সাক্ষাৎকার
চেসেনিয়ার জাতীয় সংবিধান হবে ইসলামী আদর্শে বলিয়ান।
আইন ও আদালত পরিচালিত হচ্ছে শরীয়াতের বিধান অনুযায়ী
গ্রান্ড মুফতি মুহাম্মাদ হুসাইন
মুসলিম বিশ্বের বিস্ময় চেসনিয়া। অযুত প্রাণের বিনিময়ে যেখানে আজ কালেমা বিজয়ী হয়েছে। নবীউস-সাইফের উম্মত আরেকবার প্রত্যক্ষ করলো, মুসলিমের তাজা রক্ত কিভাবে দ্বীনকে জীবন্ত করে তুলে; মুজাহিদের আযান কী করে পৃথিবীর ঘুমন্ত মানুষের ঘুম ভাংগিয়ে দেয়; মরণজয়ী মুজাহিদের বিজয়গীথা মৃয়মান মুসলিম অন্তরে কিভাবে জিহাদের তামান্না জাগিয়ে তুলে। কুফর ও তাগুত যথার্থই দেখে নিলো, আল্লাহর দ্বীনের আলোকে ফুঁৎকারে নিভিয়ে দেয়া যায় না। বিশ্বমানব বুঝে নিলো, মুসলমান ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় তার শক্রকে পরাজিত করতে পারে। মর্দে মুমিনরাও জেনে নিলো, মুমিনের অন্তর যদি ঈমানের আলোয় আলোকিত হয়; তাহলে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় তারা নিশ্চিতই কামিয়াৰ হবে।
আমরা আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো এমন এক সম্মানিত ও বিজয়দীপ্ত তাপসের সাথে, যিনি চেসনিয়ার অগ্নিঝরা দিনগুলোতে বর্তমান বিশ্বের অবিসংবাদিত মুজাহিদ জওহর দাউদের সহচর ছিলেন। তার নাম মুহাম্মাদ হোসাইন। তিনি মুক্ত স্বাধীন চেসনিয়ার থ্রান্ড মুফতি-মুফতিয়ে আযম। জন্মগ্রহণ করেছেন কাজাকিস্তানে। প্রথমে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জ্ঞানার্জন করে তিনি সিরিয়াতে চলে যান উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে। পরে আবার কাজাকিস্তানে ফিরে এসে সেখানকার গ্রান্ড মুফতির পদ অলংকৃত করেন। সেখানকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালে চেসনিয়ার মুসলমানরা স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে দিলো। এই সময় তাদের আহ্বানে মুহাম্মদ হুসাইন চেসনিয়া চলে আসেন এবং মহান নেতা জওহর দাউদের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে অস্থায়ী সরকারের ধর্মমন্ত্রী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং বর্তমানে চেসনিয়ার গ্রান্ড মুফতির দায়িত্ব পালন করছেল। কিছুদিন আগে পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে এক পরিকল্পিত শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সফরে থাকাকালীন তিনি পাকিস্তান গিয়েছিলেন। সেখানে দারুল উলূম করাচীর ইফতা বিভাগে শিক্ষানবীস জাগো মুজাহিদের নিজস্ব প্রতিনিধি মাওলানা হারুন ইজহার তার এ মূল্যবান সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। আমরা আপনাদের খিদমতে সেই দুর্লভ সাক্ষাৎকারটি পেশ করছিঃ
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ চেসনিয়ায় কিভাবে ইসলামের উত্থান হলো, সে সম্পর্কে কিছু জানতে চাই।
