে ঐক্যবদ্ধ করার ব্যাপারে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আভির্ভূত হতে না পারে।

 

* কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছেঃ সহশিক্ষার অবসানঃ

মহিলা প্রভাষকদের ঘরে বসিয়ে বেতন প্রদান

              জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর তালেবান সরকার সম্প্রতি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েছে। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে তালেবান সরকারের মন্ত্রীবর্গ, উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শিক্ষামন্ত্রী মৌলভী হামদুল্লাহ নোমানী উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ তিন ঘন্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আলোচনায় প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল সহশিক্ষা ও নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার অপরকারিতা সম্পর্কীয়।

              তালেবান সরকারের তথ্যমন্ত্রী মোল্লা আমীর মোত্তাকী বলেন, তালেবান আদৌ নারী শিক্ষার বিরোধী নয়। ইসলামে পুরুষদের ন্যায় নারীদেরও আবশ্যকীয় শিক্ষা লাভ করা জরুরী। তবে ইসলামী আইনে অবৈধ বলে আমরা সহশিক্ষা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। সহশিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলাম কোনোক্রমেই অনুমোদন করেনা। তবে নানা কারণে আমরা আপাতত মহিলাদের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারছি না। উল্লেখ্য যে, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের তথ্যমতে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন’হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে চার হাজার-ই ছিল ছাত্রী।

                তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, তালেবান সরকার ইতিপূর্বে কান্দাহার ইঞ্জিনিযারিং বিশ্ববিদ্যালয়, হেরাত বিশ্ববিদ্যালয় ও জালালাবাদ মেডিকেল কলেজ খুলে দিয়েছে। তবে যুদ্ধের কারণে এখনো দেশের মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বহু স্কুল ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে।

                 শিক্ষামন্ত্রী মৌলভী হামদুল্লাহ আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ষাট মহিলা প্রভাষকের ভাববার কোনো কারণ নেই। কেননা, তাদের বিনা কর্মে ঘরে বসিয়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে।

 

* আফগান এয়ার লাইন্স এর সকল পাইলট এখন পাগড়ী

শশ্রুমন্ডিতঃ পাইলটরা একে অপরকে গর্বের সাথে মোল্লা সাহেব

মৌলভী সাহেব বলে সম্বোধন করছে

                 আফগান এয়ার লাইন্স এর সকল পাইলট দাড়ী রেখেছেন। তারা পাবন্দীর সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ছেন এবং মাথায় পাগড়ী পরিধান করছেন। বিমান চলাচল মন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ আখতার মনসুর সংবাদ মিডিয়াকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

                মোল্লা আখতার সাংবাদিকদের জানান যে, আলহামদুলিল্লহ্, আমাদের এয়ার লাইনস-এর সব ক’জন পাইলট কঠোরভাবে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলছে। এখন তাদের মাথায় পাগড়ী আর মুখে দাড়ি শোভা পাচ্ছে। অতি যত্নের সাথে এখন তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করছে।

               বিমান চলাচল মন্ত্রী বলেন, পাইলটরা এখন একে অপরকে মোল্লা সাহেব কিংবা মৌলভী সাহেব বলে সন্বোধন করছে। মোল্লা বা মৌলভী বলে সম্বোধন করাকে তারা সম্মানজনক বলে মনে করে। মোল্লা আখতার বলেন, ইসলামের ইনসাফপূর্ণ জীবনব্যবস্থা এবং কুরআন-সুন্নাহর আইনকে আফগানিস্তানের সর্বস্তরের মানুষ কেবল সাদরে গ্রহণই করে নেয়নি বরং এখন তারা হাড়ে হাড়ে এ সত্যও উপলব্ধি করছে যে, ইসলাম ছাড়া মানবজাতি না দুনিয়ার শান্তি পেতে পারে না পারবে আখিরাতে মুক্তি লাভ করতে। তারা গভীরভাবে বুঝতে শুরু করেছে যে, ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতিই প্রকৃত মানবতা ও আসল সভ্যতা।

