JustPaste.it

দাওলা/আইএস এর সমর্থকদের আচরণ এবং রাফেযী শিয়াদের

বৈশিষ্ট্যের সাথে তাদের মিল  ! 

 

এদেশে শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী একটি গ্রুপের কয়েকজন সদস্যের সাথে বিতর্কের দিন ঠিক করা হলো। আল্লাহর ইচ্ছায় বিতর্ক শুরু করলাম। বিতর্কের শুরুতে তারা কোন কোন কিতাবের রেফারেন্স মানবে তা জেনে নিলাম। তারা আমাদের হাদীসের কোনো কিতাবের রেফারেন্স মানবে না। শুধু কুরআনের রেফারেন্স মানবে বলে ওয়াদা দিলো। প্রথমে তাদেরকে আলোচনা করতে দিলাম,যাতে তাদের আকীদা প্রকাশ পায়। কারণ শিয়ারা তাদের আকীদা লুকায় এবং আটকে গেলে তা তাদের আকীদা নয় বলে অস্বীকার করে।

একপর্যায়ে কথা বলা শুরু করলাম। কিছু কথা বলার পর এক পর্যায়ে ধরার ইচ্ছা করলাম।

তাদের বক্তব্য প্রথম তিন খলীফা বাতিল এবং তারা জোরপূর্বক খিলাফার দায়িত্ব দখল করেছে !

বললাম, তাহলে আলী রাঃ কেনো তাদেরকে মেনে নিলেন ? তারা উত্তর দিলো, পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছে ! বললাম, আপনাদের মতে খিলাফাহ যেহেতু আলী রাঃ এর জন্য আল্লাহর রাসূল সাঃ আমানত হিসেবে রেখে গিয়েছেন ! তার মানে আলী রাঃ রাসূল সাঃ এর আমানত রক্ষা করেননি !! আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী আলী রাঃ খেয়ানতকারী (ইন্নালিল্লাহ) !! আলী রাঃ কে ভালোবাসার দাবী করে উনার উপর এতো বড় জঘন্য অপবাদ,আলী রাঃ এর শত্রুরা ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না।

তারপর বললাম, আচ্ছা, আপনাদের দাবী অনুযায়ী যদি মেনে নেয়া হয় যে, আলী রাঃ বাধ্য হয়ে উনাদেরকে খলীফাহ হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন !  কিন্তু আলী রাঃ কেনো উনার এক মেয়েকে উমার রাঃ এর কাছে বিয়ে দিয়েছিলেন এটাও কী বাধ্য হয়ে ? ( মূর্খ শিয়ারা এটি অস্বীকার করতে চাইলেও শিয়াদের বড় বড় আলিমদের কিতাবে তার উল্লেখ আছে)  আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী উমার রাঃ বাতিল এবং কাফির !(না’উযুবিল্লাহ)! আলী রাঃ কীভাবে উনার মেয়েকে একজন কাফিরের সাথে বিয়ে দিলেন ???

এবার কথা বন্ধ !!!  কোনো জবাব দিতে না পেরে কথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো। অবশেষে রাগে ক্ষোভে ফোঁস ফোঁস করে আলোচনা থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগ মূহুর্তে অভিযোগ করলো, আপনারা বানানো হাদীসের কিতাব বোখারী শরীফে বিশ্বাস করেন !!  এটিতে আবু হুরাইরা ও অন্যদের সব বানানো হাদীস আছে,তাই আমরা আপনার সাথে কথা বলবো না !!!

আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে, আমি বোখারী শরীফের কোনো কথাই উচ্চারণ করিনি ! কিন্তু কেনো আমরা সেই কিতাবে বিশ্বাস করি,তাই আলোচনা করবে না !! বহু চেষ্টা করেও তাদেরকে বিতর্ক/আলোচনায় আর ধরে রাখতে পারলাম না।

কারণ,  তারা দেখলো,আলোচনা দীর্ঘায়িত হলে আজ কমপক্ষে তাদের একজন সমর্থক হারানোর সম্ভাবনা আছে।

 

