JustPaste.it

উম্মাহ নিউজ# ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ৩০ শে মে, ২০২১ ঈসায়ী |

উম্মাহ নিউজ# ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ৩০ শে মে, ২০২১ ঈসায়ী |
Al-Firdaws News
https://82.221.139.217/showthread.php?23170

 


ফিলিস্তিন জুড়ে চলছে ইসরাইলী তান্ডব, ২ হাজারেরও অধিক মুসলিম গ্রেফতার


দখলদার ইসরাইলী বাহিনী অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে নতুন উদ্যোমে মুসলিমদের পাইকারি হারে গ্রেফতার করা শুরু করেছে। ফিলিস্তিন জুড়ে চলমান এ গ্রেফতার অভিযানে দুই হাজার অধিক নিরাপরাধ মুসলিমকে আটক করেছে দখলদার ইসরাইল।

গত ২৮ মে শুক্রবার আরব তাৎক্ষণিক কমিটি জানায়, সাম্প্রতিক গ্রেফতার অভিযানে অভিশপ্ত ইহদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল তিন শতাধিক অভিযান চালিয়ে ১৭০০-এরও অধিক ফিলিস্তিনি মুসলিমকে আটক করেছে।

ফিলিস্তিনে কর্মরত প্রত্যক্ষদর্শী, ওয়াচডগ জানিয়েছে, দখলদার ইসরাইলী কর্তৃপক্ষের তথাকথিত “আইন বাস্তবায়ন” ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন করে ফিলিস্তিনি মুসলিমকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

যদিও গত ২৮ মে শুক্রবার ইসরাইলী পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, প্রায় ৭০ জনের মতো ফিলিস্তিনিকে তারা গ্রেফতার করেছে। সাম্প্রতিক চলমান গ্রেফতার ক্যাম্পেইনে তারা ৪১৮ মুসলিমকে আটক করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত দুই সপ্তাহের গ্রেফতার অভিযানে ২ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনিকে তারা আটক করেছে। আর প্রায় ১৭৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরব তাৎক্ষণিক কমিটি আরো জানায়, লুদ শহরের অবরুদ্ধ মুসা হাসুনেহ ও অবরুদ্ধ উম আল ফাহেমের মুহাম্মাদ কিউয়ানেই শুধু ১৫০ বার হামলা হয়েছে।

জানা গেছে, রাজধানী জেরুজালেম সহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে দখলদার ইসরাইলি সৈন্যদের দ্বারা ২৫ জন সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
অভিশপ্ত ইহুদীদ কর্তৃক ঘরবাড়িতে ৭২ টি, গাড়িতে ১২৮ বার ও দোকানগুলোতে ৭ বার হামলার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনি মুসলিমরা।

গত ১৮ ই মে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনে ইহুদি আগ্রাসন বিরোধী সাধারন ধর্মঘটে অংশ নিয়ে অর্ধ শতাধিক ফিলিস্তিনি শ্রমিক দখলদার ইসরাইলি সৈন্যদের দ্বারা আক্রান্ত হন।

এদিকে “বিচারের জন্য আইনজীবী” নামক একটি সংগঠন জানিয়েছে, সম্প্রতি ফিলিস্তিনের রামাল্লায় দখলদার ইসরাইলি প্রশাসন ২০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমকে পলিটিক্যাল গ্রেফতার ধারায় আটক করেছে।

সংবাদ মাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াচডগ জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি ও রাজধানী জেরুজালেম ও অবরুদ্ধ গাজার মুসলিম ভাইদের সমর্থনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণের কারণে সমাজ কর্মী ও প্রাক্তন জেলবন্দীদের রাজনৈতিক গ্রেফতারের উক্ত ধারায় টার্গেট করা হচ্ছে।

ওয়াচডগ আরো জানায়, ফিলিস্তিনি সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে গ্রেফতারকৃতদের উপর নির্যাতন, নির্মমভাবে প্রহার ও লাঞ্চিত করা হচ্ছে।
আটককৃতদের তাদের আইনজীবীর সাথে দেখা করার অধিকারটুকুও হরণ করা হয়েছে।
মাস্ক পরে জনসমক্ষে ধর্ষণ ও খুনের পলাতক আসামি বসুন্ধরার এমডি আনভীর

দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর হঠাৎ করেই জনসমক্ষে এল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। শনিবার (২৯ মে) শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের (২০২১-২৪) নির্বাচন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করে।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকাধীন ‘কালের কণ্ঠ’ ও ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকা দুটিতে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে আনভীরকে ছাইরঙা টুপি, কালো সানগ্লাস, কালো মাস্ক, কালো টি-শার্ট ও গাঢ় নীল প্যান্ট পরিহিত বসা অবস্থায় দেখা যায়, যা খবরটির সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত আসামি সায়েম সোবহান আনভীর। ঘটনার পর সে দেশে আছে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছে, সেই বিষয়ে কোনো তথ্যই দিতে পারেনি আওয়ামী পেটুয়া বাহিনী। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের যাতায়াতের প্রমাণ তারা পেয়েছে। এ ঘটনায় আনভীরের কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমই পায়নি। অন্যদিকে আলোচিত এই মামলায় আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করে অনেকগুলো সামাজিক সংগঠন।

গত ২৬ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান। মামলার এজাহারে বাদী বলেন, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিরা। দুই বছর আগে মুনিরা ও আনভীরের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন। তাদের প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে আনভীরকে পাওয়া যাচ্ছে না, গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়। তিনি দেশ বা বিদেশে আছেন, সে বিষয়েও কেউ সঠিকভাবে অবগত নন।

উল্লেখ্য, আনভীরের সাথে বর্তমান সরকারের হাত থাকায় শুরু থেকেই সরকারী বাহিনী ও মিডিয়া তার পক্ষ নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

সূত্র:দৈনিক জাগরণ 
ইমামকে পেটালেন আ’লীগ নেতা, হেফাজতের নেতা বানিয়ে মামলার হুমকি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য হাসান আলী ওরফে হাসান মেম্বার মাদকাসক্ত হয়ে প্রকাশ্যে সড়কের উপর গাড়ি থামিয়ে মসজিদের এক ইমামকে পিটিয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁরাগাঁও সীমান্ত সড়কের উপর নিজ বাড়ির অদূরে হাসান মেম্বার মসজিদের ইমামকে পেটায়। হাসান উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

শারীরিকভাবে মারধরের শিকার হয়েছেন উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাঁশতলা দারুল হেদায়েত হাফিজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম এবং মসজিদের ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক।

এ ঘটনার আগে একই দিন একটি সালিশ বৈঠকে মাদকাসক্ত হয়ে প্রবেশ ও কথা বলা অবস্থায় ওই ইউপি সদস্যের একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল করেন স্থানীয়রা। এরপর মসজিদের ইমামকে পেটানোর ঘটনায় বিচার চেয়ে সাধারণ লোকজন প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেন।

মারধরের শিকার মসজিদের ইমাম গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার সীমান্ত এলাকায় কথিত একটি মাজারে করোনাকালীন গান-বাজনার আয়োজন বন্ধে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে জঙ্গলবাড়ি মোড়ে সালিশ বৈঠক বসে। মাদকাসক্ত হয়ে হাসান মেম্বার সালিশে আলোচনা চলাকালীন প্রবেশ করে বেসামাল কথাবার্তা বললে সালিশে থাকা লোকজন তাকে সালিশ বৈঠক থেকে বের করে দেন।

এদিকে সালিশ বৈঠকে থাকা মসজিদের ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠান ও নিজ বাড়ি বাঁশতলায় ফেরার পথে সড়কে মোটরসাইকেল থামান হাসান মেম্বার। মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রকাশ্যে সড়কের উপর আমাকে হাসান মেম্বার কিলঘুষি মারতে থাকেন। প্রতিরোধে এগিয়ে আসায় আমার ভগ্নিপতি জালালকেও মারধর করেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে কিংবা এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে হেফাজত নেতা বানিয়ে উল্টো আমাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে ইউপি সদস্যের লোকজন। 
সব খোলা থাকলেও শুধু স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি হয়েছে। এসব কর্মসূচি শেষে একই দাবিতে আগামী মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপমৃত্যু ঘটা’ প্রশাসনের প্রতীকী মিছিল নিয়ে খাটিয়া মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

