JustPaste.it

আমরা যাদের উত্তরসূরী

 

হাফেজ্জী হুযূর (রাহঃ)এর স্মরণীয় বাণী

সংকলনঃ হেদায়েত কবীর

==================================================

 

  • এক নিশ্বাস সময়ের দাম এই পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে বেশী।

 

  • মানুষের জন্য আল্লাহ পাকের শ্রেষ্ঠ নেআমত হলো সময়।

 

  • এই যিন্দেগীর প্রতিটি মুহূর্তের সদ্ব্যবহার করা উচিত।

 

  • নেক আমলের ভিতর দীর্ঘজীবন কাটাতে পারলে তার দাম অনেক বেশী।

 

  • আল্লাহ্ পাকের কাছে দ্বীন, দুনিয়া ও আখেরাতের সব রকম শান্তির জন্য দরখাস্ত করা উচিত।

 

  • নেক আমলের নিয়্যতে দীর্ঘ জীবন কামনা করা ভালো।

 

  • যে কোন কাজ করার সময় আল্লাহ পাকের ধ্যান ও খেয়াল দিলের মধ্যে রাখতে হবে।

 

  • যে ব্যক্তি যে কাজে নিয়োজিত তার সেই কাজ একান্ত মনোযোগের সাথে করা উচিত।

 

  • এই যুগে ফিত্না থেকে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন; কিন্তু একান্ত জরুরী।

 

  • নেক কাজের ইরাদা খুব বেশী বেশী করা উচিত।

 

  • প্রতিটি মুহূর্তের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, যেন কোন একটি মুহূর্ত বৃথা না যায়।

 

  • যাহেরান সকলের সাথে মিশতে হবে, কথা-বার্তা বলতে হবে, কাজ কর্ম করতে হবে, কিন্তু বাতেনান সব সময় আল্লাহ্ পাকের ইয়াদ দিলে-মুখে জারী রাখতে হবে।

 

  • কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করা শাহেন শাহী আমল।

 

  • দ্বীনের কাজ কেউ মিটিয়ে দিতে পারে না, যে মিটিয়ে দিতে চায় সেই বরং ধ্বংস হয়ে যায়।

 

  • যে ব্যক্তি দ্বীনের জন্য দুনিয়াকে কামাই করে সে দুনিয়াদার নয়, সে দ্বীনদার আল্লাহ ওয়ালা হতে পারে।

 

  • যে ইলম দ্বারা আল্লাহ্ পাকের ভয় ও আয্মত পয়দা হয় না, তা জাহিলিয়াতের শামিল।

 

  • দিলে সব সময় আল্লাহর যিকর জারী রাখতে হবে।

 

  • অজুর সাথে সব সময় থাকার জন্য গুরুত্বের সাথে চেষ্টা করতে হবে।

 

  • কাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কাজ করতে হবে। যেটা খুব বেশী জরুরী সেটা আগে করতে হবে। তারপর যেটা কম জরুরী সেটা করতে হবে।

 

  • হিম্মত করলে আল্লাহ্ পাকের মদদ হয়।

 

  • বৃদ্ধকাল আসার আগে জওয়ান বয়সে কাজ করা উচিত।

 

  • যেটুকু ইল্ম হাসিল হয় সেটুকু ইল্ম সঙ্গে সঙ্গে আমলে পরিণত করুন।

 

  • কিমাত বাড়বে আল্লাহ পাকে্র ফরমাবরদারী করলে, হুযূর (সঃ)-এর অনুকরণ করলে এবং নেক আমল করলে।

 

  • পরস্পরে দেশ, ভাষা ও গোত্র হিসেবে ঘৃণা বা হিংসা করা উচিত নয়।

 

  • আসাতিজায়ে কেরামে ও তোলাবাদের সব চেয়ে বড় ইবাদত হলো ইলম শিক্ষা দেয়া ও ইলম শিক্ষা করা।

 

  • অনর্থক কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

 

  • সব সময় নজর ‘বর কদম’ অর্থাৎ চলার সময় নিজের দিকে নযর রেখে চলতে হবে।

 

  • অপ্রয়োজনীয় কোন কিছুর দিকে অনর্থক চোখের দৃষ্টি দেয়া উচিত নয়।

 

  • এ দুনিয়া চাষাবাদের জায়গা। এতে যেমন আবাদ করা হবে তেমন ফসল পাবে।

 

  • যার যেমন আকল তাকে তেমনভাবে বুঝানো উচিত।

 

  • এ দুনিয়া থাকার জায়গা নয়; থাকার জায়গা বেহেশত।

 

  • ছাত্রদের কাজই হল লেখাপড়া করা।

 

  • প্রত্যহ একঘন্টা করে নির্জনে বসে শুধু ‘আল্লাহ-ই আল্লাহ’ এই খেয়ালে ‘আল্লাহ আল্লাহ’ যিকির করবে।

 

