JustPaste.it

মুজাহিদের আযান

 

কর্মনীতির আলোকে ইসলামী জিহাদ

শহীদ আবদুল্লাহ্ আযযাম রহ.

 

             ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবন বিধান এবং সর্বশেষ ও চিরস্থায়ী ঐশী ধর্ম। দুনিয়ার সকল প্রান্তে খোদার রাজ প্রতিষ্ঠা এর চূড়ান্ত লক্ষ্য। ইসলামের আহ্বান সার্বজনীন। দেশ-জাতি নির্বিশেষে প্রত্যেক বনী আদম থেকে তাওহীদ ও রিসালাতের স্বীকৃতি আদায় করে তাদেরকে হিদায়াতের উজ্জ্বল পথের দিশা দেয় ইসলাম, দ্বীনের রশ্মি বিলিয়ে কুফর ও জাহেলিয়াতের অমানিশা দূর করে দিতেই ইসলামের আগমন। জুলুম ও অত্যাচারের অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীব্যাপী ইনসাফের সৌরভ ছড়িয়ে দিতে চায় ইসলাম, তাই কায়েমী স্বার্থবাদী মহল ইসলামের অগ্রযাত্রায় সদা শংকিত, হকের দৃপ্ত পদচারণায় বাতিল হয়ে যায় তটস্থ। ইসলামের বিরুদ্ধে তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র, আল্লাহর দ্বীনকে নিশ্চিহ্ন করার ব্যর্থ প্রয়াসে মেতে উঠে তাগুতী শক্তিগুলো, আর তাগুতী অপশক্তি নির্মূলকরণে ইসলামের শাশ্বতবিধান হচ্ছে জিহাদ। জিহাদ ইসলামের প্রতিরক্ষা বিধান। কারণ, ইসলাম বিকাশমান ও বাস্তবমুখী ধর্ম। জাহেলিয়াতের অলীক ধারণা ও ভ্রান্ত বিশ্বাস অপনোদনে ইসলাম পেশ করে উজ্জ্বল নিদর্শন এবং পথভ্রষ্টদের আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহার করে সমর শক্তি। মানবতা বিধ্বংসী শক্তি ইসলামের মুকাবিলায় অস্ত্র ব্যবহার করবে আর ইসলামে বিশ্বাসী মুসলিম জাতি কেবল দাওয়াতের কাজ করবে, এটা বাস্তবসম্মত নয়। এভাবে ইসলামের বিজয় তো দূরের কথা কিছুদিন পরে ইসলামের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। জিহাদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সমাজ ছাড়া ফিতনা ও অনাচারের অবসান কামনা করা যায় না। কারণ আল্লাহর ঘোষণাঃ “তোমরা যদি এমন ব্যবস্থা (জিহাদ হিজরাত ও পারস্পরিক সম্প্রীতি স্থাপন) না কর, তবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিস্তার করবে এবং দেশময় বড় অকল্যাণ ঘটবে। আর যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে জিহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, তারাই হল সত্যিকার মুসলমান।” (আনফাল ৭৩-৭৪)