আইএস নামক দলটির নেতা থেকে শুরু করে সমর্থক পর্যন্ত উপরে বর্ণিত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত শিয়াদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সাথে অদ্ভুত মিল রয়েছে।

উদাহরণস্বরুপঃ  দাওলার বাই’আত আল-কায়েদার আমীর শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর অধীনে ছিলো এই স্বীকারোক্তি দিয়ে আবু বকর আল-বাগদাদী দাওলার মুখপাত্র ও জাবহাতুন নুসরার শরীয়া বোর্ডের সদস্য আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী হাফিঃ সামনে একটি বক্তব্য আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী হাফিঃ প্রকাশ করেন এবং এর উপরে মুবাহালা করার জন্য  আহবান জানিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। ইতোমধ্যে এই মুবাহালার আহবানের প্রায় ৭৮৫ দিন অতিক্রম হয়ে গেছে। দাওলার মুখপাত্র মুবাহালায় আসেনি !!

এই বিষয়টি আমি একটি ছোট্ট নোট লিখেছি এবং সেখানেও আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর বক্তব্যের জবাবে দাওলার নেতাদের মুবাহালায় না আসার বিষয়টি উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ করি ৩ মাসেরও বেশি আগে,যার প্রায় ১০৫ দিন হয়ে গেছে।

অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, এখন তাদের সমর্থক এক ব্যক্তি এসে বললো, আমাদের সাথে তারা এই চ্যালেঞ্জের বিষয়ে কথা বলবে না ! তারা শর্তসাপেক্ষে আলোচনা করবে। তাও আকীদা ও মানহাজ নিয়ে !!!!

তাদের মিথ্যা ও ধোঁকাবাজি ধরা খাওয়ার পর শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয় !!! এখন আবার বলছে দাওলার প্রধানের বাই’আত যে আল-কায়েদার আমীরের কাছে ছিলো,তার অডিও মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হবে  !!!!

এই জাহেলদের হয়তো জানা নেই , শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এই বিষয়ে আবু বকর আল-বাগদাদীর চিঠি প্রকাশ করার পর শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বক্তব্যকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে। অবশ্য সত্যতা মেনে নিয়ে আবার এই বাই’আত বাধ্যতামূলক কী বাধ্যতামূলক নয় তা নিয়ে বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে,যা সরাসরি  আবু বকর আল-বাগদাদীর চিঠির বিপরীত।

আমার কমেন্টে দাওলার এক সমর্থক তার পরিচালিত পেইজে এখন কাউন্টডাউন দিচ্ছে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য !! হাদীস অনুযায়ী মানুষের লজ্জা না থাকলে একজন ব্যক্তি যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।

কাউন্টডাউন করলেতো আমরা করার কথা..... ৭৮০...৭৮১...৭৮২...৭৮৩...৭৮৪...৭৮৫...................   দিন !!!!

১০০...১০১...১০২...১০৩...১০৪...১০৫.............. দিন..... অতঃপর চলতেই থাকবে !!!  

উপরে বর্ণিত শিয়াদের বৈশিষ্ট্যের সাথে তাদের আচরণ মিলান !!

অথচ এরা এতোদিন বলতো আসেন খিলাফাহ নিয়ে আলোচনা করি !! আর এখন কি না বলছে আকীদা ও মানহাজ নিয়ে আলোচনা করবে !!  খিলাফাহ এখন গেলো কই !!! নাকি এখন খিলাফাহ বাদ !! কারণ এটি এখন বাকীয়াহ ওয়া তাতামাদ্দাদ অর্থাৎ স্থায়ী ও সম্প্রসারিত না হয়ে  ভঙ্গুর ও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে তাই !!!!

বাই’আতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা, দাওলা ভঙ্গ করেছে তা কী তাদের কাছে মানহাজের অন্তর্ভুক্ত নয় !! বাস্তবে এরা বাই’আতকে তাদের আকীদা ও দ্বীনের অংশ বানিয়ে নিয়েছে। তবে সে বাই’আত হচ্ছে তাদের দাবী করা খলীফার জন্য !!!