  • আসাতিযায়ে কিরাম ও তোলাবাদের ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাত আদায়ের পর কিতাব নিয়ে ব্যস্ত থাকাই আসল কাজ।

 

  • ভালোভাবে লেখা পড়া করাই ছাত্রদের বড় রাজনীতি।

 

  • মানুষের জীবনে সময় খুবই কম, কিন্তু কাজ অনেক বেশী; কাজেই সবসময় কাজে লিপ্ত থাকতে হবে।

 

  • উস্তাদের কথার দিকে একাগ্রচিত্তে খেয়াল করে পড়া শুনলে পড়ায় বরকত হয় এবং সহজে পড়া বুঝে আসে।

 

  • কান দ্বারা কোন বাজে কথা শুনও না।

 

  • কওমী মাদরাসাগুলো হলো দ্বীন রক্ষার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।

 

  • মুখ দিয়ে কোন অপ্রয়োজনীয় কথা বের করা অনুচিত।

 

  • দিলে সব সময় ভয় ও আশা দুটোই রাখতে হবে।

 

  • আল্লাহ পাক কাউকে কোন কাজের দায়িত্ব দিলে তাকে সেই কাজ পরিচালনার ক্ষমতা ও বুদ্ধিদান করেন।

 

  • সবচেয়ে বড় আদব হল আল্লাহ পাকের আহকাম মত চলা।

 

  • মজলুম হিসেবে অভিযোগ বা বিচার প্রার্থনা করা যায়, কিন্তু অন্য কোনরূপ নাশকতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা ঠিক নয়।

 

  • সবচেয়ে বড় শক্তিশালী অস্ত্র হলো দোয়া।

 

  • দ্বীনী কাজের খিদমতে সকলেরই শরীক হওয়া উচিত ও যে কোন গুনাহের কাজ এখতিয়ারী (ক্ষমতাধীন) কাজেই হিম্মত করে তা ছাড়তে হবে।

 

  • যারা ব্যক্তিগত জীবন ইসলামী বিধান মত চালায় না তাদের দ্বারা ইসলামী হুকুমত কায়েম হতে পারে না।

 

  • মানুষের সকল নেক আমল আল্লাহ পাকের দান।

 

  • ইসলামী শাসন কায়েমের জন্য সাধ্যানুসারে চেষ্টা চালানো আমাদের দ্বীনী দায়িত্ব।

 

  • জিহ্বা, চোখ এবং কানের হেফাযত করলে দিলে নূর পয়দা হয়।

 

  • স্বাস্থ্যের হেফাযত করা ওয়াজিব, কাজেই স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পরিমিত সময় ঘুমাবে এবং পরিমাণ মত খাবে।

 

  • যিকরের পরিমাণ এত বেশী করা ঠিক নয় যে ফিকর করার কোন সুযোগ না।

 

  • পড়াশোনা থেকে ফারেগ হওয়ার পর তা’আলুক মা’আল্লাহ না করে শিক্ষকতা করলে শিক্ষাদানে বরকত হয় না।

 

  • অপ্রয়োজনে জায়েয কথা বললেও দিল মরে যায়।

 

  • যারা কাজের লোক তারা কাজ সম্বন্ধে বেশী কথা বলেন না, শুধু কাজ করে যান।

 

  • এই শরীর আমাদের নিকট আল্লাহ পাকের বিরাট এক আমানত।

 

  • মনগড়া ভাবে কোন কাজ না করে সকল কাজ সুন্নাত মুতাবিক করা উচিত।

 

  • গীবত, শেকায়েত, গোস্বা, অহংকার, হিংসা, ইত্যাদি খারাপ অভ্যাস গুলো মুজাহাদার মাধ্যমে ত্যাগ করতে হবে।

 

  • প্রত্যহ কাজের পর হিসেব করতে হবে যে, ফরয, ওয়াজিব, ও সুন্নাত কোন আমল ছুটে গেছে কিনা? এবং হারাম ও মাকরূহ তাহরিমী কোন আমল হয়েছে কিনা? একয়টি আমল ঠিক থাকলে আশা করা যায় সে বেহেশতী।

 

  • ইহকালে আমাদের কাজে কোন ছুটি নেই।

 

  • দোয়ার পূর্বে তা কবুল হওয়ার জন্য দান খয়রাত করা ভালো লক্ষণ।

 

  • এ নালায়েকের দ্বারা যদি খেলাফত কায়েমের কাজ না হয় তবে আপনারা দোয়া করবেন, আল্লাহ পাক যাকে এই কাজের যোগ্য মনে করেন, তার দ্বারাই যেন এই কাজ সম্পন্ন করান।

 

  • হুকুমতের এসলাহের জন্য দোয়া করা উচিত।

 

  • তাওহীদে পরিপক্কতা অর্জন করা উচিত।

 

  • কোন একটি সময়, নিশ্বাস ও মুহূর্ত যেন যিকর ছাড়া না কাটে সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