              মুজাহিদের অসি কোষবদ্ধ থাকায় যে অনাকাংখিত ও অশান্তিকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে, তা বড়ই মর্মান্তিক, যা ভাষায় ব্যক্ত করতে দারুণ কষ্ট বোধ হয়। এককালের উসমানী সাম্রাজ্যের মূল ভূখন্ডে ইসলাম বর্জিত বিপ্লবের ফলে প্রকাশ্যে নামাজ ও আযান প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদ যাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। সকল শিক্ষিকা ও সরকারী চাকুরীজীবি মহিলাদের হিযাব পালন দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষিত হয়। আতাতুর্কের এ খোদাদ্রোহী আস্ফালন কি ক্ষমাযোগ্য? এক সময় মিশর সরকারের পক্ষ থেকে জুমা মসজিদের খতিবদের প্রতি সার্কুলার জারী করা হয় যে, ইসলামী বিশ্বাসের আলোকে মূসা ও ফেরাউনের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করা যাবে না। ক্ষমতায় মদমও সিরিয়ার ভ্রষ্ট নুসাইরী শাষকগোষ্ঠী এখনো ইখওয়ান কর্মীদের জন্যে মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রেখেছে। সেখানে বেলেল্লাপনা ও নগ্নতায় আগ্রহীদের জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চরিত্রহীন ক্লাব। ইখওয়ানের প্রাক্তন মুর্শিদে আম (চেয়ারম্যান) আল্লামা আল হুজায়বীর কুরআন পাঠে কম্পিত হয়ে জামাল সালিম তাকে সূরা ফাতিহা উল্টোভাবে পড়ার নির্দেশ দেয়। মিশর সামরিক কারাগারের আরেক ইসলামদ্রোহী কর্মকর্তা হামজা বিউনির উক্তি আরো জঘন্য। ইন্টারগেশন সেন্টারে নর পশুদের অত্যাচারে মুমূর্ষু কোন ইখওয়ান কর্মী আল্লাহর নাম জপলে এ পাষন্ড বলে উঠত, কোথায় তোমরা আল্লাহ? হাতের কাছে পেলে তাকেও বন্দী শালায় পুরে দিতাম। বলুন, এদের প্রতিরোধে জিহাদ ছাড়া কোন উপায় আছে? অথচ কেউ কেউ বলেন, এদের সংশোধনের জন্যে মৌখিক নসীহত করলেই নিজের দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। শক্তি প্রয়োগ করে এ সব মানবরূপী নেকড়ের দন্তনখর উপড়ে দেয়া অন্যায় হবে। কারণ “দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য বাধকতা নেই”। এসব কথা শুনলে একদিকে যেমন বেদনা বোধ হয়, অন্য দিকে তা হাসির খোরাক জোগায়। ধর্মে বাড়াবাড়ি নেই, এ বিধান অস্বীকার করিনা, কিন্তু ইসলামের গতিপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীকে অপসারণ করা এবং পূর্ণাঙ্গরূপে ইসলামে প্রবেশের পথে বাধার দেয়ালগুলো গুড়িয়ে দেয়ার কি কোন প্রয়োজন নেই? মানুষকে গাইরুল্লাহর ইবাদাতে বাধ্য করার কাজে নিয়োজিত যারা, তাদের নাপাক অস্তিত্ব হতে পৃথিবীকে পবিত্র করা কি অপরাধ? বলা বাহুল্য, ইসলামের সফল প্রচারে যেমনিভাবে দাওয়াতের প্রয়োজন রয়েছে তেমনিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তরবারীর ভূমিকাও অপরিহার্য। আসলে কুরআন ও সিনান (তরবারি) উভয়ের যৌথ উদযোগেই কেবল দ্বীনের বিজয় সূচিত হয় এবং পৃথিবীতে আল্লাহর কালিমা সমুন্নত হয়। দাওয়াত ও জিহাদের সম্মিলনেই ইসলামী আন্দোলন চূড়ান্তরূপে বিজয়ের দিকে এগুতে পারে। তাই আল্লাহ ইরশাদ করছেন, “আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়।” (বাক্কারা-১৯২)  প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, ইসলাম ভৌগলিক সীমারেখায় বিশ্বাসী নয়। ভূগোলবিদদের চিহ্নিত অসংখ্য রাষ্ট্র সীমানায় ইসলামের দাওয়াতী কর্মসূচী সংকুচিত হয়ে যেতে পারেনা। বরং কাল, যুগ, দেশ ও সীমান্ত অতিক্রম করে এ দাওয়াত আপন গতিতে সম্প্রসারিত হবে পূর্ব হতে পশ্চিমে উত্তর হতে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও সুদূর আর্টলান্টিকের অপর পারে। এক সমুদ্রের জলরাশি যেমন বিনা বাধায় অন্য সমুদ্রে প্রবেশ করে তেমনি ইসলামের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে সকল চ্যালেঞ্জ মুকাবিলা করে বাধাহীন গতিতে।

            মৌলিকভাবে ইসলামের কর্মসূচী তিনটি মাত্রঃ (এক) ইসলামের সার্বজনীন দাওয়াত, (দুই) ইসলামী রাষ্ট্রের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কারণ দাওয়াতী কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নে শান্তিপূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, (তিন) পৃথিবীর উৎপীড়িত মানুষের সহযোগিতা প্রদান। এ তিনটি কর্মসূচী সম্পর্কে সকলের পরিস্কার ধারণা থাকার প্রয়োজন রয়েছে।

