আমরা যাদের উত্তরসূরী
বৃটিশ খেদাও ও রাজী আন্দোলনের সাহসী নকীব
মাওলানা উবায়দুল্লাহ সিন্ধী রহঃজীবন ও কর্ম
আসাদ মাহমুদ
===============================================================
উপমহাদেশের আযাদী আন্দোলনের রক্ত মাখা পথে মাওঃ উবায়দুল্লাহ, সিন্ধী এক সাহসী নকীব, বীর, বিপ্লবী কণ্ঠস্বর । তিনি ১৮৭২ খৃঃ ১০ই মার্চ শিয়ালকোট জেলার চিয়ানওয়ালীতে এক শিখ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা রামসিং তার জন্মের পূর্বেই মারা যান। মামার তত্ত্বাবধানে তিনি বাল্যশিক্ষা অর্জন করেন। শিখদের সাথে মুসলমানদের অবাধ মেলামেশার সুবাদে বালক উবায়দুল্লাহ ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি খুব নিকট থেকে অনুধাবন ও বিশ্লেষনের সুযােগ পান। এ ছাড়া তাকভিয়াতুল ঈমান ও ‘তুহফাতুল হিন্দ' নামক গ্রন্থ দুটি অধ্যয়ন করাতে ইসলামের মাহাত্ম্য ও সত্যতার রােশনী তার হৃদয়ে ঝলকে উঠে । অতঃপর ১৮৮৭ খৃঃ দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে বিখ্যাত বুযুর্গ হাফিজ মুহাম্মদ সিদ্দীকের হাতে ইসলাম গ্রহণ করে উবায়দুল্লাহ নাম ধারণ করেন এবং নিজ এলাকাতেই কয়েক বছর দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করেন। দেওবন্দ মাদ্রাসায় এসে শায়খুল হিন্দের নিকট হাদীস শাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলম অর্জন করেন। শায়খুল হিন্দ ও মাওঃ সিন্ধীর সৃজনশীল প্রতিভা ও বিপ্লবী মনের পরিচয় পেয়ে তাকে দক্ষ হাতে গড়ে তুলেন। শায়খুল হিন্দের মাধ্যমে শাহ ওলিউল্লাহর বৈপ্লবিক ও রাজনৈতিক, দর্শনের আলাে মাওঃ সিন্ধীর মাঝে প্রতিফলিত হয়, যা তার হৃদয় মাঝে জাগায় জিহাদ ও সংগ্রামর রক্তভেজা রাজপথে দুঃসাহসী অভিযাত্রার অদম্য চেতনা। উপমহাদেশের মজলুম মুসলমানের দুর্দশা ও পরাধীনতা তাঁকে করে ব্যাকুল চিত্ত।
কর্মজীবনঃ ১৮৯৩ খৃঃ মাওঃ সিন্ধী আপাততঃ শিক্ষা সমাপ্ত করে সিন্ধুতে ফিরে আসেন এবং সেখানে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করে ৬/৭ বছর শিক্ষাদানে নিয়ােজিত থাকেন। মাওঃ সিন্ধী উপমহাদেশে একটি সফল ইনকিলাবের স্বপ্ন নিয়ে কর্মজীবনের সূচনা করেন, কিন্তু একথাও তিনি গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, সাংস্কৃতিক দৃঢ়তা ও আদর্শিক স্বকীয়তা ছাড়া কোন বিপ্লব সফলতার সােপানে উন্নীত হতে পারে না, আর হলেও তা স্থায়িত্ব লাভ করে না। তাই তিনি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবােধ উন্নয়নের প্রতি মনােযােগী হলেন। নিজ এলাকা সিন্ধুতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সিন্ধুর আমরুট শহরে একটি প্রকাশনা সংস্থা স্থাপন করেন এবং দেশবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে “হিদায়াতুল ইখওয়ান” নামক একটি মাসিক পত্রিকা সহ গ্রন্থাদি প্রকাশ করতে থাকেন। যা মাওঃ সিন্ধীর সমাজ ও সাংস্কৃতিক, সচেতনার পরিচায়ক।
জমিয়াতুল আনসারে যােগদানঃ ১৯০৯ সনে শায়খুল হিন্দ দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে জমিয়াতুল আনসার গঠন করেন এবং মাওঃ সিন্ধীকে ডেকে এনে উক্ত সংগঠন পরিচালনার গুরু দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত করেন। মাওঃ সিন্ধীও অত্যন্ত নিষ্ঠা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দীর্ঘ চার বছর তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে আঞ্জাম দেন।
