JustPaste.it

প্রশ্নোওরে

প্রিয়নবীর পবিত্র জীবন

 

প্রশ্নঃ নবীজী (সাঃ) মদীনায় আগমনের পর সর্বপ্রথম কোন ব্যক্তি মক্কার কাফিরদের উসকানিতে মুহাজিরদেরকে মদীনা থেকে বের দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল?

উত্তরঃ মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই

প্রশ্নঃ সিরিয়া থেকে প্রত্যাগমনকারী কুরাইশ বণিক দলটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রিয়নবী (সাঃ) কাকে বদর অভিমুখে প্রেরণ করেছিলেন?

উত্তরঃ বাসবাস ইবনে আমর জুহানী এবং আদী ইবনে আবু যাগবা (রাঃ)-কে।

প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) কিভাবে অনুমান করেছিলেন যে, কাফির বাহিনীর সংখ্যা ন’শ থেকে এক হাজারের মধ্যে হবে?

উত্তরঃ হযরত আলী ও হযরত সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বদরের কূপ থেকে পানি নেওয়া অবস্থায় কুরাইশের যে দু’টি গোলামকে গ্রেফতার করে এনেছিলেন, তারা বলেছিল যে, কুরাইশরা তাদের সৈন্য বাহিনীর জন্য দৈনিক ন’ থেকে দশটি উট যবাই করে। এর থেকে নবী করীম (সাঃ) অনুমান করে নিয়েছিলেন, কাফির বাহিনীর সংখ্যা ন’শ থেকে হাজারের মধ্যে হবে।

প্রশ্নঃ বদরের নিকটে যে স্থানে নবীজি (সাঃ) সেনা ছাউনি স্থাপন করিয়েছিলেন, তা ত্যাগ করার এবং আরো সামনে অগ্রসর হয়ে একটি কূপের কাছে ছাউনি স্থাপনের পরামর্শ কে দিয়েছিলেন, যা নবীজি (সাঃ) গ্রহন করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত হুবাব ইবনে মুনযির (রাঃ)

প্রশ্নঃ মসজিদে নববী নির্মাণ করার জন্য মদীনায় নবীজি (সাঃ) সাহল ও সুহায়ল থেকে কিভাবে জমি নিয়েছিলেন?

উত্তরঃ মূল্য দিয়ে ক্রয় সূত্রে।

প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) কাকে এবং কখন মসজিদে নববীর মুআযযিন নিযুক্ত করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত বিলার (রাঃ)-কে, দ্বিতীয় হিজরীতে আযানের সূচনা হওয়ার পর।

প্রশ্নঃ নবীজি (সাঃ) এর মদীনা আগমনের পর সর্বপ্রথম মৃত্যুবরণকারী প্রখ্যাত সাহাবী দু’জনের নাম কি?

উত্তরঃ যথাক্রমে হযরত কুলসূম ইবনে হিদম ও আসআদ ইবনে যারারাহ (রাঃ)। আনসারদের মধ্যে ইসলাম গ্রহনের বেলায়ও এরা সর্বপ্রথম ছিলেন।

প্রশ্নঃ মদীনায় হিজরত করার সময় মক্কার দিকে তাকিয়ে প্রিয়নবী (সাঃ) কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ তিনি বলেছিলেন, “ওহে মক্কা! তুমি আমার অনেক প্রিয়। কিন্তু তোমার সন্তানরা আমাকে তোমার বুকে থাকতে দিলো না।”

প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) এর সেই করি সাহাবীর নাম বল, কুবায় প্রথম মসজিদ নির্মাণের সময় কাজের সাথে সাথে যিনি সুরেলা কণ্ঠে নিজের রচিত কবিতা আবৃত্তি করতেন এবং নবীজি (সাঃ) তাঁর প্রতিটি পংক্তির সাথে কণ্ঠ মেলাতেন?

উত্তরঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাঃ)

প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) কোন স্থানে কোন নামায পড়ার সময় কিবলা পরিবর্তন করে বাইতুল মুকাদ্দাস এর স্থলে বাইতুল্লাহর দিকে মুখ করে নামায পড়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ হিজরতের আঠার মাস পরে দ্বিতীয় হিজরীর মধ্য শাবানে মদীনায় জোহর নামায পড়ার সময়।

প্রশ্নঃ নবীজি (সাঃ) এর সেই সাহাবীর নাম কি, যিনি নবীজীর মদীনার আগমনের পর বেশ কিছুদিন পর্যন্ত নবীজীর রাতের খাবারের জন্য নিয়মিত বড় এক পাতিল সালুন ও রুটি ইত্যাদি প্রেরণ করতেন?

উত্তরঃ হযরত সাদ ইবনে উবাদা (রাঃ)।

প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) ‘আমীনুল উম্মাহ’ উপাধি কাকে দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ হযরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাঃ)-কে।

প্রশ্নঃ প্রিয়নবী (সাঃ) কাকে ‘সাইফুল্লাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ)-কে।

প্রশ্নঃ বদর যুদ্ধে প্রিয়নবী (সাঃ) কি দুআ করেছিলেন?

উত্তরঃ বদর যুদ্ধে প্রিয়নবী (সাঃ) এই দুআ করেছিলেন যে, হে আল্লাহ! আমাকে তুমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, এখন তা পূরণ কর।

প্রশ্নঃ বদর যুদ্ধে কুখ্যাত কাফির যুদ্ধবাজ উবাইদা ইবনে সাঈদ ইবনে আস কার বর্শার আঘাতে মৃতু্যবরণ করেছিল এবং পরে এই বর্শা কার হাতে এসেছিল?

উত্তরঃ হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) এর বর্শার আঘাতে। পরে নবীজি (সাঃ) তার থেকে বর্শাটি চেয়ে নেন এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে চার খলীফার হাত হয়ে অবশেষে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ) এর হাতে পৌঁছে।

প্রশ্নঃ বদর যুদ্ধে আবু জাহলের খণ্ডিত মাথা নবীজি (সাঃ) এর সামনে কে উপস্থিত করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)।

প্রশ্নঃ বদর যুদ্ধে গ্রেফতার হওয়া নবী করীম (সাঃ) এর সে সব আত্মীয়ের নাম বলো, যারা কাফিরদের পক্ষে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।

উত্তরঃ হযরত আলী (রাঃ) এর ভাই আকীল, নবীজি (সাঃ) এর জামাতা আবুল আস এবং নবীজির চাচা আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব।

প্রশ্নঃ কুরাইশ সৈন্যদের গ্রেফতার হওয়া সেই লোকটি কে ছিল, যাকে দেখে হযরত সাওদা (রাঃ) অলক্ষ্যে বলে উঠেছিলেন, আর সব লোকদের মত তুমিও বেড়ী পরেছ? কেন, লড়াই করে মরতে পারলে না?

উত্তরঃ লোকটি হলো সুহাইল ইবনে আমর, উম্মুল মুমিনীন হযরত সাওদা (রাঃ)- এর আত্মীয়।

প্রশ্নঃ বদরী বন্দীদের মধ্যকার সেই লোকটির নাম কি, যে ভালো একজন বক্তা ছিল এবং জনসমক্ষে সে প্রিয়নবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে বেড়াত। হযরত ওমর (রাঃ) তার সামনের দাঁত দু’টো ভেঙ্গে দেয়ার জন্য পরামর্শ দিলে নবীজি (সাঃ) এই বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যে, তাহলে আল্লাহর এর পরিণামে আমার কোনো না কোনো অঙ্গও বিকৃত করে দিতে পারেন?

উত্তরঃ লোকটি হলো, সুহাইল ইবনে আমর।

-উম্মে হানী