JustPaste.it

সত্যের সন্ধানে

ঈসাবেলা

মূলঃ মাওঃ আঃ হালীম শরর লখনবী

অনুবাদঃ মাওঃ আব্দুর রাযযাক

 

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

ঈসাবেলার দোয়া

            খোদার নাম স্মরণ করতে করতে সন্ধ্যা হলো। ঈসাবেলা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কর্ডোভার উদ্যানের দিকে যাত্রা করল। রাস্তায় মীরানোর সাক্ষাৎ হওয়ায় উভয়ে একত্রে চলল। উদ্যানে পৌঁছার কিছুক্ষণ পরেই তাদের আরও দু’জন সহচরী এসে উপস্থিত হল।

             মীরানোঃ ঈসাবেলা! তোমার চেহারায় যেন বিষন্নতার ভাব দেখা যাচ্ছে? বোন, একদিন তো তোমাকে আত্মীয়-স্বজন হতে বিচ্ছিন্ন হতেই হবে।

             ঈসাবেলাঃ যখন আমি তোমাদের নিকট হতে বিদায় নিয়ে গৃহে পৌঁছলাম, তখন আমি এক অস্বাভাবিক ভাবনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভাল যে, মাম্মী তার বিভিন্ন ব্যস্ততার দরুন আমার নিকট আসতে পারেননি। যদি এরূপ না হত তবে জানি না, তিনি আবার কোন বিপর্যয় ঘটাতেন। কিন্তু খোদার কৃপায় এখন আমার আর কোনই ভাবনা নেই। কেননা সত্যের খাতিরে যে কোন বিপদের সম্মুখীন হতে আমি এখন প্রস্তুত।

            মীরানোঃ ঈসাবেলা! আজ তো তুমি এক বিরাট তামাশা দেখালে, পাদ্রীদের এমন সব উত্তর প্রদান করলে যে, তাদের চৈতন্য লোপ পাওয়ার উপক্রম হলো এবং কোন প্রতিউত্তর দেয়ার সাধ্য থাকল না। তদুপরি এমন নৈপুণ্য প্রদর্শন করলে যে, সমস্ত প্রমাণ বাইবেল হতেই প্রদান করলে।

            মার্থাঃ (দ্বিতীয় সহচরী) কি আশ্চর্য যে, নিরুত্তর হওয়া সত্ত্বেও তারা মেনে নিতে রাযী নন।

             মীরানোঃ মৌখিক স্বীকৃতি যদিও তারা দেননি কিন্তু তাদের আন্তরিক স্বীকৃতি প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আমাদের গৃহ হতে তোমরা চলে যাওয়ার পর আমার পিতা (মীখাইল) পিটার্সকে বলছিলেন যে, “ভাই পবিত্র বাইবেল দ্বারা ত যীশুর খোদায়িত্ব আসলেই প্রমাণিত হয় না, কিন্তু কিছুই তো বলার উপায় নেই। কালীছা (বিশ্ব পাদ্রী কাউন্সিল) এর সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানতে হবে। মহামান্য পিটার্সও তোমার প্রমাণসমূহের যৌক্তিকতার প্রশংসা করে বলেছিলেন যে, ঈসাবেলার দেয়া প্রমাণ সমূহ প্রাণহীন নয়।”

             মার্থাঃ অদ্যকার আলোচনায় আরও উজ্জ্বলরূপে প্রমাণিত হয়ে গেল, ইসলাম সত্য ও মযবুত ধর্ম এবং খৃষ্টধর্মে ভণ্ডামী ব্যতীত আর কিছুই নেই।

              মীরানোঃ তুমি কি পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজন, সুখ-শান্তি পরিহার করা পছন্দ করবে? যদি তোমার পিতা তোমাকে নির্যাতন করেন এবং তোমাকে ইনকুইজিশন ডিপার্টমেন্টের হাওয়ালা করেন, তবে তুমি কি করবে?

            ঈসাবেলাঃ আমি তো এখন আমার চিন্তার কোঠা হতে এ সকল বিষয় বের করে দিয়েছি। যে খোদা আমাকে ইসলামের দৌলত প্রদান করে সৌভাগ্যবতী করেছেন, সেই খোদা-ই আমাকে সহায়তা করবেন এবং আমার সৎ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করবেন না। কুরআনে হাকীমের এই বাক্যটি দ্বারা আমার বড়ই সান্তনা লাভ হয়, “যে ব্যক্তি অন্তরে আল্লার ভয় রাখবে, আল্লাহ তার মুক্তির পথ বের করে দেবেন এবং ধারণাতীতরূপে তাকে রিযিক প্রদান করবেন।”

              মীরানোঃ বেশ, শায়খ যিয়াদ ইবনে ওমরের মজলিসে কখন যেতে হবে?