‘হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও আন্দোলন’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আজ রোববার সকালে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করেন।

সমাবেশে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল বলেন, দেশের অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিং মল—সবই খোলা আছে। উৎসব, আয়োজনও হচ্ছে। তাহলে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কেন? এ প্রশ্ন আমাকেও পীড়িত করে। এর কারণ কী হতে পারে? এর অন্যতম কারণ সরকারের মধ্যে থাকা বৈষম্যের নীতি। সরকারে যাঁরা আছেন, এর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই শুধু নন, আমলারাও আছেন, তাঁদের অধিকাংশের সন্তান-পরিবার-পরিজন বিদেশে থাকেন। অন্তত বাংলাদেশের কোনো ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে, অত্যন্ত সাপোর্টিভ একটা সিস্টেমে তাঁরা থাকেন। তাঁদের পড়াশোনায় কোনো অসুবিধা হয় না। অসুবিধা হয় নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। তাঁদের নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।

আসিফ নজরুল অভিযোগ বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু বর্তমান সরকারের কাছে জাতির মেরুদণ্ড হচ্ছে শাসন। শাসনকার্যের জন্য যা দরকার—গার্মেন্টস-শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, উৎসব আয়োজন, শপিং মল, গণপরিবহন খোলা রাখা; অর্থাৎ শাসনকে অব্যাহত রাখার জন্য যা দরকার, তাতে তাদের কোনো অসুবিধা নেই। সমস্যা হচ্ছে রাজনীতি ও শিক্ষা নিয়ে। এ দুটিকে বন্ধ রাখতে পারলেই সরকার নিরাপদে থাকে। শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকলে তারা যা-ই করুক, তার কোনো প্রতিবাদ হবে না। এ প্রতিবাদ সরকারের শাসন পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে, এ ধরনের সামান্য আশঙ্কা থেকেই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছে। মনে হচ্ছে, সম্ভব হলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে তৈরি আছে। সবাই গোল্লায় যাক, আমরা ক্ষমতায় থাকি নিরাপদে। কোনো প্রতিবাদ, আন্দোলন যেন না হয়। এ অবস্থার তীব্র নিন্দা জানাই।’

অধ্যাপক আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবটি দেখা হচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের মধ্যে মাদক, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি প্রবণতা আসছে। দেশে খেলার মাঠ নেই। গ্রামগঞ্জে যেসব ছেলেমেয়ে ঘরের মধ্যে রুদ্ধ হয়ে আছে, তারা সারাদিন কী করবে? যৌবন হচ্ছে সৃষ্টি, বিদ্রোহ ও নিজেকে গডার সময়। এ রকম একটা সময়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণকে করোনার কারণ দেখিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অনুরোধ করছি। আমি বলছি না যে সবাইকে একসঙ্গে ক্লাস করানো হোক। অনেক ধরনের পদ্ধতি আছে—বিকল্প ক্লাস নেওয়া যেতে পারে, সপ্তাহে দুদিন ক্লাস নেওয়া যেতে পারে, গ্রামগঞ্জের স্কুলগুলো সপ্তাহে অন্তত এক-দুদিন খোলা রাখা যেতে পারে।’

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাটা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার যদি জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে ধ্বংস করে, আমরা বসে থাকব না। শিক্ষার্থীরা আজকে হতাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন আজ ভূলুণ্ঠিত।’

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সাদিক মাহবুব ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে উপাচার্য এখনো কীভাবে সুস্থ আছেন, এই প্রশ্ন আমাদের করা দরকার। শিক্ষার্থীদের সমস্যার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে। কারণ, আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা ঠিকমতো নেওয়াটা তাঁদেরই দায়িত্ব। অথচ তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা নেই।’

ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আসিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আসিফ নজরুল ও আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহও ছিলেন। ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এ আন্দোলনের নেতা আসিফ মাহমুদ।

আসিফ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাবনায় শিক্ষার্থীদের দুরবস্থার বিষয়টি একেবারেই অনুপস্থিত। এ প্রশাসনের অপমৃত্যু ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি। এ মৃত প্রশাসনের প্রতীকী লাশ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে আমরা খাটিয়া মিছিল করব।’ প্রথম আলো