পাঠকের কলাম
=======================================================================
অহমিকারও সীমা আছে
বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি দ্রুত দুর্যোগের দিকে এগিয়ে চলছে। আর তাই বাতাসের আবিল তরঙ্গে জ্বলন্ত অনলের উত্তাপ অনুভূত হচ্ছে। আমরা কে না জানি, এক প্রকার মহিলার বিকৃত বিশ্রী জৈব নেশায় মাতৃত্ব বোধ আজ গুমরে মরছে। স্বার্থান্ধ এক শ্রেণীর তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাহিত্যিক, কবি ও সাংবাদিকরা আজ উঠে পড়ে লেগেছে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে। তারা ইসমলামকে প্রগতি বিরোধী, আধুনিক যুগে অচল এবং মুসলমানদেরকে গোঁড়া, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, ফতোয়াবাজ ইত্যাদি শব্দে আখ্যায়িত করে দেশময় একটা জঘন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নির্লজ্জ প্রয়াস চালাচ্ছে। ওরা ভাইয়ে ভাইয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত করে দিয়ে একেবারে গুড়িয়ে নিঃশেষ করে দিতে চায় গোটা জাতিটাকে। কিছু সংখ্যক মুরতাদ ইসলামদ্রোহীর দাপা দাপি ও উচ্চারণ-ইংগিত সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ওরা ইসলামের অপপ্রচার ও কুরআনের অপব্যাখ্যা দিবে তা কোনো ঈমানদার কতক্ষন সহ্য করতে পারে? আজ আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে, কথা বলার, প্রতিবাদ করার, মিটিং মিছিল করার সময় শেষ হয়ে গেছে।
এখন সময় এসেছে জিহাদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার। ক্ষত বিক্ষত সমাজ দেহকে সুস্থ করে তোলার এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে নির্মুল করাসহ সবচেয়ে মূল্যবান ঈমান ও ইসলামকে বাঁচিয়ে রাখার। আঘাত আসার আর বাকী কোথায়? ইসলাম, মুসলমান, কুরআন, নবী একে একে সবার উপরই তো আঘাত এসেছে। এখন নিধনের পালা। আজ “জাগো মুজাহিদ” সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, কাল “মাসিক মুঈনুল ইসলাম” সম্পাদক আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের বিরদ্ধে মামলা করা হবে, এমনি করে “মাসিক মদীনা” “আত্-তাওহীদ্” "হক পয়গাম” ইত্যাদির বিরুদ্ধে সুযোগ মত খড়গহস্ত উত্তোলন করবে বইকি। সাদা চামড়াওয়ালা পশ্চিমাদের গোলামেররা যেভাবে সাড়াশী আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে তাতে মনে হয় এলাহাবাদ থেকে লখনৌ পর্যন্ত সাড়ে চার শত মাইল রাস্তার পার্শ্বের হাজার হাজার গাছে আলেমদের যেমন ফাঁসীতে ঝুলিয়েছিলো তেমনি ওরা আবার একটা অকল্পনীয় দৃশ্যের অবতারণা করতে চায় এই বাংলার মাটিতেও।
আবারও একটা পলাশী যে তারা এদেশে সৃষ্টি করতে চায়, তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় মীর জাফর, জগৎ শেঠ, উমিচাঁদ ঘসেটি বেগমদের বক্তব্য ও বিবৃতির দ্বারা। বলতে আর বাধা নেই, ইতিমধ্যেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এন,জি,ও-দের হাজার হাজার “কাশিম বাজার কুঠি” তো তৈরী হয়েই গেছে। কাজেই আর দেরী নয়, হে প্রিয় দেশবাসী, জিহাদের জন্য তৈরী হোন। আগামী দিনের বালাকোট, শামেলী ও পলাশীর প্রান্তরে শক্রর মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আবার পরাধীনতার জিঞ্জিরে আবদ্ধ হওয়ার চেয়ে শাহাদাতের পেয়ালা অনেক সুখকর, অনেক আরাম দায়ক, অনেক তৃপ্তিময়। আফগান জমিন থেকে রক্তে রঞ্জিত হয়ে আসা বীর শহীদ কমান্ডার আঃ রহমান ফারুকী (রহঃ) এদেশে যে বীজটি বপন করে গেছেন, সেই চারা গাছ “জাগো মুজাহিদ”কে জীবিত রাখতে ও তার পরিচর্যায় আপনাদের পার্শ্বে আমাদের আজীবন পাবেন। ইনশা আল্লাহ। প্রয়োজনে এদেশেই রচনা করব নতুন যুগের শহীদি কারবালা। এই হোক আমাদের আগামী দিনের শপথ।
