JustPaste.it

বিশ্বব্যাপি মুজাহিদদের তৎপরতা

=======================================================================

 

হরকাতুল আনসারের কমান্ডার আবু আব্দুল্লাহর সাক্ষাৎকার

        কাশ্মীরী জনগন আমেরিকার নয়া বিশ্বনীতি কোন অবস্থাতেই মেনে নিবেনা। কারন তারা 'ভারত' নামক অপশক্তির পাঞ্জামুক্ত হয়ে অপর কোন হায়েনার থাবায় পড়তে রাজী নয়। নয়া বিশ্বনীতি কার্যকর হবার আগেই কাশ্মীরবাসী মুজাহিদদের হাতে স্বাধীনতার সূর্য দেখবে। কারণ, কাশ্মীরী মুজাহিদরা ইসলামী বিশ্ব ছাড়াও ইন্ডিয়ান আর্মী, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, সেন্ট্রাল  রিজার্ভ পুলিশ, ইন্ডিয়ান মিলিটারী পুলিশ এবং 'র' এর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও অফিসারদের নিকট থেকে গোপনে সহযোগিতা পাচ্ছে।

 

        হরকাতুল আনসার (জন্মু-কাশ্মীর) এর দূর্ধর্ষ গেরীলা কমান্ডার আবু আব্দুল্লাহ এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে উক্ত মত ব্যক্ত করেন। তার জীবিত বা মৃত গ্রেফতারীর বিনিময়ে ভারত সরকার “যত চায় তত টাকা” পুরুস্কারের ঘোষনা দিয়েছে। আর তিনি গত পাঁচ বছর যাবৎ জীবন ও পরিবার পরিজনের মায়া ছেরে কাশ্মীরে ইসলামী আজাদীর লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ১৯৮৯ইং অধিকৃত কাশ্মীরের ডোঢা জিলায় সূচীত হরকাতুল আনসারের সশস্ত্র গেরীলা তৎপরতা এখন গোটা কাশ্মীর তোলপাড় করে তুলছে। তিনি বলেন, ভারত এখন বাবরী মসজিদ, সিয়াচেন, পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে আন্দোলন এবং বর্তমান রুগ্ন অর্থনীতির চাপে ইতিহাসের সঙ্কটময় অবস্থা অতিক্রম করছে।

 

        আপনারা অস্ত্র কোথেকে পান? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা দুশমন থেকে অস্ত্র নিয়ে তা তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করি। তাছাড়া অধিকৃত কাশ্মীরে গোপনে অস্ত্র বেচা-কেনাও হয়।

 

        আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ইন্ডিয়ান সেনা অফিসারদের সহযোগিতায় মুজাহিদরা পূর্ব থেকেই দুশমনের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত থাকে। এতে আমরা ভারত সেনাদের বিরূদ্ধে মুখোমুখি সংঘর্ষ করতে পারি। যেমন গত বছর ইন্ডিয়ান আর্মী এবং বিএস এফ সম্মিলিত ভাবে মুজাহিদদের বিরূদ্ধে একশন প্রোগ্রাম করে তার নাম দেয় ‘হাউন্ট ডাউন’। এদিকে ইন্ডিয়ান সেনা অফিসার সময়মত মুজাহিদদের এ সংবাদ দিলে তারা 'হাউন্ট ডাউন' এর বিরূদ্ধে ‘খালিদ বিন ওয়ালিদ’ নামক একশন প্রোগ্রাম হাতে নেন। দুশমন মারাত্মকভাবে পর্যুদস্থ হয় এবং মুজাহিদদের হাতে প্রচুর অস্ত্র সম্ভার আসে। এমনি ‘ডোটা’ শহরে সি, আর পির ক্যাম্পে ‘আমীর হামজাহ’ নামক অপারেশনে রকেট হামলা চালিয়ে মুজাহিদরা ভারতীয় সেনাদের বিপুল ক্ষতি সাধন করে। অনুরূপ জন্ম প্রদেশের ‘পরঢুয়া’ শহরে আর্মী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে প্রচুর গাড়ী ও অস্ত্র ছাড়াও বেশ কজন যুদ্ধ বন্দী হাতে আসে।

 

ভারত সেনা কাশ্মীর না ছাড়া পর্যন্ত জিহাদ চলবে কাশ্মীর ইন্টারগেশন সেন্টার থেকে কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানীর সাক্ষাৎকার

