বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা
========================================================================
আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুয়াতের মহাসম্মেলনের ঘোষণা :
দুই মাসে মধ্যে যদি কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা না হয় সংসদ ভবন ঘেরাও সহ বৃহত্তর আন্দোলন-
'কাদিয়ানী'- বাংলাদেশের মুসলমান আবাল-বৃদ্ধ-যুবক-কিশোরের নিকট একটি ঘৃণিত নাম। এই নামটি উচ্চারণের সাথে সাথে প্রতিটি ঈমানদার মুসলমান হৃদয়ের সবটুকু ঘৃনা ছুড়ে মারেন এই পাপিষ্ট চক্রটির লক্ষ্যে। মুসলিম সমাজে বিভ্রান্তি ও ফিতনা সৃষ্টি কুমতলবে ভন্ড নবীর এই শিষ্যরা এদেশে তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে বেশ কিছু দিন ধরে। তারা রাসূল (সাঃ)-এর নবুয়তীর প্রতি আঘাত হানছে, তাকে শেষ নবী বলে অস্বীকার করছে, কুরআন শরীফের ব্যাখ্যায় বিকৃতি ঘটিয়েছে। ভুল ব্যাখ্যা করেছে, ইংরেজের দালাল গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে নবী বলে দাবী করছে। এত ভন্ডামী করেও এই গোলাম আহমদের ভক্ত কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলমান বলে পরিচয় দিচ্ছে।
যারা এভাবে ইসলাম ধর্মের আকীদা বিশ্বাস নিয়ে জালিয়াতি করছে-নকল হয়েও মুসলমান বলে পরিচয় দিচ্ছে তাদের জালিয়াতি এদেশের মুসলমানরা সহ্য করবে কেন? প্রতারক দল আঘাত হেনেছে ইসলামের অন্যতম বিশ্বাস, 'খতমে নবুয়াত' অর্থ্যাৎ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ই শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না-এর ওপর। মুসলমানরা তাদের জীবনের ওপর আঘাত আসলে তা বরদাস্ত করতে পারে। কিন্তু তাদের প্রিয় নবী (সাঃ)-এর প্রতি এত বড় মিথ্যাচার নিরবে মেনে নেবেন কেন?
এই জালিয়াতী ও ভন্ডামীর উপযুক্ত শাস্তি বিধান, ইসলাম ধর্মকে নিয়ে তারা যাতে খেলা করতে না পারে তা বন্ধ করা এবং জাল মুসলামানদের মসলমান পরিচয় দেয়া ও তাদের ইসলামী পরিভাষা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবীতে ২৪ শে ডিসেম্বর লক্ষ লক্ষ বীর মুজাহিদের পদভারে প্রকম্পিত হয়েছিল ঢাকার বিশাল মানিক মিয়া এভিনিউ। লক্ষ লক্ষ মুসলিমের তাকবির ধ্বনিতে সেদিন ঢাকার রাজপথ, আকাশ, বাতাস মুখর হয়ে উঠেছিল। ঢাকার অলিতে-গলিতে, বাসে-ট্রেনে, বিক্সায়, ট্রাকে সর্বত্রটুপি আর পাঞ্জাবি পরা বিপ্লবী মুজাহিদদের আনাগোনা পুরো শহরের চিত্রই পাল্টে দিয়েছিল। সর্বত্রই নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার শ্লোগান। যেন ঢাকা শহরে ঘটে গেছে কোন মহাবিপ্লব, মহা অভ্যুত্থান। তাই বিপ্লবী বীর মুজাহিদদের আন্তরিক মোবারকবাদ জানাতে দেশের ১০ কোটি ঈমানদার মুসলমান যেন বাধভাঙ্গা বানের ন্যায় ভেঙ্গে পড়েছে এই শহরটিতে। এই দেশের মুসলমানরা আর একবার ইসলামের শত্রুদের হুসিয়ার করে দিয়েছে যে, "দেখ, এদেশে মুসলমানদের শরীরে এখনও মুজাহিদদের রক্ত অবশিষ্ট আছে। ইসলামের বিরুদ্ধে, রাসুল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত হলে শতে শতে নয়, লক্ষ লক্ষ মুসলমান সমবেত হবে তাঁর দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে।"