নাছির বিন আছগর
═──────────────═
জাগ্রত কলম সোসাইটির তীব্র প্রতিবাদ
মাসিক জাগো মুজাহিদ পত্রিকার সম্পাদক জনাব মুফতি আব্দুল হাই-এর বিরুদ্ধে ব্র্যাকের জনৈক সিনিয়ার ম্যানেজার ৫০০/৫০১/৫০২ ধারামতে ঢাকা সিএমএম আদালতে মান হানীর মামলা দায়ের করায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রেসিডেন্ট জনাব আসাদুজ্জামান, ভি,পি, এইচ, এম, সাদিক চৌধুরী, জি, এস, এম, এ ওয়াহিদ নুমানী। প্রচার সম্পাদক আঃ জলীল, কোষাধ্যক্ষ আঃ মালিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, অক্টোবর ৯৩ই সংখ্যায় ‘সেবার ছদ্মাবরণে এনজিও গোষ্ঠীর ভয়াবহ তৎ-পরতা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে এই মামলা দায়ের করে বলে জানা গেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্র্যাকের এহেন তৎ-পরতা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল এবং হুমকি স্বরূপ। তারা বলেন, সেবার সাইন বোর্ড ধারী এনজিও সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে কি বানাতে চায় তা জনগণের আর বুঝার বাকী নেই। কারণ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ন্যায় তাদের আকাংখাও ধীরে ধীরে জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়েছে।নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জাগো মুজাহিদ পত্রিকার সম্পাদকের উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ব্র্যাকের প্রতি আহবান জানান। তারা এদেশ থেকে মতলববাজ এনজিওদের সকল অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান। অন্যথায় এজন্য যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার সম্পূর্ণ দায় ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
এম, এ, ওয়াহিদ নোমানী
═──────────────═
ওদের রুখো
মতলববাজদের কণ্ঠ এখনই স্তব্ধ করে দিতে হবে, নয়তো ওরা উল্টো আমাদের টুটি চেপে ধরবে। ওদের স্বপ্নসাধ আজই ভেঙ্গে দিতে হবে নয়তো ১০ কোটি তৌহিদী জনতার আশা আকাঙ্খা ধুলিস্মাত হয়ে যাবে। ওদের ষড়যন্ত্র রুখতেহবে, নয়তো ওরাই আমাদেরকে চক্রান্তের জালে জড়িয়ে ফেলবে। ওদের নখর থাবা গুড়িয়ে দিতে হবে, নয়তো সে বিষাক্ত ছোবল আমাদের ক্ষত-বিক্ষত করবে। ওরা আমাদের ঈমান আকিদা লুটে নিবে। মানবতার ধ্বজা ধরে ওরা অমানবিক কাজে লিপ্ত, সাহায্যের নামে শোষণে ব্যস্ত, নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে নিয়ে উল্লাসে মত্ত, প্রগতির নামে ধর্মহীনতার দিকে ধাবিত।
হে দেশবাসী! ওদের রুথো, খুলে দাও ওদের মুখোশ। পরিচয় করিয়ে দাও ওদের সেই বিভৎস শয়তানী অবয়বের সাথে দেশবাসীকে, যাতে তারা সহজে ওদের চিনতে পারে। যেন কেউ ওদের হাতে প্রতারিত না হয়। পারবে কি এই দায়িত্বটুকু পালন করতে? অন্যথায় দেখবে বিপদের তুফান তোমাদের উপর আছরে পড়ছে। ওদের দৌরাত্ব আজ এত বেড়েছে যা পূর্বের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ওরা ব্যঙ্গ করছে তোমাদের নিরবতাকে। ওদের গৃহ পালিত রাজনৈতিক জীব গুলি নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জনজীবন