             ঈসাবেলাঃ সেখানে একটু সকাল সকালই যাওয়া উচিৎ। যেন শায়খ যিয়াদের পবিত্র সঙ্গ লাভের সুযোগ কিছু বেশী পরিমাণে গ্রহণ করা সম্ভব হয় এবং গৃহে ফিরতেও অধিক রাত্র না হয়।

             মীরানোঃ অদ্যকার আলোচনার অবস্থা শায়খ যিয়াদকেও শুনাবে কি?

             ঈসাবেলাঃ অবশ্যই শুনাতে হবে। বেশ, এখন চল, যেন এশার নামাযের সময়ই তথায় পৌঁছতে পারি এবং এক ঘন্টাকাল তথায় অবস্থান করে ঠিক সময় মতই পুনরায় গৃহে পৌঁছতে পারি।

             কর্ডোভার উদ্যান হতে বের হয়ে ঈসাবেলা আপন সহচরীবৃন্দসহ কর্ডোভা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাত্রা করল। পথিমধ্যে ঈসাবেলা সহচরীদের তার মনের এ ইচ্ছাটিও জানিয়ে দিল যে, যদিও আমি আন্তরিকভাবে মুসলমান হয়ে গিয়েছি, কিন্তু, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ইসলাম গ্রহণ করিনি। কাজেই আজ শায়খ যিয়াদ এবনে ওমরের পবিত্র হস্তে এ শুভ অনুষ্ঠানটিও সম্পন্ন করব। যেন খোদার মহান দরগাহ হতে অধিক সাহস ও দৃঢ়চিত্ত হওয়ার গুণে মুক্তি লাভে সমর্থ হই এবং আল্লাহর সাহায্যকে পূর্ণ ঈমানদারীর সাথে আকর্ষণ করতে পারি। সহচরীবৃন্দ এ কথায় ঈসাবেলাকে মোবারকবাদ জানিয়ে আনন্দ প্রকাশ করল। ওমর লাহমীর গৃহ শায়খ যিয়াদ ইবনে ওমরের গৃহের সন্নিকটেই ছিল। তাদের আগমনবার্তা ওমর লাহমীর মধ্যস্থতায় শায়খ যিয়াদের কর্ণগোচর হল। অতএব এশার নামাযান্তে পুনরায় মজলিস সরগরম হয়ে উঠল। ওলামা, মাশায়েখ, মোহাদ্দেছ, কবি, সাহিত্যিক নানাবিধ জ্ঞানীগুনীর সমাবেশ হল। সাধারণ আলাপ আলোচনার পর ওমর লাহমী শায়খ যিয়াদ ইবনে ওমরের অনুমতিক্রমে ঈসাবেলা ও তার সহচরীবৃন্দকে এক মজলিসে হাজির করলেন। শায়খ যিয়াদ তাদের সকলের শুভবার্তা জিজ্ঞাসা করলেন। অতঃপর ঈসাবেলা গত দু' দিবসের ঘটনাবলী শায়খ যিয়াদকে অবহিত করল, যা তার পিতা ও পাদ্রী সাহেবদ্বয়ের মাধ্যমে ঘটেছিল। পিটার্স ও মীখাইলের সাথে তার বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর এবং তৎসম্পর্কে তার পেশকৃত প্রমাণসমূহও সে তথায় সবিস্তারে বর্ণনা করল, যা শ্রবণ করে সমবেত সুধীবৃন্দ নানারূপ প্রশংসাবাক্যে ঈসাবেলার উৎসাহ বর্ধন করতে লাগলেন এবং তার জ্ঞানের গভীরতা উপলব্ধি করে আশ্চর্যান্বিত হলেন।

             ঈসাবেলাঃ ইয়া ছাইয়েদী! এ যাবৎ যা কিছু হওয়ার ছিল হয়ে গিয়েছে, আর যা কিছু ভবিষ্যতে ঘটবার তাও দেখা যাবে। কিন্তু এখন আমার নিবেদন এই যে, আপনি আমাকে যথারীতি ইসলামে দীক্ষিত করে তৌহীদ পন্থীদের বিশ্বভ্রাতৃত্বের আওতাভুক্ত করে নিন।

              ঈসাবেলার অনুরোধে যিয়াদ ইবনে ওমর তাকে মুসলমান করলেন। সমবেত মজলিস তার দৃঢ়চিত্ত হওয়ার শক্তি কামনা করে আল্লাহর দরগাহে দোয়া করলেন।

             শায়খঃ বেটী ঈসাবেলা! এখন যেহেতু তুমি যথারীতি মুসলমান হয়ে গিয়েছ, কাজেই এখন তুমি তোমার চেহারা আবৃত কর। কেননা ইসলামে মেয়েলোকদের জন্য পর্দার আদেশ রয়েছে। ভবিষ্যতেও তুমি পর্দা অবলম্বন করে চলবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়াও এখন হতে তোমার জন্য ফরয। দেখো কখনও যেন তোমার নামায ছুটতে না পারে। কেননা সাফল্যের চাবিকাঠি একমাত্র নামায। তুমি যে কয়েকটি মেয়ের কথা আলোচনা করেছিলে, তাদেরই কি তোমার সঙ্গে দেখছি?

