আমার দেশের চালচিত্র
ফারুক হোসাইন খান
সেদিন রাজধানীর একটি সড়ক দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছি।হঠাৎ করে কিছুটা দূরে একটা বিকট শব্দ ক্রমশ নিকটে আসতে শুনতে পেলাম।তার বিকট শব্দে কর্ণকুহর ফেটে যাওয়ার অবস্থা। কিছুটা কাছে আসলে দেখলাম, কিছু লোক দেদারসে ড্রাম, ঢোল, কাশা ও বাঁশি বাজাচ্ছে আবাসিক এলাকার রাস্তায়। পেছনে আর কতগুলি লোক বাদ্যের তালে তালে হৈ হৈ করছে। প্রথমে আমি মনে করেছিলাম হয়ত হিন্দুদের কোন পূজা-পাঠ উপলক্ষে আনন্দ মিছিল নেমেছে। কিন্তু কাছে আসতেই আমার তাজ্জব হবার পালা।আরে, লোকগুলির মাথায় টুপি, মুখে দাড়িও তো অনেকের।এবার ভুল ভাঙলোঃ সামনে একটি প্ল্যাকার্ড..."বাবার শুভাগমন উপলক্ষে আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ"।এতক্ষণে বুঝলাম, লোকগুলো হিন্দু নয় এবং এটা হিন্দুদেরও কোন উৎসব নয়।এটা কিছু সংখ্যক মুসলিম সন্তানের মিলিত একটি অপকর্ম। ধর্মের নামে সুন্নতি টুপি পরা, দাড়িওয়ালা কিছু ভন্ডের কুকর্ম মাত্র।ঢোল পিটিয়ে ওরা টুপি, দাড়ির সাথে উপহাস করছে, ইসলামকে পৌত্তলিকতার মধ্যে বিলীন করে দেয়ার অপচেষ্টায় মেতেছে। দেশের আনাচে-কানাচে, শহরে-বন্দরে সর্বত্রই এ বাবা, জটাধারী বাবা ও বিভিন্ন "অশ্বডিম্ব মার্কা" আধ্যাত্মিক পন্থী তথাকথিত পীর-ফকিরের তৎপরতা দেখা যায়। "পবিত্র"," মহাপবিত্র" নামে উদ্ভট ও মনগড়া 'ওরশ' নামক হরেক রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মদ,গাজা, আফিম সেবনের আড্ডা বসায়, বেগানা নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে রাত-দিন বাদ্যযন্ত্র সহ নাচ-গানে মত্ত হয়। তথাকথিত মাজার, দরগাহ ও পীরদের কবরে সেজদার ভঙ্গিতে মাথা ঠেকিয়ে কবরে শায়িত ব্যক্তির নিকট ধন-দৌলত থেকে শুরু করে হরেক কিছু চাওয়া হয়। উল্লেখিত সকল প্রকার আচার-আচরণ চরম বিদআত এবং কখনো কখনো কুফুরীর পর্যায়ে দাড়ায়।রাসূল (সাঃ) এর জীবনে তো দূরের কথা সাহাবী, তাবেঈ, তাবেঈ-তাবেঈনদের জীবদ্দশায় এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কোন অনুষ্ঠানেরও হদিস পাওয়া যায় না। এই সব পীর-ফকিরদের কথাবার্তাও চরম ইসলাম বিরোধী।কারো মতে, বাবা ভান্ডারী মানুষ নয়,আল্লাহর সত্তা; যা খৃষ্ট ধর্মের ভ্রান্ত বিশ্বাসের সাথে হুবহু মিল রাখে। কেউ বলেন, ঢোল,৷ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আল্লাহর বন্দনা করলে আল্লাহ বান্দাদের ইসকে পাগল হয়ে প্রথম আসমানে হাজির হন এবং বান্দার প্রতি অকাতরে রহমত বর্ষণ করেন। অন্য একদল আছেন, তারা হিন্দুদের ত্রিশূল এর ন্যায় একটা দন্ড হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন এবং কল্পিত গাজী-কালুর গান গেয়ে সরল মানুষকে ধোকা দিয়ে টাকা পয়সা কামাই করেন। এই গান শুনে যারা অর্থ দান করেন তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের যাবতীয় মনের ইচ্ছা না কি গাজী কালু অলৌকিক উপায়ে পূরণ করেন। ইসলামী আকিদা অনুযায়ী, আল্লাহ সব কিছুর মালিক, তিনি যাকে ইচ্ছে দেন বা দেন না।তার এ ক্ষমতায় অন্য কাউকে শরীক মনে করা স্পষ্ট শিরকের সামিল। আর এক দল ভন্ড বলে থাকেন যে, তাদের নামাজ, রোজা বা ফরজ গোসলেরও প্রয়োজন হয় না। মারেফত বিদ্যা তারা এত হাসিল করেছেন যে, আল্লাহ না কি এসব ইবাদতের বাধ্যবাধকতা থেকে তাদের মুক্তি দিয়েছেন। আল্লাহ তার দোস্ত রাসূল (সাঃ) কে পর্যন্ত নামাজের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি দেন নি অথচ এসব শয়তানের চেলাদের ফরজ ইবাদাতের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবি কি চরম কুফুরী নয়?