  • সর্ব স্তরের সকল কাজে আল্লাহ তা'আলার আইন কানুন অনুসারে চলা ও চালানোর নাম খেলাফত কায়েম করা।

 

  • রাত্রি জাগরণ না করে কেউ বুযুর্গ হতে পারে না।

 

  • আমাদের উদ্দেশ্য গদি দখল করা নয়। আমাদের উদ্দেশ্য সারা দেশে সর্বস্তরে ইসলামী বিধান-ব্যবস্থা কায়েম করা।

 

  • দোয়া করে সংগে সংগে এই এক্বীন রাখতে হবে যে, দোয়া কবুল হয়েছে।

 

  • মানুষের জীবনটাই হলো আখেরাত তৈরীর জন্য কাজেই খুব পরিশ্রম করে আখেরাত তৈরি করতে হবে।

 

  • বস্তুত প্রতিটি স্তরের প্রতিটি কাজ খেলাফতের অন্তর্গত।

 

  • টাকা-পয়সা, বিদ্যা-বুদ্ধি প্রভাব প্রতিপত্তি, শারীরিক শক্তি অর্থাৎ সর্বরকমের সবকিছু দ্বারাই আখেরাত কামাই করতে হবে।

 

  • দুনিয়া খুব ক্ষণস্থায়ী, আখেরাতই আসল; কাজেই যার যা আছে তা দ্বারাই আখেরাত তৈরী করুন।

 

  • সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, জেনা ও চুরির মত অপকর্মের সুযোেগ বন্ধ করুন। এতে জাতীয় সত্ত্বার মৃত্যু ঘটে এবং ঐতিহ্য বিনষ্ট হয়।

 

  • পরস্পরে উপদেশ প্রদান করুণ। স্মরন রাখবেন, পরস্পরে উপদেশ প্রদান করা জাতি উত্থানের উত্তম মাধ্যম।

 

  • বিবি-বাচ্চা, চাকর-শ্রমিক তথা পরিবার ও সমাজের সকল অধীনস্থদের সম্পর্কে সজাগ থাকুন, এদের ভালো-মন্দের জন্যে আপনাকেই জবাবদিহি করতে হবে।

 

  • দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বা কমিয়ে মানুষকে কষ্টে ফেলবেন না। এ কাজ জঘন্নতম অপরাধ।

 

  • হিংসা, বিদ্বেষ, গীবত, মিথ্যা পাপাচার পরিত্যাগ করুন, পরস্পরে আন্তরিকতা, ঐক্য, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য গড়ে তুলুন।

 

  • দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে, ফাঁকি ও ধোঁকাবাজি মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে-এতে কোন কল্যাণ নিহিত অপচয়, অপব্যয় ও আত্মসাৎ রোধ করুন, এতে জাতির অকল্যাণ ছাড়া কল্যাণ নেই।

 

  • দ্বীনী মাদ্রাসা ও কুরআনী মকতব অধিক হতে অধিক সংখ্যায় কায়েম করতে সচেষ্ট থাকবেন।

 

  • কুরআন শরীফের সহী তালীমের ব্যবস্থা করে আগামী বংশধরদের দ্বীন ও ঈমানের হিফাজত করুন।

 

  • ইলমে দ্বীনের সাথে সম্পর্কহীন সরকার কোন ক্রমেই দ্বীন প্রচারের খিদমত আঞ্জাম দেয়ার যোগ্য হতে পারে না।

 

  • মযবুত বুনিয়াদের ওপর যখন ঈমানের মেহনত হবে তখন ঈমানের সুউচ্চ ইমরাতও মযবূত হবে।

 

  • মর্জির বিরুদ্ধে কোন পরিস্থিতি দেখা দিলে সবর করতে হবে।

 

  • পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতা ও দলাদলি বর্জন করতে হবে।

 

  • অটল-অবিচল থাকা দ্বীনী আন্দোলন ও ইসলামী জিহাদের রূহানী অস্ত্র।

 

  • নাচ, গান, বেহায়াপনা পরিহার করুন, এসব সমাজ ধ্বংসের মহা অস্ত্র।

 

  • সকলের স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালার হুকুম জীবনের সর্বক্ষেত্রে পালন করতে হবে, মনগড়া রীতিনীতি পরিহার করতে হবে।

 

  • দেশ গড়ার মনোভাব তৈরী করুন, জাতীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার করুন। এতে সকল নাগরিকের হক বা অধিকার রয়েছে।

 

  • আমার ও আপনার সকলের সৃষ্টিগত দায়িত্ব আল্লাহর খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

 

  • যিনি আমীর ও মুরুব্বী মনোনীত হবেন, তার পূর্ণ আনুগত্য করা জরুরী। এ মূলনীতির ওপর আমল হলে ইনশাল্লাহ্ কামীয়াবী খুবই নিকটবর্তী।

 

*****