ভুল সবই ভুল
- অনেকে বলে, দাওয়াত খেতে গিয়ে পেটে ক্ষুধা রেখে আহার শেষ করা নিষেধ। এর কোনো ভিত্তি নেই।
- আহারের পর প্লেটের উচ্ছিষ্ট পানি পান করা সওয়াবের কাজ বলে অনেকের ধারণা। এর কোনো ভিত্তি নেই। কুরআন হাদীসের কোথাও এমন কথা আমার চোখে পড়েনি এবং কোনো অভিজ্ঞ লোকের মুখেও এমন কথা শুনিনি।
- প্রসিদ্ধ আছে, আসর ও মাগরিব নামাযের মধ্যকার সময়ে পানাহার করা ঠিক নয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়ে যে, মৃত্যুর সময় এ সময়টি-ই মানুষের চোখের সামনে ভেসে উঠে এবং শয়তান পেশাবের পেয়ালা নিয়ে মুমূর্ষ ব্যক্তির সামনে উপস্থিত হয়। তো যার এ সময়ে পানাহার করার অভ্যাস নেই, সে শয়তানের নিয়ে আসা পেশাব পান করতে অস্বীকার করে, আর যার এ সময়ে পানাহার করার অভ্যাস আছে. সে দেখামাত্র তা পান করে। বলা বাহুল্য যে, শরীয়াতে এ ধরনের কল্প কথার কোনো ভিত্তি নেই।
- প্রসিদ্ধ আছে যে, স্বামী-স্ত্রী এক পাত্রে দুধ পান করলে তারা দুধ শরীক ভাই বোন হয়ে যায়? এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
- সাধারণতঃ মানুষ দম করা পানি অন্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেই পানি দ্বারা গোসল করা অন্যায় মনে করে। এ ধারনণাটিও সম্পূর্ণ ভুল। দম করা পানিকে সম্মান করা জরুরী নয়। শরীয়াতে যে পানির সম্মান করার কথা আছে, তা হলো যমযমের পানি। এ জন্যে যমযমের পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জা ইত্যাদি নিষিদ্ধ।
- যে সম্পদ নিশ্চিত রূপে হারাম, তাতে বিসমিল্লাহ বলা হারাম এবং বিসমিল্লাহ বলে গ্রহণ করলে হারাম সম্পদ হালাল হয়ে যায় না। যেমন কেউ ঘুষ নেওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলল; এটা মারাত্মক অন্যায় বরং কুফরীর শামিল।
- যে সম্পদে হালাম-হারামের মিশ্রণ আছে এবং হালালের পরিমাণ হারাম অপেক্ষা বেশী, তা নিশ্চিত হারাম নয়, তবে সন্দেহযুক্ত ও মাকরূহ। এরূপ সম্পদে বিসমিল্লাহ বলা হারাম নয়।
- অনুরূপভাবে অনেকে মনে করে, সুদ-ঘুষের মাল থেকে কিছু দান করে দিলে অবশিষ্ট মাল হালাল হয়ে যায়। এ ধারণাও ঠিক নয়।
- অনেক মহিলা ঘরে পুরুষদের আগে খানা খাওয়া দোষণীয় মনে করে। কিন্তু মূলতঃ এতে দোষের কিছু নেই।
-হাকীমুল উন্মত মাওলানা আশ্রাফ আলী থানুবী রহঃ