JustPaste.it

প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

 

যেখানে রক্তের শোধ রক্তের বিনিময়ে দেয়া নেয়ার খেলা জমজমাট

আরাকানে জিহাদ, রোহিঙ্গাদের আত্নোপলব্ধি এবং আমাদের অবস্থান

=======================================================================

 

ভাষ্যকার

        জ্বিলহজ্ব মাস। বিশ্ব মুসলিমের নিকট একটি পবিত্রতম মাস। এ মাস পশু প্রবৃত্তিকে কোরবানী করে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি, আল্লাহর করুনা ও ভালবাসা অর্জন করার মাস। মুসলমান যে আল্লাহ্‌র একটু করুণা লাভের আশায় তার জান-মালও উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে সে শিক্ষা লাভের মাস এই জ্বিলহজ্ব। আর এই জিলহজ মাসের পবিত্র একটি দিনে মুসলিম বিশ্বের অজ-পাড়াগাঁ হিসেবে পরিচিত একটি এলাকায় কোরবানীর এক সর্বোত্তম অথচ মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। একটি জাতির শ্রেষ্টতম কতিপয় সন্তান কোন পশু কোরবানীর মাধ্যমে নয়, হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর আর্দশ অনুসরণে আল্লাহর সতুষ্টি অর্জনের জন্য নিজেদের কোরবানী করে ত্যাগের এক মাইল ফলক স্থাপন করেছেন।

 

        বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, গত ৯ই জিলহজ মুসলিম অধুষ্যিত আরকানের মন্ডু টাউনসীপের নিকটস্থ এক পল্লীতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গা জাতিকে বর্মী সামরিক জান্তার নিপীড়ন ও নির্যাতনের কবল থেকে উদ্ধার করার জিহাদে লিপ্ত আরাকানী মুজাহিদদের বুকের তাজা রক্তে লেখা হয়েছে ত্যাগের এই কালজয়ী ইতিহাস। জানা গেছে, উক্ত এলাকায় ২৮ জনের একটি মুজাহিদ গ্রুপ বেশ কিছু দিন থেকেই আরাকানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের আক্রমণে বর্মী সেনাবাহিনী, নাসাক্কা (সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) এবং তাব্বে (দোলাল) বাহিনী তটস্থ হয়ে পড়ে। গুপ্তচরেরা সক্রিয় হয়ে ওঠে এদের অবস্থান নির্নয় করার জন্য।

 

        অবশেষে মন্ডু থেকে তিন মাইল দক্ষিনে গ্রাম্য এলাকার পাহাড়ে তাদের অবস্থান তারা খুঁজে বের করে এবং তাৎক্ষনিক ভাবেই সাত হাজার সৈন্য তাদের অবস্থান অবরোধ করে রাখে। এত বিপুল সৈন্যের বিশাল বাহিনীও মাত্র ২৮ জন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার সাহস করেনি। তারা মুজাহিদদের অবরোধের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত করে শারিরীক ভাবে দুর্বল করে ফেলার নীতি গ্রহণ করে এবং অবরোধ আরও জোরদার করে। ৫দিন এভাবে অনাহারে থাকার পর মুজাহিদরা ছদ্মবেশে নিরস্ত্র অবস্থায় গ্রামে প্রবেশ করে খাদ্যের অন্বেষণে। কিন্তু দর্ভাগ্যজনকভাবে গ্রামে ওত পেতে থাকা দালাল ও গুপ্তচরদের নজরে পড়ে যায় তারা। ফলশ্রুতিতে সৈন্যদের হাতে গ্রেফতার হয়ে যায় পুরো গ্রুপের মুজাহিদ। এর পরই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। সৈন্যরা বন্দুকের মুখে গ্রাম থেকে মুসলমানদের ধরে নিয়ে আসে এবং তাদের বাধ্য রূরে মুজাহিদদের একেক করে জবাই করে দিতে। ৯ই জিলহজ্ব এভাবে গ্রুপের ২৬ জন মুজাহিদ কোরবানী হয়ে যান। কমবয়স্ক এবং তরুণ বাকী দু'জনকে জীবিত রেখে সৈন্যরা তাদের অন্ত্র-শস্ত্রের খোঁজ দিলে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়।

