JustPaste.it

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 

'আল ফিরদাউস' পরিবেশিত

 

'উস্তাদ খুবাইব আহমাদ হাফিজাহুল্লাহ' এর

 

'তুরস্ক ও রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত'

 

****************************

 

রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ।। চুক্তিবদ্ধ কাফের? (১)

 

কোনো মুসলিম যদি যুদ্ধরত কাফিরকে আমান দেয় তাহলে তার সাথে আচরণ-

আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,

বদর যুদ্ধের দিন যখন লোকজন ঘুমিয়ে পড়ল তখন আমি উমাইয়া ইবনে খালাফকে রক্ষা করার জন্য একটি পাহাড়ের দিকে গেলাম।

বিলাল (রাঃ) তাকে দেখে ফেললেন। তিনি দৌড়ে গিয়ে আনসারদের এক মজলিসে বললেন, এই যেউমাইয়া ইবনু খাল্‌ফ। যদি উমাইয়া বেঁচে যায়, তবে আমার বেঁচে থাকায় লাভ নেই।

তখন আনসারদের একদল তার সাথে আমাদের পিছে পিছে ছুটলেন।

যখন আমার আশঙ্কা হল যে, তারা আমাদের নিকট এসে পড়বেন, তখন আমি উমাইয়ার পুত্রকে তাঁদের জন্য পেছনে রেখে এলাম, যাতে তাঁদের দৃষ্টি তার উপর পড়ে।

তাঁরা তাকে হত্যা করলেন

তারপরেও তাঁরা ক্ষান্ত হলেন না, তাঁরা আমাদের পিছু ধাওয়া করলেন। উমাইয়া ছিল স্থুলদেহী। যখন আনসাররা আমাদের কাছে পৌঁছে গেলেন, তখন আমি তাকে বললাম, বসে পড়। সে বসে পড়ল।

আমি তাকে বাঁচানোর জন্য আমার দেহখানা দ্বারা তাকে আড়াল করে রাখলাম। কিন্তু তাঁরা আমার নীচে দিয়ে তরবারী ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলল।

তাঁদের একজনের তরবারির আঘাত আমার পায়েও লাগল।

রাবী বলেন, আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) তাঁর পায়ের সে আঘাত আমাদেরকে দেখাতেন।

আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন ইউসুফ (রহঃ) সালিহ্‌ (রহঃ) হতে এবং ইবরাহীম (রহঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা শুনেছেন।

 (সহিহুল বুখারি, হা/২৩০১)

সম্পূর্ণ হাদিসটি পড়ুন- http://www.ihadis.com/bukhari/40/2301
যে সকল ভাইয়েরা আমান আমান বলে ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার শুরু করে দেন তাদের নিকট প্রশ্ন — 
১) জান্নাতের ঘোষণাপ্রাপ্ত সাহাবি আব্দুর রহমান বিন আউফ রাদিঃ কর্তৃক আমানপ্রাপ্ত হারবি কাফিরকেই যদি এভাবে হত্যা করা বৈধ হয়-তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্রের মুরতাদ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আমান(!)প্রাপ্ত কাফিরকে হত্যা করা কীভাবে অবৈধ হয়?
২) হারবি কাফিরদের হত্যাকারী মুজাহিদিন ভাইদের যেভাবে আমানপ্রাপ্তকে হত্যাকারী”, “অনৈসলামিকবলে তিরস্কার করছেন ঠিক সেভাবেই- বিল্লাল রাদিঃ ও আনসারগণকেও কি একই অপরাধে(!) তিরস্কার করবেন??!!

আল্লাহ্‌ তা’আলার কাছে জাহালত ও জিহ্বার অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই!!! 
আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের ইশতিশহাদি ভাইদের শাহাদাত কবুল করুন। আমিন।

 

রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ।। চুক্তিবদ্ধ কাফের? (২)

ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন,

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র সুন্নাত এই ছিল যে, তিনি যখন কোন গোত্রের সাথে চুক্তি করতেন, তখন তাদের কতক লোক যদি সেই চুক্তি ভঙ্গ করত আর কতক লোক সেই চুক্তি বহাল রাখত এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকত, তাহলে সকলের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করতেন।

যেমন তিনি করেছিলেন বনী কুরায়যা, বনী নযীর এবং মক্কাবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ছিল চুক্তিবদ্ধ কাফেরদের বিরুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র সুন্নাত।” (মুখতাসার জাদুল মাআদ, পৃষ্ঠা ২০৮)

প্রথমত, তর্কের খাতিরে, কিসাস অবৈধঘোষণাকারী সেকুলার রাষ্ট্র তুরস্ককে ইসলামী প্রতিনিধি সাব্যস্ত করে- আমান দেয়া যদি বৈধও হয়-

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহঃর বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে পড়লে এটা পরিষ্কার যে, রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের কোনোপ্রকার আমান অবশিষ্ট ছিল না!
দ্বিতীয়ত কাফেরদের হত্যার মূলনীতির ব্যাপারে উম্মতের ফুকাহায়ে কেরামদের বক্তব্য:
(ক) ইমাম সারাখসী (রহঃ) বলেন,

قال السرخسي: ولا شيء على من قتل المرتدين قبل أن يدعوهم إلى الإسلام لأنهم بمنزلة كفار قد بلغتهم الدعوة] المبسوط 120/10[


অর্থ: মুরতাদদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে হত্যা করার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। কেননা, এরা ঐসকল কাফেরের পর্যায়ে, যার কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে।

 

 

(খ) ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,

قال الإمام النووي: وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان]روضة الطالبين 259/9


 অর্থ: যেসকল কাফেরদের সন্ধিচুক্তি, আমান বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা চুক্তি নেই, তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন জিম্মাদারী নেই। চাই সে যেকোন ধর্মেরই হৌক না কেন। (রওজাতুত তালেবীন- ৯/২৫৯)

