সম্পাদকীয়
জিহাদের পথেই বিশ্ব নেতৃত্ব
মুসলমানের হাতে আসবে এবং অচিরেই!
বিশ্বব্যাপী ইসলামী জাগরণের এক নম্বর শক্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনীদের সাথে আছে ইসরাইল। নতুন করে দল পাকাচ্ছে ভারত। অর্থাৎ-পৃথিবীর সক্ষম প্রতিটি শক্তিই এখন ঐক্যবদ্ধ। খোদাদ্রোহী, নাস্তিক, ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধ; বলতে গেলে গোটা বিধর্মী বিশ্বই এখন এক। ঐক্য তাদের ইসলামকে দাবিয়ে রাখার ইস্যুতে। কেননা, বর্তমান শোষণ ও অত্যাচারের ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেলে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্য কোন শুভশক্তি এখন আর নেই। একমাত্র ইসলামী জীবন ব্যবস্থাই ভরসা। সুতরাং যে কোন মূল্যে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে রুখতেই হবে।
বর্তমান বিশ্বের কথিত অপ্রতিদ্বন্দ্বী সুপার পাওয়ার (তাদের দাবি অনুযায়ী। ইসলামের দৃষ্টিতে কাফেররা কোন পাওয়ারই নয়। কেননা, হাদীস শরীফে আছে, যাদের অন্তরে আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস বা আল্লাহ্র স্মরণ নেই, তারা মৃত) আমেরিকা নিজের কর্তৃত্ব ও প্রাধান্য বজায় রাখার পথে একমাত্র হুমকি মনে করে ইসলামী জিহাদী শক্তিকে। আর এর বর্তমান কেন্দ্রীয় অঞ্চল হচ্ছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল এলাকায় গড়ে ওঠা অসংখ্য জিহাদী সংগঠন, মধ্য এশিয়ার মুজাহিদ তৎপরতা, পূর্ব-ইউরোপের জিহাদী শক্তি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জিহাদী কার্যক্রম এবং বাংলাদেশের জিহাদী জনতাও এখন ইঙ্গ-মার্কিন, ইহুদী-নাসারা শক্তির জন্য চক্ষুশূল। জিহাদী জাগরণে ভীত-সন্ত্রস্ত কথিত আঞ্চলিক সুপার পাওয়ার ভারতও এ জিহাদী শক্তিকে যমের মত ভয় করে। জাগ্রত ইসলামী জিহাদী কাফেলার অগ্রযাত্রাকে রোখার জন্যে তাই মার্কিনীরা পূর্ব-পশ্চিমের সকল ছোট-বড় শক্তির সাথে হাত মিলাচ্ছে। শত্রুকে বন্ধু বানাচ্ছে। স্বার্থ বিনিময় করছে।
কিন্তু এসব করেও কি তাদের শেষ রক্ষা হবে? হবে না। কারণ, ইসলাম তার অভ্যুদয়ের পর থেকেই বিজয়ী শাসক ও নিয়ন্ত্রক শক্তি। মধ্যে পশ্চিমা অপশক্তির হাতে নয় বরং তাদের তৈরি স্বজাতীয় গাদ্দারদের চক্রান্তে ইসলাম কিছুটা ঝড়ের মুখে পড়লেও পুনরায় সে তার নিজ শক্তিতে দাঁড়াচ্ছে। ইনশাআল্লাহ্ আগামী ৫০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর মূল চালিকা ও নিয়ন্তা শক্তি হবে ইসলাম।
অন্যায়, অত্যাচার, অপকর্ম, অশ্লীলতা, অমানবিকতা, অধর্ম ও অপসংস্কৃতির উপর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব নেতৃত্ব আর বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংসের মুখোমুখি। প্রয়োজন একটি জিহাদী জাগরণ। একটি মুজাহিদের আযান। ইনশাআল্লাহ্, এই প্রতিরোধ সংগ্রাম ও জিহাদী অভিযাত্রা এখন পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। ভয়ে কাঁপছে কথিত পরাশক্তির কর্তাব্যক্তিরা। মুজাহিদের ছায়াটি দেখলেও তারা কাপড়ে পেশাব করে দেয়। একজন পাগড়িধারী মুজাহিদ স্বপ্নে দেখলেও তারা চীৎকার দিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। নারায়ে তাকবীরের ক্যাসেটকৃত আওয়াজ শুনলেও তাদের হার্ট-এটাক হয়। এই তো তাদের পরাশক্তির নমুনা।
নতুন শতাব্দী ইসলামের। আগামী দিনের বিশ্বব্যবস্থা ইসলাম। ইসলামের পতাকা ওয়াশিংটন শুধু নয়, পৃথিবীর প্রতিটি কেন্দ্রীয় রাজধানীতে উড়বে। কিন্তু এ জন্যে দুর্বল ঈমান, আপোষকামী আদর্শ ও তরল চরিত্রের মুসলিম নেতৃত্ব যথেষ্ট নয়। যথেষ্ট নয় হীনমন্য, সংগ্রামবিমুখ ইসলামী নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন শাহাদাতের নেশায় বিভোর সর্বত্যাগী জিহাদী সংগঠন। প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী জাগরণবাদী বিশ্ব মুসলিম ছাত্র- যুবশক্তির উত্থান। এ রকম জাগ্রত মুজাহিদদের বেশি সংখ্যা বা বিপুল শক্তির প্রয়োজন হয় না; সত্যিকার মুজাহিদ এক দু’জন হলেই বাতিল, খোদাদ্রোহী ও অত্যাচারী শক্তি ভয়ে থর থর কাঁপে। ইদানীংকার কিছু ঘটনায় কথিত পরাশক্তিগুলোর ভয় ও শংকার পরিমাণ অবশ্যই দুনিয়াবাসী দেখতে পাচ্ছে।
আল্লাহ্ ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভাষায় “মুসলিম জাতির মান-মর্যাদা ও স্বাধীনতার একমাত্র পথ হলো জিহাদ”। “ইসলামের সর্বোচ্চ শিখর চূড়াও হচ্ছে জিহাদ”। অতএব, জিহাদী প্রেরণায় উজ্জীবিত না হওয়া পর্যন্ত মুসলমানের জীবন, সম্পদ, সম্মান, দ্বীন ও ঈমান নিরাপদ হতে পারে না। বিশ্ব নেতৃত্ব মুসলমানের হাতেও আসতে পারে না। দুনিয়ার মানুষের মুক্তি ও সাফল্যের জন্যে তো ইসলাম অপরিহার্য। আর ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের জন্যে অনিবার্য হল তার শক্তিশালী উপস্থিতি। অতএব, বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের জেগে ওঠা যে কত জরুরী, তা কি আর বলে বুঝানোর দরকার আছে?