        (শ্রীনগর পি, আই) হরকাতুল আনসারের বন্দি চীফ কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানী বলেন, কাশ্মীরবাসী কোন বাইরের ইঙ্গীতে ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ শুরু করেনি। কোন পাকিস্তানী এজেন্সী তাদের কে অস্ত্র বা ট্রেনীং কোনটিই দেয়নি। ভারত সেনাকে কুপোকাত করতে আমরা তাদের থেকেই অস্ত্র কেড়ে নেই। তাছাড়া কাশ্মীরে অবাধে অস্ত্র বেচা কেনা হয়। শ্রীনগর বাদামীবাগ সামরিক ইন্টারগেশন সেন্টারে বিদেশী এক সাংবাদিক দলের নিকট সাক্ষাৎকারের সময় কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানী উক্ত মত ব্যক্ত করেন। গত মার্চ ৯৪ ইং কাযীগুন্ডে ভারত সেনারা তাকে গ্রেফতার করে।

 

        বিগত দিনগুলিতে ভারত সেনারা কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানীকে সংবাদ সংস্থার নিকট বিদেশী সন্ত্রাসবাদী বলে আখ্যায়ীত করে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন,আমি রাওলাকোট হতে আযাদ কাশ্মীরের অধিবাসী জিহাদ.....কাশ্মীরী  ১৯৯০ইং অধিকৃত কাশ্মীর রওয়ানা হই। তিনি বলেন, আমি আফগানিস্তানেই জিহাদের ট্রেনীং নিয়েছি। ভারত সেনা কাশ্মীর ত্যাগ করা পর্যন্ত জিহাদ চলবে।তিনি ভারতীয় কর্নেল ভুপিন্দর সিংয়ের হত্যার জিম্মা নিয়ে বলেন, সেতো মুসলমানদের হ্ত্যাকারী ছিল। তাই সে তার ফল ভোগ করেছে। সাজ্জাদ আফগানী আরও বলেন, আমরা জঙ্গলে থাকি ওখান থেকে সম্মুখ সমরে এসে ভারত সেনার বিরুদ্ধে হামলা চালাই। আমাদের টার্গেট হল, সেনা ছাউনী, বাঙ্কার ও সেনা কনভয়। তিনি আরও বলেন আমার বন্দী দশায় আজাদীর জিহাদে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে না। গ্রেফতারীর পর তার ‘কেমন লাগছে’ এ প্রশ্ন করা হলে তিনি খুব সুন্দর উত্তর দেন যে, এটাতো আমার জন্য তেমন কিছুইনা। শাহাদাত এক মুজাহিদের শ্রেষ্ঠতম কামনা। কমান্ডার সাজ্জাদ ইন্ডিয়ান আর্মীর বিরুদ্ধে নির্ভয়ে স্বগর্বে বলেন, এক সাজ্জাদ কে গ্রেফতার করলে কি হবে তোমাদের কুপোকাত করতে হাজারো সাজ্জাদ জীবিত আছে, হাজারো সাজ্জাদ জন্ম নিবে।

 

        উল্যেখ্য যে, ‘কমান্ডার’ সাজ্জাদ কাশ্মীর জিহাদের একজন দুর্ধর্ষ মুজাহিদ। একের পর এক তার সফলতম অপারেশনে ভারত সেনা পাগলের মত উদভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। তাই তাকে টার্গেট করা হয়। কিন্তু শত চেষ্টার পরও তার নাগাল পায়নি। তারা গত দেড় বছর পূর্বে শাহাদাত বরণকারী এক মুজাহিদকে কমান্ডার সাজ্জাদ বলে সনাক্ত করে এবং তার শাহাদাত বরনে ভারত সেনা আনন্দোৎসবের ব্যবস্থাও করে। কিন্তু আটমাস পর বিবিসির স্থানীয় প্রতিবেদক ইউসুফ জামীলের নিকট তারা জানতে পারে যে, নিহত বলে ঘোষিত কমান্ডার সাজ্জাদ এখনও বেঁচে আছে, লড়ে যাচ্ছে ভারত সেনার বিরুদ্ধে। এ সংবাদে ভারত সেনার মাথায় বাজ পড়ে যেন!