 

        মানসিক নিপীড়নের মুখে তারা পাহাড়ে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র-শস্ত্রের সন্ধান সৈন্যদের দিয়ে দেয়, কিন্তু সৈন্যদের প্রতারণার কারণে তারাও প্রাণ বাঁচাতে পারেনি। অস্ত্র-উদ্ধার করেই ঘটনাস্থলে এ দু'জনকে ব্রাস ফায়ার করে শহীদ করে দেয় সৈন্যরা । আর এই মহান আত্মত্যাগের' মাধ্যমে একটি গ্রুপের ২৮ জন মুজাহিদের বুকের তাজা রক্তে তৃষ্ণার্ত মাতৃভূমির মাটি সিঞ্চন করে সুচি হয়েছে আরাকান জহাদের নতুন অধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে আরাকানের পার্বত্য বালুকা-মাটি তপ্ত এবং তৃষ্ণার্ত। যুগের পর যুগ এর বুকের ওপর চলছে হত্যা, জুলুম, নির্যাতন। জালিমের দান্তিক পদভারে বার বার প্রকম্পিত হয়েছে এর মাটি। মজলুমের আর্তনাদে এর আকাশ বাতাস ভারীই হয়েছে কেবল। কিন্তু আরাকানের মাটির রক্ততৃষ্ণার্ত মেটানোর পবিত্র কার্যটি করা হয়নি যথার্থ ভাবে। শহীদের পবিত্র রক্ত ঢেলে মাতৃভূমির মাটিকে সকল অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করার দায়িত্বটি সুষ্ঠু রুপে পালিত হয়নি বলেই আরাকানের মাটির এত রক্ত তৃষ্ণা। জালিমের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে মজলুমের হাত হাতিয়ারে পরিণত হতে পারেনি, মজলুমের শোক শক্তিতে পরিণত হয়নি বলেই আরাকানের আকাশ বাতাস আজ হাহাকারে ভরা। আমরা দেখেছি, ১৯৪২, ১৯৪৮, ১৯৫৫ এর পথ ধরে ১৯৯১ পযর্ন্ত মোট ১৪টি সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে রোহিঙ্গা জাতির ওপর।

 

        প্রতিবারই লক্ষ লক্ষ মোহাজির মাতৃভূমি ছেড়ে বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছে। বর্মী বাহিনীর হিংস্র আক্রোশের শিকার হয়ে হাজার হাজার মুসলিম বুলেটের আঘাতে প্রাণ দিয়েছে। বিগত অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে এ ভুখন্ডে বিক্ষিপ্ত কিছু প্রতিরোধ ব্যতিত বর্মী বাহিনীর নারকীয় তান্ডবই চলে আসছে অব্যাহতভাবে। সঠিক বা ব্যাপক কোন প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি যা' অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। এর প্রধান কারণগুলি হল, শিক্ষা, যোগাযোগ সহ অবকাঠামোগত পশ্চাদপদতা, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও বিশ্ব দরবারে সঠিক পরিস্থিতি তুলে ধরার উদ্যোগের অভাব, বলিষ্ঠ সাংগঠনিক তৎপরতা, আন্তর্জাতিক সহানুভূতি, সমাজ ও প্রশাসনে সংখ্যালঘুদের প্রধান্য বিস্তার এবং মুসলমানদের সাথে তাদের বৈরী সম্পর্ক সৃষ্টিতে সরকারী বাহিনীর মদদ। সেই তিরিশের দশক থেকেই আরাকানে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুসলিম সন্তানরা অশিক্ষিতই রয়ে গেছে। ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সংগঠন পরিচালনায়, আন্দোলন গড়ে তোলা ও ধরে রাখা, আর্তজাতিক যোগাযোগ ও জনমত গঠন, আন্দোলনের জন্য দক্ষ, জ্ঞানী বুদ্ধিমান ও উদ্যমী নেতা-কর্মীর অভাব দেখা দেয়।

 