 

ইসলামের সার্বজনীন দাওয়াতঃ

             ইসলামী দাওয়াতের যাত্রাপথ কন্টকমুক্ত করার লক্ষেই জিহাদের বিধান আরোপিত হয়েছে, এটাই ইসলামী জিহাদের মূল কর্মসূচী। মনে রাখতে হবে, নির্ভেজাল তাওহীদের আকীদা ধারণ ও তাওহীদ বিরোধী কর্মকাণ্ড বর্জনের জন্যে মানুষকে দাওয়াত প্রদান করতে হবে এবং এ জন্যে জিহাদও চালিয়ে যেতে হবে, আকীদায়ে তাওহীদের ব্যাপারে কোন আপোষকামিতা, কিংবা অস্পষ্টতা ও গোজামিলের সুযোগ ইসলামে নেই। তাওহীদ হলো ইসলামের প্রথম ও প্রধান স্তম্ভ এবং ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্য নির্ধারণী স্মারক। অতএব, ইসলামের আহ্বানে জিহাদে নিয়োজিত মুজাহিদদেরকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা প্রয়োজন। এ বিপদসংকুল পথে কদম বাড়ানোর পূর্বে আপনি আকীদায়ে তাওহীদের বিশুদ্ধতা ও পরিশীলতা অর্জন করুন। তাওহীদের নির্মল আকীদা বা কালেমা তাইয়েবার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করানোর দাওয়াতের মাধ্যমেই জিহাদের উদ্বোধন হবে। তাওহীদের উপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাসের মূল কথা হচ্ছেঃ (ক) আল্লাহ প্রতিপালনকারী বা তাওহীদে রুবুবিয়াতের স্বীকৃতি প্রদান এবং এ মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, আল্লাহ-ই সকল জগতের সৃষ্টিকর্তা, যাবতীয় বিষয়ের ব্যবস্থাপক ও নিয়ন্ত্রক, জীবন ও মৃত্যুর মালিক, ভাগ্য বিধাতা এবং জগতবাসীর একমাত্র প্রতিপালক ইত্যাদি। (খ)“তাওহীদে উলুহিয়্যাত” প্রতিষ্ঠা করতে হবে, অথ্যাৎ এ মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, আল্লাহই এক মাত্র উপাস্য-ইবাদাতের যোগ্য, অন্য কেউ নয়।

            অতএব যাবতীয় ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর তরে নিবেদন করতে হবে। দোয়া, নামাজ, রোযা, জবেহ, মানত, শপথ ইত্যাদি সর্বপ্রকার ইবাদাত তারই প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ভালবাসা রেখে শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও বশ্যতা সহকারে সওয়াবের আশায় সম্পাদন করা-ই তাওহীদে উলুহিয়্যাত-এর মর্মকথা। সকল নবী ও রাসূল (আলাইহিমুস সালাম) তাওহীদে উলুহিয়্যাত এর দাওয়াত নিয়েই পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। তাই আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “(হে নবী,) আমি আপনার পূর্বে যে রাসূলই পাঠিয়েছি, তাকে এই বার্তা প্রদান করেছি যে, আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ বা উপাস্য নেই, অতএব তোমরা কেবল আমারই ইবাদাত কর।” (আল-আম্বিয়া-২৫০) (গ) তাওহীদুল আসমা ওয়াসসিফাত এর স্বীকৃতি প্রদান। এর অর্থ হচ্ছেঃ কুরআন ও হাদীসে উদ্ধৃত আল্লাহর সর্বসুন্দর নামসমূহ ও তার সর্বোন্নত গুনরাজির উপর কোন প্রকার বিকৃতি, অস্বীকৃতি বা সাদৃশ্য আরোপ না করে বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহর নাম ও গুনরাজির ব্যাপারে কুরআন ও হাদীস সমর্থিত ব্যাখ্যা প্রদান এবং এতে কোন ধরনের যোগ-বিয়োগ করলে তা কুফর হিসেবেই বিবেচিত হবে।

 

