JustPaste.it

Dyeing

User avatar
Sumon @smn · Sep 23, 2021

Dyeing কি ও কাকে বলে কত প্রকার কি কি?
Dyeing কেমিকেলের কোনটার কি কাজ?

#Dyeing সম্পর্কে প্রায়ই আমাদের মধ্যে এই কনফিউশন টা কাজ করে, ডাই আর ডাইং এর মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে? চলুন দেখে নেয়া যাক।

#ডাই এবং ডাইং কি?
★ডাই একটি রাসায়নিক পদার্থ। এর অর্থ হলো রং।
★ডাই এর মধ্যে ক্রোমোফোর ও অক্সোক্রোম গ্রুপ রয়েছে। দায়ী টেক্সটাইল দ্রব্যকে রং করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ডাই হল ডাইং করার মূল উপাদান।
ডাই তিনটি আকারে বাজারে পাওয়া যায়, পাউডার, দানাদার, পেস্ট।  ডাই তৈরি করার জন্য PH বা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা এবং নির্দিষ্ট সময়ে এর প্রয়োজন নেই। 
ডাই এর মধ্যে রং করার ক্ষমতা, দ্রবণীয়তা, এবং আকর্ষণ ক্ষমতা বিদ্যমান থাকতে হবে। ডাই একটি কেমিক্যাল প্রসেস। ডাই একটি জটিল যৌগ।

#ডাইং কাকে বলে নিচে কয়েকটি সঙ্গা দেওয়া হলঃ

যে প্রক্রিয়ার ফলে বস্তুর ভৌত ও রাসায়নিক গুণাবলীর পরিবর্তন ঘটে এবং এই পরিবর্তনের ফলে ডাইড বস্তুর উপর আলো প্রতিফলিত হয়ে তা রঙিন বস্তু হিসেবে আমরা দেখতে পাই, তাকেই ডাইং বলে।

রং, রসায়ন ও অন্যান্য সহায়ক পদার্থের মাধ্যমে টেক্সটাইল দ্রব্যকে রঙিন করার প্রক্রিয়াকে ডাইং বলে।

অন্যভাবে বলা যায়, সুতা বা কাপড়কে পানি দ্বারা রং এবং বিভিন্ন কেমিক্যালের সাথে মিশিয়ে দ্রবণকে রঙিন করার প্রণালী কে ডাইং বলে।

#ডাইং হল একটি প্রক্রিয়া। ডাইং এর মাধ্যমে টেক্সটাইল দ্রব্যকে রং করা হয়। ডাইং করার ফলে টেক্সটাইল দ্রব্যের ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন ঘটার ফলে ডাইড বস্তু আলোয় প্রতিফলিত হয়। ডাইং এ ডাই ছাড়াও অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। সাধারনত দুই ধরনের ডাই দেখা যায়, একটি পানিতে দ্রবণীয় আরেকটি পানিতে অদ্রবণীয়। ডাইং এর প্রসেস অনেক ধরনের হয়ে থাকে, ব্যাচ প্রসেস, সেমি কন্টিনিউয়াস প্রসেস, কন্টিনিউয়াস প্রসেস ইত্যাদি। ডাইং এ টেক্সটাইল দ্রব্যের পরিমাণ অনুযায়ী লিকারের অনুপাত নির্দিষ্ট থাকে। যা সম্পূর্ণ এই দ্রব্যের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হবে। ডাইং এ নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট PH অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডাইং করার সময় ভালো ডাই ব্যবহার করা জরুরী। কারণ ভালো ডাই প্রয়োগেরফলে ডায়িং করার সময় উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে। ডাইং কোন যৌগ নয়। এটি একটি প্রসেস যার মাধ্যমে কাপড় কে রং করা হয়।

তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে ডাইং কাকে বলে। এখন এসব কিছু ছাড়াও, ডাইং এর ক্ষেত্রে অনেক নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন যেমন- pH সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ, তাপমাত্রা ঠিক রাখা, নির্দিষ্ট সময়, বিভিন্ন কেমিক্যাল এবং রং (ডাইজ) এর সহযোগে ডাইং করা হয়।