লক্ষ জনতার সম্মিলিত বজ্রকন্ঠ সেদিন জানিয়ে দিয়েছে যে, খতমে নবুয়তের ওপর আঘাত তো মুসলমানদের ঈমান আমলের ওপর আঘাত, তা তারা আর মোটাই বরদাস্ত করবেন না। ভবিষ্যতে কাদিয়ানীদের ন্যায় যারাই ইসলাম এবং এদেশের মুসলমানদের এতটুকু ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে এমনি তৈরী হয়ে যাবে লাখো জংগী মুজাহিদের কাফেলা।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহফফুজে খতমে নবুয়াত বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত মানিক মিয়া এভিনিউ-র এই সম্মেলন ছিল ইসলাম বিরোধী এবং ইসলামের গোপন অ প্রকাশ্য শত্রুর প্রতি এক ভয়ঙ্কর আঘাত। ইসলামের শত্রুরা এ সম্মেলনকে বানচাল করার জন্য কম চেষ্টা চালায় নি। কিন্তু খতমে নবুয়তের সম্মেলন যেহেতু রাসূল (সাঃ) ও আল্লাহর সত্যতা ও স্বত্বার সাথে সম্পর্কযুক্ত তাই আল্লাহই সেসব ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করে মুসলমানদের এক আজীম বিজয় দান করেছেন। সম্মেলনের দুদিন আগে সম্মেলন স্থলে ষ্টেজ ও প্যান্ডেল নির্মাণের সময় অকস্মাৎ পলিশ এসে জানায় যে, সরকার এ স্থলে সম্মেলন করার অনুমতি বাতিল করেছেন। তারা জোর পূর্বক স্টেজ ও প্যান্ডেল ভেঙ্গে দেয়। এর আগে দেশের কুখ্যাত বামপন্থী অ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারীদের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মুখে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি এ সম্মেলনে উদ্বোধন করার কথা দিলেও উপস্থিত থাকতে পারছেনা। সম্মেলনের মাত্র দু'দিন বাকী। শুরু হল সরকারের মোনাফেকী আচরণ যা কাদিয়ানীদের স্বার্থ রক্ষার নামান্তর। ২৩ শে ডিসেম্বর পত্র-পত্রিকায় খবর ছাপা হয় যে, সম্মেলন স্থগিত কর হয়েছে।
অথচ সম্মেলনের উদ্যোক্তারা সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য অনঢ়। এই বিভ্রান্তিরকর খবর নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঐদিন বিকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে জাতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও নও জোয়ানরা এই মোনাফেকী এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতি সকলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় সরকার পরদিন সম্মেলন অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। এর পরও পর্দার অন্তরালে থেকে ষড়যন্ত্র চলে। ঐ দিন দিবাগত মধ্যরাতে করাচী থেকে পবিত্র হেরেম শরীফের প্রধাণ ইমামকে করাচী বিমান বন্দর এবং দিল্লী জামে মসজিদের খতিব আব্দুল্লাহ বোখারীকে কলকাতা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় নিরাপত্তা দেয়া যাবে না এই অজুহাত দেখিয়ে। অথচ এই সরকারই কাদিয়ানী নেতা অ তাদের কথিত মসজিদকে পুলিশী পাহারায় রেখেছে, কাদিয়ানীদের পূর্ন নিরাপত্তা দিচ্ছে। যাহোক এহেন শত বাধা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও পরদিন যথা সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঈমানদাররা বিজয়ী হয়, পরাজিত হয় শয়তান, বাতিল এবং মোনাফেকরা।