 

(গ) ইবনু মুফলিহ (রহঃ) বলেন:

ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة -أي الكافر من لا أمان له- لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير المبدع

263/8

কাফের এর সাথে যদি কোন ‘আমাননা থাকে তাহলে তাঁকে হত্যা করলে কোন ধরনের দিয়ত বা কাফফারা ওয়াজিব হবে না। কেননা সাধারণভাবে তাঁর রক্ত শুকরের রক্তের ন্যায় বৈধ। (মিবদা’-৮/২৬৩)

(ঘ) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন:

الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة)[الأم

264/1)
 বরকতময় আল্লাহ তাআলা কাফেরের রক্ত ও মাল বৈধ করে দিয়েছেন, তবে যদি সে জিযিয়া প্রদান করে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে থাকে তাহলে নয়। 
 (আল-উম্ম ১/২৬৪)

(ঙ) ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন,

أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السيف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…. السيل الجرار522/4].

আর কাফেরদের রক্ত মৌলিকভাবেই বৈধ, যেমনটা তরবারির আয়াতে রয়েছে। অধিকিন্তু যখন তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৫২২)
  

তিনি আরো বলেন:

 والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا] السيل الجرار 369/4.[


 “মুশরিক চাই সে যোদ্ধা হোক বা না হোক যতক্ষণ সে মুশরিক থাকবে ততক্ষণ তাঁর রক্ত বৈধ।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৩৬৯)

(চ) ইমাম মাওয়ারদী (রহঃ) আহকামুস সুলতানিয়াহকিতাবে বলেন,

 

“ويجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من مقاتلة المشركين ، محارباً وغير محارب” ] الأحكام السلطانية : الباب الرابع[
 

মুশরিকদের মধ্যে যুদ্ধের উপযোগী যে কাউকে সুযোগ পেলেই হত্যা করা বৈধ। চাই তারা যুদ্ধরত হোক বা না হোক। (আহকামুস সুলতানিয়াহ”/চতুর্থ অধ্যায়)।

(ছ) বিভ্রান্তিসৃষ্টিকারীদের জবাবে প্রখ্যাত ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন ইবনে জামাআহ (রহঃ) (যিনি ইবনে কাছীর ও আল্লামা যাহাবীর শিক্ষক) এর স্পষ্ট বক্তব্য হলোঃ

 

“يجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من الكفار المحاربين سواء كان مقاتلاً أو غير مقاتل ، وسواء كان مقبلاً أو مدبراً ، لقوله تعالى “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)

যুদ্ধরত কাফেরদের যাকেই পাবে তাকেই হত্যা করা মুসলমানদের জন্য বৈধ। চাই সরাসরি সে যোদ্ধা হোক অথবা না হোক। চাই সে যুদ্ধে গমনকারী হোক বা যুদ্ধ থেকে পিছনে থাকুক। দলিল হলো আল্লাহ তাআলার বানী:

 

فَإِذَا انسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ ۚ فَإِن تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّـهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ﴿٥


 “অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো”। (সূরা তাওবাহ-৫)

 

রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ।। চুক্তিবদ্ধ কাফের? (৩)

দারুল ইসলাম এবং দারুল হারব এর ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্যঃ 

১। ইমাম কাসানী রহ. বলেন:


 ان كل دار مضافة اما إلى الإسلام و اما إلى الكفر، و انما تضاف الدار إلى الإسلام اذا طبقت فيها أحكامه. ( بدائع الصنائع)


অর্থ: রাষ্ট্র হয়তো ইসলামী হবে অথবা কুফুরী হবে। দারুল ইসলাম হল- যাতে ইসলামী আইন প্রয়োগ করা হয়েছে আর দারুল হারব হল- যাতে ইসলামী আইন প্রয়োগ করা হয়নি।
 

২। কাযী আবু ইয়ালা হাম্বলী রহ. বলেনঃ


 كل دار كانت الغلبة فيها لأحكام الكفر دون أحكام الإسلام فهى دار الكفرة. (المعتمد في اصول الدين)


অর্থ: এমন রাষ্ট্র যাতে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠিত নয় বরং (গণতান্ত্রিক সংবিধান বা) অন্য কোন কুফুরী আইন প্রতিষ্ঠিত- বস্তুত এমন রাষ্ট্রকেই কুফরী রাষ্ট্র বলে।

৩। ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেনঃ 


 قال الجمهور: دار الإسلام هى التى نزلها المسلمون، وجرت عليها أحكام الإسلام، و مالم تجر عليها أحكام الإسلام لم

تكن دار الإسلام و ان لاصقها. (أحكام أهل الذمة)

অর্থঃ অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম বলেছেনঃ দারুল ইসলাম হল এমন রাষ্ট্র যাতে মুসলমানরা অবতরণ করেছেন এবং ইসলামী বিধি-বিধান তাতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর যেখানে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠিত নয় সেটা দারুল ইসলাম নয় যদিও সেখানে মুসলমানরা বসবাস করে।
 

যেহেতু তুরস্কে ইসলামী বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত নয়, ইসলামী আইনের পরিবর্তে সেখানে সেকুলার আইন প্রতিষ্ঠিত…, কিসাস, হুদুদ সেখানে অবৈধ ও অবাঞ্ছিত

সেহেতু, ফুকাহায়ে কেরামের ইজমা অনুযায়ী তুরস্ক দারুল হারব।
এবং, কাফেরদের সাথে দারুল হারবের চুক্তি, আমান, আহাদের কোনো মূল্য মুসলিমদের কাছে নেই। 
তাই তুরস্কের সেকুলার ফরেন মিনিস্ট্রির দেয়া আমান, আহাদের কোনো দাম মুসলিমদের কাছে থাকতে পারে না। 
দূতের আলোচনার কোনো প্রয়োজনই নেই যেহেতু তুরস্ক দারুল ইসলাম নয়। 
*মুরতাদ কামাল পাশার মূর্তি, ছবি তুরস্কের রাস্তা ও অফিসগুলোতে এখনো বিদ্যমান..

