JustPaste.it

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লামের কতিপয় অমুল্য উপদেশ

=================================================

 

        কুরান মজীদের বরকতঃ হযরত আনাস ও যাবের (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে নবী করীম (সাঃ) বলেনঃ মুসলমানগণ  তোমরা তোমাদের গৃহে বেশী পরিমাণে  কুরআন  মজীদ পাঠ করবে।  কেননা যে গৃহে  কোরয়ান পাঠ করা হয় না, তাতে বরকত থাকে না।- (দাবে কুৎনী)

 

        সৎ সংসর্গঃ  মুসলমানগণ ! তোমরা বড়দের কাছে উঠাবসা কর, আলেমদেরকে প্রশ্ন কর এবং জ্ঞানীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ কর । -(তিবরানী)

 

        প্রত্যেক মানুষ তার বন্ধু দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়। সুতরাং দেখে শুনে বন্ধু মনোনীত করা উচিৎ ।-- (মেশকাত)

 

        হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণ্না করেন, এক ব্যাক্তি আরয করলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ , এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে তার সতকর্মের কারণে মহব্বত করে ; কিন্তু সে নিজে , তার বন্ধুর সমান সৎকর্ম করে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বল্লেনঃ কোন ক্ষতি নেই। কিয়ামতের দিন মানুষ আত্র সাথেই থাকবে , যাকে সে মহব্বত করে। (অর্থাৎ, সৎলোককে মহব্বত করলে তার প্রতিদান সে পাবে।) --(বুখারী)

 

        অঙ্গীকার ভঙ্গের শাস্তিঃ হুযুর (সাঃ) এরশাদ করেন , যে সম্প্রদায়ের মধ্যে অঙ্গীকার ভঙ্গের অভ্যাস প্রসার লাভ করে, তাদের মধ্যে রক্তপাতের ঘটনা বৃধি পায়। আর যে সম্প্রদায়ের মধ্যে অপকর্মের মাত্রা ব্যপক হয়ে পড়ে , তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বেড়ে যায়। --(আবু দাউদ , হাকেম, নাসায়ী)

 

 

        সঙ্গীর প্রভাবঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে আছে , মন্দ লোকের কাছে বসা অপেক্ষা নির্জনবাস উত্তম এবং লোকের কাছে বাস নির্জন অপেক্ষা উত্তম। মুখ দিয়ে সাধু উক্তি করা চুপ থাকা অপেক্ষা উত্তম এবং চুপ থাকা মন্দ বলা অপেক্ষা উত্তম। --(হাকেম, বায়হাকী)

 

 

        প্রতিবেশি বেছে নেয়াঃ রাসূলিল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, মুসলমানগণ! গৃহনীর্মাণ করার পূর্বে সৎ প্রতিবেশির তালাশ কর এবং পথে বের হওয়ার পূর্বে সৎসঙ্গী খুজে নাও । -(তিবরানী)

 

        দুর্দশাগ্রস্তের সাহায্যঃ হযরত আনাস (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দূর্দশাগ্রস্ত লোককে সাহায্য করে আল্লাহ্‌ তা’আলা তের জন্যে ৭৩ টি মাগফেরাত লিপিবদ্ধ করেন  তন্মধ্যে একটি  মাগফেরাত তার সকল কাজকর্মের সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট । অবশিষ্ট ৭২ টি মাগফেরাত কিয়ামতের দিন তার জান্নাতের স্তর হয়ে যাবে ।--(বায়হাকী, হায়াতুল-মুসলিমীন)

 

        পরিবার-পরিজনের চেতনাঃ হযরত ইবনে মাসউদ ও হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে নবী করীম (সাঃ) বলেনঃ এক  যমানা আসবে , যখন মানুষ তার স্ত্রী, পিতামাতা ও সন্তানের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।তারা তাকে দরিদ্রের জন্যে অহরহ তিরস্কার করবে এবং সহ্যের বাহিরের কাজ করেতে বলবে। ফলে সে এমন কাজে ঢুকে পড়বে যদ্বারা তারা ধর্ম্পরায়ণতা অন্ত্ররহিত হয়ে যাবে এবং সে বরবাদ হয়ে যাবে।- (বায়হাকী-মুসলিমীন)

