JustPaste.it

বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা ও মুসলিম বিশ্ব সংবাদ

 

আফগানিস্তানঃ  তালিবানের অব্যাহত বিজয়

 

* কাবুলে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান আবার সেখানে দূতাবাস খুলছে। তালিবানরা কাবুল প্রবেশের পর সকল রাষ্ট্র তাদের কাবুলের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। এ পর্যন্ত কোন রাষ্ট্রই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। জল্পনা-কল্পনা চলছে যে, পাকিস্তান কাবুলে দূতাবাস খুলে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে।

 

ভবিষ্যৎ কাবুল সরকারকে

অবশ্যই ইসলামী শাসন মেনে নিতে হবে

 

* ১৩ই জানুয়ারী পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আফগানিস্তানে যুদ্ধ বিরতির একটি ফর্মূলা উদ্ভাবনে যুদ্ধরত সকল দলের প্রতিনিধিরা এক বৈঠকে মিলিত হয়। এর উদ্যোক্তা ছিল জাতিসংঘ৷ এই প্রথম যুদ্ধরত দলগুলো আলাপ আলোচনার জন্য একত্রিত হলো। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী জানা যায় যে, তিনদিন ব্যাপী এ আলোচনায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। ভবিষ্যৎ কাবুল সরকারকে একটি ইসলামী শাসন মেনে নিতে হবে তালিবানরা এ দাবীতে অনড় থাকলে আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়। ফলে যুদ্ধরত দলগুলো আবার যুদ্ধের জন্য পুনঃ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। তালেবান কর্তৃপক্ষের শিক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র মৌলবী আবদুস সালাম হানিফী স্পষ্ট বলেন, আফগানিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আনা হবে। তিনি বলেন, “তালিবান নেতারা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুলের পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষাপদ্ধতি পুরোপুরিভাবেই খতিয়ে দেখবেন।

মৌলভী হানিফী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের একটা নতুন ইসলামী পোশাক চালু করা হবে। আফগানিস্তানে বর্তমানে দু'ধরনের স্কুল রয়েছে। এর কিছু সাধারণ সরকারী স্কুল এবং অন্যগুলো মাদ্রাসা ।

তিনি বলেন, তার ধারণা, স্কুলগুলোতে ইসলামী পদ্ধতির লেখাপড়ার উপর এতটা জোর দেয়া হবে যে, মাদ্রাসার শিক্ষা পদ্ধতির সাথে স্কুলের, শিক্ষার আর কোন পার্থক্য থাকবে না। তবে তিনি বলেন, অংক ও বিজ্ঞান পড়ানোর উপর অত্যন্ত জোর দেয়া হবে। নারী শিক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, তালিবান আন্দোলন মেয়েদের শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। তবে স্কুলে ছেলেদের সাথে মেয়েদের এক সঙ্গে লেখাপড়া করতে দেয়া হবে না।

* ১৬ই জানুয়ারীঃ আলোচনা বৈঠক ব্যর্থ হবার পর তালিবান বাহিনী মাসুদ-দোস্তাম বাহিনীর ওপর এক দুর্ধর্ষ আক্রমণ অভিযান চালায়। তারা দুই ফ্রন্টে আক্রমণ অভিযান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাগরাম বিমান ঘাটি দখল করে নেয়। এরপর অগ্রাভিযান অব্যাহত রেখে আরো ৩ কিঃ মিঃ দূরের পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকার দখল করে নেয়। এই অভিযানে তালিবান বাহিনী বিরোধী জোটের ফ্রন্টলাইন ভেঙ্গে ২৫ কিঃ মিঃ অগ্রসর হয় । বিরোধী বাহিনী এ আক্রমণের মুখে অসংখ্য লাশ ও-ভারী অন্ত্র ফেলে পিছু হটে যায়।

* ১৮ই জানুয়ারীঃ তালিবান বাহিনী অপর আর এক ফ্রন্টে উত্তরাঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রেখে দোস্তাম নিয়ন্ত্রিত কাপিসা প্রদেশে দখল করে নেয়। এ যুদ্ধে দোস্তামের ২শত সৈন্য বন্দী হয়। তালিবান সৈন্যরা এ যুদ্ধে' দোস্তামের বেশ কিছু সাজোয়া যান ও ভারী কামান দখল করে নেয় ।

 

ব্রকো শহর সার্বদের কাছে হস্তান্তর করা অন্যায় কাজ হবে

-হাসান মুরাতোভিক

 

