ভারতের হিন্দু করসেবকরা চরম আতঙ্কিতঃ
বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারী পাপিষ্ঠরা অন্ধ হয়ে যাচ্ছে
======================================================
অন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভারতের পাপিষ্ঠ করসেবকরা। পৃথিবীর রূপ-সৌন্দর্য দর্শনের সুযোগ থেকে চিরতরে বঞ্চিত হচ্ছে আল্লাহর সবচেয়ে বড় দুশমন পৌত্তলিকরা। ফিউজ হয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক বাল্বের মত ওদের চোখের জ্যোতি নিভে যাচ্ছে। আর এই ব্যাপক আযাব-গজবের মুখখামুখি হচ্ছে ভারতের সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যে সমস্ত উগ্র হিন্দু করসেবকরা জড়িত তারা। যারা এই মসজিদটিকে শহীদ করার তাণ্ডবে সরাসরি অংশ নিয়েছিল তারা এখন একে একে অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে। কেউ জানে না হঠাৎ কি কারণে বেছে বেছে করসেবকরা অব্যাহত ভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই মহামারীর মত করসেবকদের মধ্যে এই অন্ধত্ব ছড়িয়ে পড়ায় বাকী করসেবকদের মধ্যে দাবানলের মত একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এই আজাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এখন তারা দিবারাত্র শুধু রামজী আর দূর্গার মূর্তীর পদতলে মাথা ঠুকছে। চোখের মায়ায় তারা দুনিয়া ছেড়ে পাতালে আশ্রয় নিতে পারলে যেন বাঁচে। কিন্তু হতভাগারা জানে না, সর্ব শক্তিমান আল্লাহ যখন তাঁর দুশমনদের নিজ হাতে শাস্তি প্রদান করতে উদ্যগী হন তখন কেন পৃথিবীর এমন কোন শক্তি নেই যা তাদের এই শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারে। ইতিহাস সাক্ষী, অতীতে আল্লাহ্ তায়ালা নমরুদ, ফেরাউন, সাদ্দাদকে তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য ধ্বংস করে দিয়েছেন।
আদ, সামুদ ও নুই (আঃ)-এর কওমকেও তিনি ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। পবিত্র কাবা শরীফ ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছিল বলে আবরাহার ঔদ্ধত্বকে চূর্ণ করেছিলেন একঝাক ক্ষুদ্র পাখির সাহায্যে। ফেরাউনের লাশকে সমুদ্রের তীরে নিক্ষেপ করে এবং আবরাহার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পচে গলে ঝড়ে যাওয়ার পর একটি মাংস পিণ্ডের ন্যায় ইয়ামেনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে তিনি বাকী মানব জাতিকে আল্লাহর অবাধ্যতার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ যুগে যুগে আল্লাহর এত ব্যাপক আজাব গযবের প্রত্যক্ষ উদারহণ থেকে খুব কমই শিক্ষা নেয় না। তারা আল্লার অবাধ্যতায় আরও মেতে ওঠে, দম্ভ-অহংকারে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, ক্ষমতার দাপটে তারা আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করে। মসজিদকে শহীদ করতেও ওরা কুণ্ঠিত হয় না। এ সম্পর্কেই আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, “তোমরা সীমা লংঘন করো না। আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের পছন্দ করেন না।”
কিন্তু পৌত্তলিক করসেবকরা সীমা লংঘন করতে করতে আল্লাহর ঘর মসজিদের ওপর চড়াও হয়েছে। মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করে সেখানে রামের মূর্তী স্থাপন করেছে, মসজিদের ধ্বংসস্তুপের ওপর মন্দির স্থাপন করে ওরা পূজা-অর্চনায় মগ্ন হয়েছে। ওদের ধৃষ্টতা আবরাহার দম্ভকেও ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি করসেবকদের পরিণতি সম্পর্কে খরব পাওয়া যাচ্ছে যে, সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ কোন প্রকার ঘটনা দুঘর্টনা, রোগ ছাড়াই একমাত্র মসজিদ ধ্বংসের সাথে জড়িত করসেবকরাই ধীরে ধীরে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে একসময় সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যাচ্ছে যা পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিরল। আমাদের বিশ্বাস, এটা সর্ব শক্তিমান আল্লাহ কর্তৃক ব্যাপক আযাব নাজিলেরই আলামত।