 

তুরস্ক ও রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত (চূড়ান্ত বক্তব্য)

 

তুরষ্কে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত হত্যার ব্যাপারে কতিপয় সংশয় সৃষ্টিকারীদের সংশয় নিরসন,তুরষ্কের আমলনামা এবং আল-ওয়ালা ওয়াল-বারার আকীদা সংরক্ষণ।
(লেখাটি বেশ বড়,তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।)

মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে নেওয়া জরুরি মনে করছি। তুরষ্কে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নামধারী কর্মকর্তা কার্লভকে হত্যার পর মুসলিমদের একটি বিরাট অংশ খুশি হয়েছে এবং আনন্দ প্রকাশ করেছে।

বিশেষ করে যারা তাওহীদের আকীদা তথা আল-ওয়ালা ওয়াল-বারার আকীদার উপর অটল থাকার চেষ্টা করেন এবং যারা সিরিয়াতে রাশিয়া কর্তৃক নির্বিচারে মুসলিম নারী,শিশু ও পুরুষদেরকে হত্যার বর্বরোচিত দৃশ্য দেখে নিদারুণ যন্ত্রণা অনুভব করেন। তারা আনন্দ প্রকাশ করেছে।

যারা বিশ্বব্যাপী পরিচালিত আল-কায়েদার জিহাদী মানহাজভিত্তিক কাজ করেন কিংবা আল-কায়েদার মানহাজকে ভালোবাসেন,পছন্দ করেন এবং বরকতময় এই জামাআতের সাথে যুক্ত হওয়ার সুদৃঢ় তামান্না পোষণ করেন,তারা বুঝে-শুনে এবং ভেবে চিন্তেই এধরণের হামলাকে সমর্থন করেন।

এধরণের হামলা শরীআহ অনুযায়ী হওয়ার কারণে আল-কায়েদার মানহাজের আদর্শ হিসেবেই আমরা তা সমর্থন করি এবং এধরণের হামলাকে দলীলভিত্তিকই জিহাদ মনে করি। এধরণের হামলায় জীবন দেওয়া উম্মাহর বীরদেরকে আমরা শহীদ মনে করি।

যদিও কনস্পাইরেসি থিউরির আবর্জনার নিচে চাপা পড়া পরাজিত ও পতিত মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা এই অপবাদ দেয় যে,আমরা না বুঝে আবেগের বশে এসব হামলায় আনন্দ প্রকাশ করি।

তারা আমাদেরকে অপবাদ দিয়ে তাদের সংকীর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটালেও আমরা তাদের ব্যাপারে তেমনটি মনে করি না।

বরং আমরা বিশ্বাস করি, এসব লোকেরা ভেবে-চিন্তেই এধরণের হামলার বিরোধিতা করে। এই বিরোধিতা ও নিন্দা জানানো তাদের চিন্তাধারা ও আদর্শের বহিঃপ্রকাশ। তারা তাদের এই চিন্তাধারা এধরণের যেকোনো হামলার পরই প্রকাশ করে থাকে।

হোক সেটি ফ্রান্সের শার্লি এবডোতে শাতিম হত্যা, হোক সেটি কুলাঙ্গার রাজিব কিংবা অভিজিতের মত শাতিমদেরকে খতম করার ব্যাপারে।

★★★ রাশিয়ার এই রাষ্ট্রদূত কী কাজ করেছে ?

আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখ থেকে শুনবো,কী সেই মহান দূতের কাজ করেছে এই লোকটি। রাশিয়ার সরকার পরিচালিত মিডিয়া RT(রাশিয়া টুডে) পুতিনের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে……

“He did much to fight terrorism: -Putin

সে(এই রাষ্ট্রদূত) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিরাট কিছু করেছে- পুতিন

RT মিডিয়ার অফিসিয়াল ভেরিফাইড টুইটার একাউন্টের টুইটার বার্তার লিংক……

https://mobile.twitter.com/RT_com/status/810999406220570625

রাশিয়া পরিচালিত সিরিয়ায় সন্ত্রাসের(!) বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই রাষ্ট্রদূত বিরাট কিছু করেছে বলে স্পষ্ট ও দ্ব্যার্থহীন ভাষায় জানিয়েছে পুতিন।

রাশিয়া সিরিয়ায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই মহান যুদ্ধে পুরো সিরিয়ায় বিশেষ করে আলেপ্পোয় অনেক সন্ত্রাসীকে(!) হত্যা করেছে !! এমনকি কোলে থাকা ও বোরকা পড়া বাচ্চা ও নারী সন্ত্রাসীদেরও অনেককে হত্যা করেছে !!!

তুরষ্কে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে হত্যার সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রাথমিকভাবে কিছু প্রশ্ন রাখছি। পোস্টে পরের দিকে আরো কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে।

যদি তারা মানুষ হিসেবে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার সৎসাহস রাখে,তাহলে তারা যেনো এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়।

প্রশ্ন-১। রাশিয়া কী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে নাকি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ?

প্রশ্ন-২। রাশিয়া সিরিয়ায় অগণিত সংখ্যক মুসলিমকে হত্যা করাকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে দাবী করেছে ! তাদের এই দাবীর সাথে তারা একমত কি না ?

প্রশ্ন-৩। পুতিনের বক্তব্য অনুযায়ী এই রাষ্ট্রদূত সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের তথা মুসলিমদের হত্যায় বিরাট অবদান রেখেছে। অগণিত সংখ্যক মুসলিমকে হত্যায় বিরাট অবদান রাখার পরেও রাষ্ট্রদূত নামক এই লোকটি অপরাধী ও খুনী হিসেবে বিবেচিত হবে কি না ?