               মোল্লা আখতার মনসুর আরো জানান, আফগান এয়ার লাইন্স এ কর্মরত আড়াইশ মহিলাকে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সংকটে জর্জরিত আফগানিস্তানের তালেবান সরকার তাদের ঘরে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে। মোল্লা আখতার মনসুর বলেন, তালেবানের বদৌলতে আফগানিস্তানের মহিলারা তাদের প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদা ফিরে পেয়েছে। তালেবান তাদের বিনা প্ররিশ্রমে ঘরে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও পশ্চিমারা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যে, আমরা মহিলাদের অধিকার হরণ করছি।

 

* অমুসলিম জার্মান নাগরিক বল্লেন

দাড়ি হলো পৌরুষের প্রতীকঃ দাড়ি ছাড়া আফগানিস্তান আসতে

আমি লজ্জাবোধ করেছি

                   জিহাদের ফলাফল এবং ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বরকত শুধু আফগানিস্তানে নয় বরং বাইরের অমুসলিমদেরও প্রভাবিত করেছে। তালেবান মুখপাত্র মোল্লা আবদুল হালিম মুনীব জানান যে, বিশেষ এক প্রয়োজনে তালেবান সরকার এক জার্মান নাগরিককে আফগানিস্তানে তলব করে। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময় থেকে আরো দু’মাস বিলম্বে এসে পৌঁছান। তখন তার মুখমন্ডল শশ্রুমন্ডিত। বিলম্বের কারণ জানতে চাওয়া হলে জার্মান নাগরিক বলেন, আফগানিস্তানে আগমনের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর নিজের চেহারা দেখে আমার লজ্জাবোধ হল যে, যে দেশের সব পুরুষের মুখে দাড়ি, সে দেশে দাড়ি বিনে আমি চলব কি করে! তারপর আমার মনে ভাবনা জাগল যে, পুরুষ মাত্রই বিশেষ এক বয়সে মুখে দাড়ি গজায়, মহিলাদের মুখে তো গজায় না। তাহলে নিশ্চয়ই দাড়ি পৌরুষের প্রতীক। এই ভেবে আমি দাড়ি রাখতে শুরু করলাম। দাড়ি বড় হতে কিছু সময় লাগলো বলে আসতে দু’মাস বিলম্ব হয়ে গেছে! এদিকে তালেবানের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, অমুসলিমদের মুখে দাড়ি রাখার অনুমতি আছে বটে, কিন্তু পরিপূর্ণরূপে ইসলামী বেশ-ভুষা অবলম্বন করার অনুমতি নেই। এতে একদিকে যেমন মুসলিম-অমুলিমের বাহ্যিক তারতম্য বিনষ্ট হয়, অপরদিকে ইসলাম ও মুসলমানের মর্যাদাও ক্ষুন্ন হয়! তালেবানের ভাষ্য মতে, ইসলাম যেমন মুসলামনদেরকে অমুসলিমদের বেশ-ভুষা অবলম্বন করতে বারণ করে, ঠিক তেমনি নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখার, নিমিত্তে ইসলাম গ্রহণ ব্যতীত অমুসলিমদের শুধু মুসলমানের বেশ-ভূষা অবলম্বনেরও অনুমতি দেয়না।

                  জার্মান নাগরিকের এই চেতনা ও অভিব্যক্তি কেবল ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত-ই নয় বরং এ ঘটনা সেসব মুসলমানের জন্য শিক্ষণীয়ও বটে, যারা নিজেদের পৌরুষের প্রতীক নিশ্চিহ করে আল্লাহর ফিতরাতকে চ্যালেঞ্জ করছে। একজন অমুসলিমের দাড়ি সম্পর্কিত এই অভিব্যক্তি নিয়মিত দাড়ি মুন্ডনকারী মুসলমানের বদ্ধ বিবেকে এক প্রচন্ড আঘাত বৈ কী!