ইসলামী রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধানঃ

             ইসলামী দাওয়াত কর্মীদের সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি নিরাপদ ভূখন্ড, যেখানে বিরাজ করবে ইসলামী দাওয়াতের নিরাপদ পরিবেশ। ইসলামী দাওয়াতের ঘোষিত কর্মসূচীর বাস্তব চিত্র হবে ইসলামী রাষ্ট্র। দাওয়াতী মিশন পরিচালনার কেন্দ্রীয় শক্তি হিসেবে এ রাষ্ট্রের ভূমিকা থাকবে অনেক। এ জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধান করা মুজাহিদদের অন্যতম দায়িত্ব। বলা বাহুল্য, ইসলামের দৃষ্টিতে কোন দেশ বা ভূখন্ডের আলাদা কোন মর্যাদা নেই, তবে কোন ভূখন্ডে আল্লাহর আইন ও বিধান, শরীয়ত ও দ্বীন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে তা বিশেষ মর্যাদার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, আল্লাহর নিকট সে জমিনের মূল্য ও সম্মান অনেক বেড়ে যায়। শহীদ সাইয়েদ কুতুব বলেনঃ “আকীদার লালন, আল্লাহর আইনের প্রতিপালন, মানব মুক্তির পরিচালন ও ধর্মের নীড়ে পরিণত হলে যে কোন দেশ পুণ্য ভূমিতে পরিণত হয়। এ ধরনের দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসা সকলেরই ঈমানী দায়িত্ব। কোন দেশের সার্বভৌমত্ব ও আযাদীর হেফাজাত করাই ইসলামী জিহাদের একমাত্র মিশন নয় এবং তা চরম লক্ষ্যও নয়। বরং এর মাধ্যমে তথায় খোদার রাজ প্রতিষ্ঠা ও একে কেন্দ্র করে পৃথিবীর সর্বত্র আল্লাহর বান্দাদের সমীপে দাওয়াত পৌঁছে দেয়াই ইসলামী জিহাদের ইস্পিত লক্ষ্য।

             মানব সমাজ হচ্ছে ইসলামের প্রথম আলোচ্য বিষয় এবং পৃথিবী হচ্ছে তার বিশাল কর্মক্ষেত্র। তাই ইসলামী রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধান করা জিহাদের একমাত্র কর্মসূচী নয়। একটি নিরাপদ ইসলামী রাষ্ট্র দাওয়াতের সার্বজনীন প্রসারে সহায়ক মাত্র।

            দেখুন, বাইতুল্লাহর অধিকারী মক্কা, প্রিয় নবীর (সঃ) হৃদয় জুড়ে তার ভালবাসা। কিন্তু দাওয়াতের ক্ষেত্রে তিনি প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হওয়ার ফলে এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে তিনি মক্কা ত্যাগ করে মদীনায় চলে যান। দ্বীনের সকল আহকাম প্রতিপালন ও প্রতিষ্ঠায় তিনি মদীনাকে এক নিরাপদ ভূখন্ড রূপে গড়ে তুলেন। কোন শক্তিকে রক্ষা করা ইসলামী জিহাদের কখনো মূল উদ্দেশ্য হবে না। বরং পৃথিবীর সকল ভূখন্ড জুড়ে ইসলামী আকিদা ও দাওয়াতের প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের সার্বিক বিজয়ের লক্ষ্যে জিহাদ অব্যাহত থাকবে। জিহাদের মাধ্যমে সকল ধর্ম ও মতবাদের উপর ইসলামের বিজয়ই হলো আল্লাহর চূড়ান্ত অভিপ্রায়।

 

উৎপীড়িত সম্প্রদায়ের সাহায্য করাঃ

             ইসলামী জিহাদের এক মহান লক্ষ্য নির্যাতিত গোষ্ঠীর সাহায্য করা, জুলুম ও নিষ্পেষন থেকে মানবতাকে উদ্ধার করে শান্তি উদ্যানে নিয়ে আসা, মজলুম মানবতার ত্রাণকল্পে ইসলামী জিহাদের কোন বিকল্প নেই। আল্লাহ জিজ্ঞাসা করছেনঃ “আর তোমাদের কি হল যে তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছোনা দুর্বল সেই পুরুষ নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিস্কৃতি দান করুন, এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ হতে আমাদের পক্ষাবলম্বনকারী পাঠাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী দাও।”

অনুবাদঃ ইউসুফ ইবনে নূর