প্রশ্ন-৪। পৃথিবীর কোনো আইনে, এমনকি কোনো কুফুরী আইনেও একজন রাষ্ট্রদূত এভাবে অগণিত সংখ্যক মানুষ হত্যায় বিরাট ভূমিকা রাখার বৈধতা দেওয়া আছে কি না ?

প্রশ্ন-৫। অগণিত সংখ্যক মুসলিমকে হত্যায় বিরাট অবদান রাখা কোনো ব্যক্তি ইসলামে হত্যার যোগ্য কি না ?

আমরা এসব লোকদের কাছ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতো পরিষ্কার ভাষায় উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর চাই। যদি তারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের অধিকারী না হয়ে থাকে,তাহলে তারা যেনো এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়।
 ★★★ এই খুনী নরপশুকে হত্যার বিষয়ে মোটামুটি যেসব মৌলিক সংশয় তোলা হয়েছে,তা হচ্ছেঃ

১। সে একজন রাষ্ট্রদূত ছিলো। আর ইসলামে দূতকে হত্যা বৈধ নয় !

২। তুরষ্ক মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিত্বকারী। তাই তুরষ্ককে বিপদে ফেলতেই এই হামলা।

৩। এটি আমেরিকার একটি চক্রান্ত কিন্তু জিহাদীরা না বুঝেই হইচই করে !

#জবাবঃ

★★★ ১ নং সংশয়ঃ
 //১। সে একজন রাষ্ট্রদূত ছিলো। আর ইসলামে দূতকে হত্যা বৈধ নয় !//

সংশয় নিরসনে জবাবঃ

প্রথমতঃ (সে যে একজন খুনী ছিলো,তার প্রমাণতো পূর্বে দিয়েছি) একদম সরল হিসাব,তুরষ্ক একটি সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং সন্দেহাতীতভাবে দারুল কুফর বা দারুল হারব। আর রাশিয়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধরত একটি হারবী কাফির রাষ্ট্র।

সুতরাং মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধরত একটি হারবী কাফির রাষ্ট্রের একজন কুটনীতিক শরী’আহর কোনো নীতির আলোকে নিরাপত্তা পাবে না।

এসব লোকেরা কী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের বিধান প্রয়োগ করতে চায় !!

এই বিকৃতি অবশ্য এরা করেও। যখনই আমরা এই ত্বগুত সরকারগুলোর বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলি,তখনই এরা ইসলামী রাষ্ট্রের হুকুমের মধ্যে ফেলে বলে শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না !!

এদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড অবশ্য দেখার মতো, এরা এসব ত্বগুত সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল,মিছিল,মিটিং,ভোট যুদ্ধ করার সময় এসব সরকার বাতিল সরকার থাকে, কিন্তু জিহাদের কথা বললে সেটি মুসলিম সরকার হয়ে যায় !!

যে সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করা যায় না,সে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন,হরতাল,জ্বালাও-পোড়াও কীভাবে জায়েয হয় !?!

তুরষ্ক এবং বর্তমান ত্বগুত শাসিত মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যে দারুল কুফর/ দারুল হারব তা বিস্তারিত জানতে এই নোট দু’টি সময় করে পড়ে নিবেন…..
 ১। https://justpaste.it/darul_harb1

২। https://justpaste.it/darul_harb2

দ্বিতীয়তঃ
তুরষ্ক যদি ইসলামী শরীআহর আলোকে পরিচালিত কোনো রাষ্ট্র হতো,তবুও রাশিয়ার এই রাষ্ট্রদূতকে শামের মুসলিমদের হত্যার বদলা হিসেবে হত্যা করা বৈধ ছিলো। কারণ, মুসলিমদের হত্যাকারীর কোনো আমান নেই।

তৃতীয়তঃ
তুরষ্ক যদি ইসলামী রাষ্ট্র হতো এবং রাশিয়ার সাথে তুরষ্কের শান্তি চুক্তি কিংবা যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকতো,তাহলেও শামের মুসলিমদের হত্যার বদলা হিসেবে সে আমান বা নিরাপত্তা পেতো না। বাস্তবে তুরষ্ক একটি সেক্যুলার কুফুরী রাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সাথে প্রকাশ্য কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিও নেই। তার প্রমাণ, তুরষ্ক কর্তৃক রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত।

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় উভয় অবস্থায় তুরষ্ক সরকারের পক্ষ থেকে সে আমান বা নিরাপত্তা পেতে পারতো,যদি তুরষ্ক ইসলামী রাষ্ট্র হতো, কিন্তু সেই অবস্থায়ও শাম বা অন্যত্র মুসলিমদের হত্যা ও নির্যাতনের বদলা হিসেবে সে অন্য কারো কাছ থেকে আমান পেতো না।

যদিও এদু’টি অবস্থা কাল্পনিক ও অনুপস্থিত,শুধু বুঝানোর জন্যই উদাহরণ পেশ করেছি মাত্র

★★★ দূত কাকে বলে ?

যদি রাশিয়া এবং মুজাহিদদের মধ্যে কোনো আলোচনা হতো কিংবা যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতো, এমতাবস্থায় যদি রাশিয়ার পক্ষ থেকে মুজাহিদদের কাছে প্রেরিত কোনো ব্যক্তি দূত হিসেবে গণ্য হতো !