নয়াদিল্লীর জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন আনসারী এক্সপ্রেস এর ৪-১০ জানুয়ারী ’৯৩ সংখ্যায় বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারীদের ওপর খোদায়ী শাস্তির এ চাঞ্চল্যকর সংবাদ, প্রকাশিত হয়। প্রফেসর মমতাজ আনসারী প্রতিষ্ঠিত ও মুহাম্মদ আতাহার হোসাইন সম্পাদিত এ সাপ্তাহিকীর পাটনাস্থ রিপোর্টার সৈয়দ জাবেদ হোসাইনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, “বিগত ৬ ই ডিসেম্বর অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার ন্যাক্কারজনক কাজে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত করসেবক বাহিনীতে কয়েকটা দল বিহারের ছাপরা শহর এবং উত্তর প্রদেশের গাজীপুর ও গোরখপুর জিলা থেকেও অংশ নিয়েছিল। বলা বাহুল্য, হিন্দুস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে করসেবকরা এমন নারকীয় কাজে যোগদান করেছিল। দক্ষিণ ভারত থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করসেবক এ কুখ্যাত বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য অযোধ্যায় এসেছিল। কিন্তু তারা বাবরী মসজিদ ধ্বংসে তেমন তৎপর ছিলো না। পরিকল্পিত পন্থায় যেসব করসেবক বাবরী মসজিদ শহীদ করার কাজে তৎপর ছিল তাদের মধ্যে ৩১ জন বিহার প্রদেশের সারেন জিলার ছাপরা শহরের বাসিন্দা।”
ঐ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আল্লাহর পবিত্র ঘর ভাংগার শাস্তি স্বরূপ এ পর্যন্ত ছাপরা শহরের দাহিয়ান মহল্লার ১৭ জন, উত্তর প্রদেশের গাজীপুর জেলার ৯ জন ও গোরখপুরের ৫ জন করসেবক তাদের চোখের জ্যোতি সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে অন্ধ হয়ে গেছে। এসব করসেবক ৯-ই ডিসেম্বর অযোধ্যা থেকে তাদের নিজ বাসস্থানে ফিরে আসে। কয়েকদিন পর রাতে তারা চোখে ব্যাথা অনুভব করতে থাকে। বিহারের সারেন জিলার ছাপরা শহরের ১৭ জন করসেবক যারা একই দাহিয়াবান মহল্লার লোক ছিল তারা পরদিন ডাক্তারের নিকট এসে চোখের ব্যাথার কথা বলে ডাক্তারগণ তাদের চোখ দেখে তা সামান্য ব্যাপার বলে শান্তনা দিয়ে সামান্য ওষুধ দিয়ে তাদের বিদায় করেন। কিন্তু তাতে তাদের চক্ষু যন্ত্রণা প্রশমিত না হয়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর অভিবাবকরা তাদের পাটনায় এনে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের দেখালেন।অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে তাদের চক্ষু পরীক্ষা করা হল, ব্যাথা প্রশমনকারী ওষুধও প্রয়োগ করা হলো। কিন্তু এক সপ্তাহ পর ঐ যন্ত্রণা অন্য রূপ ধারণ করে। উক্ত ১৭ জন করসেবকই ডাক্তারদের নিকট একই অভিযোগ করে যে, তাদের চোখে এখন আর ব্যথা নেই। কিন্তু তারা কেউই আর কিছু দেখতে পাচ্ছে না। তাদের চোখের জ্যোতি চির দিনের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। ডাক্তারগণ পুনরায় তাদের পরীক্ষা করলেন। কিন্তু তাদের বোধগম্য হচ্ছে না, চোখের দৃষ্টি কোন কারণে নষ্ট হল? প্রকাশ্যভাবে উন্নতমানের পরীক্ষা নিরীক্ষা সত্ত্বেও চোখের জ্যোতি সম্পূর্ণ রূপে চলে যাওয়ার কারণ বুঝতে না পারায় চক্ষু বিশেষজ্ঞগণ হতভম্ব হয়ে গেলেন।
বিহারের ছাপরা শহরের যেসব করসেবক চোখ হারিয়েছেন তাদের নামঃ কৃপা শঙ্কর, অনন্ত প্রসাদ, সুশীল প্রসাদ, রাজেন্দ্র গুপ্ত, মিতলেশ কুমার, যতীন্দ্র কুমার, সুভাষ সিংহ, নন্দ কুমার সিংহ, অজীত কুমার সিংহ, শুভরাম শর্মা, কৃষ্ণকান্ত ওঝা, দেব কুমার ওঝা, জনার্দন তেওয়ারী, কৃপারাম, অজয় পান্ডে, কমলেশ পান্ডে এবং গোপাল পান্ডে। ঐ সব করসেবক একই মহল্লার বাসিন্দা। তারা মোলায়েম সিং ক্ষমতাসীন থাকা কালেও বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে অযোধ্যায় এসেছিল। এদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এসব পাপিষ্ঠের এ শশাচনীয় অবস্থা দেখার জন্য তাদের বন্ধু-বান্ধব শুভাকাংখীরা পাটনায় এসে ভীড় জমাচ্ছে। যেহেতু এদের চিকিৎসা চলছে পাটনা শহরের রাজেন্দ্র নগর কলোনীর ৬নং ও ৯নং রোডে অবস্থিত দক্ষ বিশেষজ্ঞদের প্রাইভেট ক্লিনিকে। ডাক্তারগণ করসেবকদের নিকট থেকে চিকিৎসা বাবদ টাকা পয়সা দাবী করেনি। শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ পথ্যের খরচই নিয়েছেন। রাজেন্দ্রনগরের বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ গাঙ্গুলী তাদের চিকিৎসার জন্য দিল্লী পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছেন। ডাক্তার গাঙ্গুলী ডায়গনোসিস করে বলেছেন যে, মসজিদ ভাঙ্গার সময় পতিত ধুলাবালি দ্বারা তাদের চক্ষু সামান্য প্রভাবিত হতে পারে। বলা বাহুল্য, পবিত্র মসজিদের ঐ সমান্য