#ডাইং এর উদ্দেশ্য
কাপড়কে নির্দিষ্ট একটি রং দিয়ে সম্পূর্ণ কাপড়কে সঠিক এবং সমানভাবে রং করা।
কাপড়কে বাহ্যিকভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা এবং আকর্ষণীয় করা।
কাপড়কে প্রিন্টিং এর উপযোগী করা।
ভালো কোয়ালিটির রং এর সাহায্যে ডাইং করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ইত্যাদি।

Dye কত প্রকার ও কি কি?
 ডাই এর শ্রেণিবিভাগ করার আগে জেনে রাখা ভাল । যে ডাই অনেক ধরণের হয় । এর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত মাত্র কয়েক প্রকারের ডাই নিয়ে আলােচনা করা হবে । ডাইকে প্রধানত : দুই ভাগে ভাগ করা হয় ।
যেমন-
1.Natural Dye(প্রাকৃতিক বা আসল রং)
2.Artificial Dye(কৃত্রিম রং)

1.Natural Dye(প্রাকৃতিক বা আসল রং)
মানুষ পোশাকে বৈচিত্র্য আনার জন্য কাপড়ে রঙের ব্যবহার শুরু করে।বস্ত্রে রং করার প্রচলন আদিকাল থেকে চলে আসছে।যখন কৃত্রিম রং আবিষ্কার হয়নি,তখন মানুষ প্রাকৃতিক দ্রব্যাদি থেকে রং আহরণ করত। তখন গাছের ফুল,ফল,পাতা,মূল-কান্ড,বাকল ইত্যাদি থেকে যে রং আহরিত হতো সেগুলোর নাম Vegetable Dye(উদ্ভিজ্জ রং)। শেফালি, পলাশ,কুসুম ইত্যাদি ফুল থেকে এ রং তৈরি হয়।পান খাওয়ার জন্য যে খয়ের ব্যবহৃত হয় তা থেকেও রং পাওয়া যায়।বিভিন্ন প্রাণিজ,খনিজ দ্রব্য ইত্যাদি প্রাকৃতিক বস্তু বস্ত্র রঞ্জনের কাজে ব্যবহৃত হতো।যেমন-রেশম ও পশমের জন্য কোচিনি ট্রেপ,লাক্ষ্য ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।এদের নাম Animal Dye(প্রাণীজ রং)। উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ উৎস ছাড়া ধাতব উৎস থেকে যে রং পাওয়া যায় এদের নাম ধাতব রং।যেমন-প্রুশিয়ান নীল,ক্রোম হলুদ ইত্যাদি। প্রকৃতিজাত ডাই এখন আর বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করা হয় না। 

2.Artificial Dye(কৃত্রিম রং)
কৃত্রিম ডাই রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃত্রিম ডাই তৈরি করতে যে ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় তার উৎস হলো পেট্রোলিয়াম বা আলকাতরা জাতীয় পদার্থ। 

কৃত্রিম রংগুলোকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়-

১। Acid Dye(অম্ল বা এসিড ডাই)
এসিড ডাই কতগুলো অম্ল বা এসিডের রাসায়নিক লবন দ্বারা গঠিত। সুতা বা বস্ত্র রং করার সময় বিভিন্ন রকম এসিড ব্যবহার করা হয় বলে এ জাতীয় রং কে এসিড ডাই বলে।নাইলনন,ওরলন ইত্যাদি। সাংশ্লেষিক,রেশম ও পশম তন্তু রংকরনের ক্ষেত্রে এসিড ডাই ব্যবহার করা হয়।বস্ত্রাদি রং করার সময় রঞ্জক দ্রব্যের সাথে হাইড্রোক্লোরিক অথবা লঘু অ্যাসিটিক এসিড ব্যবহার করা হয়।বাণিজ্যিকভাবে রংকরনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।বস্ত্র শিল্পে এ জাতীয় রঙকে বাণিজ্যিক রং বলে।

২।ক্ষার জাতীয় বা ব্যাসিক ডাই
এটি প্রথম আবিষ্কৃত কৃত্রিম রং। ক্ষার জাতীয় রং সুতি,লিনেন,রেয়ন,রেশম ও পশম বস্ত্র রংকরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।এ জাতীয় রং বাজারে পাউডার বা দানা আকারে পাওয়া যায়।রং যাতে পানিতে সহজে দ্রবীভূত হয় সেজন্য অ্যাসিটিক এসিড বা ফিটকিরি ব্যবহার করা হয়।