সেই অবস্থায় উক্ত দূতকে সেইসব মুজাহিদদের জন্য হত্যা করার অনুমতি ইসলামে নেই,যারা উক্ত কুফফারদের সাথে আলোচনা কিংবা চুক্তিতে আবদ্ধ।

★★★ এধরণের হত্যার দলীলঃ

হুদাইবিয়ার সন্ধি চলাকালীন আবু বাসীর রাঃ মক্কা থেকে পালিয়ে মদীনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে এসে উপস্থিত হয়।

হুদাইবিয়ার সন্ধির শর্ত অনুযায়ী মক্কার কাফিররা উক্ত সাহাবীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুইজন কাফিরকে মদীনায়(দূত হিসেবে) প্রেরণ করে। পথিমধ্যে এসে আবু বাসীর রাঃ উক্ত দুই কাফিরের একজনকে হত্যা করে পুনরায় মদীনায় ফিরে যান।

মদীনায় ফিরে যাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত কাফিরকে হত্যার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর বললেন,
তার মার দুর্ভোগ হোক(সর্বনাশ) ! যুদ্ধের আগুন ! যদি তার জন্য কেউ একজন (সাহায্যকারী) থাকতো !”

(সহীহ বুখারী, শর্তাবলী অধ্যায়, বাংলা ইঃ ফাঃ বাঃ-২৫৪৭, আরবী,হাদীস নং-২৭৩১,২৭৩২)

উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বুখারী শরীফের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীতে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ উল্লেখ করেছেন,


 قوله : ( لو كان له أحد ) أي ينصره ويعاضده ويناصره ، وفي رواية الأوزاعي “ لو كان له رجال “ فلقنها أبو بصير فانطلق ، وفيه إشارة إليه بالفرار لئلا يرده إلى المشركين ، ورمز إلى من بلغه ذلك من المسلمين أن يلحقوا به ،

 

অর্থঃ //রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য যদি তার জন্য কেউ একজন থাকতো !” অর্থাৎ তাকে সাহায্য করা,সহযোগিতা করা ও সহায়তা করার জন্য(যদি কেউ হতো)। আর আওযায়ী রাহঃ এর বর্ণনায় রয়েছে, “যদি তার জন্য কোনো পুরুষ বা ব্যক্তি থাকতো”।

অতঃপর আবু বাসীর রাঃ এর কাছে (একথার মর্ম) বিষয়টি বোধগম্য হলো এবং তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন। এখানে তার (আবু বাসীর রাঃ এর) প্রতি পলায়নের ইংগিত ছিলো,যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মুশরিকদের কাছে পুনরায় তাকে ফেরত পাঠাতে না হয়।

আর এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইংগিত করেন, মুসলিমদের মধ্যে যাদের কাছে বিষয়টি পৌছবে তারা যেনো তার(আবু বাসীর রাঃ) সাথে গিয়ে মিলিত হয়।//

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় ‘ফাতহুল বারীতে আরো বলা হয়েছে,

 

قَوْلُهُ : ( قَدْ وَاللَّهِ أَوْفَى اللَّهُ ذِمَّتَكَ ) أَيْ فَلَيْسَ عَلَيْكَ مِنْهُمْ عِقَابٌ فِيمَا صَنَعْتُ أَنَا ، زَادَ الْأَوْزَاعِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ “ فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ : يَا رَسُولَ اللَّهِ عَرَفْتُ أَنِّي إِنْ قَدِمْتُ عَلَيْهِمْ فَتَنُونِي عَنْ دِينِي فَفَعَلْتُ مَا فَعَلْتُ وَلَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ عَهْدٌ وَلَا عَقْدٌ “ ا هـ . وَفِيهِ أَنَّ لِلْمُسْلِمِ الَّذِي يَجِيءُ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ فِي زَمَنِ الْهُدْنَةِ قَتَلُ مَنْ جَاءَ فِي طَلَبِ رَدِّهِ إِذَا شُرِطَ لَهُمْ ذَلِكَ ، لِأَنَّ النَّبِيَّ — صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ — لَمْ يُنْكِرْ عَلَى أَبِي بَصِيرٍ قَتْلَهُ الْعَامِرِيَّ وَلَا أَمَرَ فِيهِ بِقَوَدٍ وَلَا دِيَةٍ ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ .

অর্থঃ // তার (আবু বাসীর) বক্তব্যঃ আল্লাহর কসম, আল্লাহ তাআলা আপনার দ্বায়িত্ব পূর্ণ করেছেনঅর্থাৎ আমি যা করেছি সে ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধের কিছু নেই। আওযায়ী যুহরী থেকে বৃদ্ধি করে বলেছেন, “অতঃপর আবু বাসীর বলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল !

আমি বুঝতে পারছি, যদি আমি তাদের কাছে চলে যাই,তাহলে তারা আমার দ্বীনকে ফিতনায় ফেলে দিবে। সুতরাং আমি যা করেছি,(ইচ্ছা করেই)করেছি। আর আমার মধ্যে এবং তাদের মধ্যে কোনো অঙ্গীকার ও চুক্তি নেই।

আর তাতে রয়েছে, সন্ধি চলাকালীন দারুল হারব থেকে আসে এমন মুসলিমের জন্য (অনুমতি) রয়েছে, সন্ধি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফেরত নিতে আসা কাউকে হত্যা করার।

কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু বাসীর কর্তৃক আমেরীকে হত্যার ব্যাপারে নিন্দা জানাননি এবং তিনি তাতে কিসাস(হত্যার বদলে হত্যা) ও দিয়াত(অর্থদণ্ড)প্রদানের নির্দেশ দেননি। আল্লাহু আ’লাম//

বুখারী শরীফের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীথেকে উক্ত হাদীসহ উপরোক্ত ইবারতের লিংক
http://tinyurl.com/zoymyar
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত উপরোক্ত হাদীস এবং ফাতহুল বারীর বক্তব্য থেকে যেসব বিষয় সুস্পষ্ট তা হলো

★★★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিচালিত ইসলামী রাষ্ট্র / মদীনায় আগত দূতকে হত্যা করেছেন একজন সাহাবী রাঃ।

★★★ এসময় মুসলিমদের সাথে মক্কার মুশরিকদের সন্ধিচুক্তি বহাল ছিলো।

★★★ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত দূতকে হত্যার নিন্দা করেনি,তাকে হারাম বলেননি এবং কোনো কিসাস ও দিয়াত নেননি। বরং তার জন্য সাহায্যকারীর থাকার আকাঙ্খা করেছেন।

আসুন এবার তুরষ্কে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে হত্যার প্রেক্ষাপট দেখি…….