দিল্লীগমনঃ মাওঃ সিন্ধী ১৯১৩ খৃঃ দিল্লী গমন করেন, মুসলিম সমাজকে কুরআনী নীতি ও আদর্শ অনুসারে গড়ে তােলা ও তাদের হৃদয়ে জিহাদী জবা সৃষ্টির লক্ষ্যে সেখানেও “নাজরাতুল মাআরিফ” নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু কুরআনের আলােকেই ইসলামী জীবনাদর্শকে বুঝতে হবে, তাই আপামর দেশবাসীর কাছে কুরআনের শিক্ষা সহজ-সরলভাবে উপস্থাপনের জন্য তিনি প্রকাশ করেন “কলীদে কুরআন ও “তালীমে কুরআন” নামক দু'খানা মূল্যবান গ্রন্থ। কুরআনী শিক্ষার পাশাপাশি গ্রন্থ দু'টির ছত্রে ছত্রে বিধৃত হয়েছিল বৃটিশ খেদাও ও আযাদী আন্দোলনে রক্ত দেয়ার উদাত্ত আহ্বান। যা পাঞ্জাব, সিন্ধু ও সীমান্ত প্রদেশের গণমানুষের মনে ছড়িয়ে দেয় ইংরেজ বিরােধী অনির্বান দাবানল। বৃটিশ সরকার বই দু'খানি বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছড়িয়ে যাওয়া দাবাগ্নি এতটুকুও স্তিমিত হয় নি।
আযাদীর আন্দোলনঃ শায়খুল হিন্দের নিপুন শিক্ষা ও দিক্ষা মাওলানা সিন্ধীর মনে জিহাদ ও বিপ্লবের ঝংকার তুলেছিল। তাই বিপ্লবের পথে শায়খুল হিন্দের নির্দেশ ও সিদ্ধান্তকে তিনি চলার পথের নিশানা বানিয়েছিলেন।
কাবুল গমনঃ শায়খুল হিন্দ ইংরেজ খেদাও আন্দোলনকে সফল করার জন্য অভ্যন্তরীণ গােলােযােগ সৃষ্টি ও বহিরাক্রমণ সহ ব্যাপক সামরিক কর্মসূচী গ্রহণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক পরিকল্পনার দায়িত্ব মাওঃ সিন্ধীর উপর অর্পন কল্পে ১৯১৪-১৯১৮ সালে বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে শায়খুল হিন্দ মাওঃ সিন্ধীকে পূর্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আফগান যাওয়ার নির্দেশ দেন, কিন্তু মাওঃ সিন্ধীকে কোন বিস্তারিত কর্মসূচী জানানাে হয়নি। তা সত্ত্বেও মাওঃ সিন্ধী বহু সমস্যা ও কষ্ট উপেক্ষা করে ১৯১৫-১৫ই আগস্ট আফগানিস্তান পৌছেন।
আফগান প্রেসিডেন্ট হাবীবুল্লাহ খান বৃটিশের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। তা সত্ত্বেও মাওঃ উবায়দুল্লাহ আফগান সরকারকে বৃটিশ দখলদারী বাহিনীর নিপীড়ন, নির্যাতন ও জালিয়াতীর সংবাদ অবগত করেন। বৃটিশ খেদাও আন্দোলনে সামরিক সহযােগিতা করার জন্য তাদের সাথে আলােচনা করেন। তদসঙ্গে হাবীবুল্লাহ খানের নিকট এ বিষয়ে একটি আবেদন পত্রও পেশ করেন। তিনি কাবুলে অবস্থান কালে আফগান সরকারের নিকট ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক সাহায্যের আবেদন নিয়ে জার্মান হতে এক প্রতিনিধি দল আসে, এদের সম্পর্ক ছিল ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে। মাওঃ সিন্ধী এদের সাথেও আলােচনা করেন। এ সময়ে তুর্কী সেনাবাহিনীর সহযোগী হয়ে হায়নামনা বৃটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে সীমান্ত প্রদেশ ও পাঞ্জাবের স্কুল ছাত্রদের একটি দলও কাবুল পৌছে। সেখানে মাওঃ সিন্ধীর সাথে তাদের সাক্ষাত হয়। তিনি এসব ছাত্রদেরকে তুরস্ক না যেয়ে আফগানিস্তানে থেকেই আযাদী