দুর্বিসহ করে তুলছে। মানুষ আজ ইজ্জত ও জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে রাস্তায় বেরুতে অপারগ। শিক্ষাঙ্গনগুলিকে ওরা যুদ্ধ মহড়ার ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। ওদের স্বঘোষিত স্বর্গ রাজ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে দাড়ি টুপি মুক্ত। ক্যাম্পাসে প্রহৃত হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সেখান থেকে ইসলাম পুরো পুরি ভাবে উঠিয়ে দেয়ার জঘন্য মানসিকতায় ইসলামী ইতিহাস পাঠ্যসূচী থেকে বাদ দেওয়ার জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। ঢাকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টিও তাদের আক্রোশ থেকে রক্ষা পায় নি। তাকে নির্বাসন দণ্ড দিয়ে পাঠিয়েছে কুষ্টিয়ার শান্তি ডাঙ্গায়। আজো কি ঘুমিয়ে থাকবে আমাদের জাতির কর্ণধারেরা, তাজাপ্রান টগবগে তরুণেরা? অথচ এখনো আমরা উদাসিন। আজ আমাদের প্রয়োজন একজন সাহসী নকীব। এ অবস্থায় কেউ তার স্বকীয় আদর্শ টিকিয়ে রাখতে পারে কি? কেবলি মনে হচ্ছেঃ খুব শিগ্রই আমরা কারো গোলামীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর সরকার নামের সেই বিশাল যন্ত্রটি রাস্তায় এসে মধ্যপথে বিকল হয়ে পড়েছে। যার দরুন রাস্তা বন্ধ হয়ে পথ-যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বেচারা ড্রাইভার যাত্রীদের আক্রোশে পালাই পালাই করছে। এই হলো আমার প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ, যেখানে আজ সোনার চেয়ে ছাইয়ের প্রাচুর্যই বেশী ।
মুহাম্মাদ আবু জিহাদ
═──────────────═
তুমি চিরদিন বেচে থাক
জনাব সম্পাদক সাহেব। আপনাকে ও আপনার সহকর্মীদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। পাঠ্য জীবন থেকে অনেক ম্যাগাজিন পত্রিকা চোখে পড়েছে, কিন্তু মাসিক জাগো মুজাহিদ এর মত একটি ব্যতিক্রমধর্মী পত্রিকা হাতে পড়েনি। এই পত্রিকা আমার ধর্মীয় চেতনা ও জিহাদী প্রেরণাকে প্রবল করে তুলছে। পত্রিকাটি এমন কিছু বিশেষত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে যা অন্য পত্রিকায় নেই। আমরা আমাদের পাঠাগারের সকল সদস্য এর বহুল প্রচার ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ইতি
আহিউদ্দীন কাছেমী
═──────────────═
সাহাবা সৈনিক গড়ার উত্তম হাতিয়ার
সৃজনশীল ইসলামী সাহিত্য, মুসলিম সংস্কৃতি উন্নয়ন ও মুসলমানদের ঈমান-আকীদা, তাহজিব-তামাদ্দুন সম্বলিত ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জিহাদী চেতনাকে উজ্জীবিত করার নিমিত্তে প্রকাশিত “জাগো মুজাহিদ” এর সকল কলম সৈনিককে জানপই অন্তরের অন্তস্থল থেকে কোটি কোটি মোবারকবাদ। সাথে সাথে অভিনন্দন জানাই বগুড়ার দ্বীনি সংগ্রামী মজলুম জননেতা করজে হাছানা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মুফতী ইবরাহীম সাহেব ও তার সহকর্মীদেরকে। হে মুজাহিদ ভায়েরা। জালিম বৃটিশ বেনিয়াদের উত্তরসূরী তথা পরগাছা স্বভাব ও মানবতা বিধ্বংসী এনজিওদের এবং ব্রাহ্মণ্যবাদী ইসলাম বিদ্বেষীদের কবল থেকে ঈমান ও দেশকে রক্ষাকল্পে মাসিক “জাগো মুজাহিদ” এর সাহসী ভূমিকা সত্যই প্রশংসনীয়। শুধু তাই নয় সময়োপযোগী দক্ষ ও অভিজ্ঞ কলম সৈকিদের মনোজ্ঞ বাস্তব লেখা দ্রুত শক্তি যোগাচ্ছে ছাত্র সমাজকে খোদাদ্রোহী তথা তাগুতী শক্তির শিকড়কে উপড়ে ফেলতে।
