JustPaste.it

আমার দেশের চালচিত্র

-মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন খান

==============================================================

          আবার সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবার আর কোন ছাত্র বা মিছিলের ওপর হামলা নয়। এবার দেশের শ্রেষ্ঠ আলেম শাইখুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হক সাহেবের উপর হামলা করেছে অতিপরিচিত দেশে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানিদাতা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের অঙ্গসংগঠন যুব ঐক্য পরিষদের কিছু কুলাঙ্গার যুবক।

          বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় দায়ীদের কে দেশের সর্বস্তরের মানুষ যখন প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছিল, ঠিক তখনই মানুষের দৃষ্টিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার মতলবে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডাদের মদদে ঐ সংগঠনের কিছু ছাত্র নামধারী গুন্ডা দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আদিম ব্যক্তির উপর হামলা করে বসলো। এ হামলা শুধু একজন ব্যক্তির উপর হামলা নয় যেহেতু এই হামলা মুসলমান ও ইসলামের পক্ষে সংগ্রামরত থাকার কারণেই হয়েছে! দাড়ি টুপি থাকার কারণেই হয়েছে! সেহেতু এ হামলায় ইসলামের উপর হামলা বৈকি? দেশের সর্বোচ্চ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনেই সংঘটিত হয়েছে এ দুঃসাহসীক ও লজ্জাস্কর ঘটনা অন্যায়ের প্রতিবাদে সর্বপ্রথম সোচ্চার হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। মুখের ভাষা কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে সর্বপ্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই রক্ত দিয়েছিল। এছাড়া ১৯৬৯, ১৯৭১ ও ১৯৯০ এর আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাই সর্বপ্রথম রক্ত দিয়েছে। রাজপথে নেমে এসেছে। কিন্তু আজ সে ঐতিহ্য নেই। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে গুটি কতেক বিদেশি রাষ্ট্রের এজেন্ড অবস্থান নিয়ে এ দেশের আপামর জনগণের স্বার্থ ও ধর্মীয় অধিকারের ওপর একের পর এক ছোবল হানছে, কিন্তু তারা নির্বিকার। সন্ত্রাসীরা তাদের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে কুঠারাঘাত হানছে! কিন্তু তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ধর্মীয় অধিকার ও দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে তাদের এই ব্যর্থতা সত্যিই লজ্জাকর।

এই ব্যাপারে দেশের প্রশাসনের আশ্চর্য নীরবতা আরো পীড়াদায়ক। এই পরিচিত এলাকায় এর পূর্বেও বেশ কয়েকবার দাড়ি-টুপিওয়ালা মুসলমান নিগৃহীত হয়েছে। মিছিলের ওপর হামলার কারণে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্ত ঝরেছে! কিন্তু সরকার আজ পর্যন্ত সেই দুষ্কৃতিকারীদের কাউকে গ্রেফতার করার পদক্ষেপ নেয়নি। জনগণের মানে নিরাপত্তার সাথে ধর্মকেও নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। ধর্ম পালনের জন্য তাদের উপর হামলা হচ্ছে! অথচ সরকার তার প্রতিদানে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি! পারেনি পার্লামেন্টে ধর্মের সুরক্ষায় কোন আইন পাস করতে! প্রতিবেশী দেশে ১৯৯০ সালে বাবরি মসজিদ নিয়ে উত্তেজনার সময় এই দেশের একটি হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে সেদেশে মন্দিরের শিলা বিন্যাস এর জন্য স্বর্ণের ইট পাঠানো হলো! অথচ তখন কারা স্বৈরাচারী সরকার নিশ্চুপ ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে ঐ মহলটি সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে মসজিদ ধ্বংসের পর আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করছে! অথচ সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি মিছিল করে রাজপথ গরম করতে পারলেও তাদের অপকর্ম বন্ধ করতে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি।

          অতএব বলতে হচ্ছে সরকার যদি জনগণের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের উপর অব্যহত ছোবল মারার কেউটেদের দমন করতে ব্যর্থ হয়! তবে জনগণকে তাদের অধিকার রক্ষা এবং কেউটেদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়ার দায়িত্ব সেই তৌহিদী জনগণের উপর ছেড়ে দেওয়া হউক। সরকার যদি তাতে অনীহা প্রকাশ করে তবে তৌহিদী জনগণকেই তাদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার সর্বপ্রকার ত্যাগ বরণ করে এগিয়ে আসতে হবে, গঠন করতে হবে। বাতিলের প্রতিরোধে কে আছেন এই সাহসী যোদ্ধাদের একত্রিতকরণ গঠন ও পরিচালনা করার মতো সাহসী মুজাহিদ!?