            ঈসাবেলাঃ জী হাঁ, এদের মধ্যে একজন হল অধ্যাপক মীখাইলের কন্যা মীরানো এবং অপর দুজন আমার অন্তরঙ্গ সহচরী মাথা ও হান্নান।

            শায়খঃ ইসলাম সম্বন্ধে এদের কোন সন্দেহ আছে?

             ঈসাবেলাঃ ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম, এ সম্বন্ধে এদের কোনই সন্দেহ নেই এবং এরাও আমার ন্যায় ইসলামের ওপর বিশ্বাস রাখে। যখন আল্লাহ এদেরকে তৌফিক দান করবেন, তখন এরাও যথারীতি ইসলামে আনুগত্যের ঘোষণা প্রদান করবে। অবশ্য কোন কোন ব্যাপারে মীরানোর অন্তরে কিছু খটকা রয়েছে তজ্জন্য আমি আশা করি, মীরানো কোন এক সময় আমার আধ্যাত্মিক পিতা ওমর লাহমীর নিকট আগমন করে তার অন্তরের সমস্ত খটকা প্রকাশ করবে। অতঃপর তিনি তার সমস্ত খটকা বিদূরণ করে তাকে নিশ্চিন্ত করবেন।

            ওমরঃ তোমার পিতার ব্যবহারে মনে হয়, তিনি তোমার উপর নির্যাতন করবেন। আর অসম্ভব কিছুই নয় যে, তিনি তোমাকে গুপ্তভাবে ইনকুইজিশন ডিপার্টমেন্টের হাওয়ালা করবেন এবং মীখাইল ও পিটার্স তোমার সাথে তাদের বিতর্কের রিপোর্টও উক্ত ডিপার্টমেন্টকে প্রদান করবেন। যার ফলে সঙ্গীন অপরাধের আসামী সাব্যস্ত হওয়া তোমার জন্য অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে। বলত তখনকার জন্য তুমি কোন ব্যবস্থা চিন্তা করছ?

            ঈসাবেলাঃ আল্লাহই ভাল জানেন, ভবিষ্যতে কি ঘটবে! আমি তো আমার সকল ব্যাপারই খোদার উপর ন্যস্ত করেছি, অবশ্য এ চিন্তাও নিশ্চয়ই করেছি যে, যদি তারা অধিক বিরক্ত করেন, তবে আমি আপনাদের এখানে চলে আসব।

            ওমরঃ তোমার যখন খুশী চলে এসো। আর তোমাকে চলে আসতেই হবে। কেননা খৃষ্টীয়দের মধ্যে এরূপ উদারতা কোথায় যে, তোমাকে মুসলমান দেখেও তারা কোন বিঘ্ন ঘটাবে না এবং তোমাকে তোমার অবস্থার উপরই ছেড়ে দেবে?

            ঈসাবেলাঃ (শায়খ যিয়াদকে) ছাইয়েদী! আপনি আমার জন্য দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ধৈর্যশীলা, শুকুর কারিনী এবং দৃঢ়চিত্ত হওয়ার তৌফিক দান করেন। এখন আমাদের বিদায় দিন।

             শায়খ যিয়াদ ইবনে ওমর এবং সমবেত সুধীবৃন্দ তাদের বিদায় দিলেন। বিদায় গ্রহণান্তে ঈসাবেলা ও তার তিন সহচরী রাস্তায় বের হয়ে যথা সময়ে সকলে নিজ নিজ গৃহে পৌঁছে গেল।