 

        ওদিকে হরকাতুল আনসারের পক্ষ থেকেও কমান্ডার সাজ্জাদের ব্যাপারে রটানো ভুয়া খবরের প্রতিবাদ জানানো হয়নি। আটমাস পর (গেফতারীর পূর্বে) বিবিসির প্রতিবেদক তাকে জিজ্ঞেস করে যে, আপনার শাহাদাত সম্পর্কে রটানো ভুয়া সংবাদের প্রতিবাদ করেননি কেন? উত্তরে কমান্ডার বলেন, আমরা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য জিহাদ করি। কোনরূপ খ্যাতির জন্য নয়। আর ভারত সেনা আমার ব্যপারে আশঙ্কামুক্ত হওয়াতে এ সুযোগে আমি খুব জোরদার আক্রমণের সুযোগ পাই। (উল্লেখ্য, কাশ্মীর রনাঙ্গনে হরকাতুল আনসারের জিহাদরত সদস্য সংখ্যা ১৫ হাজার)

 

বার্মায় জিহাদ শুরুঃ

        দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এবং মুসলিম বিশ্বের অন্যতম নির্যাতিত ও মজলুম এলাকা আরাকানে অবশেষে জিহাদ শুরু হয়েছে। এই জিহাদে নেতৃত্ব দিচ্ছে রোহিঙ্গা মুজাহিদ সংগঠন আর এস ও। এ সংগঠনের মুজাহিদরা বেশ কিছু আক্রমণ পরিচালনা করে বর্মী সৈন্যদের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে। প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, এক হামলায় ১১ জন বর্মী সেনা একজন লেপ্টেন্যান্টসহ নিহত হয়। বিনা ক্ষয়ক্ষতিতে মুজাহিদরা এ হামলা চালিয়ে ৮টি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র গনিমত লাভ করে। এর মধ্যে ক্লাশিনকভ, জি-৩ স্টেনগানও রয়েছে। অন্য এক হামলায় ১৫ জন সৈন্য নিহত ও তিনজন মুজাহিদ শহীদ হন। তবে এসব অপারেশনের নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এছাড়া অন্য এক ঘটনায় সাত হাজার সৈন্য কর্তৃক ৫ দিন পরিবেষ্টিত থাকার পর ২৮ জন মুজাহিদ ধরা পরে। পরে সৈন্যরা বন্দুকের নলের মুখে গ্রামের মুসলমান অধিবাসীদের দ্বারা তাদের জবাই করে শহীদ করে দেয়। এ ঘটনা মংডু টাউনসীপ থেকে বারো মাইল দক্ষিনে পার্বত্য ও গ্রাম্য এলাকায়।

 

বসনিয়ার মুসলিম বাহিনী আক্রমণাত্নক ভূমিকার প্রস্তুতি নিছে

        মধ্য বসনিয়ার পার্বত্য এলাকায় সরকারী বাহিনী সার্ব বাহিনীর কাছ থেকে একটি হারানো ভুখন্ড ফিরে পাবার জন্য হামলা শুরু করেছে। বসনিয়ার প্রধান সেনা কমান্ডার জেনারেল রাছিম দেলিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, “ক্রোট-মুসলিম ফেডারেশনের আয়তন নির্ধারিত হবে অস্ত্রের বলে।” জাতিসংঘ সামরিক পর্যবেক্ষকরা জানান, যেসব বসনীয় সৈন্যের সামনা সামনি হামলা চালানোর মত পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই, তারা গত ১০ দিন থেকে সার্বদের গান ব্যাটারীগুলো নষ্ট করার জন্য কৌশলগত দিক থেকে গুরুতুপূর্ণ পর্বত ট্টাভনিক ঘেরাও করার কাজ অব্যাহত রেখেছে। তারা জানান, বসনিয়ার এই সামরিক মহরার ফলে সরকারি সৈন্যরা ট্টাভনিকভদ পর্বতের পুর্ব ও পশ্চিম দিকে বেশ কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

 

নাইজারের পারিবারিক আইন দ্বীনদার মুসলমানদের কঠোর বিরোধিতার মুখে

        নাইজারের ইসলামিক মহিলা গ্রুপগুলো সরকারের 'পারবারিক আইন’ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে, এই আইনের ৯শ' ৬টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ৬শ" ৩টি কুরআনের বিধি-নিষেধের পরিপন্থী।

 

        এই খসড়া পারিবারিক আইনে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার বিধান রহিত করা হয়েছে। এই আইনে ইসলামের উত্তরাধিকার আইনকে অস্বীকার করা হয়েছে এবং বিবাহকে ঐচ্ছিক বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। দেশের সত্যিকার মুসলমানরা এসব বিধি-বিধানের বিরোধী।

