JustPaste.it

দেশে দেশে ইসলাম:


ওমানের মুসলমানরা আবার জাগবে কি?
নাসীম আরাফাত


       সালতানাত অফ ওমান। দূর্লভ মুক্তা, অপরিমিত তরল স্বর্ণ, অঢেল মৎস সম্ভার, উৎকৃষ্ট খেজুর আর সুস্বাদু ডালিমের দেশ ওমান। বড় সুন্দর এদেশের নৈসর্গিক দৃশ্য। উচ্ছল আরব সাগর সৈকতে অবস্থিত এই দেশটির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চলে গেছে পাহাড় পর্বতের সারি। দশ হাজার ফুট উঁচু আল জাবালুল আখজার যেন এক অতন্ত্র প্রহরী । দূর বহু দূর থেকে দেখা যায় তার মনোরম দেহ বল্লবী।পাহাড় পর্বতের পাদদেশে আর সুবিস্তৃত ঢালু অঞ্চলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গড়ে উঠছে নানা ফলফলাদি আর শস্য খামার । দূরদৃষ্টি পর্যন্ত চলে গেছে আঙ্গুর, বেদানা, বাদাম, আখরোট, তরজুম,খুবানী, শাহদানা, ডালিম, পেস্তা আর আমের সুদৃশ্য বাগান আর বাগান। বড় মনোরম সে প্রাকৃতিক দৃশ্য! বড় আকর্ষনীয় সে নৈসর্গিক চিত্র! 
    উত্থান পতনের শাশ্বত ধারায় এদেশও শাসন করেছে দূর দূরান্তের বহু শাসক, বহুজাতি। কিন্তু স্বাধীনতা প্রিয় ওমান বাসীদের করতলে রাখতে পারে নি। পারে নি তাদের দাবিয়ে রাখতে। জেগে উঠেছে আবার তারা দুর্দম শক্তি নিয়ে। ইতিহাসের পাতায় তাদের সুকর্ম আর দুষ্কর্ম বিধৃত রয়েছে। রয়ে গেছে তাদের হাতে গড়া সুউচ্চ সুদৃশ্য প্রাসাদ আর অট্টালিকাগুলো। রাজধানী মসকটের বুকে মিলন ঘটেছে বহু সভ্যতা আর সংস্কৃতির। কারণ, প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মসকট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র। ইতিহাসের ধারায় এ শহরে ভারতীয়, আফ্রিকান, ইরানী, পর্তুগীজ সহ অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একের পর এক। রয়ে গেছে শুধু তাদের স্মৃতি। তাদের বিনির্মাণ পদ্ধতিতে গড়া দালানকোঠা আর প্রাসাদ অট্টালিকা। যা এখনো প্রাচীন নগর সভ্যতার নিদর্শন ও স্বাক্ষর হিসাবে রাজধানী মসকটে বিদ্যমান।
প্রাক ইসলামী যুগে ওমান
     বিখ্যাত ঐতিহাসিক CI. Huart স্বীয় রচিত গ্রন্থ Histairc des arabes এ লিখেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে দু'তিন পুরুষ পূর্বে বা'নু মুসতাকবীর বংশ ওমানে এক বিরাট সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে এবং ইরানের সাসানী বংশের পৃষ্ঠপোষকতায় তা পরিচালনা করতে থাকে। এ বংশের সম্রাট আল জলান্দা ইবনুল মুসতাকবীর অত্যন্ত সাহিত্য প্রিয় ছিলেন। আরবী সাহিত্যে তিনি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ছিলেন। ইনতেকালের পর তার দুই পুত্র জাফর ও আবাদ যৌথভাবে সিংহাসনে আরোহন করেন।
      এদিকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের পত্তন করার পর যখন বিশ্বের অন্যান্য শাসক ও সম্রাটদের নিকট চিঠি লিখে তাদের ইসলাম গ্রহণের উদাত্ত আহবান জানান ও বিশ্বের দিকে দিকে ইসলামের সার্বজনীন দাওয়াত পৌঁছে দেন তখন তিনি ইসলামের দাওয়াত দিয়ে তাদের নিকটও পত্র লিখে পাঠান। ফলে তারা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমর ইবনুল আস (রাঃ)-কে তাদের দরবারে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবে প্রেরণ করেন।