গ্রান্ড মুফতিঃ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় চেসেনরা শক্তিশালী ঈমানের অধিকারী ও এক বীর জাতি হিসেবে পরিচিত। স্টালিনের বর্বরতার যুগে চেসনিয়ায় অগণিত আলিম-উলামা .ও লক্ষ লক্ষ মুসলিম জনতাকে হত্যা করা হয়। বিশ্বযুদ্ধের পর তাদের এক বিরাট অংশকে সুদূর সাইবেরিয়ার তুষারাবৃত বিরান অঞ্চলে নির্বাসিত করা হয়। অন্য একটি অংশকে ঠেলে দেয়া হয় কাজাকিস্তানের এক বিপদসংকুল অঞ্চলে। ধ্বংস করে দেয়া হয় মসজিদ মাদ্রাসাগুলিকে। ইসলামের সমূদয় প্রতিষ্ঠান সমূহকে ধ্বংস করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো। বড় বড় সমস্ত ইসলামী লাইব্রেরীগুলি জ্বালিয়ে দেয়া হলো। দ্বীনি ইলমের কিতাব সমূহ যেখানে যত ছিলো তার এক বিরাট ভাণ্ডার চুরি করে নিয়ে গেলো দস্যু তস্করেল দল। মস্কোর হার্মাদরা ইসলামের নাম-গন্ধ মুছে দেয়ার সকল ষড়যন্ত্র করে গেলো এই জনপদে, কিন্তু আল্লাহ্ তায়ালার অসীম মেহেরবানী যে, তারা চেসেনদের ঈমানকে কেড়ে নিতে পারলো না।
দীর্ঘ তের বছর বর্ণনাতীত এক অমানুষিক অসহনীয় জীবন যাপন করার পর চেসেনরা আবার ধীরে ধীরে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে থাকে। নবীয়ে পাকের জিন্দেগীর মতো দুঃখ-কষ্ট যেন তারাও ভোগ করে নিলো। এক অপরূপ সামঞ্জস্য সংগঠিত হলো চেসেনদের জীবন তাদের নবীর জীবনের সাথে। শুরু হলো মসজিদের ভীত পুনঃ প্রতিষ্ঠার কাজ। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিতে জীবনীশক্তি ফিরিয়ে আনা হলো হিকমতের মাধ্যমে। ধীরে ও অতি সাবধানে অনেক দূর তারা এগিয়ে গেলো। অতপর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বহু অংশে বিভক্ত হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রাক্কালে যৌক্তিকভাবে চেসনিয়াও স্বাধীতনার ঘোষণা দিলে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করা হলো চেসনিয়ার ঘরে ঘরে। বিগত সাড়ে তিন বছর ইসলামের বিজয় পতাকার মর্যদা রক্ষায় তারা যে ত্যাগ ও কুরবানীর জ্বলন্ত ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তা পরাধীন সকল মুসলিম জনতার জন্য নিসীম প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে চিরকাল। শুধু রাজনৈতকভাবেই চেসেনদের উত্থান ঘটল না, তারা সমাজ, অর্থনীতি ও শিক্ষাসহ সবকিছু নিজস্ব বিশ্বাস অনুযায়ী গড়ে তুলতে একান্ত মনযোগী হলো। দিন দিন তাদের উত্থান ও স্বনিয়ন্ত্রণ জোরদার হচ্ছিল। চেসেনদের স্বাধীকার তৎপরতায় প্রভাবিত হলো পার্শ্ববর্তী স্বাধীকার বঞ্চিত মুসলিম জনপদসমূহ। চেসেনদের এই স্বাধীনতা দমনে রাশিয়া কী জঘন্যভাবে তাদের উপর সমরাস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল, সে ভীবৎস কর্মকাণ্ডের খবর আপনারাও জানেন। চেসেনিয়ার মাটিতে কেয়ামত ঘটে গেলো। তবুও তারা পরাজয় মেনে নেয়নি। সকল বাধা ও বিপদ উপেক্ষা করে তারা সামনে এগিয়ে চললো। অবশেষে চেসেনদেরই বিজয় হলো।
গত আগস্ট মাসে লজ্জাকরভাবে পরাজিত আগ্রাসী রাশিয়া তার সকল সৈন্য ফেরৎ নিতে বাধ্য হয়। অতঃপর স্বাধীন চেসেনিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে বিজয়ী হলেন আসলান মাসখাদভ। গত ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি স্বাধীন চেসেনিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।
চেসেনিয়ায় আগ্রাসন পরিচালনার পূর্বে রাশিয়ার গ্রতিরক্ষামন্ত্রী দাম্ভিকতার সাথে বলেছিলেন, আমরা দু'ঘন্টার মধ্যে গ্রোজনী দখল করে ছাড়ব, কিন্তু দু'বছর মরণপণ যুদ্ধ করার পরও তাদের সে সাধ অপূর্ণই রয়ে গেলো।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসলান মাসখাদভ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?
