আমরা যাদের উত্তরসূরী
মুসলিম উম্মাহর মহান রাহবার হযরত হাসান বসরী রহ.
আসাদ মাহমুদ
====================================================================
হযরত হাসান বসরী (রাঃ) ২১ হিঃ মােতাবেক ৬৪২ খৃঃ যায়েদ ইবনে হারেসার ভৃত্য হযরত ইয়াসার এর ঔরসে এবং উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমার খাদেমা খায়রার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উম্মে সালমার (রাঃ) দুগ্ধ সন্তান হওয়ার গৌরব লাভ করেন। হাসান বসরীর লালন-পালন ও বাল্য শিক্ষা উম্মে সালমার (রাঃ) তত্ত্বাবধানে সুসম্পন্ন হয়। এ সুবাদে উম্মে সালমা (রাঃ)-এর চরিত্র মাধুরী, উত্তম গুণাবলী ও পূত-পবিত্র চিন্তা চেতনা হাসান বসরীর জীবনে পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হয়। মদীনার মর্যাদা সম্পন্ন সাহাবী ও অপরাপার উম্মুল মুমিনীন থেকেও হাসান বসরী জীবন চলার পাথেয় সঞ্চয় করেন। বিশেষ ভাবে হযরত আলী (রাঃ)-এর সাথে ছিলাে তার সুগভীর সম্পর্ক ও অকৃত্রিম আন্তরিকতা। এ সুগভীর সম্পর্কের ফলে হাসান বসরীর দেহ-মন দ্বীনের মযবুতী, নিবিষ্ঠচিত্তে এবাদত এবং জ্ঞান ও হিকমতের রংয়ে রঞ্জিত হয়। যৌবনের প্রারম্ভে হাসান বসরী মাতা পিতার সঙ্গে বসরা আগমন করেন এবং বসরাতেই বহু সাহাবীর (রাঃ) নিকট শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা লাভ করেন। তিনি মৃত্যু পর্যন্ত বসরাতেই বসবাস করেন।
হাজ্জায ইবনে ইউসুফ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময় গভর্নরের পদ পেয়ে জুলুম-শােষনের রাজ কায়েম করে। তার উলঙ্গ তরবারীর আঘাতে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর সহ আরাে অনেক সাহাবী ও তাবেয়ী শাহাদাত বরণ করেন। এ ছাড়া মুআবিয়া (রাঃ)-এর ইন্তেকালের পর ইসলামী বিশ্বের প্রশাসন-যন্ত্র জুলুম, প্রতারণা ও মুনাফেকীর নৈতিক রােগে মারত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। শাসককূলের এ অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার ফলে মুসলিম সমাজ ক্রমশ দ্বীন হতে দূরে সরে বিলাসীতা, প্রবণ ও আত্মভােলা হতে থাকে। মুসলিম উম্মাহর এ দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে ইসলামের মর্দে মুজাহিদরা এগিয়ে আসেন-তাঁরা সােচ্চার কণ্ঠে এর প্রতিবাদ জানান। শাসককূলের জুলুম, অবহেলা ও মুসলিম সমাজের বিলাসিতার বিরূদ্ধে তারা গর্জে উঠেন। এসব মর্দে মুজাহিদের মধ্যে ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ (রহঃ) ও হাসান বসরী (রহঃ)-এর নাম সবিশেষ উল্লেখযােগ্য। হিজরী ৬০ দশক হতে সূচিত প্রশাসন ও সমাজের উল্লিখিত নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিকার ও সংস্কারের জন্য প্রয়ােজন ছিল কুরআন ও হাদীসের গভীর পাণ্ডিত্য, তেজস্বী বক্তৃতা, দূরন্ত সাহসীকতা ও আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণ একজন মহান ব্যক্তিত্বের। হাসান বসরীর (রহঃ) মাঝে এ যােগ্যতা ও গুণাবলী বিদ্যমান ছিল পূর্ণরূপে।