ধুলাকণাই আবরাহার এসব পাপিষ্ঠ উত্তরসূরীর চোখে আবাবিল পাখির প্রস্তর কণার রূপ ধারণ করে চরম আঘাত হেনেছে এবং চিরদিনের জন্য তাদেরকে অন্ধ করে দিয়ে বিশ্বের মুসলিম বিদ্বেষীদেরকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের গাজীপুর জেলার ৯ জন কসেবকেরও এ ধরণের অবস্থার খবর পাওয়া গেছে। তারাও চোখের মত মূল্যবান নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের চোখেও প্রথমে জ্বালা-যন্ত্রণা অনুভূত হয়েছে। যমুনারাম ও সত্যরাম প্রথমে চোখে গোলাপ জল দেয় কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। তারা গাজীপুরে সরকারী হাসপাতালে গিয়ে চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়। তখন পর্যন্ত তাদের চোখের জ্যোতি ঠিক ছিল। কিন্তু কিছু দিন পর চোখের নিম্নভাগে ঝাপসা ঝাপসা দেখতে লাগলো। মনে সন্দেহ জাগলে তারা গাজীপুরের একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞকে দেখায়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা গেল যে, চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে। চিকিৎসা চলতে থাকলো কিন্তু এক সপ্তাহ পর দেখা গেল যে, তাদের চোখের জ্যোতিঃ চিরতরে হারিয়ে গেছে। ডাক্তারগণ বললেন, হয়ত চোখে পাথর কণার আঘাত লেগেছে। যমুনা রাম ও সত্যরাম নামক পাপিষ্ঠদ্বয় চোখের জ্যোতি হারিয়ে অত্যন্ত অনুতপ্ত। তারা কান্নাকাটি করছে আর বলছে “আমরা অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ ভেঙ্গেছি, তাই ভগবান অসন্তুষ্ট হয়েছেন।” তারা অনুভব করতে পারছে যে, ধর্মের পবিত্র স্থানের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করার শাস্তি এ ধরনের মারাত্মক হয়ে থাকে যা তাদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে। অন্যান্য করসেবকরা গাজীপুর থেকে চিকিৎসার জন্য লাখনৌ পৌছেছে। তারাও প্রথমে একই ধরণের চক্ষু যন্ত্রণা ভোগ করেছে। সপ্তাহ খানেক চিকিৎসার পরও চোখের আলো ক্রমশঃ হ্রাস পেতে থাকে। তবে এ সাতজন করসেবকের, চোখের জ্যোতি এখনো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়নি। বরং ঝাপসা দেখছে। এদের তিন জনের নাম এ পর্যন্ত পাওয়া গেছেঃ গোপাল সিং, নন্দ সিং ও বিজু সিং, অন্যান্যদের নাম ঠিকানা এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
গোরখপুর জিলার পাঁচজন করসেবক, বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার ক্ষেত্রে জঘন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে স্থানীয় লোকসভার সদস্য মোহন্ত ও ডেনাখের সাথে। তাদের নির্বাচনের সময়ও এ পাঁচজন বিশেষ তৎপরতা চালিয়েছিল, তাদেরই ইঙ্গিতে অনন্ত প্রসাদ গাওয়া, সন্তোষ কুমার, যোগেন্দ্র পাণ্ডে দীপচাদ এবং জয় প্রকাশ করসেবক রূপে অযোধ্যায় এসেছিল। উল্লেখ্য যে, লোকদেরকে এ ধরণের জঘন্য কার্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য যথা নিয়মে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। তাদেরকে কোথায় ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল তার ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে অনন্ত প্রসাদ ওরফে গুমার পিতা মদন প্রসাদ ইতিপূর্বে ঐ করসেবকদের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এ পাঁচজনের মধ্যে ৩ জনের চোখের জ্যোতিঃ সম্পূর্ণরূপে চলে গেছে এবং যোগেন্দ্র পাণ্ডে ও দীপচাঁদের চোখের আলো আশংকাজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাদের চিকিৎসা এখনো চলছে।
বিহারের ছাপরা শহরের দাহয়াবান মহল্লার জনসাধারণের মধ্যে এখন এ ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, এসব লোক মসজিদ ভাঙ্গার মত ঘৃণ্য কাজে অংশ নিয়েছে বলে তারা এমন জঘন্য অভিশাপের শিকার। আর মহিলা ও হিন্দু পুরোহিতদের মত হচ্ছে, “লোকদেরকে পাপ স্পর্শ করেছে”। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘আনসারী’ উল্লেখিত প্রতিবেদনে একথাও লিখেছে যে, তাঁরা ঐ সব পাপিষ্টদের ছবি সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ছবি পাওয়া মাত্রই সেগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাত্র তিন জনের ছবি হস্তগত হয়েছে। গাজীপুর ও গোরখপুরে লোকজনের মধ্যে এ ধরণের খোদায়ী আযাব আসায় আতংক পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মান্নান