আরেকটি বিষয় দেখুন.........  শাইখ মাকদিসী ও শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনীর জর্ডানের একজন আলিমের আয়োজিত ইফতারের দাওয়াতে গিয়েছেন। অথচ দাওলার এদেশীয় মুখপত্র আত-তামকীন সেটিকে ত্বগুতের দাওয়াতে গিয়েছে বলে নিকৃষ্টতম জালিয়াতি করেছে। আমি যখন তাদের জালিয়াতি ধরিয়ে দিলাম,এখন বলছে, ওই অনুষ্ঠানে সংবর্ধনায় উক্ত শহরের মেয়র ছিলেন। 

আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, অনুষ্ঠান কে আয়োজন করেছে এবং কে দাওয়াত করেছে ? দেখবেন শিয়াদের মতো অন্য প্রসঙ্গ টানবে।

তাহলে আত-তামকীন কেনো এটি লিখলো যে, ত্বগুতের দাওয়াতে উনারা ইফতার করতে গেছেন !!!!

কোনো যথার্থ উত্তর পাবেন না।

যদি জিজ্ঞেস করেন,আপনাদের এই প্রতারণা ধরিয়ে দেয়ার পর এখন কেনো দেখাচ্ছেন, শহরের মেয়র উক্ত অনুষ্ঠানের সংবর্ধনায় ছিলেন !! 

এখন এই বিষয়টি নিউজের নিচে ছোট লেখা থেকে দেখাচ্ছেন ! তাহলে দাওলার আত-তামকীন কেনো শিরোনামে এতো বড় করে লেখাটিকে গোপন করে জালিয়াতি করলো !! কেনো  শাইখ মাকদিসী ও শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনীকে ত্বগুতের দাওয়াতে ইফতারে গেছে বলে মিথ্যাচার করা হলো !!!  কোনো উত্তর নেই। উল্টা দেখবেন একরাশ বিদ্বেষ ও মিথ্যাচারসর্বস্ব বুলি এবং অন্য প্রসঙ্গ উঠাবে !!

ইতোমধ্যে হয়তো দেখেছেন, এরা আরো বেশি করে মিথ্যা অপবাদ দিবে এবং আজেবাজে কথা বলবে !!

বিশ্বাস হয় না ? দেখুন দাওলার একটি পেইজ আমার পোস্টের মাধ্যমে ধরা খাওয়ার পর  আমার নামে নগদ একটি মিথ্যা চালালো। আমি নাকি বলেছি, //তামকীন নাকি বলেছে ছবির ঐ লোকই মেয়র, সেটা কোথাও লেখা নেই।//

“তামকীন বলেছে ওই লোকটি মেয়র” এই কথাটি আমার পোস্টের কোথায় বলেছি এটা তাদেরকে দেখাতে বলেন !!

আমি আগেও বলেছি,দাওলার সমর্থকরা সম্ভবত এখন চোখেও কম দেখে !!  ইতোপূর্বেও তার একাধিক প্রমাণ দিয়েছি। আজও দিলাম। মিথ্যাচার,বিদ্বেষের কারণে এখন  হয়তো লিখি একটা কিন্তু দেখে আরেকটা !!

শিয়াদের সাথে দাওলার  বড় একটি মিল রয়েছে,আর তা হচ্ছে পরিবেশ অনুকূলে না থাকলে নিজেদের আকীদা গোপন করা। অতঃপর নিজেদের অবস্থান মজবুত করার পর তাদের সেই ভ্রান্ত আকীদা প্রকাশ ও প্রচার করা। এর বহু প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্‌।

তাদের তাকফীর নিয়ে লেখা আমার আর্টিকেলটিতে তার বেশকিছু প্রমাণ পাবেন। যারা পড়েননি,তারা পড়ে নিতে পারেন।

লিংক....... https://justpaste.it/takfir_is

 আল্লাহ্‌ তা’আলা তাউফীক্ব দান করলে এসব বিষয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাদের সকলকে হাক্ব বা সত্য কে চিনে তা আঁকড়ে ধরার এবং বাতিলকে চিনে তা বর্জন করার তাউফীক্ব দান করুন।

.

এছাড়া জিহাদ ও আইএস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা পড়তে মূল পেইজে যেতে পারেন।  

লিংক....   https://justpaste.it/Abdullah_Hasan