 

* পাশ্চাত্যের কাছে তালেবান নেতার প্রশ্নঃ তোমরা তোমাদের

মহিলারা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা মেনে নিতে না পারলে আমরা

তোমাদের কুফরী বিধান মেনে নেবো কোন যুক্তিতে?

                    তালেবান কর্তৃক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা চালু হওয়ার বদৌলতে সমগ্র আফগানিস্তানে, বিশেষ করে রাজধানী কাবুলের নারী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা যথার্থরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুব সমাজ সামাজিক অশ্লীলতা ও পর্দাহীনতার অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে। রাজধানী কাবুলের প্রশাসক মোল্লা মুহাম্মদ রব্বানী উপরিউক্ত মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, আজ যখন তালেবান সরকার ত্রিশ হাজার মহিলাকে স্বসম্মানে ঘরে বসিয়ে বিনা শ্রমে বেতন দিচ্ছে, ঠিক তখন পশ্চিমা ইসলাম বিরোধী গোষ্ঠী সারা বিশ্বে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে যে, তালেবান সরকার মহিলাদের অধিকার হরণ করেছে। কাবুল প্রশাসক মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন পশ্চিমাদের এসব অপপ্রচারে প্রতারিত না হয়। তিনি বলেন, পশ্চিমারা পর্দাহীনতা, বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা ও নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে ‘অধিকার’ বলে মনে করে। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন, ইনশাআল্লাহ, আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের দুঃস্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। এ দেশের জনগণ আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মুসলমান। লজ্জা তাদের ঈমানের অঙ্গ। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো সমাজ ব্যবস্থা-ই তারা মেনে নেবে না।

                   বিশাল এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোল্লা রব্বানী পশ্চিমাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কি কখনো তোমাদের মহিলাদের ব্যাপারে কিছু বলেছি? বলিনি। অন্যদের ব্যাপারে নাক গলানো আমাদের আদর্শ নয়। তা হলে তোমরা কেন আমাদের মহিলাদের ব্যাপারে চিৎকার আর নাচানাচি করছ? বিশেষ করে যখন আমাদের দ্বীন-ধর্ম,কৃষ্টি-কালচার, সভ্যতা সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা তোমাদের থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, তখন কেন তোমরা আমাদের নিজস্ব ব্যাপারে নাক গলাচ্ছো?

                    মোল্লা মুহাম্মদ রব্বানী আরো বলেন, কাফির মহিলাদের যদি কুফরী অধিকারের প্রয়োজন হয়, তো মুসলিম মহিলাদের ইসলামী অধিকার ও ইসলামী জীবন দর্শনের প্রয়োজন হবেনা কেন? তোমাদের মহিলারা যদি ইসলাম প্রদত্ত পর্দাবিধান ও ইসলামী কালচার গ্রহণ করতে না পারে, তা হলে আমরা এবং আমাদের মহিলারা তোমাদের পর্দাহীনতা ও অশ্লীল কালচার অবলম্বন করব কোন যুক্তিতে?

                      মোল্লা রব্বানী কাবুলের মহিলাদেরকে পশ্চিমাদের প্রোপাগান্ডা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, পশ্চিমারা তোমাদের ইজ্জত, সম্মান ও নারীত্ব হাটে-বাজারে, অফিস-আদালতে, কলেজ-বিদ্যালয়ে ও রাস্তা-ঘাটে প্রকাশ্যে লুটে নিতে চায়। এদের বদমতলবের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

 

* তালেবানের ইসলামী চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে চার হিন্দুর ইসলাম গ্রহণ