 

        মুসলিম ভাইয়ের সাথে বিতর্ক ও হাসি-তামাসাঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমারা মুসলমান ভায়ের সাথে (অহেতুক) বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়ো না, তার সাথে (তার অপ্রিয়) হাসি-তামাসা করো না এবং এমন কোনো অয়াদা করো না, যা তুমি পূর্ণ করতে সক্ষম  নও । -(তিরমিযী)

 

        পরনিন্দার প্রতিবাদঃ হযরত আনাস (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যার সামনে তার মুসলমান ভাইয়ের পশ্চাতে  নিন্দা করা হয় এবং সে তার প্রতিবাদ করার শক্তি রাখে ও প্রতিবাদ করে , আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে তার সমর্থন করবেন । আর যদি সে সামর্থ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবাদ না করে , তবে দুনিয়াতে ও আখেরাতে আল্লাহ্‌ তা’আলা তেকে শাস্তি দিবেন।-(শরহে-সুন্নাহ, হায়াতুল মুসলিমীন)

 

 

        পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতাঃ হুযুর (সাঃ) এরশাদ করেন , মুসলমানগণ ! তোমারা তোমাদের গৃহের আঙ্গিনাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখ। যারা গৃহের আঙ্গিনাকে নোংরা রাখে, তারা ইহুদীদের মতো । -(বুখারী, মুসলিম, মুসনাদে-আহমদ)

মুসলমানগণ, তোমারা গৃহসমুহে নামায পড় এবং গৃহসমূহকে কবরস্থানে পরিণত করো না। -(বুখারী, মুসলিম, মসনাদে  আহমাদ) 

  

        হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে আছে , আল্লাহ্‌ তা’আলা পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ওপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে।-(আবুস-সানয়া)

 

        হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) - এর রেওয়ায়েতে রাসূল আকরাম (সাঃ) বলেনঃ মুসলমানগণ! তোমারা তোমাদের শরীরকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখবে।-(তিবরানী)

 

        মুসলমানগণ! তোমারা রোগের চিকিৎসা করো। কেননা, একমাত্র বার্ধক্য রোগ ছাড়া আল্লাহ্‌ তা‘আলা সকল রোগের ঔষধ সৃষ্টি করেছেন। খাদ্যের মধ্যস্থলে বরকত নাজিল করা হয়। অতএব তোমরা পাত্রের কিনারা থেকে খাও-মধ্যস্থল থেকে নয়। মধ্য স্থল থেকে খেলে তা বরকত হীনতার কারণ হবে এবং শালীনতার পরিপন্থী  হবে। -( তিরমিযী) 

 

 

        অঙ্গসজ্জাঃ হযরত যাবের (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের বাড়ীতে এসে এক ব্যক্তিকে দেখলেন, তার সর্বাঙ্গ ধুলা ধূসরিত এবং মাথার কেশ উসকো -খুসকো। তিনি বললেন লোকটির কাছে কোনো চিরুনী নাই কি, যদ্বারা সে তার কেশগুলোকে পরিপাটী করে নিত?  তিনি অপর এক ব্যক্তিকে ময়লাযুক্ত কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখে বললেন তার কাছে কি সেই বস্তু (সাবান ইত্যাদি) নেই , যদ্বারা সে তার কাপড় ধৌত করে নিত?-(মেশকাত)  

 

 

        হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ প্রত্যেকের উচিৎ মাথার চুল দাড়িকে  পরিপাটি করে রাখা।-(আবু দাউদ, মেশকাত)

 

        অতিরঞ্জিত প্রশংসাঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার এক  ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তির মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা শুনে বল্লেনঃ তুমি তো তাকে বরবাদ করে দিলে। এমনি ধরনের অন্য এক স্থানে তিনি বললেনঃ তুমি তোমার প্রার্থির গর্দান উড়িয়ে দিলে। যদি প্রশংসাই করতে হয় , তবে বলঃ আমি ধারণা করি -----। তুমি বাস্তবিকই তা জানলে বল, নতুবা নয়। কোন অজানা বিষয় সম্পর্কে অকাট্য কথা বলা উচিৎ নয়।--(বুখারী, সীরাতুন্নবী)

 