            ঈসাবেলা তার কক্ষে প্রবেশ করে নানা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। ছোবহে ছাদেক হওয়ার অনেক পূর্বেই তার নিদ্রা বিদায় গ্রহণ করে, কিন্তু সে অবসাদ বশতঃ শয্যা ত্যাগ করতে সক্ষম হল না। বেশ কিছুক্ষণ পর শোয়া অবস্থায়ই তার কর্ণে আল্লাহু আকবারের সুমধুর ধ্বনি গুঞ্জরণ করে উঠল এবং বিদ্যুতের ন্যায় তার সর্বাঙ্গে এক অভূতপূর্ব শিহরণ জেগে উঠল। আল্লাহু আকবরের ধ্বনি তাকে আত্মহারা করে ফেলল এবং তার দৃষ্টিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বড়ত্ব ও গুরুত্ব, প্রতাপ ও পরাক্রম এবং তার সৌন্দর্য্য ও পূর্ণত্বের প্রতিচ্ছবি উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। চক্ষু হতে বিগলিত ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হয়ে চলল। আল্লাহ তায়ালার মহব্বতে তার হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে গেল, সে নিজেকে কুল-মাখলুকাতের স্রষ্টা আল্লাহর দরগায় নিবেদন করতে লাগলঃ হে খোদা! তুমি আমাকে তোমার এবং তোমার প্রিয় নবীর মহব্বত দান কর। এলাহী! আমার হৃদয় ইসলাম ও তৌহীদের আলো দ্বারা পূর্ণ। করে দাও, শেষ নবীর অনুসরণকে আমার জীবনের রক্ষাকবচ বানিয়ে দাও। এলাহী! তুমি আমাকে যে ইসলামরূপ চির বর্ধিষ্ণু সম্পদ দান করেছ এবং তোমার প্রিয় ও বিশ্বশান্তি বাহক (রহমাতুল্লিল আলামীন)নবীর আনুগত্যের সৌভাগ্য দান করেছ, তার শুকরিয়া আদায় করার তৌফিকও তুমি আমাকে দান কর। ইয়া আল্লাহ! আমার পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন এবং সমস্ত খৃষ্টীয় ও সমগ্র পথহারাদেরও ইসলামের উপর জীবিত রাখ এবং ইসলামের উপরই মৃত্যু দাও। হে আমার প্রভু, হে আমার খোদা! তুমি তোমার এই বিপদাপন্না দাসীর করুণ প্রার্থনা শ্রবণ কর।

            ঈসাবেলা তার প্রার্থনা সমাপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করতে পারল যে, তার আত্মা এখন ধীর শান্ত। কোন একটি বিরাট বোঝা যেন তাহার মস্তকোপরি হতে অপসারিত হয়ে গিয়েছে, সে বুঝতে পারল যে, সংকল্পে দৃঢ়তা, উচ্চাকাঙ্খা ও মহৎ প্রেরণার পূর্ণ ভান্ডার তার হৃদয়ে অবতীর্ণ করা হয়েছে। সে খুবই আনন্দিত, কেননা সে এখন ইসলাম রূপ মহাসম্পদের অধিকারিনী। সে এখন এক নির্ভীক বিরাঙ্গনা, তৌহীদের শক্তি বলে একমাত্র আল্লাহর ভয় ব্যতীত সমগ্র সৃষ্টির ভয় হতে তার হৃদয় এখন মুক্ত।

              ঈসাবেলার জননীও আজ তার সাধারণ স্বভাবের ব্যতিক্রমে অত্যন্ত ক্রোধান্বিতা। সম্ভবতঃ পীটার্স ও মীখাইল গত দিনের সম্পূর্ণ আলোচনার রিপোর্ট তার জনক-জননীকে প্রদান করেছে এবং তাদের অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়েছে যে, ঈসাবেলা স্বধর্ম পরিত্যাগ করে বিধর্মী হয়ে গিয়েছে এবং তাকে কোন প্রকার বুঝ প্রদান করে তার সাবেক ধর্মে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা নিষ্ফল।

গোপন ষড়যন্ত্র

            ঈসাবেলা নিজ কামরার অভ্যন্তরে বসে ভবিষ্যত চিন্তায় মশগুল। এমতাবস্থায় জনৈকা পরিচারিকা এসে একখানা চিঠি তার হস্তে প্রদান করল। ঈসাবেলা তৎক্ষণাৎ তা খুলে পাঠ করতে লাগলঃ

            বোন ঈসাবেলা! এই মুহূর্তে তোমার সাথে কিছু আলাপ করা আমার অত্যন্ত প্রয়োজন। বড়ই অনুগ্রহ হবে, যদি তুমি এখনই আমার নিকট আগমন করার কষ্টটুকু স্বীকার কর। যেহেতু কয়েকটি প্রয়োজনীয় ব্যাপারে পরামর্শ করতে হবে, কাজেই আসতে মোটেই বিলম্ব করোনা। আমি একটি গোপন স্থানে অস্থির চিত্তে তোমার অপেক্ষায় থাকলাম। পরিচারিকার সঙ্গে তুমি এক্ষুণি এস!

ইতি, তোমার বোন

মীরানো

(চলবে)