আমাদের নাগালের মধ্যে থেকে প্রতিদিন পৌত্তলিকবাদীদের এই দোসররা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিদআতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসলামকে উপহাসের খোরাক বানাচ্ছে। অথচ লক্ষ লক্ষ আলিম ও কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান দেশে থাকা সত্ত্বেও এসব ভন্ডদের ভন্ডামী রোধ করার মতো কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এটা বড়ই আফসোসের ব্যাপার। আমাদের মনে রাখতে হবে, ছোট ফিতনাকে বাড়তে দিলে একসময় তা বিরাট ফিতনায় পরিণত হয়।যেমনঃ কাদিয়ানী ফিতনা, কেরানীগঞ্জের সদরুদ্দিন চিশতির ফিতনা, তাসলিমা নাসরিন, ডঃ আহম্মদ শরীফ, কবির চৌধুরীদের ছোবলকে বিছার কামড় মনে করলেও এক সময় এরা কেউটের আকার ধারণ করতে পারে।সুতরাং ইসলাম ও মুসলমানদেরকে ভ্রান্তির কবল থেকে রক্ষা করতে হলে এক্ষুণি আমাদের জবানের জিহাদ শুরু করতে হবে। কোথায় সেই মর্দ্দে মুজাহিদ আল-ফাসানী (রহঃ) এর কাফেলা?
এই দেশে একটা তন্ত্র কায়েম আছে।তন্ত্রটার নাম গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রের মূল কথা হলো, জনগণের শাসন, জনগণের সরকার, জনগণের আইন।অর্থাৎ সবাই সরকার। তাই বুঝি কারো নিকট কারো জবাবদিহি করতে হয় না। এদেশের গণতন্ত্রকে ভোগতন্ত্র বা ধনিকতন্ত্র বললেও অত্যুক্তি হবে না। এখানে কেউ সংসদে নির্বাচিত হলেই মোটা অংকের বেতন ভাতা, সরকারি বাড়ি, পেনশন পাবেন, নির্বাহী ক্ষমতার বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রধানকে আইনের উর্ধ্বে অর্থাৎ ফেরেশতা মনে করতে হবে। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা অপরাধ করলে তাদের অপরাধী বলা যাবে না;চুরি করলে চোর বলা যাবে না;তাদের নাম উল্লেখ করে অপরাধের ফিরিস্তি দেয়া যাবে না; তাদের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী মামলা দায়ের করা যাবে না। সরকারি অফিসার হলেই বৈধ-অবৈধ পন্থায় গাড়ি,বাড়ি থাকতে হবে, মোটা অংকের বেতন তাদের চাই নইলে আন্দোলন করা হবে।দেশের তহবিলে লাল বাতি জ্বললেও তাতে তাদের কিছু আসে যায় না।
আসলে এদের দেশপ্রেম নিছক একটা নীতি কথা, তাদের ব্যবহারিক জীবনে এর কোন মূল্য নেই।শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী মোটা অংকের ঘুষ পেলে মার্ডার কেইসের আসামীকেও ছেড়ে দেবে।ঘুষ দিতে অপারগ হলে নিরীহ লোক এমনকি ফুটপাতের দোকানীদেরও চরম হয়রানি করবে।এমনিভাবে দেশে গণতন্ত্রের নামে চলছে এক লুটপাটের তন্ত্র। এখানে যে যত পারছে লুটপাট করে খাচ্ছে, কোন পরোয়া নেই, কৈফিয়ত চাওয়ার কেউ নেই।এখানে অর্থের পাহাড় গড়ার সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়া অথবা সরকারি কর্মচারী হওয়ার একখানা সার্টিফিকেট অর্জন করা।ভাবতেও কষ্ট হয়, যে দেশের নগরীর উন্মুক্ত রাজপথের ওপর তীব্র শীতের রাত্রেও মানুষ চট জড়িয়ে পড়ে থাকে, বস্তিতে দুর্বিষহ জীবন যাপন করে লক্ষ লক্ষ মানুষ সে দেশের সরকারি বেসরকারি অফিসগুলি প্রসোদম অট্টালিকা সদৃশ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, মূল্যবান বিদেশী ফার্নিচার সজ্জিত অথচ নগরীর মানুষেরা পানি, বিদ্যুতের কষ্টে অতিষ্ট তার কোন সুরাহা না করে তিলোত্তমা নগরী গড়ার কোশেশ চলে।