JustPaste.it

বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা

কাশ্মীর রণাঙ্গনে হরকত কমাণ্ডারের শাহাদাত বরণ

===============================================

 

         কাশ্মীরে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর একজন বিশিষ্ট কমাণ্ডার চৌধুরী গিয়াসুদ্দিন শহীদ হয়েছেন। তিনি কাশ্মীরের খানপুরে সৈন্যদের সাথে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণ করার সৌভাগ্য লাভ করেন। কয়েক ঘন্টা ব্যাপী এ লড়াইয়ে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিহত হয় কয়েক ডজন সৈন্য। যুদ্ধ শেষে নিহত সেনাদের লাশ ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। শহীদ চৌধুরী গিয়াসুদ্দিন হরকতের একজন পুরানো মুজাহিদ। তিনি গত নভেম্বর মাসে হরকাতের অন্যতম কমাণ্ডার নাসরুল্লাহ লেংরিয়ালের সাথে সহকারী হিসেবে কাশ্মীরে প্রবেশ করেন এবং উল্লেখিত যুদ্ধে তিনি কমান্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। উল্লেখ্য, কমাণ্ডার নসরুল্লাহ লেংরিয়াল ইতিমধ্যে বারমুলা, কুপওয়াড়া ও ইসলামাবাদে বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ পরিচালনা করেছেন। এসব হামলায় ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। তিনি আফগান জিহাদে রাশিয়ান ও আফগান কমুনিস্ট সৈন্যদের নিকট বিভীষিকা হিসাবে চিহ্নিত ছিলেন।

 

 

অধিকৃত এলাকায় আরবদের ঢুকতে দিলে অবস্থার অবনতি ঘটবে-হামাস

----------------------------------------------------------------------

         ইসরাইল সরকার সম্প্রতি আরব ফিলিস্তিনীদের হামলায় ৫ জন ইজরাইলী বসতি স্থাপনকারী ইহুদী নিহত হলে ইসরাইল অধিকৃত আরব ভূখণ্ডে আরবদের প্রবেশ বন্ধ করে দিলে এবং আরবদের ছাটাই করে ইহুদীদের চাকুরীতে নিযুক্ত করার উদ্যোগ নিলে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন ‘হামাস’ ইসরাইলী সরকারকে এ ব্যাপারে হুসিয়ার করে দিয়ে বলেঃ এ ধরণের উদ্যোগ নেয়া হলে আরব অধিকৃত এলাকা শান্ত নয় আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠবে।

 

 

মিসরের জামাআত আল-ইসলামিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিয়েছে

-----------------------------------------------------------------------

         যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিচারক এক রায়ে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে বোমা হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসন জীবন-যাপনরত মিসরের আল জামাআত আল ইসলামিয়া আন্দোলনের নেতা শেখ ওমরকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ ওমর নিউ ইয়র্কের জার্সি শহরের আল-সালাম মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি তার বিরুদ্ধে উথাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বোমা হামলার সাথে সরাসরি জড়িত মোহাম্মদ সালামেহ ও নিদাল আয়াদের সম্পর্কে বলেন যে, এরা প্রায়ই আল-সালাম মসজিদে নামাজ পড়তো কিন্তু তাদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।

 

        ১৯৮১ সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াত আল-ইসলামিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি জামায়াত আল-ইসলামিয়া আন্দোলন মিশরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং মিশরের সেকুলার সরকারের রক্তচক্ষুর সম্মুখীন হচ্ছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী এই সংগঠনের সদস্যদের ওপর ব্যাপক ধর-পাকর ও দমন অভিযান চালাচ্ছে। আমেরিকার সরকারও এদের তৎপরতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এবং এই আরব দেশটিতে ইসলামপন্থীদের উত্থানকে সুনজরে দেখতে পারছেনা। তাই নিউ ইয়র্কের বোমা হামলার সাথে কৃত্রিম যোগসূত্র আকিষ্কার করে জামেয়ার এই নেতাকে সন্ত্রাসী প্রমাণ করে বিশ্বে তাঁর ভাবমূর্তিকে নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে আমেরিকার আধুনিক ফেরাউনী সরকার।