গ্রান্ড মুফতিঃ তিনি অত্যন্ত যোগ্য ও এক নির্ভীক বাহাদুর পুরুষ। মরহুম জওহর দাউদের একান্ত ঘনিষ্ট জনদের একজন তিনি। ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থ বিরোধী চক্রের মুকাবিলায় তাঁর মনোভাব আপোষহীন এবং স্পষ্টতই ইতিবাচক।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ এখনো কি রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্বাধীন চেসেনিয়ার উপর কোন আক্রমণের আশংকা আছে?
গ্রান্ড মুফতিঃ চেসেনিয়া যে রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ শংকামুক্ত, সে কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। ওরা অমুসলিম ও কাফির, হঠকারিতা ওদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুসলিম নেতৃত ওদের পথের কাটা। ওরা বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। একদণ্ড ওদের বিশ্বাস করা যায় না। তবে ওদের সম্ভাব্য সব ধরনের আক্রমণ ও আগ্রাসন মুকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছি ওদের গতিবিধি।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ যুদ্ধ বিধ্বস্ত বর্তমান চেসেনিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন?
গ্রান্ড মুফতিঃ চেসেনিয়া তেল-পেট্রোলের দেশ। চেসেনিয়ার কৃষি ব্যবস্থাও যথেষ্ট উন্নত। শিল্প-কারখানাও রয়েছে প্রচুর। মোটকথা প্রাকৃতিক ও অবকাঠামোগতভাবে চেসেনিয়া একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র। যদিও যুদ্ধের কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের। উপরন্তু চতুর্দিক থেকে আমরা রাশিয়ার বেষ্টনি দ্বারা আবদ্ধ। স্বাধীনভাবে তেল রফতানী করতে ওরা বাধা দিচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ওরা নাক গলাচ্ছে। ওদের এই অযাচিত মোড়লীপনা অল্প দিনেই শেষ হয়ে যাবে, ইন্শা আল্লাহ্।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে চেসেনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা তো অবশ্যই ভেংগে পড়েছে!
গ্রান্ড মুফতিঃ যুদ্ধের পর এখন আমরা এ বিষয়ের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী। আমি সর্বদা একাজেই ব্যস্ত থাকি।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ চেসেনিয়ার জাতীয় সংবিধান রচনা কি সম্পন্ন হয়েছে এবং সেখানে আইন ও বিচার ব্যবস্থা কি ইসলামী শরীয়াহ অনুয়ায়ী পরিচালিত হচ্ছে?
গ্রান্ড মুফতিঃ চেসেনিয়ার নতুন সংবিধান রচনার কাজ চলছে। সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে আমারও দায়িত্ব আছে। আমি বেশ কয়েকটি ধারা-উপধারা রচনা করে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির নিকট পেশ করেছি। চেসেনিয়ার জাতীয় সংবিধান হবে সম্পূর্ণভাবে ইসলামী আদর্শে পরিপুষ্ট। চেসেনিয়ার সর্ব পর্যায়ে ও সর্বক্ষেত্রে ইসলামী আইন জারী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নারীদের জন্য হেজাব পালন আবশ্যকীয় করা হয়েছে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী আদালত পরিচালিত হচ্ছে। চেসেনিয়া একটি ইসলামী রাষ্ট্র, এ রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম তার স্বমহিমায় চিরদিন বিজয়ী ও প্রতিষ্ঠিত থাকবে-এ আমাদের প্রথম অঙ্গীকার।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ যুদ্ধের সময় আমরা দেখলাম, রাশিয়ার মুকাবিলায় আপনারা সমানে সমান অস্ত্র চালাচ্ছেন। এতো অস্ত্র আপনারা কোথায় পেলেন?
গ্রান্ড মুফতিঃ চেসেন মুসলিমদের আর্থিক সহযোগিতায় আমরা আগেই বেশ অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলাম। ব্যাপকভাবে অস্ত্র পেয়েছি আমরা যুদ্ধের ময়দানে রুশ সেনাদের থেকে ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে। তাছাড়া রুশ বাহিনী চেসেনিয়া ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সময় তারা ফেলে গেছে এক বিপুল অস্ত্রের ভাণ্ডার।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ আপনার স্মৃতি থেকে যুদ্ধের সময় সংঘটিত একটি স্মরণীয় ঘটনা আমাদের শুনাবেন কি?