        অল্পেতুষ্টিঃ ফুযালা ইবনে অবায়েদ (রাঃ) এর রেওয়াতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ মোবারক হোক সেই ব্যক্তি, যে ইসলামের হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছে, প্রয়োহন মোতাবেক রুজি লাভ করেছে এবং আল্লাহ্‌ তাকে অল্পে তুষ্ট করেছে।--(যাওয়ায়ে, ইবনে-হোব্বান, সীরাতুন্নবী)

 

        অপবাদঃ হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে  রসূলে করীম (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তার নিরপ্রাধ গোলামের (চাকরের) প্রতি অপবাদ আরোপ করবে, আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার পিঠে কশাঘাত করবেন। তিনি আরো বলেছেনঃ যার মধ্যে যে দোষ নেই , তাকে সেই দোষে দোষি করার অপবাদ  এ থেকে বেছে থাকা উচিৎ।-(আবু দাউদ, সীরাতুন্নবী)

 

       বয়োবৃদ্ধের সম্মানঃ হযরত আনাস (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে যুবক কেবল বার্ধ্যেকের কারণে কোন বৃদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, আল্লাহ্‌ তা’আলা তার বার্ধ্যকের জন্যে এমন ব্যক্তি নিযুক্ত করবেন , যে তার প্রতি সম্মান প্রদ্ররহসন করবে। ---(তিরমিজী, মেশকাত)

 

        জালেম ও মজলুমের সাহায্যঃ হযরত আনাস (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে রাসুলে করীম (সাঃ) এরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি কোনো মজলুমকে সাহায্য করে, আল্লাহ্‌ তা’আলা তার জন্যে ৭৩টি মাগফেরাত লিখে দেন। তন্মধ্যে একটি  মাগফেরাত তার সকল কাজকর্ম সংশোধনের জন্যে যথেষ্ট। অবশিষ্ট ৭২টি মাগফেরাত আখেরাতে তার স্তর বৃদ্ধির আকারণ হবে। (বায়হাকী,মেশকাত)

 

        হযরত আনাস (রাঃ)এর অপর এক রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমারা মুসলমান ভাইকে সাহায্য কর। জালেম হোক অথবা মজলুম । এক ব্যাক্তি আরজ করলঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ, মুজলুমের সাহায্য তো আমি করি। কিন্তু জালিমের সাহায্য কি রূপে করবো? তিনি বললেনঃ তুমি জালিমকে বাধা দিবে।তাকে জুলুম থেকে বিরত রাকাহি সাহায্য করা। --(বুখারী,মুসলিম)

 

 

        বিপদগ্রস্তের প্রতি উপহাসঃ হযরত ওয়াছেলা (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে রসূলে আকরাম (সাঃ) বলনঃ তুমি তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দ প্রকাশ করো না। নতুবা আল্লাহ্‌ তা’আলা তার প্রতি রহম করবেন এবং তোমাকে বিপদগ্রস্ত করবেন। --(তিরমিযী)

  

       কয়েকটি উপদেশঃ হযরত বারা ইবনে জা’বের (রাঃ) বর্ণণা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে সাতটি করনীয় কাজের আদেশ আরেছেন এবং কয়েকটি কাজ করতে নিষেদ করেছেন। করণঈয় কাজগুলো এইঃ

      

        (১) রোগীর কুশল জিজ্ঞাসার জন্যে যাওয়া,

 

        (২) জানাযার সাথে যাওয়া,

 

        (৩) যে হাঁচি দেয়, তের জন্যে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা,

 

        (৪) কসম পূর্ণ করা ,

 

        (৫) মজলুমের সাহায্য করা,

 

        (৬) সালামের প্রসার ঘটানো ও

 

        (৭) দাওয়াতকারীর দাওয়াত কবুল করা। 

 

নিষিদ্ধ কাজগুলো এইঃ

        (১) স্বর্ণের আংটি রাখা,

 

        (২) রৌপ্যের পাত্র ব্যাবহার করা,

 

        (৩) লাল কাপড় পরিধান করা ও গদীর গেলাফ তৈরী করা এবং

 

        (৪) দীবা ও রেশমি বস্তু পরিধান করা। -(বুখারী,মুসলিম)

