JustPaste.it

বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা

 

ফিলিপাইনে মুজাহিদ ও সরকারী সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ

==================================================

        ফিলিপাইনের মুসলিম মুজাহিদ ও সরকারী সৈন্যদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। বিসমিল্ল দ্বীপের সরকারী সৈন্যরা চারটি মুজাহিদ ঘাঁটির ওপর আক্রমণ করে দখল করে নিয়েছে। অপর দুটি ঘাঁটিতে প্রবল প্রতিরোধের মুখে সৈন্যদের ফিরে আসতে হয়েছে। এই আক্রমণে ভারী আর্টিলারী বাহিনীর সাথে ফিলিপিনি বিমান বাহিনীও অংশ নেয়। তারা মুসলিম বসতীপূর্ণ অঞ্চলে প্রচণ্ড বোমা বর্ষন করে। এতে তেরজন মুসলমান শাহাদাত বরণ করেন।

 

        ইতিপূর্বে মার্কোস সরকারের পতনের পর মিসেস কোরাজান একিনো ক্ষমতা গ্রহণ করে মুসলিম অধ্যুষিত মিন্দানাও, সু এবং অন্যান্য দ্বীপে প্রচণ্ড সামরিক অপারেশন চালায়। এই অপারেশনে অগণিত মুসলমান হতাহত হয়। অবশেষে অন্যান্য মুসলিম দেশের চাপের মুখে ফিলিপিন সরকার সেখানকার মুসলমানদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা এবং আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসনের অধিকার মেনে নেয়। কিন্তু পরবর্তী কালে সৈন্যদের চাপের মুখে সে দাবী পূরণে ব্যার্থ হন। যার ফলে সেখানকার মুসলমানরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে। চলতি হামলার জন্য একজন খ্রীস্টান পাদরী ও একজন শিশুকে অপহরণের দায়-দায়িত্ব মুসলিম স্বাধীনতা কামীদের ওপর চাপানো হয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে মুলমানদের ওপর যে যুলুম নির্যাতন চালানো হচ্ছে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

 

 

রুশ সীমান্ত ফাড়িতে তাজিক মুজাহিদদের আক্রমণ

-----------------------------------------------------------------

         ১৬ ই জুলাই, মস্কো থেকে রয়টারঃ প্রায় দুইশত তাজিকি ও আফগান মুজাহিদআফগান সীমান্তবর্তী তাজিক স্থানের এক রুশী সীমান্ত রক্ষী ফাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। তাজিকিস্থানে রুশ কমন ওয়েলথ টেলিভিশনের খবরে জানা যায়, এই আক্রোমণে আফগান সীমান্ত থেকে তের কিলোমিটার দূরে একটি ঘাঁটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সীমান্ত এলাকায় এখনও লড়াই অব্যাহত আছে বিধায় সেখানে আরো রুশ সৈন্য প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ থাকে যে, মুসলিম জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাত করে সেখানে পুনরায় কমুনিস্টরা ক্ষমতা দখলের পর হাজার হাজার তাজিক মুসলমান আফগানিস্তানে হিযরত করতে বাধ্য হয়। তাদের মধ্য থেকে মুসলিম যুবকরা সমারিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পুনরায় প্রবেশ করে। সেখানে অবস্থানরত রুশ নৈস্য ও তাদের সহযোগী কমুনিস্টদের সাথে জিহাদ শুরু করে।

 

কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যদের বিশৃঙ্খলায় সরকার বেসামাল

-----------------------------------------------------------------

         ২৩ শে জুন ভারতীয় রেডিও দূরদর্শনের খবরে প্রকাশ যে, ভারত সরকার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডাইরেক্টর জেনারেল ওয়াই এস থাথাকে বরখাস্ত করে সামরিক কোর্টে বিচারের জন্য সোপর্দ করেছে। এছাড়া ডি, আই, জি অশোক পাতিল এবং কমান্ডেন্ট রোহিল পাতিলকে শাস্তি স্বরূপ বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে। এই তিনজন সিনিয়র অফিসারের ওপর মুজাহিদদের কাছে অস্ত্র বিক্রয়ের অভিযোেগ আনা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিম্ন অফিসার সাধারণ কর্মকর্তাদের মুজাহিদদের কাছে অস্ত্র বিক্রয়ের ঘটনা অতি সাধারণ। এর পূর্বেও এ ধরণের বহু ঘটনা প্রকাশ হয়েছে এবং অনেক অফিসারকে এই অভিযোগে চাকুরী হারাতে হয়েছে।

 