জ্ঞান ও হিকমতঃ আল্লাহ পাক হাসান বসরীর (রহঃ) হৃদয়ে জ্ঞান ও হিকমতের মহান ধারা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। বারী বিন আনাস (রহঃ) বলেনঃ “আমি দীর্ঘ দশ। বছর যাবৎ হাসান বসরীর (রহঃ) দরবারে এসে তার থেকে নিয়মিত মূল্যবান উপদেশ গ্রহন করেছি, প্রতিদিন তার মুখে এমন সব নতুন কথা শুনতাম যা ইতিপূর্বে কখনও কারও কাছে শুনিনি।”
তার সমকালীন এক বুযুর্গ হাসান বসরীর প্রশংসা করে বলেছিলেনঃ জ্ঞান ও হিকমত, খােদাভীতি ও যুহদ, ফিকাহ ও তার সূক্ষ বিবেচনার ক্ষেত্রে হাসান বসরী যেন উজ্জ্বল একটি নক্ষত্র। সব ধরনের লােক তার সান্নিধ্যে উপকৃত হত। তাঁর মজলিসে একই সময় কেউ তাফসীর, কেউ হাদীস, আবার কেউ ফেকাহ-এর সবক নিত। কেউ আধ্যাত্মিকতার সবক নিত, অথবা তার মূল্যবান উপদেশ শুনতাে। তাঁর ইলমের বিশাল সরােবর সমুদ্রের ন্যায় তরঙ্গায়িত হতাে। প্রতিনিয়ত কূলে আছড়ে পড়তাে সেই তরঙ্গগুলাে। এতটুকু সময় তার অবসর নেই। অসম্ভব রকম ব্যস্ততায় কাটে তার দিনগুলাে। সত্যের আদেশ ও মিথ্যার প্রতিরােধে তিনি ছিলেন চির নির্ভীক। জালিম শাহীর সামনে স্পষ্টভাষিতা তাঁর চরিত্রের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য। বসরাতে বহু বিজ্ঞ আলিম ও মুহাদ্দিস থাকা সত্ত্বেও সবাই যেন কি এক মােহময় আকর্ষণে ছুটে আসত তার মজলিসে। হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর এক অমুসলিম পণ্ডিত সাবিত বিন কুব্বাহ বলেনঃ “উম্মতে মুহাম্মদীর যে সব মনীষী ঈর্ষনীয়-হাসান বসরী (রহঃ) তাদের অন্যতম।”
বক্তৃতা ও সাহিত্যঃ হাসান বসরী আরবী ভাষার যুগশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকও ছিলেন। হাজ্জায ছিলেন সে যুগের প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক। আরবী ভাষাভাষীরা উভয়কে আরবী সাহিত্যে সমদক্ষতাবান গণ্য করত। আরবী ভাষার বিখ্যাত ব্যাকরণবিদ আবু উমার ইবনে আ’লা বলেনঃ হাসান ছিলেন হাজ্জাযের চেয়েও সুসাহিত্যিক। সাহিত্য নির্মাণে হাসান ছিলেন হাজ্জাযের চেয়েও দক্ষ। (দায়েরাতুল মাআরিফ)।
তাঁর বক্তৃতা ছিল অত্যন্ত মাধুৰ্যপূৰ্ণ-যা হৃদয়ে সহজে রেখাপাত করত। কথা বললে যেন পুষ্প বর্ষণ হত। আখেরাতের বর্ণনা দিলে শ্রোতাদের মাঝে বাঁধভাঙ্গা ক্রন্দনের রােল উঠত। হাসান বসরী (রহঃ) নবীজী (সাঃ)-এর সাহাবীদের পুণ্য জীবন গভীরভাবে অনুধাবন করে স্বীয় জীবনে তা যথাযথভাবে প্রতিফলিত করেছিলেন। এটাই তার জীবনে সফলতার কারণ। তার বক্তৃতায় সাহাবীদের জীবনালােচনা ছিল আবশ্যকীয়। তিনি দক্ষতার সাথে মুসলিম সমাজের সূক্ষ্মতর নৈতিক রােগগুলাে নির্ণয় করে বক্তৃতা ও উপদেশের মাধ্যমে সেসব রােগের নিরাময় ও প্রতিকার ব্যবস্থায় আন্তরিকভাবে স্বচেষ্ট ছিলেন আমৃত্যু। এটাই তাঁর সফল জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব। দুনিয়ামুখীতা ও বিলাস-ব্যসন প্রিয়তার বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিলাে সদা সরব- প্রতিবাদমুখর।