        একই সাথে শিক্ষার একচেটিয়া সুযোগ প্রাপ্ত সংখ্যালঘু বৌদ্ধ ও রাখাইনরা ব্যবসা-বানিজ্য, প্রশাসন, উৎপাদন ব্যবস্থা সর্বত্রই একচেটিয়া আধিপত্য স্থাপন করে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম রোহিংগারা দরিদ্র অসহায় ও পশ্চাদপদ জাতিতে পরিণত হয়। একই সাথে মুসলমানরা উন্নতি লাভ করে আরও অবাধ্য হবে এই,আশংকায় বর্মী সরকার আরাকানে সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়। ফলশ্রুতিতে আরাকানে নেই কোনো রাস্তা, সেতু, বিমান বন্দর, রেল লইন, মোটর গাড়ী, শিল্প-কারখানা। এককথায় আধুনিক সভ্যতা থেকে আরাকানকে যতখানি সম্ভব বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে সুকৌশলে। এতসব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জনশক্তি, শিক্ষায় দুর্বল, যোগাযোগ ও বিশ্ব বিবেকের সহানুভূতি আদায়ে অক্ষম এ জাতি অধিকার আদায়ে অগ্রগতি সাধন করতে পারেনি। জুলুম, নির্যাতনকে ভাগ্যলিপি বলে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। জুলুমের প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ কোনটিই না হওয়ায় জালিম হয়েছে আরও দুর্বিনীত, বেপরোয়া। রোহিঙ্গা জাতিকে চিরতরে উৎখাতের জন্য তারা একের পর নিত্য নতুন জুলুম চাপিয়ে দিয়েছে মুসলমানদের ওপর। “মগের মুল্লুক' এই প্রবাদ বাক্যটির বাস্তব মডেল হল আজকের আরাকান। জালিম সামরিক রাহিনীর ইচ্ছাই আজ আরাকানের একমাত্র কানুন। বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়া উদ্ধাস্তুদের নিয়ে বর্তমানে চলছে নির্মম প্রহসন। অত্যাচার আর নিপীড়নের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে তারা।

 

        এসব উদ্বাস্তুদের সাথে বন্দীদের চেয়েও নির্মম ব্যবহার করা হয়। তাদের সক্ষম পুরুষ, নারী ও শিশু এবং আলেম এই তিন শ্রেণীতে ভাগ করে তিনটি শিবিরে রাখা হয়। সেখান থেকে পুরুষদের বাধ্যতা মূলক শ্রমদান ‘কুলি’ কাজে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ভবিষ্যত প্রতিবাদকে ঠেকানোর জন্য সচেতন আলেমগণকে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার জেলে পাঠানো হয়, যাতে স্বজাতির সাথে তাদের কোন যোগাযোগ না থাকে। কোন কোন আলিমকে শারীরিক ভাবে লাঞিত করা বা গুম করে দিয়ে জনগণকে সাবধান করে দেয়া হচ্ছে। গত রমজানের ঈদের দিনে মংডু এলাকার দু'জন প্রখ্যাত আলিমের শ্বশ্রু-দাড়ি সেনারা টেনে উপড়ে ফেলে। তারা সেনাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করেছিল এই অপরাধে অন্যান্য উদ্বাস্তদেরও স্বগ্রামে ফিরতে দেয়া হয়না। এদের অনুর্বর পার্বত্য এলাকায় যা রাখাইন ও অন্যান্য উপজাতি অধ্যূষিত সেসব গ্রামে ১০/১২ পরিবার করে পুর্নবাসন করছে। ফলে আত্মীয় স্বজন থেকে এরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে; তাছাড়া রয়েছে উপজাতি সংখ্যালঘুদের তাদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও আবাঞ্ছিত খবরদারী। এভাবে রোহিঙ্গাদের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে তাদের ভাসমান জাতিতে পরিণত করার তোরজোর চলছে। এর ওপর রয়েছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন।

 