        ১৯৯২ সনের প্রথম দিকে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কয়েকজন অফিসারকে অভিযুক্ত করা হয়। এবার তাদের ডাইরেক্টর জেনারেলকে কোর্ট মার্শালে প্রেরণের মধ্য দিয়ে এ খবরের সত্যতা প্রমাণিত হল যে ভারতীয় সৈন্যরা টাকার বিনিময়ে মুজাহিদদের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে। এজন্য তাদেরকে সীমান্ত অতিক্রম করে অন্যদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ভারতীয় দূরদর্শনের ও রেডিওর অপর এক খরবে বলা হয় যে, অস্তনাগ (ইসলামাবাদ) জেলার ডেপুটি কমিশনার ও দুইজন সহকারী কমিশনার সহ ছয় জন উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা জনগণের সেবা মূলক কাজে খচর করার পরিবর্তে আত্মসাৎ ও মুজাহিদদের দিয়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিজেদের জীবন রক্ষার তাগিদে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ মুজাহিদদের তহবিলে চাঁদা প্রদান করেছে। এর দ্বারাই কাশ্মিরী সরকারী কর্মকর্তাদের বিশৃঙ্খলা ও মুজাহিদদের ভয়ে ভীত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।

 

 

কাশ্মীরী মুজাহিদরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে

-----------------------------------------------------------------

         গত পনেরো দিন কাশ্মীরী মুজাহিদরা সরকারী সৈন্যদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। বারমুলায় মেজর জেনারেল ও কর্ণেলের নিহত হওয়ার খবর বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সৈন্যদের মনোবল রক্ষার্থে অনেক খবরই অপ্রকাশিত রাখা হয়। তা সত্ত্বেও ১২ই জুন হিন্দুস্তান টাইমসের এক নিবন্ধে মুজাহিদদের কাছে পরাজয়ের খবর স্বীকার করে বলা হয় যে, অধিকৃত কাশ্মিরে তিনজন জেনারেল সহ হাজার হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে। সরকারী সৈন্যরা সাজোয়া গাড়ী ছাড়া রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। কয়েক স্থানে মাইন বিস্ফোরণে সৈন্যে ভর্তি সাজোয়া গাড়ীও ধ্বংস হয়েছে। ১৯৯৩ সনের প্রথম দিকে ৩০০ ব্যাটালিয়ান ভারতীয় সৈন্য কাশ্মীরে নিয়োজিত ছিল। তাতে তাদের সংখ্যা চার লাখের বেশী হয়। বর্তমান খবর অনুযায়ী সৈন্য সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১৬ ডিভিসনে পৌছেছে। হিসাব অনুযায়ী কম করে হলেও ছয়লাখ সৈন্য কাশ্মিরের লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে। এত বিপুল সংখ্যক সৈন্যর উপস্থিতিতেও মুজাহিদদের বিজয় অব্যাহত রয়েছে।

 

 

মাইন বিস্ফোরণ

-----------------------------------------------------------------

         ১২ ই জুন কাশ্মিরের দক্ষিণ অঞ্চলের গুনডারবিহ নামক স্থানে জাতীয় সড়কের ওপর এক মাইন বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে এক সৈন্যবাহী বাস ধ্বংস হয় ও তাতে আগুন লেগে যায়। বাসের আরোহী চল্লিশজন সৈন্য নিহত হয় বলে সরকারী তথ্য বিবরণীতে জানা যায়। এই বিস্ফোরণের পর জাতীয় মহা সড়ক ছয় ঘন্টা বন্ধ থাকে এবং প্রতিশোধ পরায়ন ভাতরীয় সৈন্যরা আশে পাশের গ্রামবাসীদের ওপর নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করে। যার ফলে কয়েক ডজন গ্রামবাসী হতাহত হয়। ২২ শে জুন মুজাহিদরা শ্রীনগর সেক্রেটারীয়েট ভবনে রকেট হামলা চালায়। যার ফলে কয়েকজন সরকারী কর্মচারী আহত হয়েছে বলে সরকারী পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

 

 

অধিকৃত কাশ্মিরের শিখ সৈন্যরা পালিয়ে মুজাহিদের সাথে মিলিত হচ্ছে

-----------------------------------------------------------------

         ভারতীয় সৈন্যদের শিখ রেজিমেন্টের হাবিলদার রমেশ সিং অস্ত্রসহ মুজাহিদদের সাথে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। তার বর্ণনা অনুযায়ী কাশ্মিরে অবস্থানরত সৈন্যদের অবস্থা অত্যন্ত খারাব। তাদের ছুটি দেয়া হয় না এবং ভাল খাদ্যও সরবরাহকরা হয় না। অফিসাররা আমাদের এই বলে পাঠিয়েছিল যে, সেখানে নির্বাচন হবে। কিন্তু সেখানে তো রীতিমত যুদ্ধ চলছে। এজন্য অফিসার ও সৈন্যদের সব সময় মতবিরোধ লেগে আছে। সে মুজাহিদদের সাথে মিলিত হয়ে ভারতীয় সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

 

