JustPaste.it

পাঠকের কলাম

 

ব্রাক কর্মকর্তার হুমকিঃ দাড়ি টুপিওয়ালা

মােল্লাদের পুড়িয়ে মারব

=================================================

 

        ‘জাগাে মুজাহিদ' পত্রিকার সকল কলম সৈনিকের প্রতি জানাই সংগ্রামী সালাম । গত ডিসেম্বর '৯৩ সংখ্যায় এনজিওদের সেবার নামে ষড়যন্ত্রের মুখােশ খুলে দেয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে আশ্চর্য হয়েছি, একটি স্বাধীন দেশে এহেন ষড়যন্ত্র চালাবার সাহস তারা কোথায় পেল!এনজিওরা যে সেবার জন্য নয়, বরং আমাদের ঈমান লুট করতে এসেছে তার প্রমাণ আমার এলাকায়ও রয়েছে। মােমেনশাহী সদরের একটি গ্রাম, নাম এজমতপুর। এই গ্রামে জালাল সাহেবের বাড়ির সামনে ব্রাক-এনজিও একটি স্কুল খুলে গ্রামের ছােট ছােট ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছে বেশ কয়েক মাস ধরে। স্কুলে ইসলাম বিদ্বেষী ধ্যান-ধারণা শিক্ষা দেয়া সম্পর্কে গ্রামবাসীরা অবগত হওয়ার পর তারা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানাে বন্ধ করে দেন।

 

         ফলে এনজিও-র কর্মকর্তারা এ নিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। তারা এক পর্যায়ে আলেমদের উদ্দেশ্য করে জঘন্য কটুক্তি করে যে, “আমাদের কাজের সমালােচনাকারী দাড়ি টুপি ওয়ালা মােল্লাদের পুড়িয়ে মারব"। তাদের এ উক্তির ফলে গ্রামের লােকজন  বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এবং এনজিও ওয়ালাদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। অপদস্থ হয়ে তারা পরে গ্রামবাসীদের কাছে তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চায়। এ শুধু এজমতপুর গ্রামের ঘটনা নয়। ব্রাক' নামক এ সংস্থা এদেশে হাজার হাজার স্কুল প্রতিষ্ঠা করে আমাদের শিক্ষিত করার নামে ধর্মহীন বানানাের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং আমাদের এক্ষুণি এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক হওয়া প্রয়ােজন ।

 

মােঃ সাইফুল্লাহ আখতার

মাদ্রাসা ছাওতুলহেরা,

মােমেনশাহী সদর

 

 

 

 

এনজিও গােষ্ঠীর অপতৎপরতার একটি অখণ্ডনীয় দলিল

-----------------------------------------------------------------

        ঝিনাইদহ জেলার চাঁচড়া একটি বৃহৎ মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম। গ্রামে প্রায় ২ হাজার মুসলিমের বসবাস। গ্রামের ছেলে-মেয়েদের দ্বীনি শিক্ষার অভাব অনুভব করে গ্রামবাসীরা এ গ্রামে দু'টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়া বয়স্কদের নামাজ, রােজা ও শরিয়তের  বিধি-বিধান সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার জন্য নৈশকালীন ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের ঈমান-আমল ও ইজ্জত ছিনিয়ে  নেয়ার জন্য এ গ্রামে সম্প্রতি কুচক্রী 'ব্রাকনামক ' এনজিও'র আছড় পড়ছে। এই এনজিও গ্রামে ৪টি সমিতি প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যেক সদস্যের নিকট থেকে সপ্তাহে ২/৫/১০ টাকা হারে চাঁদা তুলছে। এসব সমিতির সকল সদস্যই মেয়ে এবং গরীব সংসারের লােক। ৬/৭ মাস সমিতি করার পর এদের এক হাজার বা দু' হাজার টাকা লােন দেয় । ঋণগ্রস্ত এইসব অসহায় নিরক্ষর ও সরলা মেয়েদের এমনভাবে বশ করেছে যে, যদি এনজিওয়ালারা তাদের বলে, সারা দিন এখানে বসে থাক, উঠিবে না, তবে তারা তাই করবে। গ্রামে ব্রাকের দুটি  প্রাইমারী স্কুল রয়েছে। স্কুলের সকল শিক্ষার্থীই মেয়ে।

 