      শাসক দুই ভাইয়ের ইসলাম গ্রহণ ও আমর ইবনুল আস (রাঃ)-এর দাওয়াতী তৎপরতায় ওমানে দারুন আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওমান বাসীরা তাদের অজ্ঞতা, মুর্খতা, গোপনঁড়ামী আর মূর্তি পূজা ত্যাগ করে দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেন। ফলে ওমানে প্রবাহিত হয় শান্তির সুমধুর সমীরণ।প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামের শাসন। ইসলামী আইন ও সমাজ ব্যবস্থায় মানুষ নিরাপদে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে থাকে।
      রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহ হযরত উসমান (রাঃ) পর্যন্ত মদীনাই ছিলো ইসলামী হুকুমাতের রাজধানী। এখান থেকেই মুসলমানরা অর্ধ দুনিয়া শাসন করতো। কিন্তু হযরত আলী (রাঃ) ইসলামী হুকুমাতের সুষ্ঠু শাসন পরিচালনার লক্ষ্যে কুফায় রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। হযরত আলীর (রাঃ) "শাহাদাতের পর হযরত হাসান (রাঃ) খলীফা হন এবং মাত্র ৬ মাস শাসন কার্য পরিচালনার পর ইসলামী বিশ্বের ঐক্য, শান্তি, সম্প্রীতি  ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে খিলাফতের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন এবং হযরত মু'আবিয়া (রাঃ) ইসলামী সালতানাতের একচ্ছত্র খলীফা হন।
       বনু উমাইয়াদের শাসনামলে দামেস্ক ছিলো ইসলামী সালতানাতের রাজধানী। বনু উমাইয়াদের পর বনু আব্বাসীয়দের যুগে বাগদাদে ইসলামী সালতানাতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। 
      ১৩শ শতাব্দির কথা। অপরিমিত ধন-সম্পদ আর সুখ ভোগ মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় চেতনা, ঈমানী স্পৃহা সুপ্ত প্রায় হয়ে পড়ে। এই সুযোগে মোংগলীয়রা অসম শক্তি নিয়ে মুসলিম বিশ্বের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে গোপনটা ইসলামী বিশ্ব। নগরীর পর নগরীকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে বিজিত নগরীর মুসলমানদের ছিন্ন মস্তক একত্রিত করে পাশবিক উল্লাসে নির্মাণ করতো বিজয় স্মৃতি সৌধ। তারপর ঝাপিয়ে পড়তো আরেকটি অক্ষত নগরীতে। এভাবে ধ্বংসলীলা চালাতে চালাতে তারা স্বপ্নের শহর বাগদাদে আক্রমণ করে তা ধূলিস্যাৎ করে দেয়।
      এরপর থেকে মুসলমানদের একক কেন্দ্রীয় শক্তি শূন্য হয়ে পড়ে। খণ্ড খণ্ড মুসলিম রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। ধীরে ধীরে অমুসলিম শক্তিগুলোও হয়ে পড়ে শক্তিশালী।
ইউরোপের উত্থান ও শিল্প বিপ্লব
      ইউরোপিয়ান অনুসন্ধিৎসু মেধা গুলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের সন্ধানে স্পেন ও বাগদাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছুটে আসে এবং জ্ঞানের আলোক বর্তিকা নিয়ে ফিরে যায় ইউরোপে। মুসলমানদের এই উন্নতি ও অগ্রগতির যুগে ইউরোপ ছিলো অন্ধকারাচ্ছন্ন, অজ্ঞতা আর মুর্খতার অতলে। কিন্তু মুসলমানরা ছিলো উদাসীন,গাফেল ও অন্যমনস্ক। ক্ষমতার রদবদল আর টানাটানি তাদের আপন অস্তিত্বের কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল। অনুভূতি হারিয়ে তারা নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল।
