“আল্লাহর শপথ! আমেরিকা শান্তি ও স্থিতির কল্পনাও করতে পারবে না যতক্ষণ না আমরা ফিলিস্তিনে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।”
–শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্
❞
নূহ আ. এর দাওয়াত ও আমাদের শিক্ষা
উস্তায আহমাদ নাবিল
আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালার একজন নবী, নূহ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম। যিনি ছিলেন একজন দায়ী। তিনিই সব চেয়ে দীর্ঘ সময় দ্বীনের পথে দাওয়াতের কাজ করেছেন। এক-দুই বছর নয়। একশত-দুইশত বছরও নয়। প্রায় হাজার বছর যিনি দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করেছেন। দাওয়াত দিয়েছেন, গোপনে ও প্রকাশ্যে। দাওয়াত দিয়েছেন রাত্রে ও দিনে। তিনি দাওয়াত দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালার আদেশ পালনে। সাড়ে নয় শত বছর দাওয়াত দিয়ে তিনি কি অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন? তিনি আল্লাহ তায়ালাকে বলেছেন, “হে আমার রব! পৃথিবীতে একটি কাফেরকেও বাঁচিয়ে রাখবেন না। যদি আপনি তাদেরকে ছেঁড়ে দেন তারা আপনার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে। আর তাদের ঔরসজাত সন্তানগুলোও হবে কাফের-ফাজের।” -সূরা নূহ, আয়াত: ২৭
নূহ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম দীর্ঘ সময় দাওয়াতের পর উপলব্ধি করেছেন, এই সমস্ত কাফেরগুলো দাওয়াতের পথে মূল বাঁধা। তারা নিজেরা তো ঈমান আনবেই না বরং আল্লাহ তায়ালার উত্তম বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে। তাই তিনি তাদের শাস্তি ও ধ্বংসের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে দুয়া করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এই অবাধ্য কাফের সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন। শেষ নবী মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামের উম্মতদের ক্ষেত্রেও আল্লাহ তায়লার এই নিয়ম বিদ্যমান আছে, “যে সমস্ত কাফেররা দাওয়াত গ্রহণ করবে না তাদেরকে তিনি পৃথিবীতেই শাস্তি প্রদান করবেন।” তবে এই উম্মতের ক্ষেত্রে পার্থক্য দুটিঃ- ১. দাওয়াত দেওয়ার পর সাড়ে নয় শত বছর অপেক্ষা করতে হবে না। দাওয়াতের পরবর্তী মারহালাই হচ্ছে জিঝয়া অথবা কিতাল। ২. অন্যান্য নবীর দাওয়াতকে যারা অস্বীকার করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছেন ফেরেশতাদের মাধ্যমে। আর মুহাম্মাদে আরবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত যারা গ্রহণ করবেন না তাদেরকে তিনি শাস্তি দেবেন তার অপর সৃষ্টি মানুষের মাধ্যমে, মুমিন বান্দাদের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের হাত দিয়ে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন।” -সূরা তাওবা, আয়াত: ১৪
লক্ষণীয়ঃ জিহাদ! কাফেরদের জন্যও রহমত এই উম্মতের মধ্য থেকে যারা কাফের, জিহাদ তাদের জন্যও একটা অনেক বড় নিয়ামত ও রহমত। কারণ, অন্য উম্মত যখন নবীকে অস্বীকার করত আর জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করত, আল্লাহ তায়ালা পুরো জাতিকে সমূলে ধ্বংস করে দিতেন। শিশু হোক বা বৃদ্ধ, নারী কিংবা পুরুষ, দুর্বল কিংবা সবল, কেউ রেহাই পেতনা। আর ধ্বংসের পর, পরকালে তো রয়েছে চিরকালের জন্য জাহান্নাম। কিন্তু জিহাদের ফলে, সকল কাফের সমূলে ধ্বংস হয়না। বরং তাদের নির্দিষ্ট একটা শ্রেণী নিহিত হয়। আর এর ফলেই অন্য সকলের জন্য সঠিক পথ খুলে যায়। জিঝিয়া দিয়ে ইসলামের ছায়াতলে সময় অতিবাহিত করতে পারে। তাদেরকে ইসলামের বাস্তব রূপ কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, তারা দলে দলে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়। যার ফলে আল্লাহ তায়লার এই বান্দাগুলো ইহকাল-পরকাল উভয় জগতের শাস্তি থেকে মুক্তি পায়। জান্নাতে তাঁদের জন্য তৈরি প্রাসাদটায় চিরদিনের জন্য রাজত্ব করে। হে দ্বীনের দায়ী! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীয়তের অনুসরণ করুন। কারণ এটাই হচ্ছে
পুরনাঙ্গ শরীয়ত। আর আমরা, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত।
আল বালাগ
ম্যগাজিন ইস্যু-১