বেলা বারোটার মধ্যেই সম্মেলন স্থল বিপুল সংখ্যক লোকের আগমন ঘটে। জুময়ার নামাজের পর ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, ট্রাক ভর্তি কাফেলা মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। বিশাল বিশাল মিছিল ধ্বনিতে মনে হচ্ছিল যেন ঢাকা শহর উত্তাল মিছিলের শহরে পরিণত হয়েছে। আছরের নামযের পর সমগ্র মানিক মিয়া এভিনিউ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ঢাকাবাসী বোধহয় এই প্রথম দেখল বিশাল মানিক মিয়া এভিনিউ বুকে তিল ধরণেরও কান স্থান নেই। ঈমানদার মানুষের এমন মহা সম্মিলনী ঢাকার বুকে এই প্রথম ঘটল।
দেশের প্রেসিডেন্ট নেই, প্রধান অতিথির উপস্থিত হতে দেয়া হয়নি তাতে কি। সম্মেলনের আকর্ষন তাতে একটুও হ্রাস পায়নি। মুসলমানদের কোন কাজ বিশেষ ব্যক্তি না হলেও যে ব্যার্থ হয় না সে সত্য আরও একবার প্রমাণিত হল। ভারত, পাকিস্তান, তুরষ্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন, মিসর, লিবিয়া, কুয়েত, সৌদি আরব, ফিলিপাইন প্রভৃতি দেশের প্রতিনিধিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রেখে সম্মেলনে আয়োজনের উদ্দ্যেশ্যকে কানায় কানায় পূর্ণ করে দেন। এরপর বাংলাদেশের সর্বস্তরের আলিমগণ উপস্থিত হয়ে মুসলমানদের ঈমানী জজবাকে আরও শাণিত করেন।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে স্বাগত ভাষণে জাতীয় মসজিদের খতীব প্রখ্যাত আলেম মাওলানা ওবায়দুল হক সাহেব বলেন, "শেষ নবী কাদিয়ানীরা কাফেরে পরিণত হয়েছে। এ দাবী যে দেশের ১০ কোটি মানুষের তা আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। এখন দরকার শুধু সরকারী ঘোষোণার।" পীর দুদু মিয়া বলেন, 'কাদিয়ানীরা কাফের, সারা দুনিয়ার মুসলমান এতে একমত। এই সরকার এখনও ইতস্তর মধ্যে রয়েছে, তারা মুসলমান কিনা? তারা কাফের কিনা? মহানবী (সাঃ)বলে গেছেন, আমার পর আর কনো নবি আসবে না। তাঁর কথাই বড় দলিল। তাই সরকারকে বিভ্রান্তির পথে না গিয়ে অবিলম্বে কাদিয়ানীদের অমুসলমান ঘোষণা করতে হবে।
মাওলানা আহমদ উল্লাহ আশরাফ বলেন,"সরকার দেশের চোর, ডাকাত, বদমাশ এবং হিন্দু খৃস্টানদের সংখ্যা জানতে পারে অথচ ইসলামের দুশমন নবীর দুশমনদের সংখ্যা জানে না। বিসমিল্লাহ্র কথা বলে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু এত বলার পরও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেনি। এ সরকার খৃস্টান ও কাদিয়ানীদের মেহমানের ন্যায় সম্মান করছে, কিন্তু কাবা শরীফের ইমাম এবং দিল্লীর জামে মসজিদের খতিবকে নিরাপত্তার অজুহাতে এ সম্মেলনে আসতেই দেয়া হলো না।" মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, " সরকার যদি কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয় তব তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে তা জানা নেই। এ দাবী দেশের ৮৮% নাগরিকদের দাবী, এ দাবী উপেক্ষা করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। কদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষোণার দাবীই হবে আগামী নির্বাচনের ইস্যু। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের একথা উপলব্ধি করতে হবে। যারা কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করবে জনগণ তাদেরই ভোট দেবে।" পাকিস্তান থেকে আগত প্রখ্যাত আলেম মাওঃ ইউসুফ লুধিয়ানী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, "কাদিয়ানীরা মুরতাদ, কাফের, বেঈমান। ইসলামের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা জেগে আছি আমরা মৃত্যুর জন্য তৈয়ার। আমরা জান মাল কোরবান করার জন্য প্রস্তুত। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মসনদে গিয়ে বলেছেন, আমিও নবী। এটা সহ্য করা যাবে না।"