        সম্প্রতি বর্মী প্রশাসন নয়া আইন জারী করে মুসলিম নারীদের রাখাইনদের ন্যায় স্কার্ট (থামি) ও সংক্ষিপ্ত ব্লাউজ পরিধান এবং ছোট করে চুল রাখার নির্দেশ জারী করেছে। শাড়ী পরা বা আব্রু রক্ষা হয় এমন পোষাক নিষিদ্ধ এবং অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে। এছাড়া কোন রাখাইন বা বৌদ্ধ উপজাতির কোন যুবক কোন মুসলিম যুবতীকে বিয়ে করতে চাইলে মুসলিম অভিভাবকদের তাতে বাধা দেয়ার অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ঐ আইনে আরও বলা হয়েছে, কোন মুসলিম মেয়েকে ১৬ বছরের আগে বিবাহ দেয়া যাবে না এবং প্রত্যেক বিয়েতে সরকারের অনুমতি এবং বিয়ে অনুষ্ঠানে একজন সরকারী কর্মকর্তার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু মুসলমানরা এ আইনকে তাদের শরিয়ত বিরোধী বলে প্রতিবাদ করলে, বর্মী প্রশাসন থেকে জবাব আসে, “তোমাদের কোরআনের যে পৃষ্ঠায় এটা শরিয়ত বিরোধী বলে লেখা আছে সেটা ছিড়ে ফেল।” জুলুম, নির্যাতনের এই ধারাবাহিকতা আরাকানের মুসলিম তরুণ যুবকদের বুঝি আর সহ্য হচ্ছিল না। জিহাদী চেতনায় উদিপ্ত তাদের তনু-মন আর তর সইতে রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে, অগ্নি স্ফূলিঙ্গের ন্যায় তারা প্রতিরোধের ময়দানে অবতীর্ন হয়েছে।

 

        জালিমের হাত গুড়িয়ে দেয়ার মহান শপথ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায়। আরাকানে আজ শুধু মজলুমের বুক দুরু দুরু করে না, জালিমেরও হৃদকম্প শুরু হয়েছে। সেখানে রক্তের শোধ রক্তের বিনিময়ে দেয়া-নেয়ার খেলা আজ জমজমাট। আরাকানী মুজাহিদরা আজ বিভিন্ন ফ্রন্টে সাড়াশী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, বর্মী সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের প্রায় শতাধিক সেনা বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছে, পক্ষান্তরে শহীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৫২ জন মুজাহিদ। হাজারো প্রতিকূলতা, হাজারো সীমাবদ্ধতা সত্বেও এক আল্লাহর ওপর ভরসা করে আরাকানী মুজাহিদরা এক অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করতে আজ বদ্ধ পরিকর। তারা তাদের কাফেলাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাদের এই প্রতিজ্ঞাকে আরও মজবুত আরও শক্তিশালী করতে তাদের একমাত্র প্রতিবেশী আমাদের সহায়তা তারা বড্ড প্রয়োজন বোধ করছে। আজ সেই দিন সমাগত, মুসলমান হিসেবে আমাদের মজলুম ভাইদের পাশে দাড়ানোর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার।

 

         রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইদের একান্ত প্রয়োজন মুহূর্তে আনসার হিসেবে আমাদের তাদের পাশে দাড়ানোর। এটাই সময়ের অন্যতম প্রধান দাবী। আমাদের মনে রাখতে হবে, অসংখ্য প্রতিকূলতার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ আরাকানের মুসলমানরা তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এ অবস্থায় মুসলিম অভিজ্ঞ ফিকাহবিদগণের মতে, প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সর্বাত্তক সহযোগিতা প্রদান করা ছিল ফরজে আইন (অবশ্য করণীয়)। এ পরিস্থিতি এখনও বিদ্যমান। সুতরাং রোহিঙ্গা মুজাহিদদের সর্বাত্বক সাহায্য করা আমাদের বর্তমানে অবশ্য করণীয় আমাদের গাফিলতির কারণে যদি তাদের কোন প্রকার হোছট খেতে হয় তবে আমাদের উপরও বর্তাবে তার দায়-দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন থেকে সরকারও কিন্তু বিমুক্ত নয়। এই দায়িত্বে অবহেলার জন্য নিশ্চয় কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের দশ কোটি মুসলিম জনতাকে।

 

 

 ═──────────────═