মুজাহিদ সাব্বির শাহ উনিশ বছর ধরে জেলে বন্দী আছেন

-----------------------------------------------------------------

         ১৮ ই জুন থেকে ২৩ শে জুন পর্যন্ত সমগ্র কাশ্মিরে যে সকল কাশ্মিরী মুসলমান ভারতে বন্দী রয়েছে তাদের স্মরণে “জিন্দান” সপ্তাহ পালন করা হয়। ১৮ ই জুন পিপলস লীগের নেতা সাব্বির শাহের বন্দী জীবনের উনিশ বছর পূর্ণ হয়। ৩৯ বছরের সার্বির শাহ আজাদী আন্দোলনের অকুতভয় নেতা। উনিশ বছরে ভারতীয় সরকার এই দৃঢ়চেতা আপোযহীন নেতাকে স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে বিরত রাখার জন্য সর্ব প্রকারের চেষ্টা চালায়। বড় রকমের পদ, ভয়, লোভ ও নানা রকমের ফন্দি ফিকির করেও শারির শাহের মাথা নিচু করাতে পারেনি।

 

 

কাশ্মির ফ্রিডম মুভমেন্টের সুপ্রিম কমাণ্ডারের ইন্তেকাল

-----------------------------------------------------------------

         ৬ ই জুন ইসলামাবাদ, কাশ্মির ফ্রিডম মুভমেন্টের সুপ্রিম কমাণ্ডার সাইয়েদ আব্দুল হামিদ দেওয়ান গত ৪ঠা জুন শুক্রবার পাকিস্তানের গুজরাট শহরের মুহাজির কাশ্মিরীদের আয়োজিত এক জনসভায় ভাষন দান শেষে লাহোর ফেরার পথে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহে-রাজিউন)।

 

        মরহুম আবদুল হামিদ দেওয়ান ১৯৩৬ সালে অধিকৃত কাশ্মিরের বারামুলা জিলার বান্ডিপুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ কনে। তার পিতার নাম ছিল মৌলভী হেসাম উদ্দীন।

 

        প্রাথমিক শিক্ষা নিজ ঘরে গ্রহণ করার পর তিনি বাবাগণ্ড নামক প্রাইমারী স্কুল ভর্তি হন। মেট্রিক পাশের পর আব্দুল হামিদ দেওয়ান শ্রীনগর কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে আই, এ, পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য জম্মু ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করেন। এই সময় তিনি সমমনা ছাত্রদের নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম জোরদার করার লক্ষ্যে “ফ্রিডম ফাইটার ফর মাদার ল্যাণ্ড” নামক একটি যুব সংগঠন গঠন করেন। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে এর খবর পৌছে যাওয়ায় তারা এর কার্যক্রম স্থগিত রাখে। জম্মু ইউনিভার্সিটি থেকে এম, এ, ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি সেনা বাহিনীতে ভর্তি হন। সেনা বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার আসল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। প্রশিক্ষণ শেষ হতেই তিনি সৈন্য বিভাগ ছেড়ে আযাদী আন্দোলনে নেমে পড়েন।

 

        ১৯৬৮ স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরী যুবকরা “আল ফাতাহ” নামক একটি গোপন সংগঠন গড়ে তুলে। দেওয়ানী সাহেব এই দলের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। ভাতরীয় গোয়েন্দ সংস্থা ‘র’ এই সংগঠনের কার্যকলাপে ভীত হয়ে এর ১২শ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে দেওয়ানী সাহেবও ছিলেন। এ সময় তিনি এক বছর তিন মাস বন্দী ছিলেন। (সর্বমোট তিনি জীবনে দশ বছর জেল খাটেন। পাকিস্তানে যে সময় জেলে অন্তরীণ ছিলেন তা এ হিসাবে ধরা হয় নি) জেল থেকে বের হয়ে তিনি পুরানো সাথীদের একত্রিত করে বিমান হাইজ্যাকের পরিকল্পনা নেন। মূলতঃ বিশ্ব বাসীর কাঝে কাশ্মিরবাসীদের ওপর ভারতীয় নির্যাতনের খরব পৌছে দেওয়ার জন্য এই ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন।

 

        ১৯৭৬ সনে রমজান মাসে ছয়জন নির্বাচিত সাথীসহ বোয়িং ৭৩৮ বিমান হাইজ্যাক করেন। প্রথমে তিনি এই বিমান নিয়ে লিবিয়া যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জ্বালানী শেষ হয়ে যাওয়ায় লাহোর অবতরণ করতে বাধ্য হন। পাকিস্তানের তদানিন্তন প্রধান মন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো তাকে ধোঁকা দিয়ে বিমান থেকে নামিয়ে জেলে পুড়ে রাখেন। জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি মুক্তি পান। পাকিস্তানের জেল সম্পর্কে তিনি এক মজার তথ্য দিয়েছেন। বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি জেলের দেয়ালে কাশ্মিরী স্বাধীনতা ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর মোনাফেকির ওপর কবিতা লিখে রেখেছিলেন। জেনারেল জিয়াউল হক তাকে মুক্তি দিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টোকে সেই একই সেলে বন্দী রাখেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ১৯৭৮ সনে কাশ্মিরে ফ্রিডম মুভমেন্ট গঠন করেন। এই দলের সুপ্রিম কমাণ্ডারের দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।