একবার তিনি এক বক্তৃতায় বলেন, “হায় আফসোস! মিথ্যা আশা আর কল্পনা-বিলাস মানুষকে ধ্বংস করে দিল। আলােচনা পর্যন্তই ইসলাম সীমিত, ইলম আছে কিন্তু আমলী তৎপরতা নেই। জ্ঞান আছে, বিবেকের তাড়না নেই। খােদার এমন বান্দার দেখা আজ মিলে, যাকে আপন করে নেয়া যায়। বুদ্ধিমান লােকও আজ প্রতারিত হয়। হারামের চর্চা এক পর্যায়ে তা হালাল ভাবতে বাধ্য করে। মুমিন তাে সে যে দ্বীনের ব্যাপারে দৃঢ়পদ ও মযবুত ঈমানের অধিকারী। তার ইলম ও সহনশীলতা হবে একে অপরের সহযােগী। মুমিন হবে বিচক্ষণ এবং নম্র। সে যদি নিঃস্ব হয় তাহলে তার দৃঢ় মনােবল তার দারিদ্র্যকে ডেকে রাখবে। ধনী হলে সে মধ্যম পন্থা গ্রহণ করবে। নিঃস্ব দরিদ্রের জন্য ব্যয় করতে সে হবে উদার হস্ত। হক আদায়ে মুমিন হবে নীতিবান ও সুবিবেচক। মুমিনের চরিত্র হবে, সে খােদা ব্যতীত কারাে প্রতি ভরসা করবে না। সে হবে জনসমক্ষে গম্ভীর, নির্জনে চিন্তামগ্ন, রিযিকে সন্তুষ্ট, স্বচ্ছলতায় কৃতজঃ, দুঃখ- মুসীবতে ধৈর্যশীল, অমুসলিমদের মাঝে খােদাকে স্মরণকারী এবং খােদাকে স্মরণকারীদের মাঝে হবে অনুতপ্ত-হৃদয়। এসব হল আসল মুমীনের পরিচয়।”
সাহাবা (রাঃ)-গণের চরিত্র ছিল এমনই। তাই তারা যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন সত্যের পতাকা হাতে তাঁরা স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। স্বাবলম্বীতা ও মর্যাদার সাথেই তারা দুনিয়া হতে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন।
সাহসীকতাঃ স্বভাবগতভাবে হাসান বসরী (রহঃ) ছিলেন শাসক ও প্রশাসনের অত্যাচার, নিপীড়ন ও স্বেচ্ছাচারিতার মুকাবিলায় সােচ্চার। স্পষ্ট ভাষায় নির্ভয়ে তাদের উপদেশ দিতেন ও সতর্ক করতেন। তার জবানে সত্যের স্পষ্ট উচ্চারণে হাজ্জাযের মত শক্ত হৃদয় জুলুমবাজ শাসকও শ্রদ্ধায় বিগলিত হত। একবার এক ব্যক্তি হাসান বসরীকে জিজ্ঞেস করে, মুনাফিকের অস্তিত্ব এখনও আছে কি? তিনি উত্তরে বলেনঃ “মুনাফিকেরা আজ শুধু অস্তিত্বশীলই নয় বরং তারা আজ অত্যন্ত শক্তিশালী।” একথা দ্বারা তিনি প্রচ্ছন্নভাবে সকরার ও প্রশাসনের প্রতি ইংগিত করেছেন। হাজ্জায ইবনে ইউসুফ একবার চোখ ধাধানাে মনােরম এক অট্টালিকা নির্মাণ করে সবাইকে তা দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। একথা শুনে সবাই তা দেখতে যায়। মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয় তাই এর অসারতা বুঝাতে তিনিও গেলেন। আলীশান মহল দেখে লােকদের বিস্ময়াবিভূত হওয়ার কথা ভেবে তিনি তাদের সম্বােধন করে বলতে লাগলেনঃ “লােকসকল! হাজ্জায একটা মহল তৈরী করেছে মাত্র। এতে কোন বিস্ময়ের কথা নয়। এর পূর্বে কারুন এবং জঘন্য অত্যাচারী ফেরাউনও এর চেয়ে জাকজমক পূর্ণ অট্টালিকা তৈরী করেছিল।
কিন্তু আল্লাহ পাকের ইঙ্গিতে সে মহল ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। হায়, হাজ্জায কি জানে যে, এই আকাশ আর এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা এই মহলের প্রতি নারাজ এবং দুনিয়াবাসী যে এ মহল দেখে শুধু প্রতারিতই হচ্ছে”! শুধু তাঁর এ প্রত্যয়দীপ্ত ভাষণে এক ব্যক্তি শংকিত হয়ে বললঃ 'হে হাসান বসরী! সমাপ্ত করুন।' হাসান বসরীর (রঃ) কণ্ঠে আবার ধ্বনিত হল, “আল্লাহ পাক জ্ঞানী-আলিমদের থেকে প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন যে, তারা সত্যকে সুস্পষ্ট ভাষায় উচ্চারণ করবে।” তাঁর এ কথা শুনে পরদিন হাজ্জায দরবারে প্রবেশ পূর্বক অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বজ্ৰগম্ভির কণ্ঠে সভাসদকে বল্লো, এখনই হাসান বসরীকে হাজির কর! তাকে আজ রক্তে রঞ্জিত করব! তিনি হাজির হলেন। নির্ভীক চিত্তে দরবারে প্রবেশ করে মুখনেড়ে কি যেন পাঠ করলেন। কিন্তু হাসান বসরীকে দেখে হাজ্জায নির্বাক তাকিয়ে রইল। তার গর্জন কুর্দন আর নেই।