বসনিয়ার শহর ব্রকো সার্বদের পক্ষে  ছেড়ে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্টের অভিপ্রায়ের প্রতি একজন বসনীয় মুসলিম নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এটা হবে অত্যন্ত অন্যায় কাজ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারী সচিব জন করব্লাস উল্লেখিত কৌশলগত স্থানে অবস্থিত শহরটি সার্ব প্রজাতন্ত্রের কাছে ছেড়ে দেয়ার যে কাগজ তৈরী করেছেন, তার প্রতি সাবাজেভোর নেতৃবৃন্দ ও সংবাদপত্রগুলো তুমুল প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজনৈতিক সমাধানে এ মধ্যস্থতা একটা ভুয়া আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হবে বলে সদ্য নিয়োজিত কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী হাসান মুরাতোভিক উল্লেখ করেন।

 

চেচনিয়ার ইসলামী আদালতে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুপণ দেয়ার রায়

 

চেচনিয়ার আদালত এক রায়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনকে মৃত্যুপণ (ক্ষতিপূরণ) হিসেবে এক ব্যক্তিকে ৬৩টি উট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, রুশ দখলদারির বিরুদ্ধে ২০ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর চেচেন মুজাহিদরা মাতৃভূমির কার্যকর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে কয়েকটি ইসলামী শরীয়া আদালত চালু করেছে। গত মঙ্গলবার ইসলামী আদালতের ৩ জন বিচারক একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ইউসুফ আকবুলাতভকে হত্যার জন্য আলি খালিয়েভকে তার আত্মীয়দের ৬৩টি উট প্রদানের নির্দেশ দেয়। তবে যেহেতু চেচনিয়ার কোথাও উট পাওয়া যায় না, সে কারণে বিকল্প হিসেবে তাকে ৬৩ হাজার ডলার পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

 

জিয়াউর রহমান ফারুকী আর  নেই

 

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী ব্যাক্তিত্ব পাকিস্তানের 'সিপাহে সাহাবার, অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী আর বেঁচে নেই। তিনি গত ১৮ই জানুয়ারী লাহোরে এক গাড়ি বোমা বিক্ষোরণে শহীদ হয়েছেন। তিনি এক মামলার অভিযোগের জবাব দিতে লাহারের একটি আদালতের সামনে একটি মটর সাইকেলে রক্ষিত বোমার বিস্ফোরণে তিনি শহীদ হন। তার সাথে তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৯ জন পুলিশও নিহত হয়েছে। এ বোমা হামলায় 'সিপাহে সাহাবার সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাওঃ আজম তারিকও গুরুতরভাবে আহত হন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক । তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

ইসরাইল ইসলামের বিরুদ্ধে

আগ্রাসনের পায়তারা করছে

-হামাস নেতা

 

পবিত্র রমজান মাস শুরুর প্রেক্ষাপটে পবিত্র মসজিদ আল-আকসার ইমাম ৭০ হাজার মুসলমানের সামনে ইসরাঈলে তীব্র সমালোচনা করেন। শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতা শেখ হামিদি বিতাবী বলেছেন, ইসরাইল মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও আগ্রাসনের পাঁয়তারা .করছে। পবিত্র আল-আকসায় তার এই ধর্মীয় আলোচনা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। তেলআবিবে দু'টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার একদিন পর শুক্রবার ধর্মীয় আলোচনায় ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করা হয়। একই সঙ্গে একজন ইসলামী হুকুমতপন্থীর নিহত হওয়ার ঘটনার কারণে গাজায় একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রায় পনেরো হাজার ফিলিস্তিনী ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর জন্য আহ্বান জানায় ।

 

গাদ্দাফী হেবরণ চুক্তির নিন্দা করেছেন

 

লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফী পশ্চিম তীরের হেবরণ নগরী সংক্রান্ত ফিলিস্তিন ও ইসরাঈলের মধ্যে সম্পাদিত শান্তি চুক্তির নিন্দা করেছেন। লিবীয় নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা 'জানা' জানায়, “গত কয়েক মাস ধরে ইসরাঈল যে একগুঁয়ে মনোভাব দেখিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনী ও আরবদের বঞ্চনার মধ্যে নিক্ষেপ করা ।”

তিনি বলেন, “হেবরণ থেকে ইসরাইলী সৈন্য চলে যাবার অর্থ এই নয় যে, এই শহরটি এখন মুক্ত। ইসরাইলী সৈন্যরা ফিলিস্তিনী ভূমি দখলের জন্য বাইরে থেকে পাহারা দেয়া অব্যাহত রাখবে।” গত বুধবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনী নেতা ইয়াসির আরাফাতের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হবার পর এই প্রথম লিবীয় নেতা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন।