★★★ তুরষ্ক একটি সেক্যুলার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।

★★★ মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত রাশিয়ার সাথে মুসলিমদের কোনো সন্ধিচুক্তি নেই। এমনকি সেক্যুলার তুরষ্কের সাথেও কোনো যুদ্ধবিরতির সন্ধিচুক্তি নেই।

মক্কার কুরাইশদের সাথে সন্ধি চলাকালীন সর্বকালের সবচেয়ে বিশুদ্ধ ইসলামী রাষ্ট্রে প্রেরিত, মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত নয় এমন দূতকে যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী হত্যা করতে পারেন এবং তাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হারাম-না জায়েয বলাতো দূরের কথা বরং পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছেন।

সেখানে একটি সেক্যুলার কুফুরী রাষ্ট্রে নিয়োজিত, সরাসরি মুসলিমদেরকে গণহত্যায় জড়িত(পুতিনের বক্তব্য উপরে দেখুন) এবং মুজাহিদতো দূরের কথার উক্ত সেক্যুলার রাষ্ট্রের সাথেও কোনো চুক্তি নেই,

তারপরেও সেই রাশিয়ান খুনীকে হত্যা করা না-জায়েয কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ কারীরা অন্য কোনো দ্বীন অনুযায়ী তার নিন্দা জানাতে পারে কিন্তু ইসলাম নামক দ্বীনের অধীনে নিন্দা জানানোর কোনো সুযোগ নেই।

তারা যেনো পারলে আমার উপরোক্ত দলীলকে খণ্ডন করে !!

 

★★★ ২ নং সংশয়ঃ

//২। তুরষ্ক মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিত্বকারী। তাই তুরষ্ককে বিপদে ফেলতেই এই হামলা।//

সংশয় নিরসনে জবাবঃ

তুরষ্ক মুসলিম বিশ্বের খাদেম, না ন্যাটো ও আমেরিকার খাদেম তা প্রমাণসহ নিজের চোখে দেখে, পড়ে জানতে থাকুন……..

ন্যাটোর সদস্য হিসেবে ন্যাটোর খেদমতে তুরষ্কের একনিষ্ঠ অবদান জানতে তুরষ্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত বক্তব্য পড়ে নেয়া যেতে পারে।

http://www.mfa.gov.tr/nato.en.mfa

★★★ মুসলিমদের হত্যার জন্য আমেরিকাকে তুরষ্কের বিমানঘাঁটি প্রদানঃ

তুরষ্কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি ‘ইনসারলিংকআমেরিকাকে প্রদান করেছে এরদোগান ও তার সরকার। আর আমেরিকা এই বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে ইরাক-সিরিয়ায় নির্বিচারে মুসলিমদের হত্যা করে যাচ্ছে।

এই ‘ইনসারলিংকবিমানঘাটি চরম ইসলাম বিদ্বেষী আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের জন্যও নিশ্চিত করে দিয়েছে জামানার সুলতান এরদোগান !!

মার্কিন সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট থেকেই দেখুন…..
http://tinyurl.com/hrvoccc

 

★★★ আফগানিস্তানে আগ্রাসন ও তালিবান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তুরষ্কঃ

আফগানিস্তানে তালিবানদের প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কুফফার জোট ন্যাটোর আগ্রাসনে (২০০১ থেকে বর্তমান) তুরষ্ক ৩য় সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য প্রেরণ করেছিলো।
 উইকিপিডিয়া থেকে দেখুন…..
 http://tinyurl.com/gpb9vjo

আফগানিস্তানে ক্রুসেডার কুফফার জোট ন্যাটোর আগ্রাসনে ৫৩২ জন সৈন্য বহাল রেখে সৈন্য সংখ্যার দিক থেকে এখনো তুরষ্ক ৬ষ্ঠ অবস্থানে আছে।

এর নগদ প্রমাণ পেতে নিচের লেখাটুকু গুগলে সার্চ করে ন্যাটোর ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিজের চোখে দেখে নিন।

Resolute Support Mission (RSM) “placemat” (Key Facts and Figures) — December 2016 (PDF/306Kb)

ন্যাটোর সাইটে ইমেইজ ফরম্যাটেও আছে…… http://www.nato.int/cps/en/natohq/topics_69366.htm

★★★ সোমালিয়ায় মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকা ও কুফফার জোটের সাথে মিলে তুরষ্কঃ

এরদোগানের এই তুরষ্ক সোমালিয়ায় আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সরাসরি সৈন্য পাঠিয়ে এবং সামরিক ঘাটি করে যুদ্ধ ক্রুসেডার আমেরিকা, জাতিসংঘ,আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং মুরতাদ বাহিনীকে সামরিক-অর্থনৈতিক সব ধরণের সহায়তা করছে।

সেখানে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মুরতাদ বাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তুরষ্ক।

তুরষ্ক সোমালিয়ায় আফ্রিকার একমাত্র সামরিক ঘাটি করেছে, মুরতাদ-দালাল বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আল-শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য।
 তুরষ্কের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া থেকে দেখুন……

http://tinyurl.com/hs7vj4t

এমনকি আল-শাবাব মুজাহিদদের সম্মানিত আমীর কিছুদিন পূর্বে এক বার্তায় তুরষ্ককে সোমালিয়ার মুসলিমদের শত্রু বলে আখ্যা দিয়েছেন।

বিভিন্ন মিডিয়া থেকে জেনে নিন……
 http://tinyurl.com/jqolyyb

*** আমেরিকার সাথে মিলে ইরাক-সিরিয়ায় মুসলিমদের হত্যায় এরদোগানের তুরষ্কঃ

২০১৪ সাল থেকে তুরষ্ক আমেরিকার সাথে মিলে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ইরাক-সিরিয়ায় বহু নিরীহ মুসলিমকে হত্যা করে যাচ্ছে। দেখুন…… উইকিপিডিয়ায়…..

https://en.m.wikipedia.org/wi…/List_of_wars_involving_Turkey

*** সিরিয়ায় আমেরিকার সৈন্য+বিমানের সহায়তায় তুরষ্কের আইএস বিরোধী যুদ্ধের নামে অসংখ্য নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করে যাচ্ছে। (২০১৬ সাল)
 আমেরিকার সাথে মিলে হামলা করার প্রমাণ…….