শায়খুল হাদিস আজিজুল হক সাহেব বলেন," আমরা সরকারের কাছে ফতোয়া ভিক্ষা করছি না। সরকার যদি মুসলমান হয়ে থাকে তবে কদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করতে হবে। সরকার নির্বোধ, তারা আইন জানে না। কাদিয়ানীরা মুসলিম শব্দ ব্যবহার করে আমাদের গুড উইল ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। বকশিবাজারে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। সেখানে কী একটা বানিয়ে মসজিদ বলে প্রচার করছে। সরকারকে শুধু অমুসলিম ঘোষণা দিলেই চলবে। তারপর কিভাবে তারা সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তা আমরা দেখব। সে দায়িত্ব আমাদের।"
চরমনাই পীর ফজলুল করিম সাহেব বলেন," শুধু কাদায়ানী নয় তসলিমা গং বিবৃতি দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এদের তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে সরকারের এতো আপত্তি কেন? তারা জনগণের সরকার না কদিয়ানীদের সরকার? প্রেসিডেন্ট কথা দিয়েও এই সম্মেলন উদ্বোধন করতে ভয় পেলেন কেন? তিনি নারীদের সমাবেশে যোগদান করতে পারেন অথচ কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আয়োজিত সম্মেলনে যোগদান করতে পারেন না। এতে কি প্রমাণ হয় না যে, এ সরকার কাদিয়ানীদের সরকার?
এছাড়া দেশী বিদেশী বহু বক্তা এ সম্মেলনে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতা রাখেন। সম্মেলন গৃহিত সিদ্ধান্তে বলা হয়, কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহের ন্যায় অবিলম্বে অমুসলিম বলে ঘোষণা করতে হবে। তথাকথিত আহমদিয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত পবিত্র কুরআনের অপব্যাখ্যা সম্বলিত কুরআন মজীদ নামক গ্রন্থসহ তাদের সকল বই-পুস্তক ও বিদ্বেষমূলক যাবতীয় প্রচার পত্র, বুলেটিনও বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলামের বিশেষ পরিভাষা যথা নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, মুয়াজ্জীন, আজান, মসজিদ, খলীফা, সাহাবী এবং তাদের অফিস সমূহের সম্মুখ এবং প্রচারপত্রে বই পুস্তকে আহমদিয়া মুসলিম জামাত নাম ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে কাদিয়ানীদের অবিলম্বে আপসারণ করতে হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে সমাবেশ থেকে চরম হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
কাশ্মীরে মুজাহিদ ও ভারতীয় সেনাদের সংঘাত বেড়ে চলেছে
কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত বেড়েই চলেছে। বন্দুক আর কামানের গর্জনের সাথে এই উপত্যকার লোকজনের এখন দৈনন্দিন কাজ শুরু হয়। চলতি মাসে কাশ্মীরের অনন্তনাগ, শ্রীনগর, ডোডা, বারমুলা, সোপুর প্রভৃতি প্রধান প্রধান শহরে মুজাহিদদের সাথে সেনাদের বেশ কয়েকটি লড়াই বাধে। এসব লড়াইয়ে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি হতাহত হয়। সম্প্রতি অনন্তনাগে মুজাহিদদের আক্রমণ থেকে ধারণা করা হয় যে, কাশ্মিরের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভয়াবহতা উত্তর কাশ্মীর থেকে দক্ষিণেও সম্প্রসারিত হচ্ছে।
