JustPaste.it

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য

দু’ মাসপর যখন শহীদের কবর খােলা হলাে

========================================================================

 

        বিজেপির নেতা মুরলি মনােহর যােশী ৯২ এর জানুয়ারী মাসে জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের শীত কালীন রাজধানী শ্রীনগরের লালচকের এক জনসভায় "ভারত মাতার" পতাকা উড্ডীন করার ঘােষণা দিয়ে সভায় ভাষণ দানের চেষ্টা জম্মু কাশ্মীর মুজাহিদ ফ্রন্টের কমান্ডার শাহাদাতের দৃপ্ত শপথে নস্যাত করেদেন। কমান্ডার তানবীরুল আবসার কয়েকজন সাথী নিয়ে হাজার হাজার ভরতীয় সেনা বেষ্টিত যােশীর সভায় রকেট হামলা চালান। উভয় পক্ষের মােকাবেলার পরিণতিতে তানবীরুল আবসার শাহাদত বরণ করেন। সাথীদের মধ্যে কমান্ডার তানবীরের বিয়ােগ ছিল খুবই মর্মন্তুদ। শাহদাতের দু'মাস পর সাথীরা এক সন্ধ্যায় তার লাশ দেখার জন্য কবরস্থানে গিয়ে কবর উদোম করলে তাঁরা এক অভাবিত দৃশ্য অবলােকন করেন। তারা দেখতে পান, দু'মাস পরও তানবীরের লাশ থেকে তাজা খুন ঝরছে এবং তার কাপনের কাপড়ে সামান্য ধুলি বালির ময়লাও লাগেনি। দৃশ্যত মনে হচ্ছিল, ক্লান্ত তানবীর আরাম করছেন।

 

═──────────────═

 

 

 

একত্রে শাহাদতের সাধ পূরণ হলাে

-----------------------------------------------------------------

        জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের অর্থসচিব কমান্ডার তানবীরুল আবসার ও কমান্ডার আকবরখান ছিলেন খুবই অন্তরঙ্গ দু’বন্ধু। তাদের একান্ত সাধছিল তারা দু'জন যেন একসাথে শাহাদত বরণ করতে পারেন। ভারতের অবৈধ দুঃশাসনের পাথর আরাে দীর্ঘায়িত করার জন্যে ৯২ এ মুরলা মনােহর যােশী শ্রীনগরের লাল চকে এলে এ দু' মুজাহিদ মুরালরী জনসভায় রকেট হামলা করেন। সরকারী সেনা বাহিনীও জবাবে অগণীত ব্রাশ ফায়ার করে। দু’বন্ধু শাহাদত বরণ করেন। সভাভেঙ্গে যাওয়ার পর মুজাহিদরা দু’বন্ধুর লাশের কাছে পৌছালে দেখেন, তারা উভয়েই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আছেন। অন্তিম মুহূর্তে দু’বন্ধু কোলােকোলি করছিলেন বলেই মনে হলাে। তাদেরকে পরস্পর জড়িয়ে থাকা থেকে আলাদা করতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিল ।  কিন্তু কমান্ডার তানবীবের মুষ্টি থেকে পিস্তলটি ছাড়ানাে যায়নি। প্রত্যক্ষ দর্শীরা বলেছেন, ভারতীয় সেনাদের অন্তরে এই দুই মুজাহিদের ভয় এতাে বেশী ছিল যে, মৃত্যুর পরও ওরা তাদের লাশের কাছে যায়নি।

 

═──────────────═

 

 

 

কবরে সমাহিত মুজাহিদ চোখ খুললেন এবং চোখ ঘুরিয়ে সবাইকে এক নযর দেখলেন

-----------------------------------------------------------------

        কাশ্মির, তারাল পালওয়ামাহ-র বাসিন্দা এনায়েতুল্লাহ এজন উদ্দমী নবীন মুজাহিদ। তিনি শ্রীনগরে ভাতরীয় জবর দখলকারী সেনাদের মুকাবিলায় অসামান্য কৃতিত্বের সাথে দীর্ঘদিন জিহাদ করেছেন। তাঁর হৃদয়ে ছিলাে শাহাদাতের পেয়ালা পানের অতৃপ্ত তৃষ্ণা। এক যুদ্ধে তার এই অতৃপ্ত তৃষ্ণা নিবারিত হয়। তার ভাগ্যে শাহাদাত নসীব হয় । শ্রীনগরে শহীদ গােরস্তান তার পবিত্র লাশ দাফন করা হয়। তার আত্মীয় স্বজন বেশ কিছুদিন পর তার শাহাদাতের সংবাদ পায় ! তারা ছুটে আসে ‘শহীদ' গােরস্থানে। তারা কবর খুড়ে এক নজর তার মুখ দেখার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুনয় বিনয় করতে থাকে। কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত তাদের অশ্রু স্বজল অনুরােধ উপেক্ষা করতে পারলেন না। কবরের ছাদ খুলে ফেলা হলাে। কাফন খুলে প্রকাশ করা হলাে তার পবিত্র মুখাবয়ব। তখনও তার চোখজোড়া মুদিত ছিলাে। যখন তাঁর নিকটাত্মীয়রা তাকে এক নযর দেখার জন্য কবরের ওপর ঝুকে পড়ে তখন তিনি সকলকে একবার দেখে নেন । কর খোঁড়া থেকে কবর বন্ধ করা পর্যন্ত পুরা সময়টা এক ধরণের বেহেশতী খােশবুতে মুখরিত ছিলাে। এ ঘটনা আল্লাহর বাণীর সত্যতার আরেকটি প্রমাণ। তিনি বলেছেন, “তােমরা (শহীদদেরকে) তাদেরকে মৃত বল না বরং তারা (কবরেই) জীবিত।”

 

═──────────────═