৩। Direct Dye(ডাইরেক্ট বা প্রত্যক্ষ রং)
সুতি বা লিনেন এবং রেয়ন তন্তুতে কোনো মরড্যান্ট বা আস্তর জাতীয় রং ছাড়া যে রংগুলো সরাসরি প্রয়োগ করা হয় তাদের ডাইরেক্ট ডাই বলে।
এই ধরনের ডাই পানি দ্রবনীয় এবং সাধারনত : Az0 Class ভুক্ত যা নিউট্রাল বা কিছুটা এলকালাইন হয়ে থাকে । এদের সেলুলােজিক ফাইবার যেমন কটন ফাইবারের প্রতি বিশেষ এফিনিটি থাকে । ডাইরেক্ট ডাই এর কিছু বৈশিষ্ট নিচে দেওয়া হল : 
এরা পানিতে দ্রবনিয় । এনায়নিক স্বভাবের হয় । ডাইং প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য ইলেক্ট্রোলাইটস এর প্রয়ােজন হয় । এলকালাইন বা ক্ষারিয় অবস্থা ডাই প্রক্রিয় নিম্পন্ন হয় । সাধারনত : সেলুলােজিক বা প্রােটিন ফাইবারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । দামে তুলনামুলক সস্তা হয় । ডাইরেক্ট ডাই সাধারনত : স্থানীয় বাজারে সস্তা  পণ্যে ব্যবহৃত হয় । ডাইরেক্ট ডাই এর কটন ফাইবারের সাথে উল্লেখযােগ্য মাত্রার এফিনিটির কারণে এদের  substantive Dye বলা হয় ।
সুতি তন্তুর উপর এ ধরনের রং পাকা হয়না। ধোয়ার সময় রং সহজে উঠে যায়, আলোতে এর উজ্জ্বলতা থাকেনা।আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য প্রকৃত রং করার পর তুঁতে এবং অ্যাসিটিক এসিডগুলো ১৫-২০ মিনিট সুতা বা বস্ত্রটি সিদ্ধ করতে হয়।

৪। Azoic Dye(ন্যাপথল বা এজোইক রং)
এই জাতীয় রং পাকা হয়। সুতি বস্ত্র রং করা ও ছাপার কাজ করার সময় এই রং ব্যবহৃত হয়।এই পদ্ধতিতে কাপড়টি প্রথমে ন্যাপথলে ডুবিয়ে পরে ডায়োজোটাইড এর দ্রবনে ডোবানো হয়।রং করার পর কাপড়টি কয়েকবার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হয়।

৫। Pigment Dye(পিগমেন্ট রং)
পিগমেন্ট রং ছাপার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই রং তৈরিতে জৈব দ্রবনের সাথে সংশ্লেষিক পিগমেন্টের দ্রবন ব্যবহার করা হয়।

৬। Vat Dye(ভ্যাট রং)
সুতি,লিনেন ও রেয়ন বস্ত্রে প্রয়োগ করা হয়।ভ্যাট রং তিন ধরনের-- নীল ভ্যাট,অ্যানথ্রাকুইনোন ভ্যাট এবং সালফার ভ্যাট।বর্তমানে এ রং পাউডার হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়।এই রং সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড ও কস্টিক সোডার মিশ্রণের সাহায্যে পানিতে দ্রবীভূত করে বস্ত্রে প্রয়োগ করা হয়।সুতি কাপড়ে ভ্যাট রং বেশ পাকা হয়। ঠান্ডা পানিতে ভ্যাট মিশানো যায় না।গরম পানিতে মেশাতে হয়।এজন্য রেশমি কাপড়ে এ রং প্রয়োগ করা যায়না।তীব্র ব্লিচের সংস্পর্শে আসলে এ রং নষ্ট হয়না এবং পানিতে দ্রবীভূত হয়না।

৭। Vegetables Dye(ভেজিটেবল ডাই)
গাছগাছালি, লতাপাতা বা ফলমূল দিয়ে যে রং তৈরি করা হয় তাকে ভেজিটেবল রং বা উদ্ভিদ জাতীয় রং বলা হয়।