জাতিসংঘকে শীঘ্রই সোমালিয়া থেকে হাত গুটিয়ে নিতে হবে
জেনারেল আইদিদি
------------------------------------------------------------------------------------
সোমালিয়ার অবিসংবাদিত নেতা জেনারেল ফারাহ আইদিদি সম্প্রতি রাজধানিতে এক সংবাদিক সম্মেলনে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন যে, অবিলম্বে জাতিসংঘ বাহিনীকে সয়ামালিয়া থেকে হাত গুটিয়ে নিতে হবে। এর পূর্বে আইদিদি বাহিনী জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন বাহিনির ওপর ভয়ঙ্কর আঘাত হানলে একে একে যুক্ত্রাষ্ট্র,ফ্রান্স, ইটালী, বেলজিয়াম, জার্মানী সোমালিয়া থেকে তাদের সেনাদের ৩১ শে মার্চের মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এ বাহিনী সোমালিয়ায় মানবিক মিশন চালানোর কথা বলে আগমন করলেও তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সোমালিয়ায় একটি তাবেদার সরকার কায়েম করা এবং ইসলামী রাষ্ট্র সুদানের দক্ষিণ অঞ্চলের খৃস্টান প্রধাণ এলাকায় একটি স্বাধীন ষড়যন্ত্র চালানো। কিন্তু ফারাহ আইদিদি জাতির এই দুর্দিনে পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উপব্ধি করে অনুগত বাহিনী নিয়ে জাতিসংঘ বাহিনীকে কঠোর হস্তে মোকাবিলা করেন। তার বীরত্বপুর্ণ ভূমিকার ফলে পরাশক্তি মার্কিন বাহিনী শান্তিপূর্ণ পলায়নের তারিখ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। বিফল হয় পাশ্চাত্বের সকল ষড়যন্ত্র।
মার্কিন সেনাবাহিনীতে মুসলিম ইমাম নিয়োগ
মার্কিন সেনাবাহিনীতে সরকারীভাবে একজন মুসলিম সেনাকে এই প্রথম 'ইমাম' হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়েছে। সব্দুর রশিদ মোহামাদ নামে এই ব্যক্তি ১৯৭৪ সালে ২১ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। এর পর তিনি ইসলাম ধর্মের ওপর ব্যাপক পড়াশুনা করে পান্ডিত্য অর্জন করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত এপ্রিলে তিনি ইমাম হিসবে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ফ্রোট ব্রাগে অষ্টাদশ বিমান কোরে যোগদান করেন। ডিসেন্বরে তাকে ইমাম হিসেবে নিয়োগদান করা হয়। তিনি আগামি বৎসর মার্কিন সেনাবাহিনীর মুসলমান সেনাদের নিয়ে হজ্জ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
মৃত্যুদন্ডই রুশদীর প্রাপ্য
-শেখ ইউসুফ আল কারদাবী
---------------------------------------------------------
মিসরের বিশিষ্ট ইসলামী পন্ডিত শেখ ইউসুফ আর কারদাবী বলেন, ইসলামী জুরিদের (ফুকাহা) বেশির ভাগের অভিমত হচ্ছে, সালমান রুশদীর মত ধর্মদ্রোহীর মৃত্যুদন্ডই প্রাপ্য।
মিশরীয় ইসলামী লেখকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ ইউসুফ একথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলাম বিরোধীরা মুখাফফা ও মুগাল্লাজা এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। মুরতাদ সালমান রুশদীর মত ব্যক্তি মুগাল্লাজা শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে রুশদীর কঠোর শাস্তি প্রপ্য। ইসলামী উম্মার বেশীর ভাগেরই এই অভিমত।
তিনি বলেন, রুশদীকে ইসলামী উম্মার বড় ধরনের শত্রু বলে বিবেচনা করা হয়। সউদী সাপ্তাহিক আল মাজাল্লায়, শেখ ইউসুফের এই মতামত প্রকাশিত হয়। (সমাপ্ত)
*****