      ইউরোপিয়ান এই শিক্ষিত ও বিদ্যান লোকগুলো ইউরোপে ফিরে গোপনটা ইউরোপকে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের পথে নিয়ে আসে। জেগে উঠে অন্ধকারাচ্ছন্ন ইউরোপ।বিজ্ঞানের পথ ধরে তারা দ্রুত উন্নতি-অগ্রগতির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ফলে শিল্প বিপ্লব ঘটে। প্রতিষ্ঠিত হয় বহু কল-কারখানা আর ফ্যাক্টরী। এবার বাণিজ্যের পথ ধরে ইউরোপিয়ানরা পৌঁছে যায় ইসলামী দুনিয়ার বন্দরে বন্দরে। ব্যবসায়ীর ছদ্মাবরণে তারা ক্ষমতা হস্তগত করার সুখ-স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার কার্যকরী পদক্ষেপও নিতে থাকে।
      আরব সাগর-সৈকতে অবস্থিত ওমান ছিলো বাণিজ্য উপযোগী এক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এখান থেকে এশিয়া আফ্রিকার দূরবর্তী দেশ গুলোর সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করার অপূর্ব সুযোগই ইউরোপিয়ান ব্যবসায়ীদের ওমান উপকূলে নিয়ে আসে। 
      ১৫০৭ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত তারা এ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে দখল করে রাখে। ইতিমধ্যে পর্তুগীজদের ক্ষমতা অপ্রতিরোধ্য রূপ ধারণ করলে তারা মসকট দখল করে নেয়। পূর্ব আফ্রিকায় ওমান শাসিত সকল অঞ্চলও তারা হস্তগত করে। 
     সাময়িক ভাবে ওমানবাসী এ পরাজয় মেনে নিলেও স্থায়ীভাবে তা মেনে নিতে পারে নি। স্বাধীনতা প্রিয় বীর মুজাহিদ নাসির ইবনে মুরসিদ পর্তুগীজদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। চেতনা ফিরে আসে অসচেতন ওমান বাসীদের মাঝেও। কিন্তু নাসির ইবনে মুরসিদ তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পূর্বেই ইহলোক ত্যাগ করেন। তবে রেখে যান এক সুযোগ্য উত্তরপুরুষ। সুলতান ইবনে সাইফ। তিনি সকল আক্রমণের মাধ্যমে ১৬৫০ সালে পূর্তগীজদের থেকে মসকট ছিনিয়ে নেন এবং ১৬৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকার ওমান শাসিত অঞ্চলগুলোও পর্তুগীজদের থেকে মুক্ত করেন। 
      ১৭৪১ খৃস্টাব্দে আহমদ ইবনে সাইফ শাসন ক্ষমতা অর্জন করেন। তার পরবর্তী বংশধরেরা সাইয়্যেদ উপাধী লাভ করে। সাঈদ ইবনে মুলতান ছিলেন ওমানের এক দূরদর্শী সচেতন শাসক। তার আমলে ওমান সাম্রাজ্যের সীমানা বিস্তৃতি পায় এবং ওমান উন্নতি লাভ করে। তিনি ওমানের রাজধানী পরিবর্তন করে হাজার হাজার মাইল দূরে পূর্ব আফ্রিকার যানযাজরে নিয়ে যান।
ওমানে ইংরেজদের অনুপ্রবেশ
      ১৭৯৮ খৃস্টাব্দে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী এবংওমানের সুলতানের মাঝে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে ওমানের সাথে ইংল্যাণ্ডের কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
     ১৮০০ খৃষ্টাব্দে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী একজন প্রতিনিধিকে স্বাধীনভাবে মসকটে অবস্থানের অনুমতি প্রদান করা হয়। এ দিকে সাঈদ ইবনে সুলতান ১৮০২ এবং ১৮০৮ সালে ফ্রান্সের সাথে যে চুক্তি করেন, সে হিসাবে একজন ফরাসী প্রতিনিধিও মসকটে অবস্থানের অনুমতি লাভ করেন। কিন্তু ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে ইংরেজরা মরীশাস দখল করে নিলে ফরাসীদের প্রভাব ক্ষুন্ন হয়। ১৮৩৯ খৃস্টাব্দে ইংল্যাণ্ড ও ওমানের মাঝে এক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৮৪৪ খৃস্টাব্দে ফ্রান্সের সাথেও একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়। ফলে অন্যান্যদের তুলনায় ফ্রান্স বিশেষ সুযোগ সুবিধার অধিকারী হয় এবং ওমানের সাধারণ মানুষও মাসকাটে ব্যবসা বাণিজ্য করার স্বাধীনতা লাভ করে। ১৮৬২ খৃস্টাব্দে বৃটিশ ও ফরাসীগণ যৌথ ভাবে ওমানকে স্বাধীনতা দানের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ইংল্যাণ্ড বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে সুলতানকে বিশেষভাবে সহযোগিতা ও আর্থিক সাহায্য দানের মাধ্যমে ওমানে বিশেষ প্রভাব প্রতিষ্ঠায় সফল হয়। ১৮৯১ খৃস্টাব্দে সুলতান একটি মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন করে এবং ঘোষণা করে যে, তিনি এবং তার উত্তরাধিকারী ইংল্যাণ্ড ছাড়া অন্য কোন রাষ্ট্রকে তাদের ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দিবে না। কিন্তু ১৮৯৮ খৃস্টাব্দে সুলতান উক্ত চুক্তি ভঙ্গ করে ফ্রান্সকে স্বীয় ভূখণ্ডে কয়লার গুদাম নির্মাণের অনুমতি প্রদান করলে ইংল্যাণ্ড ভীতি প্রদর্শন করে। ফলে এই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়। এবং ফ্রান্সকে এর পরিবর্তে মুকাল্লা নামক স্থানে কয়লার গুদাম নির্মানের অনুমতি প্রদান করে।
স্বাধীনতা লাভ
      এভাবে ওমানে শক্তি প্রতিষ্ঠায় ইউরোপের শক্তিগুলো ক্রমাগত চেষ্টা চালাতে থাকে। ইংরেজদের কূটকৌশলের কারণে অন্যান্য শক্তিগুলো পিছ পা হয়ে পড়ে এবং ইংরেজরা অত্যন্ত অপ্রতিরোধ্যভাবে ওমানে অবস্থান করে। কিন্তু বিদেশী এই ইংরেজদের দুরভিসন্ধি ওমানের জনসাধারণের কাছে ধরা পড়ে যায়। তাদের অত্যাচারেও নিপিষ্ট হতে থাকে ওমানের জনগণ। ফলে ওমানবাসী ক্ষেপে যায়। স্বাধীনতার পতাকা হাতে তুলে নেয়। এবার তারা সংঘটিত হতে থাকে। শুরু হয় গণ-আন্দোলন। অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন। ফলে ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে জাতিসংঘের এক তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ওমানের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া হয়।
ওমানের বর্তমান অবস্থা
      ওমানের বর্তমান শাসক সুলতান কাবুস্ ইবনে সাঈদ ১৯৭০ খৃস্টাব্দে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি দেশটিকে দ্রুত উন্নতির পথে নিয়ে যান। ইসলামী জীবন বিধানকেই দেশের জনগণের জীবন বিধান রূপে গ্রহণ করা হয় এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তার ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বহু মাদ্রাসা, মক্তব ও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি স্থানে স্থানে হাসপাতালও নির্মাণ করেন। মসকট হতে মাত্র বার মাইল দূরে তিনি মদীনাতুল কাবুস নামে এক নতুন শহরের পত্তন করেন। যেখানে আধুনিক সভ্য জগতের সকল উপকরণ উপভোগেরর ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে সেনাবাহিনীকে সুসংগঠিত ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্রুত চেষ্টা চালাচ্ছেন।
      তাই আমাদের আশা, ওমান হবে ভবিষ্যত মুসলিম প্রজন্মের আশার স্থল। ওমানের মুসলমানরা ইসলামী ঝাণ্ডা নিয়ে বিশ্বের চারি দিকে ছড়িয়ে পড়বে। ওমানের বুকে আবার ইসলামী নবজাগরণের উত্থান হবে।