৮।Developed Dyes (ডেভেলপড ডাই)
ডেভেলপড ডাই বা বিকশিত রং সুতি লিনেন,রেয়ন অ্যাসিটেট কাপড়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।ধোয়ার পর এ রং খুব একটা নষ্ট হয় না।কিন্তু আলোর প্রভাবে রং সামন্য হালকা হয়ে যায়।
কতগুলো ডাইরেক্ট ডাই আছে যা বিশেষ কতকগুলো পদ্ধতির মাধ্যমে রুপান্তর করে বেশ পাকা করা হয়।এ রুপান্তর করনকে Diazotising and developing  বলা হয়।
এ রঞ্জক বেশি ব্যয়বহুল।তাছাড়া ডায়োজোটাইজড রং বেশ দামি। ডায়োজোটাইজড রং প্রয়োগ করার সময় প্রথমে তন্তু বা বস্ত্রকে রঙের দ্রবনে ডুবাতে হয়।এরপর রঙের দ্রবন থেকে তুলে বস্ত্রকে ভালোভাবে ঝেড়ে সোডিয়াম নাইট্রেট এবং হাইড্রোক্লোরিক বা সালফিউরিক এসিড এর ঠান্ডা দ্রবনে নিমজ্জিত করতে হয়।এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডায়োজোটাইজিং।এরপর বস্ত্রটিকে একটি ডেভেলপার দ্রবনে ডুবানো হয়। এ পদ্ধতিতে সাধারণত বিট ন্যাপথল,আলফা ন্যাপথল বা ফেনল ডেভেলপর হিসেবে কাজ করে।

৯.Disperse Dye : এই ডাই কিছু কিছু ক্ষেত্র ব্যাতিত বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পানিতে অদ্রবনীয় থাকে । এরা স্বভাবে নন আয়ােনিক হয় এবং হাইড্রোফোবিক ফাইবারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । এই ডাই প্রধানত : পলিস্টার জাতীয় কাপড়েরর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । তবে , নাইলনের বেলায়েও এর ব্যবহার লক্ষ করা যায় ।

১০. Sulfur Dye : সালফার ডাই প্রাথমিক পর্যায়ে কটন এবং রেয়ন জাতীয় ফেব্রিকসে ব্যবহার করা হয় । এই ডাই দিয়ে কাপড় রং করলে কাপড়ের রং ধারন ক্ষমতা ভাল থাকে ।

১১.Basic Dye or Cationic Dye : এর পানিতে দ্রবনীয় এবং দ্রবনে রঙ্গিন ক্যাটায়ন হিসাবে ইহা উপস্থিত থেকে কাজ করে । রুপান্তরিত নাইলন ও পলিষ্টার জাতীয় কাপড়ে এদের ব্যবহার করা হয় ।

১২.Reactive Dye : রিএক্টিভ ডাই chromophore ব্যবহার করে যার Substituent এর মাধ্যমে ডাইং প্রক্রিয়া শুরু হয় । এ ধরনের ডাই দ্বারা কাজ করার পর কাপড়ের রং টেকসই হয় । সাধারনত : সেলুলােজ ধরণের ফাইবার যেমন কটন , ফ্ল্যাক্স প্রভৃতির ক্ষেত্রে ইহা ব্যবহৃত হয়।

১৩.Basic Dye or Cationic Dye : এর পানিতে দ্রবনীয় এবং দ্রবনে রঙ্গিন ক্যাটায়ন হিসাবে ইহা উপস্থিত থেকে কাজ করে । রুপান্তরিত নাইলন ও পলিষ্টার জাতীয় কাপড়ে এদের ব্যবহার করা হয় ।

১৪.Mordant Dye : এ ধরণের ডাই এর কার্যকারিতা ত্বরান্তিত করার জন্য Mordant এর প্রয়ােজন হয় । Mordant হল এক ধরণের অজৈব পদার্থ যা Dye কে কাপড়ের ফাইবারের সাথে ভালভাবে মিশে যেতে সহয়তা করে । অর্থাৎ , ডাই দিয়ে কাপড় রঙ্গিন করার কাজে সাহায্য করে । Mordant Dye পানি ও আলাে থেকে কাপড়ের রং টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করে । যেহেতু বিভিন্ন প্রকার Mordant এর উপস্থিতি কাপড়ের রং এর পরিবর্তন ঘটায় তাই ডাইং প্রক্রিয়ার আগের উপযুক্ত নির্দিষ্ট Dye এর সাথে উপযুক্ত Mordant নির্বাচন করা অতিশয় গুরত্বপূর্ন ।

#ডাইং কেমিক্যাল কী ও তার কাজ কী?

