মুক্তার মালা
- কোন জনগোষ্ঠীর আমল আখলাক বিনষ্ট হওয়ার পরই কেবলমাত্র তারা মসজিদের আসল কাজ পরিহার করে ইমারত সুসজ্জিত করতে শুরু করে। -ইবনে মাজা
- লোকেরা যখন পরস্পর প্রতিযোগিতা করে মসজিদের ইমারত সুসজ্জিত করতে শুরু করবে কেয়ামত তখনই ঘানিয়ে আসবে। -আবু দাউদ
- ইহুদী ও নাসারা গোষ্ঠী যেভাবে তাদের এবাদাত খানার নামে আকাশচুম্বী ইমারাত নির্মাণ করে থাকে তোমরাও একদিন মসজিদের নাম করে অন্তঃসারশূন্য আলীশান ইমারত তৈরী করতে শুরু করবে। -ইবনে মাজা
- এক ব্যক্তি একদা তার কিছু হারিয়ে যাওয়া বস্তু-সামগ্রীর কথা মসজিদের ভিতরে এলান করছিল। হযরত আবুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) তা শুনে এই বলে লোকটিকে মনে করিয়ে দিলেন যে, আমাদেরকে মসজিদের ভিতরে এরূপ এলান করতে নিষেধ করা হয়েছে।
- হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ 'আমার উম্মত যখন তাদের আলিমগণের প্রতি শত্রুতা পোষণ করবে, বাজারের অট্টালিকাগুলো সুশোভিত করতে শুরু করবে, বিবাহ করবে টাকা আদায় করার উদ্দেশো, তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর চারটি মুসিবত নাযিল করবেনঃ (১) অভাব-অনটন তাদের ঘিরে ফেলবে (২) তাদের শাসকেরা অত্যাচারী হয়ে পড়বে (৩) বিচারকেরা ইনসাফ বিক্রি করতে শুরু করবে এবং (৪) চারিদিক থেকে শত্রুরা আক্রমণ করার জন্য প্ররোচিত হবে। -হাকেম
- হযরত আবুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'হে আল্লাহর রাসূল! ভাল পোশাক পরা কি অহংকারের আলামতঃ জবাবে আল্লাহর রাসুল বলেছিলেন, কখনও নয়। এটাতো পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য প্রিয়তার লক্ষণ। আল্লাহ তা'আলা এ দুটিই পছন্দ করেন। -হাদীস
- পড়শী মুখাপেক্ষী হলে তাকে সাহায্য কর। ঋণ চাইলে বিনা দ্বিধায় ঋণ দাও। তার সাথে ভাল ব্যবহার কর। অসুস্থ হলে শুশ্রুষা কর, মৃতুবরণ করলে তার জানাযার সঙ্গে যাও। যদি আনন্দিত হয় তবে মোবারকবাদ জানাও। যদি কোন বিপদে পতিত হয় তবে সান্তনা দাও। তার সাথে পরামর্শ না করে নিজের বাড়ী এতটুকু উঁচু করনা যাতে তার অসুবিধা হয়। কোন ফল'কিনে আনলে তার ঘরেও কিছু পাঠিয়ে দাও। যাদি দেওয়ার মত না থাকে তবে এমনভাবে তা খাও যেন তার বাচ্চাদের চোখে পড়ে ওদের মনে কষ্টের কারণ না হয়। -হাদীস
- যে ভাষার সাহিত্যে প্রয়োজনীয় ইসলামী পঠন সামগ্রীর অভাব প্রকট, যে ভাষা ও সাহিত্যে ইসলামী পরিভাষা, পর্যাপ্ত শব্দ ভান্ডার ও উপমা উৎক্ষেপণ খুঁজে পাওয়া যায় না। সে ভাষাভাষী লোকদের পক্ষে মানসিকভাবে হলেও আল্লার দ্বীন থেকে দূরে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা সুনিশ্চিত! সুতরাং দুনিয়ার প্রতিটি জীবন্ত ভাষাকে ইসলামী বিষয় বস্তু দ্বারা সমৃদ্ধ করে তোলা এ যুগে দ্বীনের সবার্পেক্ষা বড় খেদমত বলে আমি মনে করি। -আবুল হাসান আলী নদভী ।
আহমাদ আল-ফিরোজী