এ সবই যার যার গণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা, অধিকার। নির্বাচনে বিজয় অথবা সরকারি লেবেল গায়ে এটে নিয়ে দেশের একটা শ্রেণী ধনিক শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে, তারা দেশ শাসন করছে,শোষণ হচ্ছে অসহায় জনগণ। নির্বাচনে প্রতিনিধি বা সরকারি কর্মচারীদের কাউকে ফুটপাতে জীবন কাটাতে দেখা যায় না। বস্তিতে বা ফুটপাতে দেখা যায় হতভাগা সাধারণ জনগণকেই। নদী ভাঙ্গন, সড়ক দূর্ঘটনা বা জোতদার মহাজনের অত্যাচারে সর্বস্ব হারালেও তাদের ক্ষতিপূরণ বা একটু মাথা গোজার ঠাই দেবার কেউ নেই। সরকার তাদের সুখ-দুঃখ দেখার জন্য আগ্রহী নয়।পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সরকারের কোন কোন ব্যক্তি হয়তোবা কখনো ছুটে যায় অসহায় ব্যক্তিদের শয্যাপাশে হাসপাতালে, হাতে গুজে দেয় দু'এক হাজার টাকা।ব্যক্তিটি মনে করে, একটা মহৎ কাজ করলাম।আকর্ণ হাসি হেসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সে মহত্মই জাহির করে। আসলে এটা যে, ঐ ব্যক্তির ন্যায় সকলেরই পাওনা তা তারা স্বীকার না করে রাজনীতির খাতিরে দানবীর হতে চায়।এমনি দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি পদে পদে গণতন্ত্রের নামে চলছে শোষণ ও স্বার্থ তন্ত্র, আর সে শোষণের শিকার হচ্ছে অসহায় জনগণ। গণতন্ত্রের নামে জনগণকে এই শোষণ করার প্রক্রিয়া আর কত দিন অব্যাহত থাকবে।আমরা কি পারি না রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে গণতন্ত্ররূপী এই দানবের বদ আছর থেকে মুক্ত হতে?মানবতা, ইসলাম ও রাষ্ট্রের এমন দরদী কেউ নেই যে এ দানবের পরিবর্তে সাম্যের শাসন, ইসলামের শাসন কায়েম করতে পারেন? কোথায় সেই সাইফুল্লাহর যোগ্য উত্তরসূরী?
লাখো মুজাহিদ, লাখো মুসলিমের ঢল নেমেছিল যশোর টাউনে। বাবরি মসজিদ পুনঃনির্মাণের দৃপ্ত প্রত্যয় নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছিল অযোদ্ধার পানে।শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের এ পথযাত্রা ছিল সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ। পথে সামান্যতম কোন সাম্প্রদায়িক ঘটনাও ঘটে নি।কিন্তু হঠাৎ করে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী তথা পুলিশ কোন প্রকার উস্কানী ছাড়াই লাখো লাখো নিরস্ত্র জনগণের ওপর গুলি বর্ষণ করে। গুলিতে শহীদ হয় ৫ জন। টিয়ার গ্যাস ও বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত হল বহু।একই সময়ে কেরানীগঞ্জ এর কুখ্যাত মুরতাদ সদরুদ্দিন চিশতীর শাস্তির দাবিতে মিছিলকারী তৌহিদি জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালায়।ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ২ জন, আহত হন অনেকে। উভয় স্থানে ইসলামের জন্য মুসলমানদের রক্ত ঝরেছে মুসলিম সরকারের অনুগত বাহিনীর হাতে। সন্দেহ হয়, আসলে কি এ দেশ মুসলমানের, এ দেশের সরকার কি মুসলমান??