          তথাকথিত সভ্যতার সর্বশেষ উপহার বিউটি পার্লার। আমাদের দেশেও এই প্রতিষ্ঠানটির ডালপালা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের বদৌলতে রাস্তায়, ফুটপাতে, মার্কেটে, অফিসে, সর্বত্রই কাটা চুল, কাট জিন্সের প্যান্ট, শার্ট পরা ও বিদেশী উগ্র মেকআপ চর্চরিত ললনাদের ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেন এরাই নগরীর শোভাবর্ধন করছে। সমাজের উচু তলার ললনাদের (সবাই নয়) রুটিন মাফিক প্রতিদিন নাট্যমঞ্চ, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নাইট ক্লাব, পার্ক, প্রভৃতি স্থানে হাজিরা দিতে হয়। সুতরাং অনাগত অতিথিদের মধ্যে নিজেকে সবচেয়ে সুন্দরী প্রতিপন্ন করার জন্য তাদের মধ্যে বাহারি প্রসাধন চর্চার একটা প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে। আর এর জন্য প্রয়োজন হয় বিউটি পার্লারের এই বিউটি পার্লারের "বিউটিশিয়ানদের" অমূল্য পরামর্শে (?) ললনাদের লম্বা চুল ভব কাট হয়, ব্লাউজের গলা লো কাট হতে হতে বগল পর্যন্ত এসে দাঁড়ায়। পোশাকের টাইটনেস ফিটনেস ক্রমশ বাড়তে থাকে। লেটেস্ট মডেলের গাড়ির পেছনে যখন এসব ম্যাডামেরা বসে থাকেন তখন মনে হয় কাঁচের পুতুল বসে রয়েছে। গাড়ি থেকে নামার সময় মাটিতে পা পড়তে চায় না

          এসব বিউটি পার্লারের অবদান। কোন বিউটিশিয়ানই বুকে হাত রেখে বলতে পারবে না যে তারা দেশ সমাজ বা নারীজাতির ভালোর জন্য কিছু করছেন। ইদানিং বিউটি পার্লারের মধ্যে রূপচর্চা নামে অসামাজিক কাজেও হিরিক পড়ে গেছে। সে যাই হোক এই স্থান থেকে ললনাদের চেহারায় কৃত্রিম প্লাস্টার লাগানোর মধ্যে একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে সুন্দরী প্রতিপন্ন করে লোভাতুর পুরুষের নিকট থেকে বাহবা কুড়ানো। অর্থাৎ ভোগ্যপণ্যের মতো তাদের মনোরঞ্জন করা, এতে তাদের নিজেদের কোনো আর্থিক সামাজিক নৈতিক বা চারিত্রিক কোন উন্নতি ঘটে কিনা জানিনা। তবে অহেতুক যে নিজের পয়সা খরচ হয় সমাজে নগ্নতার প্রসার গটে, নিজের মনটা উচ্ছৃংঙ্খল হয়ে পড়ে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না। বিউটি পার্লারের মোহে পড়ে এই খাতে কোন চাকরিজীবী মহিলা নিজের অথবা পরিবারের আর্থিক উপার্জনের ৩৫ থেকে ৪০ পার্সেন্ট ব্যয় করে ফেলেন। এ তো গেল লাভ ক্ষতির কথা ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের অপরাধ কতখানি এবার তাই দেখা যাক! ঐসব উশৃংঙ্খল মহিলারা ফরজ পর্দা পালন করতে আগ্রহী হলে তারা নিজের পয়সা খরচ করে পরের চোখের মনোরঞ্জনের খোরাক হতো না! আল্লাহ মানুষকে যে স্বাভাবিক সৌন্দর্য দিয়েছেন তাতে তুষ্ট না হয়ে কৃত্রিম প্রলেপ লাগাতে ব্যস্ত হত না।