 

 

কাশ্মীরে একজন বিশিষ্ট মুসলিম চিকিৎসক নিহত

----------------------------------------------------------------------

         কাশ্মীরের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবদুল আহাদ ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। ৭ই এপ্রিল ডাঃ আহাদ শ্রীনগরের বারমুল্লায় নিজ বাসভবন থেকে অপহৃত হন। এর দুনিদ পর রাস্তায় তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ডাঃ আহাদ গুরু জে, কে, এল, এফ- এর একজন উর্ধতন সদস্য ছিলেন এবং ১৯৮৯ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুফতি সাঈদের অপহৃত কন্যা রুবাইয়া সাঈদের মুক্তির ব্যাপারে মধ্যস্থতা করেন। জনপ্রিয় এই ডাক্তারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে একদিন পর গত শুক্রবার কাশ্মীর উপত্যকায় ধর্মঘট পালিত হয়। হোটেল- রেস্তোঁরা, অফিস-আদালত, হাসপাতালসমূহ বন্ধ রাখা হয়। শ্রীনগরের রাস্তায় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। পুলিশ এই শোক মিছিলের ওপর গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হয়। এর একজন নিহত ডাঃ গুরু শ্যালক।

 

        ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে মুজাহিদ ও সৈন্যদের মধ্যে দিনভর সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে মুজাহিদ, ভারতীয় সৈন্য ও বেসামরিক লোক মিলিয়ে মোট ১৫ জন নিহত হয়। নিহতদের আলাদা সংখ্যা নির্ণয় করা যায়নি। 

 

 

লিবিয়ার নেতা কাজ্জাফী বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন

-----------------------------------------------------------------------

         এবার লিবিয়ার লৌহ মানব মোয়াম্মার কাজ্জাফী (কাজ্জাফীই তার আসল নাম। ইংরেজী উচ্চারণে তাকে বিকৃত করে গাদ্দাফী বলা হয়) বিশ্বকে আবার চমকে দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, তিনি তার দেশে ইসলামী আইন কঠোর ভাবে প্রয়োগ করবেন, চৌর্য বৃত্তির জন্য হাত কাটা এবং ব্যভিচারীদের প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের ব্যবস্থা সম্বলিত নয়া বিধান জারী করবেন। সরকারী তহবিল চুরির জন্য সরকারী কর্মচারীদের অধিকতর কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। আমরা কাজ্জাফীর এই উপলব্ধিকে এবং তার অদম্য মনোবল, দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু একই সাথে আমাদের দুঃখ প্রকাশ করতে হচ্ছে যে, এমন একজন ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা ও প্রতিভার সেবা থেকে ইসলাম ও মুসলমানরা বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লেখ্য লিবিয়ার শাসন কাঠামো আংশিক ইসলাম ও আংশিক কমুনিজমের সমন্বয়ে প্রণীত। বিচার ব্যবস্থার কোন কোন ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তকে অনুসরণ করা হলেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কমুনিজমের প্রবল দাপট যা ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা ও অস্বীকার করার নামান্তর।

 

         লিবিয়ার এই নেতা সেনাবাহিনীতে যোগদান করার পর থেকেই সমগ্র সাম্রাজ্যবাদীদের কবল থেকে আরবদের মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। এসময় আরব ইসরাইল যুদ্ধ, আরবদের প্রতি আমেরিকা বৃটেন, ফ্রান্স, ইতালীর মোনাফেকী ও ন্যাক্কারজনক ভূমিকার জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতি তার মন ঘৃণায় বিষিয়ে ওঠে। ক্ষমতায় এসে তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হন। কিন্তু নিজের দেশের প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য ইসলামের আর এক দুশমন কমুনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারস্থ হন। ক্রমান্বয়ে ভিয়েত সামরিক অর্থনৈতিক সাহায্যের সাথে সাথে রুশদের সমাজতান্ত্রিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও তার দেশে চালান হয়ে আসে এবং এক সময় কাজ্জাফী লিবিয়াকে বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। মোয়াম্মার কাজ্জাফী যদি খাটি ইসলামের অনুসারী হতেন তবে তাকে তার দৃড়বেতা মনোবলের জন্য সারা মুসলিম বিশ্বে মহান নেতা শ্রদ্ধা করা হত। 