মুসলমানরা তাদের মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদে আয়োজন করেছিল লংমার্চ, অন্যদিকে ইসলামের বিরুদ্ধে মারাত্মক অপপ্রচার চালানোর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জে হয়েছিল প্রতিবাদ মিছিল। এ দেশের মানুষের ধর্মের ওপর আঘাত আসলে সরকারের যেমনি তার প্রতিবিধান করার দায়িত্ব তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যদি কোন দেশের মুসলমানদের ওপর কোন গোষ্ঠী বা দেশের পক্ষ থেকে হুমকি আসে বা যদি কোন অপকর্ম ঘটায় তবে তার যথাযথ নিন্দা জ্ঞাপন ও সে সব অপরাধীর সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা। ভারতের হিন্দু পুলিশ, সেনারা উগ্র হিন্দুদের সকল অপকান্ডের যেমনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে তেমনি বিভিন্ন শহরে কার্ফিউ জারি করে মুসলমানদের নির্বিচারে গুলি করে মারছে। উভয় ক্ষেত্রে মুসলমানদের দমানোর চেষ্টা চলছে। এদেশের মুসলমানরা উগ্র হিন্দুদের এসব যাবতীয় অধর্মের প্রতিবাদ করায় মুসলমান পুলিশ বাহিনী তাদের ওপর গুলি ছুড়ে ওপারের হিন্দু পুলিশদের ভূমিকা পালন করে।ভারত সরকার খুশিতে বাক বাকুম করতে থাকে এ ঘটনায়। এর দ্বারা কি সরকার প্রমাণ করছে না, তারা মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাজ করছে? ইসলামের ওপর আঘাত আসলে মুসলমানরা তার প্রতিবাদ করুক তা তারা চায় না। মুসলমানরা তাদের ধর্ম-কর্ম সুষ্ঠুভাবে পালন করুক তাতে তাদের বড় অস্বস্তি। সরকার আজ পর্যন্ত মুরতাদদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে নি, ঘাদানিক নামক চক্রকে লেলিয়ে দিয়েছে টুপি, দাড়িওয়ালা লোকদের ওপর হামলা চালাতে। দেশের প্রখ্যাত আলেমদের ওপর প্রতিবেশী দেশের চরেরা বর্বর হামলা চালাচ্ছে সে ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া নেই।এই সরকারের বরং মুসলমানদের উল্টো মৌলবাদী বলে গালাগাল দেয়া হচ্ছে। দেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় এই সরকারের কোন মাথাব্যথা নেই। তবে কোন প্রয়োজনে এই সরকার তখতে বসে আছেন? কাদের উপকার করছে এই সরকার? জনগণের অর্থে লালিত পালিত যে সরকার সেই সরকার যদি উল্টো জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে তবে তার প্রয়োজনীয়তা আদৌ অবশিষ্ট থাকে কি? সরকার এ প্রশ্নের যদি কোন সদুত্তর না দেন তবে ইসলামপ্রেমী জনগণকেই বুক ভরা ঈমান নিয়ে সরকারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এর কৈফিয়ত নিতে হবে। গণতান্ত্রিক সরকার না কি জনগণের নিকট দায়ী, তাদেরকে না কি জবাবদিহি করতে হয়।
কোথায়, কোন বলয়ে লুকিয়ে আছে মুসলমানেরা? আর দ্বিধাদ্বন্দ্ব নয়, তোমার পূর্বসূরীরাতো খলিফা উমর রাদ্বিয়াল্লহু আনহুর মতো মহামানবের সামনেও সাম্যের খাতিরে কৈফিয়ত নেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন, তোমরা তাদের পথই অনুসরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। নির্ভিক চিত্তে জোর কদমে এগিয়ে আসো, আর দেরি নয়।