          সুতরাং এই মহিলারা প্রথমত একটা ফরজ দায়িত্ব উপেক্ষা করে নগ্নতা ও উশৃংঙ্খলতা ছড়াচ্ছে যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। দ্বিতীয়তঃ তারা ব্যক্তিগত অর্থের সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় করছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কে দেশের সীমিত অর্থ ব্যয় করে বিদেশ থেকে দামি প্রসাধনী আমদানিতে উৎসা যোগাচ্ছে। আর এর সবকিছুর মূলে রয়েছে এই বিউটি পার্লার। সুতরাং দেশকে উশৃংঙ্খলতা, নগ্নতা ও আর্থিক অপচয় থেকে রক্ষা করতে হলে শয়তানের আড্ডাখানা ঐসব পার্লার গুঁড়িয়ে দিতে হবে। কে হবেন সেই সাইমুম বাহিনীর দোর্দণ্ড কমান্ডার?

          আবার ডঃ আহম্মদ শরীফের শিং গজিয়েছে তৌহিদী জনগণের ধর্মের স্বাধীনতায় সে আবার খোঁচা দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিছুদিন পূর্বে তারাই গর্ভে জন্ম নেয়া স্বদেশ চিন্তা সংঘ নামক সংগঠনটির আয়োজনে এক বক্তৃতায় তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মারাত্মক কটুক্তি করে সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রচণ্ড ধীক্কার করিয়ে কিছুক্ষণ শেয়াল পন্ডিতের নেই গর্তে লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু দেশের জনগণের দৃষ্টি যখন ভারতের বাবরি মসজিদের

          পানে, তার জ্ঞাতি ভাইরা হিংস্র আক্রোশে ফুঁসছে মসজিদ ভাঙ্গার জন্য! ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে এই শিংওয়ালা পন্ডিত গর্ত ছেড়ে লোকালয়ে এসেছে। সাথে সাথে এসেছে তার এক ঝাঁক আনকোড়া শিষ্য। ৫ই ডিসেম্বর টিএসসির সেমিনার কক্ষে সেই স্বদেশ চিন্তা সংঘের আয়োজিত এক সভায় এই গুরু শিষ্যের মিলন ঘটে। শুধু কি মিলন বক্তৃতারও সেকি তুফান! বলতে গেলে সেদিন শ্রোতার চেয়ে বক্তার সংখ্যাই বেশি ছিল। তবে সবার বক্তৃতার মূল বিষয় ছিল ইসলাম, নামাজ, আজান ও কোরআন। এদের একজন আবদার জানিয়েছেন রেডিও-টিভিতে আজান প্রচারিত হয় কেন? আযানের শব্দ শুনলে শয়তানের ছেলেদের মত তিনিও হয়তো অস্বস্তি বোধ করেন তাই তার এই আবদার! আরেকজনের কথা হলো উনারা খুবই উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত মহামানব, আর মানুষকে পশ্চাতপদতার দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য মাদ্রাসাগুলো যথেষ্ট। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস নামে এক পণ্ডিত সিনেমার কাহিনীর সাথে মিল রেখে যৌন আপত্তিকর দৃশ্যও চিত্রায়নে আহ্বান জানিয়েছেন।