         অথচ তাদের পড়াবার জন্য নিয়ােগ করেছে অবিবাহিত পুরুষ শিক্ষক। ব্রাকের অফিস থেকে লােক এসে সপ্তাহে দুএকদিন স্কুলের লেখাপড়ার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে যায়। দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীর ৩০ জনের সবাই বিভিন্ন বয়সী মেয়ে ।তাদের এই ভণ্ডামীর প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি এলকাবাসীর মুখ বন্ধ করার জন্য দুটি ছােট ছেলেকে ভর্তি করা হয়েছে। আমি গ্রামের মাদ্রাসা দু'টি প্রতিষ্ঠার একজন উদ্যোক্তা এবং উভয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতার সাথে জড়িত। একদিন মাদ্রাসায় ছেলে-মেয়েদের পড়াচ্ছি, তখন একটি মেয়ে আমাকে বললাে, “হুজুর! কাল আমি আর ব্রাকের স্কুলে পড়তে যাব না। কারণ জিজ্ঞেস  করে জানলাম যে, স্কুলের পড়ার সাথে সাথে সপ্তাহে তিনদিন বাধ্যতামূলক নাচ শিখতে হয়।শিক্ষকদের সামনে নেচে দেখাতে হয়। প্রথমে বয়স্করা' নাচে পরে ছােটরা তাদের দেখাদেখি নাচে। শিক্ষকরা এবং এনজিও কর্মকর্তারা যার নাচ ভালো তার নাচ উপভােগ করে এবং বিভিন্ন পুরস্কার দেয়। নাচের সাথে সাথে রয়েছে বিভিন্ন চটুল ছড়াগান। এগুলি নাচের তালে তালে গাইতে হয়।

 

          এ কথা শুনার পর আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বললাম, তােমরা আর ব্রাকের স্কুলে যেও না। ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলে ব্রাক কর্তৃপক্ষ স্বমূর্তীতে আত্মপ্রকাশ করে। একদিন এনজিও-র সাত জন কর্মকর্তা আমার বাড়ীতে এসে বিভিন্ন যুক্তি তর্ক দিয়ে আমাকে বুঝানাের এক পর্যায়ে বলে যে, আমরা এনজিওরা বাংলাদেশ সরকারকে সহযােগিতা করছি এবং ভবিষ্যতেও করতে চাই। কিন্তু আপনার কাজে ও কথায় আমাদের সংস্থা খুব হয়রানির শিকার হচ্ছে। আপনি আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাই আপনার নামে আমরা থানায় রিপাের্ট করব। এভাবে তারা আমাকে হুমকি প্রদান করে, যাতে আমি তাদের কুকর্মের আর কোনো প্রতিবাদ না করি । ব্রাক সমিতির তৎপরতাও গ্রামে খুব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সংসারের উপার্জনে সাহায্য করছে বলে এসব মহিলারা বেপরােয়া এবং স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে। ঋণ গ্রহীতা বিবাহিত মহিলাদের সপ্তাহে একদিন সমিতির অফিসে উপস্থিত হতে হয়। এখানে ব্রাকের নিয়ােগকৃত একজন শিক্ষক তাদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রদান করে, যার মূল বিষয় হল- বিবাহের মাধ্যমে পুরুষরা মহিলাদের শােষিত, বঞ্চিত করে। পর্দার নামে,ধর্মের নামে তারা মহিলাদের ঘরে আবদ্ধ করে রাখছে। সুতরাং এই শােষণ বঞ্চনা থেকে বাঁচার জন্য মহিলাদের অর্থনৈতিক ভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। এহেন শিক্ষালাভের পরই মহিলারা স্বামীর প্রতি বেপরােয়া ব্যবহার করছে। সংসারে সৃষ্টি হচ্ছে অবাঞ্চিত ঝগড়া, দাম্পত্য কলহ। সুতরাং সমাজকে অরাজকতার মুখে ঠেলে দেয়ার মিশন নিয়ে যে কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তাদের সময় থাকতেই ঠেকানাে প্রয়োজন। এক্ষুনি আমরা সচেতন না হলে মহা সর্বনাশ ঘটে যাবে।

 

ইতি

কারী মকবুল হােসাইন

চাঁচড়া মাঠপাড়া জামে মসজিদ,

ঘাম-চাঁচড়া

পােঃ আলীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।

 

 

 

 

