JustPaste.it
User avatar
Ishrak Abid @Ishrak_Abid · Feb 17, 2023

───❍ আলিয়া VS কাওমি

কলমে: ইশরাক আবিদ

20230103_200715.jpg

 

পাপিকে নয় পাপকে ঘৃণা কর। এটা ভুল কথা - কথাটা হওয়ার দরকার ছিলো পাপ কে নয়, পাপিকে ঘৃণা কর।

 

আমি দেখতেছি কিছু দ্বীনি ভাই আলিয়া VS কাওমি যুদ্ধ লাগিয়ে দিচ্ছে। আলিয়া আর কাওমি একে অপরকে মনে হয় জন্মের শত্রু মনে করে। আমরা এমন হয়ে গেছি যে আমরা আমাদের দ্বীনি ভাইদেরা আলিয়া কাওমি মাদরাসায় পড়ার কারনে তারা একে অপরের দু'চোখে দেখতে পারে না। কোনো এক কমেন্টে দেখলাম এক ভাই বলল আলিয়া গুলা আমার দু'চোখের বিষ। আমি বলতে চাই, আপনার যদি দু'চোখের বিষ হয়ে থাকে তাহলে আপনার চোখের চিকিৎসা করানো প্রয়োজন আগে কারন আপনার চোখ ভালো থাকলে আপনি এমন কথা বলতেন না। আপনি যদি দুই চোখের বিষ মনে করেন তাহলে তাদের কাছে দাওয়াত নিয়ে জাবেন কিভাবে। তাদের হক চিনাবেন কিভাবে বরং আপনাকে তার কাছে যেতে হবে সে আপনাকে ভালো না বাসলে আপনি তাকে ভালোবাসবেন। আলেম হয়ে যদি আলেমকেই দাওয়াত দেন তাহলে আপনি কিসের আলেম। একজন মুমিন হিসেবে তো অপর দ্বীনি ভাইদের প্রতি দরদ থাকা প্রয়োজন। যারা এরুপ করেন তাদের বলি- আপনি তো প্রকৃত দ্বায়ীর গুনাবলি অর্জন করতে পারেননি। আপনি মনে হয় দ্বায়ীর কারনীয় কি তাও জানেন না। আর তাকওয়া কথা তো বাদে দিলাম। কার তাকওয়া কি রকম আল্লাহই ভালো জানেন।

অনেকে স্বপ্ন দেখে আমরা ইসলামি ইমারাহ তৈরী করবো। আমরা ইসলামি আইন চালু করবো আমরা খিলাফার ফিরিয়ে আনবো তার জন্য প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি বলবো আপনার দ্বারা তো দ্বীনের কোনো উপকারে হবে না বরং আপনি দ্বীনের ক্ষতি করবেন। আপনি আপনার দ্বীনি ভাই কে ভালো বাসতেই যানেন না। তাহলে আপনার কাছ থেকে এটা কি আশা করা যায় আপনাকে যদি ক্ষমতা দেওয়া হয় তাহলে আপনি ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না, এটা বলা মুশকিল। কাওমিরা যেমন দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছে আলিয়া পড়ুয়া এমন দ্বীনি ভাই এর দ্বারাও দ্বীনের বিশাল একটা অংশ উপকৃত হচ্ছেন। আপনি যদি এক চেটিয়া কাওমিদেরকে নিয়া কাজ করেন তাহলে সাধারণ জনগনের কি হবে। সবাইতো আর কাওমিতে যায় না তাই বলে কি তারা আপনার চোখের বিষ হয়ে গেলো। আমি এখানে আলিয়া কাওমি দু'টোকেই প্রধান্য দিচ্ছি এই কারনে যে আমাদের দেশটি মুসলিম দেশ হলেও ইসলামি আইন চলে না। এটা আপনারা ভালো ভাবে জানেন। যার কারনে আপনি চাইলেও কোনো কিছু হঠাৎ করে পরিবর্তন করতে পারবেন না। আপনি চাইলে আলিয়া মাদরাসা উঠায় দিতে পারবেন না। আগে আমাদের ঐক্য প্রয়োজন আর ঈমানি শক্তি। বর্তমান আপনারা কে কাওমি কে আলিয়া পার্থক্য না করে একে অপরকে সাহায্য করুন। আর আলিয়ার মধ্যে যে সমস্যাটা বেশি পরিলক্ষিত হয় সেটি হলো ছেলে-মেয়ে এক সাথে অধ্যায়ন করে। যার কারণে কাওমিরা আলিয়াদের দেখতে পারে না। এটিও সমাধান হবে ভাই। ঠিক হবে কিভাবে তার জলন্ত উদাহরণ আমি দিতে চাই, আফগানিস্থান এর দিকে তাকান তাহলে আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। ধৈর্য ধরুন আর একে অপরকে বাকা চোখে না দেখে। তার্গেট করুন দ্বীনের জন্য। আপনার দ্বারা যে কাজটি না হতে পারে তার দ্বারা সে কাজটি হবে। 

[বিঃদেঃ আমি আলিয়া বা কাওমিকে কাউকে ছোট করে দেখি না। কাওমিকে যেমন ভালোবাসি আলিয়াকেও তেমন ভালোবাসি। কাউকে ঘৃণা করি না সবাইকে দ্বীননের জন্য ভালোবাসি। উপরে কথাগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত লিখা মনে হলো তাই অবস্থার আলোকে শেয়ার করলাম।] এখন সময় এর অপেক্ষা ও সবর করার সময় খুব শীঘ্রই দ্বীনের বিজয় আসবে। ইনশাআল্লাহ

 

#লড়াই_আমাদের_বিজয়_আল্লাহর।

 

আরো অনেক কিছু লিখার ছিলো বড় হয়ে যাচ্ছে তাই লিখলাম না। বাঙ্গালী এমন জাতি বড় কোনো লেখনী থাকলে পড়তে চায় না। 

 

 

follow1154.gif

  • নামের উপর ক্লিক করুন -

FB ID1: Ishrak Abid

FB ID2: Ishrak abid 

FB Page: Ishrak Abid