আন্দোলনে শরীক হওয়ার পরামর্শ দেন। তারা মাওলানার পরামর্শ মেনে নিয়ে তার সহযােগীতা করতে থাকে। এ সময় মহেন্দ্র প্রতাপকে প্রেসিডেন্ট ও মাওঃ সিন্ধীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ দিয়ে একটি অস্থায়ী সরকারও গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, আযাদী আন্দোলনকে আরাে জোরদার করে তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। এ অস্থায়ী সরকারের দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন দেশ হতে আযাদী সংগ্রামের প্রতি স্বীকৃতি ও সমর্থন লাভের প্রচেষ্টা চালানাে। কিন্তু আখের তক এ পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়।
রেশমী রুমাল প্রসঙ্গঃ মাওঃ সিন্ধী কাবুল আসার পর সেখান থেকে তার কার্যক্রম ও বিরাজমান পরিস্থিতি সম্পর্কে শায়খুল হিন্দ ও তার সহকর্মীদের অবগত করিয়ে ভবিষ্যৎ নতুন কর্মসূচী গ্রহণ করে আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে তিনটি পত্র লিখেন, যেগুলাে শায়খুল হিন্দ, মাওঃ আঃ রহীম ও মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানীর নিকট হলদে বর্ণের তিনখানা রেশমী কাপড়ে বুনিত অক্ষলে লিখে পাঠান। যাতে বৃটিশ গােয়েন্দা চক্রের নযর এড়ানাে যায় । মাওঃ সিন্ধী এ পত্রগুলাে মাওঃ আব্দুর রহীমের নিকট পৌছে দেয়ার জন্য আঃ হক নামক এক ব্যক্তিকে জিম্মাদারী দেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে পত্রগুলাে বৃটিশ বাহিনীর হাতে পড়ে। পরিস্থিতি এবার ভয়াবহ হয়ে উঠল, গ্রেফতার করা হল শায়খুল হিন্দ ও মাওঃ মাদানীকে। অপরদিকে হাবীবুল্লাহ খানও বৃটিশের চাপের মুখে বন্দী করে মাওঃ সিন্ধী ও তার সঙ্গীদেরকে। কিছুদিন পর আমীর হাবীবুল্লাহ খানের পতনের পর তিনি মুক্তি পান এবং ১৯২৩ সন পর্যন্ত কাবুলে অবস্থান করে আন্দোলনের দায়িত্ব আঞ্জাম দেন। এরপর কাবুল সরকারের বিরূপ মনােভাব লক্ষ্য করে মাওঃ সিন্ধী রাশিয়া চলে যান।
যেহেতু তিনি কংগ্রেসের প্রতিনিধি রূপে রশিয়ায় গিয়েছিলেন, তাই সােভিয়েত সরকার তাকে রাষ্ট্রীয় মেহমান রূপে গ্রহণ করে এবং সােশ্যালিজম সম্পর্কে অধ্যয়ন করার জন্য যাবতীয় পুস্তকাদীর ব্যবস্থা করে দেয়। ইসলাম ও সােশ্যালিজমের মাঝে আনুপাতিক অধ্যয়ন ও গবেষণা মাওঃ সিন্ধীর মনে ইসলামের সত্যতা ও শ্রেষ্ঠত্বকে করে তুলে আরাে উজ্জ্বলতর। এক বছর পর তিনি রাশিয়া হতে তুরস্ক চলে যান। মুস্তফা কামাল পাশা তখন তুরস্কের রাষ্ট্র প্রধান। তিনি শরয়ী কানুন রহিত করে সেখানে জারী করেন স্বীয় মতানুযায়ী নব্য-নতুন পাশ্চাত্য ঘেঁষা নীতিমালা । মাওঃ সিন্ধী তিন বছর সেখানে থেকে এ - পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেন, এখানেও তিনি অতীত ইসলামী রেনেসাঁর উপর গভীর অধ্যয়নে সময় ব্যয় করেন এবং ইউরােপবাসীদেরকে ইসলামী জীবনাদর্শ সম্পর্কে অবগত করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।
হিজায গমনঃ ১৯২৭ সনের শুরুতে মাওলানার কাছে সংবাদ পৌছে যে, ১৯২৮ খৃঃ হজ্জের সময় মক্কা শরীফে খেলাফত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। এ সংবাদ পেয়ে মাওঃ সিন্ধী হিজাযের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথে ইটালী ও সুইজারল্যাণ্ড ভ্রমণের সুযােগ হয়। কিন্তু বহু বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও তিনি কনফারেন্সের নির্ধারিত সময় পৌছতে ব্যর্থ হন।