সব মিলিয়ে গেছে। হাসান বসরীর প্রতি তাকাবার সাথে সাথে পাষান হৃদয় হাজ্জায মােমের মত গলে গেলাে। শুধু তাই নয়, হাসান বসরীকে স্বসম্মানে নিজের পাশের আসনে বসিয়ে মূল প্রসংগ বাদ দিয়ে দ্বীনি বিভিন্ন বিষয় তার কাছ থেকে জেনে নিচ্ছে। আর তিনি ছাফ ছাফভাবে সাহসীকতার সাথে প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। আলােচনা শেষে হাজ্জায বললো, “নিশ্চয় আপনি আলিম কূলশিরােমণি”। এরপর সে তাঁকে সুগন্ধি হাদিয়া দেয়।
এক ব্যক্তি এ ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমি বল্লাম, হে প্রতিপালক! বিপদের তুমিই এক মাত্র ভরসা, ইব্রাহীম (আঃ)-কে নিক্ষিপ্ত আগুনের মত আমার জন্য হাজ্জাযকে শান্তি ও আরামদায়ক বানিয়ে দাও।” হাসান বসরীকে ঘিরে এ ধরনের বহু ঘটনা মশহুর হয়ে আছে। এসব তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তিরই ফসল।
খােদাভীতি ও সুন্নাতের পাবন্দিঃ একবার এক ব্যক্তি হাসান বসরীকে জিজ্ঞেস করে, আপনি কেমন আছেন? তিনি বললেনঃ ওই ব্যক্তি সম্পর্কে তােমার মন্তব্য কি, মাঝ দরিয়ায় যার কিশতী ডুবে গেছে? সে বলেঃ তার অবস্থা তাে অত্যন্ত শােচনীয়। অতঃপর তিনি বলেন, “আমার অবস্থা তার চেয়েও শােচনীয়।” বর্ণিত আছে, ৪০ বছরের মধ্যে তিনি একবারও আনন্দের হাসি হাসেননি। এক বুযুর্গ বলেন, “আমি তাঁকে সর্বদা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীর ন্যায় অসম্ভব রকম চিন্তিত দেখেছি।” এ থেকে তাঁর খােদাভীতির অবস্থা আঁচ করা যায়।
ইমাম গাযালী (রঃ) বলেছেনঃ নবীদের (আঃ) কথার সাথে হাসান বসরীর কথা ছিলাে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমনিভাবে তাঁর জীবন ছিল অবিকল সাহাবীদের জীবনের অনুরূপ। (এহইয়াউল উলুম)।
তাসাউফ ও তরীকতের সব ক’টি শাখার মূল হলেন হাসান বসরী (রঃ)। তিনি বহু সাহাবীদের থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবু মুসা (রাঃ) ও ইবনে আব্বাস বিন মালিক (রাঃ) তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
উপসংহারঃ হাসান বসরীর (রঃ) উপদেশ-বানী ও সংস্কার সাধনা সে কালের মুসলিম শাসকদের কর্মকাণ্ডের সাথে প্রবলভাবে টক্কর খায়। নৈতিকভাবে তিনিই বিজয়ী হন। তার চেষ্টায় বিপথগামী সমাজ আবার ফিরে আসে সংশােধনের পথে। হােচট খাওয়া হাজারাে লােক তার রূহানী শিবিরে তওবা করে ফিরে আসে। শাসককূল হয় তাঁর কথায় ভীত ও সতর্কিত। মুসলিম উম্মাহর এ মহান রাহবার ১১০ হিঃ ষাট বছর বয়সে ইহকাল ছেড়ে পরকালের পথে যাত্রা করেন।
মানুষের হৃদয়ে তার প্রতি ছিল সীমাহীন ভালবাসা ও শ্রদ্ধা। তার মৃত্যুকালে জন মানুষের মরমে পশে যাওয়া সে ভালবাসার নিদারুন প্রকাশ ঘটে। সেদিন তার জানাযায় বসরার সব লােক অংশগ্রহণ করে। আওয়াম বিন হাশর বলেনঃ তার মৃত্যুর দিন বসরার বিশাল জামে মসজিদের আসরের নামাজে একজন লােকও পাওয়া যায়নি।
═──────────────═