 

 

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম জাগরণ, খৃস্টানদের মনে মাঘের শীতের কাঁপন

---------------------------------------------------------------------- 

        মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুসলিম পূনঃর্জাগরণের ফলে খৃষ্টানরা এসব দেশ থেকে লোটা-কম্বল নিয়ে পালাচ্ছে। গীর্জা ও বিদেশী কনস্যুলার সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতি বছর হাজার হাজার খৃষ্টান মিশর, সুদান, ইরাক, তুরস্ক, জর্ডান, ইসরাইল অধিকৃত আরব ভূ-খণ্ড ছেড়ে আমেরিকা, কানাডা ও পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ খৃষ্টান মধ্য প্রাচ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এ মাসের প্রথম দিকে ভ্যাটিকান থেকে খৃষ্টান বহিরাগমনের এ হারকে অভিশাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের গীর্জা পরিষদের প্রধান গেবরিয়েল হাবিব বলেন, দেশ ত্যাগের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় মধ্য প্রাচ্যের গীর্জাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বা ঘন্টা বাজানোর জন্যও কেউ অবশিষ্ট রইবে না।

 

 

বসনিয়ায় ইসলামী পুনর্জাগরণের ঢেউ বইছে

----------------------------------------------------------------------

        বসনিয়া-হার্জেগোবিনায় ইসলাম তার গোরবজনক ভূমিকায় ফিরে আসছে। বসনিয়ার মুসলমানরা আজ মুসলমান বলে গর্ভ করে। আর এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে ১ বছর ব্যাপী সার্ব-মুসলিম যুদ্ধ। বসনিয়ার মুসলমানরা যুদ্ধের পূর্বে নিজেদের মুসলমান পরিচয় দিতে লজ্জা পেত। তারা ইউরোপীয় চাল-চলনে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছিল। তারা মদ পান করত, শুধু বিবাহের জন্য মসজিদে যেত। একে অপরকে ইউরোপীয় কায়দায় ‘হাই’ বলে সম্বােধন করত। কিন্তু যুদ্ধ তাদের জীবনকে নতুন ভাবে পরিচালিত করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তারা এখন মদ পান ত্যাগ করেছে, আরবী কায়দায় মারহাবা বলে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, মুয়াজ্জিন এখন উচ্চস্বরে মসজিদে আজান দেয়, মুসল্লিতে নামাজের সময় মসজিদ ভরপুর হয়ে যায়। দীর্ঘ দীন পর বসনিয়ার রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় অনুশীলন ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে। মুসলমানরা এখন বসনিয়াকে একটি ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

আলজেরিয়ায় ১৮ জন সৈন্য মুজাহিদদের হামলায় পরপারে পাড়ি জমিয়েছে

----------------------------------------------------------------------

         আলজেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে কাসার আল বোসারীর কাছে এক সেনা ছাউনীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মুজাহিদরা ১৮ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে। ছাউনীতে এসময় সেনারা খেতে বসেছিল। হামলায় একজন ডিউটি অফিসার, একজন নন-কমিশন রেডিও অফিসারসহ ৪ জন রক্ষীও ছোরার আঘাতে নিহত হয়।

 

 

আফগান মুজাহিদরা এবার কাশ্মীর অভিমুখে

----------------------------------------------------------------------

         ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কাশ্মীরে আফগান মুজাহিদদের উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। খবরে জানা গেছে যে, এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে সোপুর শহরে এক প্রচণ্ড বন্দুক যুদ্ধে একজন আফগান ও ২ জন কাশ্মীরী মুজাহিদ শহীদ হয়। এই যুদ্ধে একজন সৈন্য নিহত হয়েছে।

