মুক্তার মালা
হযতর হোসাইন (রাঃ)-এর বাণী
১। মৃত্যুই যখন প্রত্যেকটি মানুষের একমাত্র নিয়তি, তখন শহীদী মৃত্যুবরণ করাই সর্বোত্তম বুদ্ধিমানের কাজ।
২। লাঞ্ছিত হওয়ার চেয়ে মৃত্যুবরণ করা উত্তম।
৩। আল্লাহর আনুগত্যের পথে সন্তুষ্ট থাকাই শান্তি লাভের সর্বোত্তম পথ।
৪। ধৈর্য ও স্থিরচিত্ততা মনের চরিত্রকে সুষমামন্ডিত করে তোলে।
৫। লোভ ও স্বার্থপরতা শুধু একটি মন্দ অভ্যাসই নয়, ব্যক্তির জন্য সবর্নাশও বটে।
৬। বক্তির গঠন ও মর্যাদাপ্রাপ্তির সর্বোত্তম পন্থা হল উদারতা।
৭। নেক আমল মানুষকে প্রশংসনীয় করে তোলে।
৮। যে শাসক আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতের উপর আমল করে না, জনস্বার্থ সংরক্ষণে বিশ্বস্ত নয়, সর্বোপরি আল্লাহর পতি সঠিক আস্থাবান নয়, সেই শাসকের প্রতি কোন মুসলমানের আনুগত্য থাকতে পারে না।
৯। সর্বাপেক্ষা জঘন্য শাসক সেই ব্যক্তি, যে প্রবল প্রতিপক্ষের প্রতি তোয়াজ করে দুর্বল প্রজাসাধারণের উপর যুলুম করে।
১০। সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার হল মানসম্ভ্রম রক্ষার জন্য তা ব্যয় করা।
১১। মানুষের বিরোধিতার কারণে যদি তোমার জীবনও বিপন্ন হয়, তবুও আদর্শের পথ থেকে বিচ্যুত হবে না।
অমুল্য সম্পদ
১। অবান্তর কথায় কান দেয়া অন্তরের মধ্যে নিজ হাতে পাপের বীজ বপন করার নামান্তর।
২। অন্যের প্রতি কুধারণা পোষণ করা নিজের অন্তরের সংকীর্ণতারই পরিচায়ক।
৩। জ্ঞানীগণ চিন্তা করার পর কথা বলেন এবং আহম্মকেরা কোন কিছু বলার পর চিন্তা করে।
৪। জীবিকার স্বাচ্ছন্দ ঈমানকে নিরাপদ ও হৃদয়কে প্রসারিত করে।
৫। যে ব্যক্তি চোখের সামনে জুলূম হতে দেখেও তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে না সে অভিশপ্ত।
৬। আল্লাহ ত’আলা যে অবস্থায় রাখেন, সে অবস্থাতে তুষ্ট থাকা পুর্ণ ঈমানের আলামত।
৭। নির্জনতার মধ্যে মানুষ হয় ফেরেশতার উর্ধ্বে, শয়তানেরও অধম। তার অন্তরে জ্ঞান ও ঈমান কতটুকু আছে তার উপর দু’অবস্থা নির্ভর করে।
৮। ক্রোধ দমন করতে না পারাও আহম্মকের অন্তর্ভুক্ত।
৯। কোন কিছুতে ক্রোধের সঞ্চার না হওয়ার নামই বিনয়।
১০। বাস্তব উপদেশ লাভ করার জন্য কবরের কাছে যাও।