          এদেশের কোন নায়ক নায়িকা তো এই দৃশ্যে অভিনয় করবেন না! কাদেরকে দিয়ে তিনি এই দৃশ্য চিত্রায়িত করাতে চান তা কিন্তু তিনি বলেননি। ফয়েজ আহমদ মার্কস লেনিনের মত মহামানব আর খুঁজে পাচ্ছেন না বলে মত প্রকাশ করেন। সেই যে মার্ক্স-লেনিন এখন গোরস্থান থেকে নদীর বক্ষে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে! জনগণের প্রচন্ড ঘৃণা ও ক্রোধের কারণে, "রতনে রতনই চেনে" আরেক স্বঘোষিত পন্ডিত ইলিয়াস সম্পর্কে নির্বোধ বালকের ন্যায় অবলীলায় বলে গেলেন যে কাজী নজরুল ইসলাম ও ইবনেসিনা নাস্তিক ছিলেন এবং ২০ বছর পর মুসলমানরা তাদের মত আহমেদ শরীফ কে নিয়ে নাচানাচি করবে। তার এই বক্তব্য রাবণের মৃত্যুর সময় কার উক্তির সাথে মিলে। রাবণ নাকি গ্রাম কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ইতিহাসে যদি তোমার নাম বীর হিসেবে লেখা হয় তবে আমার নাম ঘৃণার সাথে হলেও তোমার পাশে লেখা থাকবে। ঠিক তদ্রূপ মুসলমানরা ২০ বছর পর নজরুল ইবনে সিনাকে স্মরণ করার সময় যদি আহমদ শরীফকেও স্মরণ করে ফেলে তবে নজরুল ইবনে সিনার স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দিতে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একপাটি জুতো'ও জুটে যেতে পারে।

          ডাঃ আহমেদ শরীফ যেহেতু এক বিশাল পন্ডিত ও দার্শনিক ব্যক্তি এ জন্য ইসলামের বিরুদ্ধে সেদিনও তার বক্তব্য ছিল বেশ  বড়াবড়া। নিজেকে একজন যোগশ্রেষ্ট দার্শনিক মনে করেন কিনা। এই ব্যক্তি আবার মৃত্যুকেও কিনা ভয় করেন না। কিন্তু তিনি হয়তো জানেন যে পৃথিবীর ইতিহাস বলে যে যত বেশি সীমা লংঘন করে তার পরিণতিও তত নিকৃষ্ট হয়, তার মৃত্যুটা সুখপ্রদ হয়না। মিথ্যা নবীর দাবিদার গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মরেছিলেন পায়খানায় ডুবে। আরবের বিখ্যাত বীর আবু জাহেল মরেছিল এক ক্ষুদে কিশোরের হাতে। আবুলাহাব মরেছিল নাকি কুষ্ঠরোগে। পরাশক্তি রাশিয়ার নাস্তিক গোষ্টির শোচনীয় পরাজয় ঘটে পৃথিবীর সবচেয়ে অনুন্নত এবং সরল সোজা একদল আফগানের কাছে। ফেরাউন নমরুদের পরিণতির কথা বিশ্বের সকলের জানা আছে সুতরাং নাস্তিক দাবিদার এই মুরতাদ মৃত্যুর পর যে ডাষ্টবিনে পচবেন্না বা নদীতে ভেসে কুকুর শুকুনিদের আহার্য হবে না!  তার গ্যারান্টি কে দেবে!? কেননা নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে তিনি ইতিমধ্যে জানাযা বা মুসলমানদের কবরস্থানে সমাহিত হওয়ার অধিকার হারিয়েছেন।

          একই সময়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ফিল নামধারী আর এক ভন্ড ও মুরতাদ গজিয়েছে। সদরউদ্দিন চিশতী নামের ওই মুরতাদ মনে করে রাসূল (সাঃ)  বিশ্বের সমগ্র জাতির জন্য নিজেই আল্লাহ এবং আল্লাহর পুত্র (নাউজুবিল্লাহ)। আপন মন ও দেহের যা উদয় হয় তাই সালাত। এছাড়া সে ইসলামের বিধি-বিধান এরমধ্যে নাকি কুসংস্কারের গন্ধ পায়! তার কাছে কোরআন ও হাদিস অলীক বলে মনে হয়।

          অতএব দেশে মুরতাদদের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে, ধর্মের ওপর একের পর এক আঘাত হানছে! সুতারাং এখনই এদের প্রতিরোধ করতে হবে! কোরানের বিধান অনুযায়ী নির্ভীকচিত্তে ওদের যোগ্য পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে! কে আছেন সব কিছুর বিনিময়ে কোরআনের বিধান বাস্তবায়ন করার নির্ভীক সৈনিক?