 

        ৬টি মুসলিম মহিলা সংগঠনের মহিলারা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, এসব প্রতিটি বিষয়ই ইসলামের ধর্মীয় বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। এগুলোর উপর মানুষের কোন হস্তক্ষেপ চলতে পারে না। নাইজারের পার্লামেন্ট এই আইনটি গৃহীত হবার অপেক্ষায় আছে। মুসলমান পুরুষরাও এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিম আফ্রিকী এই দেশটির ৮০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৯৮ শতাংশ মুসলমান। নাইজারে দ্বীনদার মুসলমানদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা নাইজারকে একটি সত্যিকার ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে আগ্রহী। তারা সমাজে নামাজ কায়েমের ব্যাপারেও তৎপর রয়েছে। শরীয়ত বিরোধী যে কোন কর্মকান্ডকে তারা প্রতিহত করতে গিয়ে জেল-জুলূমও ভোগ করেছেন।

 

হরকাতুল আনসারের দুর্ধর্ষ কমান্ডার নসরুল্লাহ মনসুর লেংরিয়ালের মুক্তির জন্যে ইন্ডিয়ান লেফটেনেন্ট কর্ণেলকে অপহরণ

        রিপোর্টে বলা হয় গত ২১ জানুয়ারী হরকাতুল আনসারের গেরিলা চীপ কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানীর নেতৃত্বে ডোডা জিলায় ইন্ডিয়ান সেনাদের উপর প্রচণ্ড আক্রমণ করা হয়। সংঘর্ষের সময়ে ঘটনাস্থলেই ৮জন ইন্ডিয়ান সেনা নিহত হয়। তৎঙ্গে হরকাতুল আনসারের মুজাহিদরা ইন্ডিয়ান লেফটেনেন্ট কর্ণেল ভূপিন্দ্র সিংকে গ্রেফতার করে। লেফটেনেন্ট কর্ণেলকে বন্দি করায় ইন্ডিয়ান আর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তাকে মুক্ত করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালায়।

 

        হরকাতুল আনসারের মুজাহিদরা লেফটেন্টে কর্ণেল ভুপিন্দর সিংকে ফেরৎ দিতে দুধর্ষ কমান্ডার নসরুল্লাহ মনসুর লেংড়িয়ালের মুক্তির শর্ত দেয় এবং “ডেড লাইন” (মৃত্যু সীমা) বেঁধে দেয়। কিন্তু ইন্ডিয়ান সেনারা প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে মুজাহিদদের পোষ্টে আক্রমণের চেষ্টা করলে হরকাতুল আনসারের মুজাহিদরা লেফটেনেন্ট কর্ণেল ভূপিন্দরকে গুলী করে হত্যা করে। প্রকাশ থাকে যে কমান্ডার নসরুল্লাহ মনসুরকে গত ১৮ইং আক্টোবর ১৯৯৩ইং কাপরণ জেলার ইসলাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইন্ডিয়ান সেনা এ গ্রেফতারীকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ এক বিজয় বলে আখ্যা দেয়?

 

কাশিতওয়াড়ায় ইন্ডিয়ান আর্মির উপর হরকাতুল আনসারের প্রচণ্ড আক্রমণ

        দিল্লী থেকে প্রেরিত সংবাদ মুতাবেক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্নাঞ্চলে হরকাতুল আনসার ও ভারতীয় সেনাদের মাঝে সংঘর্ষে ১৮ জন ভারতীয় সেনা নিহত এবং বহু সংখ্যক আহত হয়। রিপোর্টে প্রকাশ হরকাতুল আনসারের মুজাহিদরা ডুডা জেলায় ভারতীয় এক সেনা দলের উপর আক্রমণ চালায়। উভয় পক্ষে প্রচণ্ড গোলাগুলী হয়। এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আটজন ভারতীয় সেনা নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়। সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাদের বিপুল জানমাল নষ্ট হয়। অপরপক্ষে মুজাহিদদের গ্রুপ কমান্ডার এমতিয়াজ আহমদ কচলু ওরফে সমীর খান সহ তিনজন মুজাহিদ শহীদ হয়।

 

বার্মার (আরাকানে) বিশিষ্ট আলেম ও প্রধান মুফতী মাওঃ সুলতান আহমদের সাথে বার্মা বৌদ্ধ সরকারের অমানবিক আচরণ