 

        এই সময় আফগানিস্তানে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছিল। এই বীর মুজাহিদ আফগানিস্থানে উরগুন সেক্টরে মওলানা আরসালান রহমানীর নেতৃত্বে জিহাদে অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়া খোস্ত সেক্টরেও তিনি জিহাদে অংশ নিয়েছেন।

 

        জিহাদে কাশ্মিরে, তার হবান চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭৩ সনে বিমান ছিনতাইর পর সুদীর্ঘ ৩ বছর তিনি নিজ পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। তিনি যখন দেশ ত্যাগ করেন তখন তার একমাত্র পুত্রের বয়স আট মাস। ১৯৯০ সনে খবর আসে তার পুত্র জাহাজীব শহীদ হয়েছে। তিনি শুনে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ বেটা বাপের থেকে শাহাদাতে অগ্রগামী হল। (পরে খবর পাওয়া গেছে, তথ্য সঠিক ছিল না। তার ছেলে এখনও বেঁচে আছে)।

 

 

বসনিয়ায় মুসলিম বানিহীর অব্যাহত বিজয়

-----------------------------------------------------------------

         বসনিয়ার মুজাহিদরা ক্রমাগত বিজয় অর্জন করে চলছে। গত জুন ও জুলাই মাস ছিল মুজাহিদদের বিজয়ের মাস। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মুজাহিদরা মধ্য বসনিয়ার ট্রাভলিক শহর দখল করে নেয়। শক্তিশালী ক্রোট বাহিনীকে পরাজিত করে। এসময় প্রায় এক হাজার ক্রোট মিলিশিয়া আত্মসমর্পণ করে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মুসলিম মুজাহিদরা আর এক সফল আক্রমণ চালিয়ে মধ্য বসনীয় জিপসী শহর দখল করে নেয়। এসময় ৪০ হাজার ক্রোট শহর থেকে পালিয়ে যায়। ৪০ জন ক্রোট সৈন্য এ হামলায় নিহত হয়। জুনের ১৭/১৮ তারিখে তারা ক্রোটদের নিকট থেকে মধ্যাঞ্চলীয় শহর কাকাঞ্চা এবং গত ১৭ ই জুলাই মুজাহিদরা বিশ দিন যাবৎ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে সার্ব ক্রোটদের সম্মিলিত বাহিনীকে পরাস্ত করে দখল করে নেয় ফেজালিকা শহর। জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার ফলে বসনিয়ার মুজাহিদরা এক প্রকার নিরস্ত্র একটা বাহিনী। এর পরও তারা সুসংহত হয়ে যেভাবে আক্রমণ অভিযান চালাচ্ছে তা রীতিমত খৃষ্ট সার্ব-ক্রেট এমনকি পাশ্চাত্যের সরকার গুলির মনেও বিস্ময় ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

 

 

বসনিয়ার জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আহবান

-----------------------------------------------------------------

         মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাণ্ড ইমাম শেখ আল হক-আলী জাদ আল হকের প্রতিনিধি শেখ জামাল কুতুব কায়রোতে হাজার হাজার মুসলমানের এক সমাবেশে গত ২৬শে জুন বিশ্ব মুসলিমকে বসনিয়ার জিহাদে অংশ গ্রহণ করার আহবান জানান। তিনি বক্তৃতায় বসনিয়ার জাতিসংঘের দ্বিমুখী নীতিরও কঠোর নিন্দা ও সমালোচনা করেন।

 

 

৫ কাশ্মিরীকে পুড়িয়ে হত্যা

-----------------------------------------------------------------

         গত ২৮ শে জুন ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনী অনন্তনাগ শহরে মুসলমানদের বাড়ীতে অগ্নি সংযোগ করলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫ জন মুসলমান শহীদ হন। রাজধানী শ্রীগরে এক ভূমি মাইন বিস্ফোরণ ঘটনায় ২ জন সীমান্তরক্ষী নিহত হয়।

 

     ❝মুমিন হিসেবেই যখন আমি নিহত হতে যাচ্ছি, তখন কোন পার্শ্বে শায়িত অবস্থায় আমি প্রাণ দিচ্ছি, সে চিন্তায় আমি একবিন্দু কাতর নই ৷ -খাব্বাব ইবনুল ইব্ত (রাঃ)।❞

 

*****