 

 

মিশরের ধর্মীয় নেতাদের বক্তৃতার টেপ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে: প্রশাসন আতঙ্কিত

----------------------------------------------------------------------

         ধর্মীয় নেতাদের বক্তৃতা ধারণকৃত অডিও ক্যাসেট এখন মিশরে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠনের ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। দেশের সর্বত্র গোপনে গোপনে এই ক্যাসেট ছড়িয়ে পড়েছে। একজন বিখ্যাত খতিব আহমদ আল মাহালবীর ভাষণের ধারণকৃত ক্যাসেট বিপুল পরিমাণে বিলি করা হচ্ছে। যাতে তিনি বলেছেন, “বহির্বিশ্বের চেয়ে আগে দেশের অভ্যন্তরে আল্লাহর দুশমনদের পরাভূত করা মুসলমানদের প্রথম কর্তব্য। আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও ধর্মের প্রতি কটুক্তি উচ্চারণকারীর জিহবাকে অচল করে দিতে হবে। ইসলামকে রক্ষা করতে হলে জিহাদের সময় তলোয়ারের প্রয়োজনীয়তার কথা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ইসলামের ওপর যে মিথ্যা ও জঘন্য অপবাদ দেয়া হচ্ছে তাঁর মোকাবিলায় অবশ্যই পাল্টা বাকযুদ্ধের প্রয়োজন রয়েছে।”

 

        খতীব মাহালবী প্রেসিডেন্ট সাদাতের সময় জেল খেটেছেন। তাঁর এবং হামিদ আল কিসককের ওপর ১৯৮১ সাল থেকে প্রকাশ্যে বক্তৃতা বিবৃতি দানের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা গোপন স্থান থেকে ক্যাসেটের মাধ্যমে বক্তৃতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে জামায়াত আল ইসলামিয়ার নেতা নিউ জার্সির আল সালাম মসজিদের অন্ধ খতিব শেখ ওমর আব্দুর রহমানের (৫৪) বক্তৃতা বিবৃতি খুবই আকর্ষণীয়। মিশরের ৬ কোটি লোকের প্রায় ২ লক্ষ মুসলমান আল জামাআত আল ইসলামিয়ার সমর্থক। এদের ১০ হাজার সমর্থক মৃত্যু ভয়হীন মুজাহিদ। এদের সাথে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে গত ১৫ মাসে ১৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে ২৩০ জন। এই অন্ধ খতীবের বক্তৃতা সম্প্রতি মিশরের মসজিদ গুলোর বাইরে পত্রাকারে বিলি করা হয়েছে। ফ্যাক্সের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমেও তা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। রমজানের শেষে বিলি করা সে পত্রে উল্লেখ ছিল, “তোমরা যে রকম শাস্তি ভোগ করছ, সে রকম শাস্তি মিশরের শাসকদের দাও। তারা যদি তোমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে মনে রেখ, আল্লাহ তোমাদের সহায়।”

 

        গত বছর মিশরে ইসলাম পন্থীদের দমন করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইন পাশ করা হয়। এই আইনের আওতায় ইসলাম বিষয়ক যে কোন বক্তৃতা বিবৃতির টেপ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তবুও সেকুলার সরকারের মাথা চিন্তায় হাটুতে এসে ঠেকেছে। তারা ভালো করেই জানেন, দমন নির্যাতন চালিয়ে কখনো কোন ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করা যায় না বরং আঘাতের ফলে মুজাহিদদের ঈমানী চেতনা আরও মজবুত হয়, ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা, মৃত্যুভয়হীন চেতনা নিয়ে তারা লক্ষ্যের পানে এগিয়ে যাবেই। শহীদী রক্ত দেখে তারা দমে যায় না বরং শহীদের রক্ত মুজাহিদদের কাফেলার চলার গতি আরও বেগবান করে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা জারী করে যে তারা ক্যাসেট বিক্রি বন্ধ করতে পারবে না তার জলন্ত প্রমাণ ইরান। ইরানের শাহ শত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও আয়াতুল্লাহ খোমনীর বক্তৃতার টেপ ইরানে প্রবেশ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আর এর ফলেই শাহের পতন তরান্বিত হয়েছিল।