গাদ্দাফী  ইসরাঈলীদের এই ধোঁকাবাজিকে মেনে না নেয়ার জন্য ফিলিস্তিনী ও আরবদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। সিরিয়া, ইরান ও ফিলিস্তিনের মুজাহিদ সংগঠনগুলোও-হেবরণ চুক্তির নিন্দা করেছেন।

 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আসলান মাসখাদভ বিজয়ীঃ

চেচনিয়াকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করবো

 

* চেচনিয়ার স্বাধীনতাকামী অন্যতম নেতা আসলান মাসখাদভ প্রেসিডেন্ট ' নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। আসলান মাসখাদভ বলেন, তিনি চেচনিয়ার পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে যাবেন। চেচেনবাহিনীর সাবেক শীর্ষ জেনারেল মাসখাদভ রুশ বিরোধী ২১ মাসের লড়াইয়ে যেমন সাফল্য অর্জন করেছেন, তেমনি চেচনিয়া থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার আলোচনায়ও তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন এবং সফলতা অর্জন করেন। স্ট্যালিন আমলে চেচেনদের মধ্য এশিয়ায় গণস্থানান্তর করার পর ১৯৫১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কাজাখাস্তানে মসাসখাদভ জন্মগ্রহন করেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি রুশ বাহিনীতে যোগ দেন এবং পর্যায়ক্রমে একটি গোলন্দাজ ডিভিশনের কর্ণেল কমান্ডেন্ট পদে উন্নতি হন। তৎকালীন চেচেন নেতা ও প্রেসিডেন্ট জওহর দুদায়েত ১৯৯২ সালের শেষ দিকে চেচনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার কিছুদিন পর তিনি রুশ সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করে চেচনিয়ায় ফিরে আসেন এবং চেচেন বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডারের পদ গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষুদ্র চেচেন বাহিনী বিশাল রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চসৎকার নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। রুশ বাহিনী বিভিন্ন লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে শেষে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের চেচনিয়া থেকে প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। সোমবার একই সময় পার্লামেন্টেরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনার কাজ চলছে। পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি ।

চেচনিয়ার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আসলান মাসখাদভ বলেছেন, “আমরা চেচনিয়াকে একটি ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করবো।” রাজধানী গ্রোজনিতে নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে মাসখাদভ দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেন, “চেচনিয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। স্বাধীনতার জন্য এখন আর যে জিনিসটি বাকী আছে, তা হচ্ছে চেচনিয়ার প্রতি মস্কোসহ বিশ্বের সব দেশের স্বীকৃতি আদায়।” তিনি মঙ্কোর সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছার আভাস দিয়ে বলেন, তিনি চেচনিয়ার স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।

স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসহীন মাসখাদভ এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন, “তিনি যুক্তিসঙ্গত সীমার মধ্যে থেকেই” কেবল আপসের চেষ্টা চালাবেন। তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায়ের পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবসানের ব্যাপারে একটি সফল ও গৌরবদীপ্ত আলোচনার মধ্যস্থতাকারী মাসখাদভ লোকে লোকারণ্য সাংবাদিক সম্মেলনে দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন যে, চেচনিয়া ইতিমেধ্যই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে জাপান থেকে শুরু করে বৃটেন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন ।

তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামিল বাসায়েভকে তার সরকারে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বাসায়েভ সরকারের কোন পদে যাবার পরিকল্পনা করছেন না বলে তার একজন সহকারী জানিয়েছেন।

জনাব মাসখাদভ স্বীকার করেছেন যে, চেচনিয়া স্বাধীন হোক বা না হোক, তাকে মস্কোর সঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। উল্লেখ্য, ২০ মাসের গেরিলা যুদ্ধের পর রাশিয়া অত্যন্ত অপমানজনক অবস্থায় চেচনিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চেচেনরা মনে করছেন যে, তারা মস্কোর সঙ্গে দরকষাকষির ক্ষেত্রে এখন একটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন।

তবে চেচনিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভের চেষ্টা চালালে মস্কো যে চেচনিয়ার উপর রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করবে সেটা নিশ্চিত।

 ১২ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত চেচনিয়ার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে ১৬জন প্রার্থীর মধ্যে আসলান মাসখাদভ ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনের সরকারী ফলাফল পেতে আরো ২/৩ দিন সময়, লাগবে। মাসখাদভের এই বিজয়ের ব্যাপারে রাশিয়ার পত্র-পত্রিকা গতকাল পর্যন্ত “অপেক্ষা করে দেখার” নীতি অবলম্বন করেছে। তবে কোন কোন পত্রিকা মাসখাদভ জয়লাভ করেছে দেখে এই বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে যে, একজন বাস্তববাদী লোককে বিজয়ী দেখা যাচ্ছে।

 

******