        (জাগো মুজাহিদ প্রতিনিধি) বহু দিন যাবত বার্মার বৌদ্ধ সরকারের পক্ষ থেকে আরাকানী মুসলমানদের উপর চরম নিষ্পেষণ চলছে। বিশেষত সরকারী সেনারা জোর পূর্বক মুসলিম তরুণীদের ধরে নিয়ে তাদের সাথে পশুত্বের রিহার্সেল করে। স্থানীয় ওলামায়ে কিরাম বার্মীজ সেনাদের এ অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদেরও নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

 

        ইদানিং বার্মীজ সেনা বনাম নাসাকার পক্ষ থেকে দুইশত মুসলিম তরুণীকে তাদের ক্যাম্পে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। স্থানীয় উলামায়ে কিরাম সুরতহাল অবগত হয়ে সরকার ও সেনাবাহিনীর এ অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে সরকার ওলামায়ে কিরামের সাথে চরম পাশবিক আচরণ করে। বিশেষত আরকানের প্রধান মুফতী হযরত মাওঃ সুলতান আহমদ, হযরত মাওলানা জিয়াউল হাকিম কাওয়ারবেল ও মৌলভী যাফর আলী ছাড়াও আরও অনেক আলীমকে কুমির খান ক্যাম্পে ধরে নিয়ে তাদের সাথে পাশবিক আচরণ করা হয়৷ এরপর তাদের চুল দাড়ি মুড়িয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। প্রধান মুফতি সুলতান মুহাম্মদ সাহেবকে সামরিক হেডকোয়ার্টারে রাখা হয়েছে। আর জিয়াউল হাকীম সাহেবকে এই বলে ছেড়ে দেয় যে, তিনি তার ছেলেদেরকেও এখানে নিয়ে আসবেন। মাওলানা এই সুযোগে সপরিবারে বাংলাদেশে হিজরত করে চলে আসেন।

 

        শ্রীনগর জেল থেকে হরকাতুল আনসারের কমান্ডার মুযাফফার হোসাইন ও মুহাদ সলীম ফেরার। দিল্লী, (সদায়ে মুজাহিদ প্রতিবেদক) গত ১৩ মার্চ হরকাতুল আনসারের কমান্ডার মুযাফফার হুসাইন ও মুহাম্মদ সলীম শ্রীনগর জেল থেকে ফেরার হন। রিপোর্ট অনুযায়ী স্থানীয় এক পত্রিকায় ভারতীয় সেনার বরাতে বলা হয়, হরকাতুল আনসার জন্মু-কাশ্মীরের উক্ত কমান্ডারদ্বয় শ্রীনগর ‍জেল থেকে হঠাৎ উদাও হয়ে যান। ভারতীয় সেনা তাদের সন্ধানে স্থানে স্থানে হামলা করছে। মুজাহিদদ্বয় গত ১২ নভেম্বর ৯৩ ইং শ্রীনগর থেকে এক বিশেষ বৈঠকের উদ্দেশ্যে (আনন্তবাগ) ইসলামাবাদ যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তারা ভারতীয় সেনা কর্তৃক গ্রেফতার হন।

 

হরকাতুল আনসারের মুজাহিদদের হাতে পাঁচটি সেনা ব্যারাকের পতন

        হরকাতুল আনসারের মুজাহিদরা ৫টি সেনা ব্যারাক ধ্বংস করে দিয়েছে। পলেগামে হরকাতের মুজাহিদরা বি,এস, এফের ক্যাম্পে পেট্রোল বোমা হামলা করে পাঁচটি ব্যরাক ধ্বংস করে দেয়। একে বেশ কজন অফিসার নিহত ও আহত হয়।

 

দশজন ভারতীয় সেনা নিহত ও পনেরজন আহত

        জন্মু প্রদেশের এক সেনা ব্যটালিয়ান হেডকোয়ার্টারে রকেট হামলা করা হয়। এতে ১০ জন সৈন্য নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। হামলার পর হেডকোয়ার্টারে আগুন ধরে যায় এবং ৬ ঘন্টা যাবৎ তা জ্বলতে থাকে। মুজাহিদরা পরবর্তী হামলা চালায় বাজুড়ী এলাকায় গুর্খা রেজিমেন্ট হেডকোয়ার্টারে। এতে হেডকোয়ার্টার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং ৪ জন সৈন্য নিহত ও বহু আহত হয়।

 

 

═──────────────═