 

 

আর্মেনিয়ান বাহিনীর ট্যাংকের তলায় ৬০ জন আজারী মুসলমানের নির্মম মৃত্যু

-----------------------------------------------------------------------

        সম্প্রতি আর্মেনিয়া আজারবাইজানের কেলবাজহার নগরী দখল করে নেয়ার পর সেখান থেকে ৬০ জন আজারী মুসলমান দুটি ট্রাকে করে পালানোর পথে আর্মেনিয়ান বাহিনী তাদের পথরোধ করে এবং প্রতিটি লোককে ট্যাঙ্কের নিচে পিষে মারে। পরে ট্যাঙ্কের গোলা বর্ষণ করে ট্রাক দুটিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। পাঁচ বছর ধরে নাগারনো-কারাবাখ ছিটমহলটি নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধচলছে।

 

 

কাশ্মীরে প্রচণ্ড ভারত বিরোধী বিক্ষোভ: শহীদের রক্তে লালে লাল শ্রীনগরের রাজপথ

----------------------------------------------------------------------

        কাশ্মীরের পাহাড়গুলোর বরফ গলতে শুরু করেছে। তাই মুজাহিদদের আগ্নেয়াস্ত্রগুলিও ভারতীয় সেনাদের বুকে রক্তের আলপনা একেদিয়ে নববর্ষের স্বাগতম শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে দিয়েছে। এরই প্রতিফলন ঘটল ১১ ই এপ্রিল শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থল রেড স্কোয়ারে আযাদী পাগল কাশ্মীরের মুসলমানদের প্রচণ্ড বিক্ষেতে ফেটে পড়ার ঘটনায়। প্রায় দেড় হাজার নারী ও পুরুষ “আমরা স্বাধীনতা চাই”, “ভারত সরকারের পতন হোক”, ইত্যাদি শ্লোগানে ফেটে পড়ে। এর পূর্বের দিন একই স্থানে কাশ্মীরী মুজাহিদ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এক প্রচণ্ড বন্দুক যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে ভারতীয় সেনারা দোকান-পাটে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দেড় শত বাড়ী দুইশত দোকানপাট, ছয়টি হোটেল ভস্মীভূত হয়। এলাকায় দু পক্ষের গুলি বিনিময়ের ফলে এবং অগ্নিকাণ্ডের ফলে লোকজন আটকা পড়ে যায় এবং অগ্নিদগ্ধ হয়ে অর্ধ শতাধিক নিহত হয়। তাড়াহুড়া করে নৌকায় করে খরস্রোতা ঝিলাম নদী পার হওয়ার সময় ১৮ জন মুসলমান নৌকা উন্টে ঢুবে মারা যায়। উক্ত সংঘর্ষে ৫ জন সৈন্যও নিহত হয়। পরের দিন এ ঘটনার প্রতিবাদে কাশ্মীরীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানালে নিরাপত্তা বাহিনী মিছিলের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে এতে ৩৮ জন ঘটনাস্থলে শহীদ হয়। কাশ্মীরে গ্রীষ্ম মওসুম শুরু হওয়ায় বরফ গলতে শুরু করায় মুজাহিদদের পক্ষে অভিযান পরিচালনা সহজতর হচ্ছে। এরই ফলে কাশ্মীরে এখন সংঘর্ষ নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। উক্ত ঘটনার ২ দিন পূর্বে শ্রীনগরের পাশ্ববর্তী একটি এলাকায় মুজাহিদদের পেতে রাখা একটি ল্যাণ্ড মাইনের আঘাতে বি, এস, এফ এর একটি গাড়ী বিধ্বস্থ হলে তাতে ৪ জন বি, এস, এফ সৈন্য নিহত হয় এবং গুরুতর আহত হয় আরও ৩ জন।

 

গ্রন্থনায়ঃ ফারুক হোসাইন খান