জনৈক কবি বশির আহমাদের সাংঘাতিক "চিৎকারের" প্রতিবাদ

-----------------------------------------------------------------

         সাহিত্য মানুষের জ্ঞানের বাহন, মনের খােরাক, সরেস চিন্তার  উত্তম বিকাশ, ধ্যান-ধারণার সাবলীল প্রকাশ। ব্যক্তির চিন্তা তার সাহিত্যে যথাযথভাবে ফুটে উঠে। সাহিত্য মানব জীবনের এমন একটি স্রোতধারা যা জীবনের প্রতিটি শাখা-প্রশাখার সাথে নিখুঁতভাবে সম্পৃক্ত। নিরর্থক বাক্য চয়ন, অযথা বাক-বিতণ্ডা, সাম্প্রদায়িকতা, অসততা, শ্রুতিকটু, অপবিত্রতা, অশ্লীলতা, কদর্যতা, খ্যাতি অর্জনের একান্তবাসনা ও সুললিত ব্যাঞ্ছনার নামই কেবল সাহিত্য নয় । বরং পই পই করে মানব জীবনের বিশ্লেষণ করার নামই যথার্থ সাহিত্য। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগােল সব কটিই একই স্রোতের বিভিন্ন ধারা মাত্র । আমাদের চিন্তা-চেতনা ও ধ্যান-ধারণার উত্তম বিকাশের শক্তিশালী মাধ্যম হচ্ছে লিখনী। জাতির মানস গঠনে যার প্রভাব অপরিসীম। অপর দিকে, যে লিখনী জাতিকে বিভান্তি, অধপতিত ও জাহান্নামের পথে এগিয়ে নিয়ে চলে তা অবশ্যই ঘৃণিত ও পরিত্যাজ্য। প্রিয় পাঠক পাঠিকা! আজ আপনাদের সামনে আমি হৃদয়ের এক করুন ব্যাথা প্রকাশ করার চেষ্টা করছি।

 

         বিষয়টা অবশ্যই মর্মান্তিক, যা শুনলে আপনার শরীরের প্রতিটি লােম শির শির করে উঠবে। আমি লেখক নই। তবুও একজন মুসলমান হিসেবে ঈমানের দাবীতে খােদার দরবারে জবাবদিহির ভয়ে দুকলম লিখতে বাধ্য হয়েছি। গত ২০/২৫ দিন পূর্বে আমি বাহুবল (হবিগঞ্জ) বাজারের এক দোকানে বসে আছি। এ সময় আমার এক বন্ধুর হাতে একটা বই দেখলাম । বইটি হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলাম। প্রথমেই আমি চমকিত হলাম! বইটির প্রচ্ছদে লালকালি দিয়ে লেখা মুসলিম বাংলার প্রতি কবি বশির আহমদের চিৎকার। বইটির কোথাও লেখকের কোন ঠিকানা নেই।এছাড়া প্ৰকাশনার বিধান-অনুযায়ী মুদ্রণস্থান ও প্রকাশকাল পুস্তকে থাকার কথা। কিন্তু তা পেলাম না। বাইশ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ৫/- টাকা। এতে কেবল চিৎকারকবিতাটিই ১৭ পৃষ্ঠা ব্যাপী বিস্তৃত। অবশ্য কবিতাটি দীর্ঘ হলেও নাম্বার দেয়া বিভিন্ন পংক্তিতে বিভক্ত রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কবিতাগুলােতে আলিম সমাজ, ইসলাম ও আল কুরআনের ওপর কটাক্ষ ও বিদ্বেষ মূলক অনেক কথা। একটি নমুনা পেশ করলেই আমার কথার সত্যতা আপনারাও স্বীকার করবেনঃ

 

ওগাে,নবীজি আমার !

বজ্রকণ্ঠে একথা তােমায়

চিৎকার দিয়ে জানিয়ে দিতে চাই,

ঐ আলখেল্লাধারী গোঁড়া ভক্তেরা তােমার

আমাকে কুরআনের যে ব্যাখ্যা দেয়

সত্যি যদি তাই কুরআনের ব্যাখ্যা হয় তবে

ঐ কুরআনের উপর আমি সম্পূর্ণ অবিশ্বাসী।

ঐ ভুয়া কুরআনের উপর

এক শত একবার লাথি মেরে দেই প্রচণ্ডভাবে।”

বিষয়টা সকলে গভীরভাবে ভেবে দেখবেন বলে আশা করি।

 

সাঈদ আহমাদ

গ্রামঃ নারিকেলতলা,

পােঃ বাহুবল, জেলাঃ হবিগঞ্জ ।

 

 ═──────────────═