আমাদের প্রত্যাশা, মাসিক জাগো মুজাহিদ এর ভূমিকায় ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠার সোনালী দাবীতে ধন্য হয়ে ওঠবে এ বাংলার জমিন। আর জলন্ত অগ্নিকুণ্ড রূপে দাউ দাউ কর জলে ওঠবে এ দেশের ইসলাম বিদ্বেষীদের আস্তানা। গড়ে ওঠবে একদল সাহাবায়ে কেরামের (রাজিঃ) এর উত্তরসূরী। যারা ভেঙ্গে দেবে জালিমদের বিষ দাঁত, আগ্রাসীদের কালোহাত। বয়ে আনবে অনাবিল সুন্দর ইসলামের অনুপম শাসন। অতএব মহান সত্ত্বার পবিত্র দরবারে করজোড় নিবেদন তিনি যেন আমাদেরকে তৌফিক দেন আমরা যেন ইসলাম বিদ্ধেষী সকল ষড়যস্ত্র কারীদের যাবতীয় ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা ধুলিসাৎ করে আমাদের মেধা, শ্রম, ঐক্য ও আদর্শ নিয়ে গড়ে ওঠতে পারি শতাব্দীর বিজয়ী তারকা হিসেবে।
মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দীন
═──────────────═
সৌদি আরবের পরিবেশ ও আমার সোনার বাংলাদেশ
মুসলমানদের পূর্ণ ভূমি সীদি আরবে এসে সত্যিই নিজেকে ধন্য মনে করছি। এখানকার পরিবেশ এবং আইন কানুন এতই সুন্দর যা অনুকরণ করার মত। তাই আমার প্রিয় পত্রিকা জাগো মুজাহিদ-এর পাতায় কিনচিত এ লেখাঃ
এখানে রয়েছে ঘন ঘন ও প্রসস্ত মসৃণ রাস্তা, যার মাঝ খানে রয়েছে সারি সারি খিজুর গাছ ও সাজানো ফলের বাগান। দুই ধারে রয়েছে সারি সারি প্রাসাদ যার অধিকাংশ মোজাইক পাথরের দ্বারা অলংকৃত। এয়ার কণ্ডিশন, ঠাণ্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা তো আছেই। অর্ধ কিলোমিটার পর পর রয়েছে একটি মনোরম মসজিদ ও সুউচ্চ মিনার, অথচ প্রতিটি মহল্লায় একটি মাত্র মসজিদে জামাত হয়। যেখানে প্রায় পাঁচ থেকে দশ হাজার লোকের সমাগম ঘটে। চুরি, ডাকাতি, খুন, সন্ত্রাস অপহরণ, ধর্ষণ, মিছিল, মিটিং এখানে নেই। রাতের বেলায় টাকার ব্যাগ বা স্বর্ণালংকার নিয়ে হেটে যান কেউ কিছু বলবে না। এক কথায় এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তি প্রিয় দেশ, যেখানে খুব কম অপরাধ সংগঠিত হয়। সকলে আইনকে শ্রদ্ধা করে, যে কোন মামলা ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বিচার হয়ে যায়। এখানে চুরির অপরাধে হাত কাটা হয়, ডাকাতি, হিরোইন, খুন ও জ্বেনা করার অপরাধে শীরোচ্ছেদ করা হয়। এদেশের পুলিশ ঘুষ কাকে বলে তা জানে না। আপনি অন্যায় করলেও আপনাকে ছালাম দিয়ে ভদ্র ব্যবহারের সাথে থানায় নিয়ে যাবে। সেখানে বিধান অনুযায়ী ফায়সালা হবে।
বিশ্বের মধ্যে এদেশের মহিলারা সবচেয়ে ভাগ্যবান। এই দেশের বাবারা মেয়ে হলে কপাল কুঞ্চিত করে না। ছোট বেলা থেকেই কাল বোরকা তাদের অবিচ্ছেদ্য পোষাক, বিনা প্রয়োজনে কোন মহিলার দিকে তাকানো বা তাদের সাথে কথা বলাও এদেশে অপরাধ । এধরণের আরো অনেক সুন্দর সুন্দর নিয়ম চালু রয়েছে। কিন্তু সে দেশের সকল বিলাসীতার দ্রব্য উপচে পড়ছে, যে দেশের জনগণ অভাব কাকে বলে জানে না, স্বর্ণ ও পেট্রো ডলারের আকর্ষণ যেখানে ছুটে আসছে আমেরিকাসহ প্রায় অর্ধ পৃথিবীর লোক। কি করে সম্ভব হল সেখানে এত সুন্দর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা? একমাত্র একারণেই যে, এখানে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধানের মাধ্যমে দেশকে পরিচালনা করা হয়।
আহা! সুজলা, সুফলা, শষ্য শ্যামলা সবুজ সোনার বাংলাদেশের শাসন কাঠামো যদি এমনটি হতো তাহলে একটি প্রাণও আর অকালে ঝড়ে যেত না, একজন মা-বোনও ধর্ষিতা, নির্যাতিতা হত না। করে আসবে সেই সুদিন। তারই অপেক্ষায় প্রবাসে বসে দিন গুনছি।
═──────────────═