যে সকল রাসায়নিক পদার্থ ডাইং এর সময় ব্যবহার করা হয় এবং ফেব্রিক কে সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলে তাকে ডাইং কেমিক্যাল বলে।

এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডাইং কেমিক্যাল এর নাম এবং তাদের কাজ আলোচনা করা হলোঃ

🌕 পার-অক্সাইড:

👉 কাপড় বা ফেব্রিক এর মধ্যে থাকা ন্যাচারাল গ্রে কালার রিমুভ করে হোয়াইটনেস প্রদান করে।
👉 ফাইবারের পলিমারের কনজুগেট ডাবল বন্ডকে ভেঙ্গে সিঙ্গেল বন্ড তৈরি করে ক্রোমোফোরকে ধ্বংস করে।

🌕 পার অক্সাইড স্টেবিলাইজার :

👉 পার অক্সাইড এর বিক্রিয়া কে শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হয়।
👉 অক্সিডেশন বিক্রিয়ায় বাধা প্রদান করে অ্যালডিহাইড ও এসিড তৈরি হতে দেয় না।

কয়েকটি পারঅক্সাইড স্ট্যাবিলাইজারের নাম: Lavatex, Prestozen PL, Stabilol PL, Tinoclarito G-100, Stabilizer PSLT, kappazon H53, STAB, Tinoclarite CBB.

🌕 সোডা :

👉 রং বা ডাইস যাতে ফেব্রিকের গায়ে ভালোমতো ফিক্সড হয় সেজন্য ফিক্সিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

🌕 ডিটারজেন্ট:

👉 ফাইবারের গায়ে লেগে থাকা তেল, মোম, গ্রিজ ইত্যাদি দূর করার জন্য ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়।

🌕 ওয়েটিং এজেন্ট:

👉 ফেব্রিকের সারফেস টেনশন দূর করে।
👉 ফেব্রিকের ওয়েট কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

কয়েকটি ওয়েটিং এজেন্ট এর নাম:Mercerol QWLF, Leophen MC

🌕 এন্টিক্রিজিং এজেন্ট:

👉 এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল ফেব্রিক টু মেশিন , ফেব্রিক টু ফেব্রিক ফ্রিকশন দূর করে। যার ফলে ফেব্রিকে ক্রিজ বা ভাজ পড়ে না।

কয়েকটি এন্টিক্রিজিং এজেন্টের এর নাম: Ciba fluid P, Ciba fluid C, Primasol Winch.

🌕 সিকুস্টারিং বা ক্যালেটিং এজেন্ট:

👉 পানির হার্ডনেশ দূর করে,
👉 পানিকে সফট করে।
👉 পানির মধ্যে থাকা মেটাল আয়ন রিমুভ করে

কয়েকটি সিকুস্টারিং বা ক্যালেটিং এজেন্ট এজেন্টের নাম: Ladiqueast 1097, Dekol SM, Sirrix AKLiq, Resotext 600S, Heptol-EMG, Heptol-DBL.

🌕 এন্টিফোমিং এজেন্ট:
ডাই বাথে ফোম তৈরি হতে বাধা প্রদান করে।
কয়েকটি এন্টিফোমিং এজেন্ট এর নাম :Jintex TPA, AV-NO, VO, Cibaflow-JET.

🌕 সোপিং এজেন্ট বা রিডাকশন এজেন্ট:
 ফেব্রিকের গায়ে লেগে থাকা অতিরিক্ত রং দূর করার জন্য সোপিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। কয়েকটি সোপিং এজেন্ট হল:Ciabpo RLiq, Sandopour RSK

🌕 হাইড্রোজ বা রিডিউসিং এজেন্ট :
স্ট্রিপিং এর সময় ফেব্রিকের গা থেকে রং তুলতে ব্যবহার করা হয়।

🌕 সফটনার: ফেব্রিকের লাসচার বা উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ফেব্রিক সফট করতে ব্যাবহার করা হয়। কয়েকটি সফটনার হলো: Cetasaft CS, Resomine Supper, Acelon, Resosoft –XCL, Silicon (For Finishing).