গ্রান্ড মুফতিঃ যুদ্ধকালীন সময়ের বহু আশ্চর্য ঘটনা এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে। যে শ্বাসরুদ্ধকর দিনগুলির কথা কেউ ভুলাতে পারবেনা আমাকে কোনদিন। সেই উত্তাল টালমাটাল দিনগুলির বহু ঘটনা আপনাদেরকে শুনাতে পারব । তবে হাতে সময় খুব কম । তাই একটি ঘটনা শুনুনঃ
৯৪ সালের নভেম্বর মাসে রুশ হায়েনারা চেসেনিয়ার উপর প্রথম হামলা চালায়। চেসেনিয়ায় পৌছে তারা দু'দিন পর্যন্ত তাদের ভারী অস্ত্র ও ট্যাংকের গায়ে বিশেষ চিহৃ লাগায়। যাতে সম্ভাব্য পরাজয়ের চরম মুহূর্তে নিজস্ব বিমানের বোমা হামলা থেকে সেগুলো রক্ষা পায়। তাদের চিন্তা ছিল, একদিনেই তারা গ্রোজনী দখল করে নিতে পারবে। আর যদি তাদের পরাজয় ঘটে তবে উপরের বিমান দিয়ে পুরো গোজনী সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিবে। কিন্তু আল্লাহর অপার, মহিমায় যুদ্ধে তাদের পরাজয় ঘটল। সেদিন চলে আসলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার তাদের গোজনীর উপর বিমান হামলার পালা। গোজনীর প্রতিটি নাগরিকের চরম শংকার মধ্য দিয়ে ঘড়ির কাটা টিকটিক করে এগিয়ে যাচ্ছে। পরিষ্কার আকাশ। মাথার উপর সূর্যটা জুলজুল করে জুলছে। ভাবতেও অবাক লাগে, হঠাৎ পুরো শহর অন্ধকার হয়ে গেল। আকাশ থেকে নেমে এলো পুরো শহর ব্যাপী নিশ্ছিদ্র তুষার। চতুর্দিকে কুয়াশা আর কুয়াশা। আমি আমার পাশের সাথীটিকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। আল্লাহর অপার কুদরাত ও গায়েবী মদদ চোখ ভরে দেখলাম। রুশ বাহিনীর সকল পরিকল্পনা ব্যার্থ হলো। পরম বিজয়ে উল্লসিত হলো চেসেনিয়ার জানবাজ মুজাহিদ-জনতা। আল্লাহ্র পথে যারা যুদ্ধ করে আল্লাহ তাদের এভাবেই মদদ করে থাকেন।
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের দশ কোটি মুসলমানের উদ্দেশ্যে কোন পয়গাম আছে কি?
গ্রান্ড মুফতিঃ আমাদের অনেকে এখনও গভীর নিদ্রায় অচেতন। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েই তারা ব্যস্ত। জাগতিক উন্নয়ন তাদের নিকট মুখ্য বিষয়। আখিরাতের অনন্তজীবন সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণ বে-খবর। বরং পার্থিব জীবনকে তারা আখিরাতের উপর প্রাধান্য দিচ্ছে। অথচ আখিরাতের জীবনই হলো উত্তম ও অনন্ত। বিশ্বের অনেক মানুষ এখনও চেসেনিয়ার সঠিক অবস্থা কি তা জানে না। চেসেনিয়ায় কি ঘটল বা ঘটছে, অনেকেই তার খবর রাখেনা ।
মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
আপনারা জাগ্রত হোন। চেসেনিয়ার বিজয় গোটা মুসলিম উম্মাহর বিজয়। চেসেনিয়ায় আল্লাহর কালিমা বুলন্দ হওয়ার সূত্র ধরে সমগ্র বিশ্বে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ হতে পারে। এ ব্যাপরে আপনারা সোচ্চার হোন। কথা আর দীর্ঘ করতে চাই না। পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করে আপনারা মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ ও রাসূলের সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করুন । রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ-
“যে ব্যক্তি মুসলমানের সমস্যাবলীর গুরুত্ব দিল না, সে আমার দলের লোক নয়।”
জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধিঃ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে সাক্ষাৎকার প্রদান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন।
গ্রান্ড মুফতিঃ আপনাকেও ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে দ্বীনে পথের মুজাহিদ হিসাবে কবুল করে নিন। শহীদী মৃত্যু নসীব করুন।
জাগো মুজাহিদ প্রদিনিধিঃ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
গ্রান্ড মুফতিঃ ওয়ালাইকুমুন্ সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
সাক্ষাৎকার গ্রহণঃ হারুন ইজহার