 

        বন্ধুর সাথে সাক্ষাতঃ হযরত আবু রুযাইন (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে বলেছেনঃ  দ্বীনের মূল শিকড় বলে দিচ্ছি, যাতে তুমি এর মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ লাভ করতে পারঃ

 

        (১) তুমি তাদের মজলিসে বসবে, যারা আল্লাহ্‌ তা’আলার যিকির করে।

 

        (২) যখন একাকী থাক, তখন যতদূর সম্ভব আল্লাহ্‌ তা’আলার স্মরনে জিহ্বাকে সচল রাখবে।

 

        (৩) একমাত্র আআল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্যে মহব্বত করবে এবং তার সন্তুষ্টির খাতিরে শত্রুতা রাখবে ।

 

        (৪)  ঘন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নতুন নতুন মসজিদ প্রতিষ্ঠিত করে মসজিদ ভিত্তিক দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাওয়া, বিশুদ্ধ কোরয়ানী তালিমের ব্যবস্থা করা। বিধ্বস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত  ও ধ্বংসপ্রায় মুখ থুবড়ে  পরা মসজিদ্গুলোকে সংস্কার করে আবার তা জীবন্ত সজীব করা,  প্রত্যেক মসজিদে সুযোগ্য মুয়াজ্জিন ব্যাবস্থা করা।   

 

        (৫) যে সব আলীম ওলামা স্বতস্ফুর্ত ভাবে আলবেনীয়ায় দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে অংশগ্রহণে আগ্রহই অথচ আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সক্ষ্ম হচ্ছে না তাদের যাতায়াত , থাকা খাওয়া ও প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসা। 

 

        (৬) দরিদ্র বঞ্চিত আলবেনীয় মুসলামানরা তীব্র আর্থিক সংকটে  নিপিষ্ট, আর্থিক সংকটের কারণে তারা স্বীয় মান ইজ্জত, ধর্ম-বিশ্বাস ও সংস্কৃতিতে অবিচল তাহকেতে পারছে না। তাই তাদেরকে যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করা।

 

        (৭) আলবেনীয় মুসলিম নারীদের পর্দার সাথে চলার জন্য বোরখাসহ অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণের মাধ্যমে তাদের ইজ্জত আব্রু ও সমভ্রম রক্ষার্থে এগিয়ে আসা। মুসলিম নারী মানস জাগরণের জন্য সুষ্ঠু ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা করা , যেন  ভবিষ্যতের প্রজন্ম মায়ের কোলেই ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করে সোয়ানালী জীবন গড়তে পারে।

 

        (৮) সর্বশেষে আলবেনীয় মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহ্‌র দরবারে বিনয় বিগলিত চিত্তে দোয়া করা । 

        যেন পৃথীবির বুকে আরেকটি বসনিয়া, আরেকটি হার্জেগোভেনিয়ার করুন মৃত্যু গোঙ্গানী ইসলামী বিশ্বকে শুনতে না হয়। যেন তার আগেই ইসলামী বিশ্ব আলবেনিয়ার পাশে দ্বারাতে পারে। যেন হেদায়েতের মশাল নিয়ে তাদের নূরে ইলাহীর পথ দেখাতে পারে। আমরা অদূর ভবিষ্যত দেখতে  চাই একটি ইসলামী আলবেনিয়া। যেখানে চলবে আল্লাহ্‌র কুরআনের শাসন।

 

        আমদের এই আশা বাস্তবায়িত হবে যদি আমরা সকলেই এ ব্যপারে দায়িত্বশীলের পরিচয় দেই।আর এ দায়িত্ব  নোন একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের নয়।  এ দায়িত্ব বিশ্বের  একশ পঞ্চাশ কোটি  মুসলমানের সকলের। পারব কি আমরা দায়িত্বশীলের পরিচয় দিতে। না হয় আলবেনিয়া আর একটি বসনিয়া হতে যাচ্ছে  তা এখন নিশ্চিত বলা যায় । যদি তাই হয় তবে এই ব্যর্থতার  জবাদিহি করতে হবে আমাদের সকলকেই। এখন  সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ । আমাদের সকলকে আল্লাহ্‌ সুবুদ্ধি দান করুন। 

 

*****