🌕 লেভেলিং এজেন্ট বা ডাই রিটেন্ডারিং এজেন্ট:
ডাইস কেমিক্যালগুলো ফেব্রিকের মধ্যে সমানভাবে যেন ডিস্ট্রিবিউশন হয় অর্থাৎ মসৃণ হয় তার জন্য ব্যবহার করা হয়। লেভেলিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়: Baso Winch PEL, Osimol ROL, Uniperol EL, Prote-Gel DP505, Levelex-P, Jinleve leve-RSPL, Serabid- MIP, Dyapol XLF, Lubovin-RG-BD.

🌕 এনজাইম :  ফেব্রিকের হেয়ারিনেস বা লোমশ ভাব দূর করতে ও সফট করতে ব্যবহার করা হয়।
কয়েকটি এনজাইম হলো:Tinozyme 44L, Rzyme 1000, Avozyme CL PLUS, Enzyme-B50.

🌕 লবন বা গ্লুবার সল্টঃ ইলেকট্রোলাইট অর্থাৎ সেলুলোজিক ফাইবারের সারফেসে নেগেটিভ চার্জ় নিউট্রাল করে যার ফলে রং ফাইবার সারফেসে এট্রাক্ট হয়।

🌕বাফারিং এজেন্ট:

☀ এসিটিক এসিড: এসিডিক মিডিয়াম সৃষ্টি করতে এসিটিক এসিড ব্যবহার হয় ৷ কারণ এনজাইম সাধারণত এসিডিক মিডায়ামে কাজ করে।

👉 ক্ষারকীয় অবস্থা দূর করে, pH নিয়ন্ত্রণ করে ফেব্রিককে নিউট্রাল করে।

☀ সোডিয়াম এসিটেট: পলিস্টার ডাইং এর সময় PH যেন স্থির অথবা কন্ট্রোল থাকে তার জন্য ব্যবহার করা হয়।

🌕 হাইড্রোজ রিমুভার : ডাইং এ ব্যবহৃত হাইড্রোজের কর্মক্ষমতা দুর্বল ও দূর করতে ব্যবহার করা হয়।

🌕 অয়েল রিমুভার: ফেব্রিকের গায়ে লেগে থাকা তৈলাক্ত ভাব দুর করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

🌕 ফিক্সিং এজেন্ট: কালার ফিক্স করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কয়েকটি ফিক্সিং এজেন্টের নাম:Sandofix EC, Tinofix-ECO, Protefix-DPE-568, Jinfix –SR, Optifix-EC.

🌕 O.B.A: অপটিক্যাল ব্রাইটেনার ফেব্রিকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। অপটিক্যাল ব্রাইটেনার গুলা হল:Uvitex BBT, Uvitex CIDN, Uvitex BHV,

🌕 এপ্রিটন: কাপড় কে হার্ড করতে ব্যবহার করা হয়। এটি ক্যালসিয়াম অক্সাইড জাতীয় কেমিক্যাল।

🌕 PVA গাম: পলি ভিইনাইল এলকোহল ফেব্রিক কে হার্ড করে।

🌕 এলজিনেট গাম : এটি ন্যাচারাল গাম, যা লিকার সলিউশন এর ভিসকোসিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

🌕 ডিস্পারসিং এজেন্ট: পলিস্টার ফেব্রিক লেভেলিং করার জন্য অর্থাৎ ডাইস গুলা যাতে সমানভাবে প্রবেশ করে সেজন্য ব্যবহার করা হয়।

🌕 লুব্রিকেন্ট: লুব্রিকেন্ট টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়াল এর ভেতরের স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি দূর করে।

🌕 প্রোটনিক ক্যামিকেল : ফেব্রিকের লাইন মার্ক দূর করে।

🌕 বায়ো-স্কাওরিং ক্যামিকেল : স্কাওরিং, ব্লিচিং, এনজাইম একসাথে ট্রিটমেন্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
স্কাওয়ারিং কেমিক্যালের নাম হল:Jintex-GD, Felosan RGN, Jintex-GSJintex-GS

★কাস্টিকঃ এটি সোফেনিকেশন রিয়েকশনের মাধ্যমে ফেব্রিকের নাচ্যারাল ইম্পিউরিটিস দূর করে।

★অক্সালিক এসিডঃ এটি আয়রন এর সাথে রিয়েকশন করে আয়রন দূর করে।