                      ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় মুগ্ধ হয়ে আফগানিস্তানে বসবাসরত অমুসলিমরাও ইসলামের কোলে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তালেবানের ইসলামী চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে চার হিন্দুর ইসলাম গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে। এ তথ্য প্রকাশ করে তালেবানের উপযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এই আফগানী চার হিন্দুকে তাদের ইসলাম গ্রহণের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, তালেবানের ন্যায়-নীতি, সততা, সহমর্মিতা ও চারিত্রিক পবিত্রতা আমাদের মুগ্ধ করেছে, আমরা ভাবলাম, যে ধর্মের অনুসারীরা এত সৎ, নিষ্ঠাবান ও সহমর্মী হতে পারে, যাদের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় এত-ই প্রবল যে, তারা শুধু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য পাপ থেকে দূরে থাকে, তাই আমাদেরও এই ধর্মের দীক্ষা নেওয়া উচতি। এই ভেবে আমরা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করি।

 

* দাড়ি মুন্ডনকারী ৮২ ব্যক্তি গ্রেফতার

                   কয়েক মাস যাবত সতর্ক করার পরও যারা দাড়ি মু্ন্ডন এবং শরীয়াত পরিপন্থী পন্থায় চুল রাখা থেকে বিরত হয়নি, তালেবান তাদের গ্রেফতার শুরু করেছে। ‘আমর বিল মারূফ নাহী আনীল সুনকার’ মন্ত্রণালয় এ দায়িত্ব আঞ্জাম দিচ্ছে। তা ছাড়া এমন সব মহিলাদেরও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, যারা শরীয়াত মোতাবেক পর্দা পালন করছেনা। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দাড়ি মুন্ডনের অপরাধে ৮২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সংশিষ্ট কর্মকর্তা জানান যে, এই গ্রেতারকৃতদের শরিয়াতের আদেশ পরিমাণ দাড়ি না হওয়া এবং আন্তরিকভাবে তাওবা না করা পর্যন্ত এদের জেল হাজতে থাকতে হবে।

 

বৃটেনে এক রও অধিক মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা

                 বর্তমান শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৃটেনে এক শ'রও বেশী নতুন মসজিদ নির্মিত হবে। এতে ব্যয় হবে তিন মিলিয়ন পাউন্ড। দৈনিক টেলিগ্রাফের এক রিপোর্টে জানা গেছে, এসব মসজিদের জন্য বৃটেনের সংখ্যালঘু দশ লাখ মুসলমান অর্থ সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে বৃটেনে এক হাজার মসজিদের অধিকাংশ-ই খাদ্য গুদাম, চার্চ ও কমুনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

 

ইসলামের প্রতি পাদ্রীদের আগ্রহ

                সুইডেনের চার্চের এক জরিপে দেখা গেছে যে, বিপুল সংখ্যক পাদ্রী ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করছে পরম আগ্রহের সাথে। ১৬৯ জন পাদ্রীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে জানা গেছে যে, ৭০ শতাংশ পাদ্রী ইসলামী বিধি বিধান, নারী ও চরিত্র সম্পর্কিত ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কে গভীরভাবে পড়াশুনা ও গবেষণা করছে। ৫৯ শতাংশ পাদ্রী কুরআন এবং বাকী ৬১ শতাংশ বিভিন্ন ইসলামী দল উপদল সম্পর্কে গভীরভারে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

মরো মুজাহিদ ফিলিপাইন সৈন্যদের সংঘর্ষ অব্যাহত

                   ফিলিপাইনে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতাকামী ফিলিপিনী সৈন্যদের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চল বাসিলানে স্বাধীনতাকামী মুজাহিদ ও সৈন্যের মধ্যে রকক্ষয়ী এক সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে ১৫ জন স্বাধীনতাকামী মরো মুজাহিদ শহীদ হন এবং ৭ জন সৈন্য গুরুতর আহত হয়। খবরে প্রকাশ, ফিলিপিনী সৈন্যরা মাসুলা পল্লীর নিকট টহল দিতে থাকলে স্বাধীনতাকামী মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট সদস্যরা তাদের উপর এ আক্রমণ চালায়।

 

[বিঃ দ্রঃ স্টারচিহ্নিত প্রতিটি সংবাদযরবে মুমিনেরসৌজন্যে পরিবেশিত হলো]

গ্রন্থনাঃ মুহিউদ্দীন