১। ওয়াশিংটন পোস্ট……..
 http://tinyurl.com/htdzyj6

২। ভাইস নিউজ……
 http://tinyurl.com/jvennst

৩। ব্লুমবার্গ নিউজ….
 http://tinyurl.com/zcozq4y

*** ইসরায়েলের খেদমতে এরদোগান ও তুরষ্কঃ

আরাকান ও দুনিয়ার দিকে দিকে মুসলিমদের কলিজা ফাটা আর্তনাদের সাড়ায় কোনো বিমান সেতো ‘বহুত দূর কী বাত’, কোনো সাহায্যও পৌছেনি কিন্তু ইহুদীবাদী ইসরায়েলের আগুন নিভানোর জন্য বিমান পাঠিয়ে দিলো তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান !

আহ ! ইসরায়েলের সাথে কী অকৃত্তিম বন্ধুত্ব !

ইসরায়েলে বিমান পাঠানোর ব্যাপারে তুরষ্কের সরকারি মিডিয়ার সংবাদ…..
https://twitter.com/anadoluagency/status/801832756875382784

v.aa.com.tr/692324

শুধু তাই নয় বরং সিরিয়ায় জিহাদ করতে যাওয়ার সময় তুরষ্ক ইসরায়েলের নাগরিক একজন মুসলিম নারীকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সুতরাং উপরের প্রমাণগুলো দেখার প্রত্যেক মানুষের কাছে স্পষ্ট হবে যে,এই তুরষ্ক মুসলিম উম্মাহর তথা ইসলামের প্রতিনিধিত্বকারী নয় বরং ন্যাটো ও আমেরিকার একনিষ্ঠ খাদেম।

★★★ ৩ নং #সংশয়ঃ

//৩। এটি আমেরিকার একটি চক্রান্ত, কিন্তু জিহাদীরা না বুঝেই হইচই করে !//

সংশয় নিরসনে জবাবঃ

চরমতম জাহেল বা দুনিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতার অতলান্তে নিমজ্জিত হওয়া কিংবা বুদ্ধি প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হওয়া ব্যতীত উপরোক্ত কথাটি একজন মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব নয় !!

কারণ, যেই তুরষ্ক আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় সদস্য, যেই তুরষ্ক আমেরিকাকে বিমানঘাঁটি প্রদান করেছে মুসলিমদের হত্যার জন্য,

যেই তুরষ্ক সরাসরি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ন্যাটো ও কুফফার-মুরতাদ জোটের সাথে মিলে আফগানিস্তান ও সোমালিয়ায় যুদ্ধ করছে,

এবং কুফফার-মুরতাদদেরকে সরাসরি সামরিক-অর্থনৈতিক সহায়তা করে যাচ্ছে (যার সবগুলোর অকাট্য প্রমাণ উপরে প্রদান করেছি), আমেরিকা ও ন্যাটোর একনিষ্ঠ খাদেম সেই তুরষ্ককে সমর্থন করে আবার কোনো কাজে আমেরিকার ষড়যন্ত্র খোঁজার মত নির্লজ্জ আচরণ প্রকাশ করতে সম্ভবতঃ শয়তানও কিছুটা লজ্জা পাবে।

ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ন্যাটোর সহায়তাকারী এরদোগান ও তার তুরষ্ক যেখানে সরাসরি আমেরিকার দালালী করছে এবং তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

অথচ কী নির্লজ্জ জালিয়াতি ও প্রতারণা যে, দুনিয়ার যেখানেই আমেরিকা,রাশিয়া কিংবা কুফফার মুরতাদ সহযোগীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মুসলিম উম্মাহর কোনো বীরের পরিচালিত অপারেশনের মধ্যে সেই আমেরিকার ষড়যন্ত্র খুঁজে !!

কী আজব ! আমেরিকার প্রকাশ্য গোলাম সেই তুরষ্কের সমর্থকরা কুফফার-মুরতাদদের বিরুদ্ধে দুনিয়ার সর্বত্র মরণপণ জিহাদে লিপ্ত আল্লাহর অকুতোভয় সৈনিক মুজাহিদদেরকে আমেরিকার তৈরি/আমেরিকার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নকারীইত্যাদি অপবাদ আরোপ করে !!

এরা কী মানুষ না অন্য কিছু ! সেলুকাস !!

আমি এই শ্রেণীর লোকদের মধ্যে যাদের এখনো মানসিক সুস্থ্যতা অবশিষ্ট আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, এই হামলা যদি আমেরিকার চক্রান্ত হয়ে থাকে,তাহলে সেই চক্রান্তুকারীকে কী তুরষ্কের সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করা উচিৎ নয় ?

সেই চক্রান্তকারী আমেরিকার নেতৃত্বে আফগানিস্তান,সোমালিয়া,ইরাক ও সিরিয়ায় যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ নয় ?

নাকি সেই আমেরিকা একনিষ্ঠ খাদেম হয়ে থাকা উচিৎ ??