তখন হিজাযে ইবনে সউদের শাসনামল। মাওঃ সিন্ধী সেখানে ভারতীয় কংগ্রেস সদস্য রূপে নিজের পরিচয় দেন। রাজনৈতিক তৎপরতা হতে বিরত থাকার শর্তে সউদী সরকার তাঁকে হিজাযে থাকার অনুমতি দেয়।হিজাযের এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি গবেষণামূলক কাজকর্মে মশগুল থাকেন। এ সুযােগে তিনি তেরশত বছরের ইসলামী ইতিহাস পর্যালােচনা করেন গভীরভাবে এবং শাহ ওয়ালাউল্লাহ রচিত গ্রন্থাবলী ও নতুনভাবে গভীর মনােনিবেসের সাথে পাঠ করেন এ সময়ে। স্বীয় অধ্যয়নের পাশাপাশি আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয় ভিত্তিক শিক্ষাদান ও তারবীয়াতী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হিজাযে তিনি বার বছর অবস্থান করেন। এ পুরাে সময়টিতে তার সাথে সাক্ষাৎকারীরা তাকে শুধু বই পত্রে ডুবে থাকতে দেখেছে।
স্বদেশ ভূমিতেঃ মাওলানা ২৩ বছরের দীর্ঘ প্রবাস জীবন অধ্যয়ন ও ভ্রমনের নির্যাস অভিজ্ঞাত ও ফলাফল আপন, দেশবাসীকে জানাতে ব্যাকুল হয়ে উঠেন। কিন্তু ভারত সরকার তার উপর বহু বিধিনিষেধ আরােপ করে দেয়। তথাপি তিনি সব কিছু সহাস্য বদনে মেনে নিয়ে হজ্জব্রত পালন করে ১৯৩৯ সনে স্বদেশের মাটিতে পদার্পন করেন। সব বাধা উপেক্ষা করে তিনি তার মতামত প্রচার শুরু করেন। ২৩ বছরে তার দিলে সঞ্চিত কথারা যেন গর্জে উঠল, যদিও সেগুলাে ছিল তিক্ত বাস্তবতা, তাই অনেকের নিকট তা মনপুতঃ হয়নি। কিন্তু মাওলানা স্বজাতির দুর্দশা দেখে চুপ থাকতে পারেন নি, সব অবসাদ ও বিলাসিতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তাঁর কণ্ঠঃ “তােমরা এ যে খেলনার ঘর তৈরী করেছ এবং একেই মনে করছ বিশাল আসমান, কিন্তু কালের প্রবহে তা টিকবে না। তােমাদের সভ্যতা, রাজনীতি সব কিছুর মধ্যে ঘুন ধরেছে। তােমরা নিজের গােড়ামীকে বলছ মাযহাব। মুসলমান হতে চাও তাে আগে ইসলাম কি তা বােঝ। জাগাে! ইনকেলাব আন।অন্যথায় হারিয়ে যাবে তােমরা কালের গর্ভে!” এসব শুনে অনেকেই তাকে বিদ্রুপ করেছিল, কিন্তু এ কণ্ঠকে নিরব করতে পারেনি তারা।
মাওলানা ছিলেন একজন নীতিনিষ্ঠ ব্যক্তি। বিবেককে বিসর্জন দেননি কখনাে, তার মাঝে ছিল না কোন ভুনিতা, কপটতা- কোন প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। তিনি ছিলেন শাহওলিউল্লাহর একজন সফল উত্তরসূরী । তাই জাতিকে সঠিক ইসলামী মূল্যবােধ ও ওয়ালিউল্লাহী চিন্তাধারার আলােকে গড়ে তুলতে ব্যয়িত হয়েছিল তার সারাটি জীবন, আর তিনি ছিলেন সুন্নাতে নববীর অত্যন্ত পাবন্দ । শত ব্যবস্থার মাঝেও তিনি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সময় দিতেন। এ সময়ে তিনি বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। যার মধ্যে “শাহ ওলিউল্লাহ ও তার রাজনৈতিক চিন্তাধারা”, “কুরআনী দস্তুরে ইনকিলাব” ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।
১৯৪৪ সনের ২০শে আগস্ট মুসলিম - উম্মাহর এ বিদগ্ধ রাহনুমা পরপারের পথে যাত্রা করেন। ইন্না লিল্লাহি--- রাজেউন।
*****