আপনাদের মহামান্য সুলতান এরদোগানকে বলুন, অনতিবিলম্বে যেনো এই কাজগুলো করে,যাতে আপনারা আরো বেশি করে সবক্ষেত্রে আমেরিকার ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করতে পারেন।

অন্যথায় আমরা এসব লোকদেরকে শয়তানের সেসব একনিষ্ঠ অনুসারীদের সাথে তুলনা করবো,যারা নিজেরা শয়তানের একনিষ্ঠ অনুসারী হয়ে সব ভালো কাজে শয়তানের চক্রান্ত খোঁজে !!!

আমরা তাদের ধোঁকাবাজি সকল মুখোশ ছিড়ে ফেলবো ইনশাআল্লাহ।

আর জিহাদীরা কেনো এসব হামলা সমর্থন করেন,তার জবাব শুরুতেই দেওয়া হয়েছে।

★★★ আল-ওয়ালা ওয়াল-বারায় এরা কুফফারদের সমানও নয় !

এসব লোকদের কাছে কাফিরদের সমপরিমাণ আত্মমর্যাদাবোধও নেই।
রাশিয়া ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া দখল করেছে এবং এখনো ইউক্রেইনের সাথে রাশিয়ার সহায়তায় একটি গোষ্ঠী যুদ্ধ করছে।

এজন্য ইউক্রেইনের এক এমপি তুরষ্কে রাশিয়ান কুত্তাকে হত্যাকারী ভাইকে ‘হিরোবা বীর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

একজন কাফির যতটুকু ‘শত্রুর সাথে শত্রুতানীতি অনুসরণ করে,এসব লোকেরা এক্ষেত্রে এই কাফিরের সমতুল্য হতে পারেনি ! এরা সিরিয়ায় মুসলিমদের গণহত্যার বদলা হিসেবে মুসলিমদের শত্রু খতমে খুশি না হয়ে বরং কনস্পাইরেসি থিউরির আবর্জনা নাড়াচাড়া করছে !!

ইউক্রেইনের এমপির উক্ত নিউজের লিংক…..http://tinyurl.com/jnax26b

★★★ মুসলিমদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যুলুমের প্রতিশোধ নেওয়াঃ

ইসলাম কোনো গান্ধীবাদী দ্বীন নয় যে, মুসলিমরা শুধু মার খাবে ! বরং স্বয়ং আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা শূরার ৪১ এবং সূরা শুআরার ২২৭ নং আয়াতে মুমিনরা নির্যাতিত হলে তার প্রতিশোধ নেয় এই বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন।

 

শেষকথা

 

ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর অকুতোভয় ও আত্মোৎসর্গী বীর পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত প্রতিটি অপারেশনে এরা কুফফারদের ষড়যন্ত্র খুঁজে পায় !

অথচ এরা এমনসব ব্যক্তি ও দলকে সমর্থন করে যারা সর্বদা কুফফারদের খুশি করার জন্য সবরকম চেষ্টা করে থাকে।

এরা মুসলিমদের হৃদয় প্রশান্তকারী প্রতিটি অপারেশনে কষ্ট পায় ! কুফফাররা খুশি হয় এমন বিবৃতি,বার্তা এরা সর্বদা জপতে থাকে !!

এরা নিজেদের এমন অবস্থান ব্যক্ত করে যা কাফিরদের অনুগ্রহ অর্জনে সহায়ক হয় !!

এরা আমাদেরকে কুফফারদের সামরিক শক্তির ভয় দেখায়, যেমনটা তারা নিজেরা ভয় পেয়ে থাকে !!

তাদের খুব ভালো করে জানা দরকার,আমরা কার গোলাম ! আমরা কোন নবীর উম্মত ! আমরা উম্মাহর কোন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে চলি !

আমরা ‘লা শারী-কা লাহু, লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহগুণের অধিকারী রবের গোলাম। আমরা আনা নাবীয়্যুল মালহামাহবা আমি মহাযুদ্ধের নবীর উম্মত।

আমরা উম্মাহর সেইসব ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সালফে সালিহীনের পথে অবিচল থাকবো, যাদের ভয়ে আমেরিকার সৈন্যরা আত্মহত্যাকরে।

পরিশেষে তাদের উদ্দেশ্যে কুরআনুল কারীমের দু’টি আয়াত দিয়ে সমাপ্তি টানবো।

আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,

 

أَلَيْسَ اللَّـهُ بِكَافٍ عَبْدَهُ ۖ وَيُخَوِّفُونَكَ بِالَّذِينَ مِن دُونِهِ ۚ وَمَن يُضْلِلِ اللَّـهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ ﴿٣٦ وَمَن يَهْدِ اللَّـهُ فَمَا لَهُ مِن مُّضِلٍّ ۗأَلَيْسَ اللَّـهُ بِعَزِيزٍ ذِي انتِقَامٍ

 

আল্লাহ কী তার বান্দাদের জন্য যথেষ্ট নন! তারা আপনাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্য (ইলাহ)দের ভয় দেখায় । আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন,তার জন্য কোনো পথপ্রদর্শক নেই। আর আল্লাহ যাকে সঠিক পথপ্রদর্শন করেন,তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আর আল্লাহ কী মহাপরাক্রমশালী ও প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন !! (সূরাহ যুমার, আয়াত ৩৬-৩৭)

 

ইয়া রব্বাল ‘আলামীন ! আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি,আপনি আমাদের জন্য যথেষ্ট। যথেষ্ট। যথেষ্ট।

শুধুমাত্র আপনার একান্ত অনুগ্রহেই আপনারা বান্দারা আফগানিস্তান,ইরাক, সোমালিয়া,সিরিয়াসহ সারা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছে।

আপনি আল্লাহর এই বান্দাদের সুদৃঢ় রাখুন,আমাদেরকেও সে পথে পরিচালিত করুন এবং মুসলিম উম্মাহকে ইযযতের জিন্দেগী কিংবা ইযযতের মৃত্যু অবলম্বন করার তাউফীক্ব ও ঈমান দান করুন।

 

*****************

Al Firdaus Logo.n.png