JustPaste.it

জিহাদ-খিলাফত-খারিজী মতবাদঃ আইএসের অনুসারীদের সংশয় অপনোদন।   

(বিস্তারিত জানতে পুরোটা পড়ুন।)

 

জিহাদ আল্লাহ প্রদত্ত একটি ফরয ইবাদত। বর্তমানে এটি নিঃসন্দেহে ফারদ্বুল আইন তথা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরয। শরীয়তসম্মত ওযর ব্যতীত এথেকে পিছু থাকার কোনো সুযোগ নেই। আর জিহাদের ময়দান পর্যন্ত পৌছার সামর্থ না থাকলে কিংবা আসবাবের ঘাটতি থাকলে জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ফরয। কেননা ই’দাদ তথা জিহাদের প্রস্তুতি একটি স্বতন্ত্র ফরয।

 

পক্ষান্তরে খিলাফত মুসলিম উম্মাহর কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা,যা সামর্থের উপর নির্ভর করে। খিলাফত কায়েম করা মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত দায়িত্ব।

জিহাদ এবং খিলাফতের মধ্যে বেশকিছু মৌলিক শর’য়ী পার্থক্য রয়েছে। জিহাদ সরাসরি একটি ইবাদত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরয অর্থাৎ ফরযে আইন। জিহাদ করার জন্য আল্লাহ তা’আলা কুরআন মাজীদে এবং রাসূল সাঃ হাদীসে অসংখ্যবার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

পক্ষান্তরে খিলাফত প্রতিষ্ঠা জিহাদের মতো সরাসরি কোনো ইবাদত নয় এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার সরাসরি নির্দেশ কুরআন ও হাদীসে নেই। বরং শরীয়তের আহকামগুলো প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য এটি একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা। এটি কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এমনকি খলীফাহ নিয়োগ করা সবার দায়িত্ব নয় বরং কর্তৃত্বসম্পন্ন আহলুল-হাল্লি ওয়াল-আকদের অধিকারী উম্মাহর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ খলীফা মনোনীত করবেন।

 

খারিজী আইএস এই খিলাফতকে সালাত-সাওম-জিহাদের মতো ইবাদত বানিয়ে এক নতুন মতবাদ আবিষ্কার করেছে।

দ্বীনের জ্ঞান ও বুদ্ধি-বিবেকের ক্ষেত্রে ঘাটতির শিকার খাওয়ারিজ ও তাদের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলবো, ফিক্বহের প্রায় সকল কিতাবে জিহাদের ফরযিয়্যাত তথা ফারদ্বুল আইনের অবস্থা বর্ণনা করার সময় জিহাদকে সালাত-সাওম-যাকাতের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু খিলাফতকে ফিকহের কোনো কিতাবে সালাত-সাওম-যাকাতের সাথে তুলনা করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তাদের কাছে দলীল থাকলে তারা যেনো তা পেশ করে।

 

ফলে যখনই আল-কায়েদার গ্লোবাল জিহাদের কোনো আলিম কিংবা নেতৃবৃন্দের কেউ খারিজী আইএসের নেতাদের এই পরামর্শ দিয়েছে যে, খিলাফত ঘোষণা দেওয়ার মতো যথেষ্ট সামর্থ মুসলিম উম্মাহ তথা মুজাহিদদের এখনো অর্জিত হয়নি, তখনই খারিজী নেতারা এই মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে যে, আল-কায়েদার নেতৃবৃন্দ নাকি খিলাফত চায় না !!!!!!!  অথচ এই নাদানগুলোকে জিহাদ-খিলাফতের গুরুত্ব শিক্ষাই দিয়েছে আল-কায়েদার সেসব আলিম ও নেতৃবৃন্দ। 

খারিজী আইএসের নেতা ও সমর্থকরা এক্ষেত্রে ২০০৬ সালে আল-কায়েদার মুজাহিদদের নেতৃত্বে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক (ISI) ঘোষণা হওয়ার পর ২০০৯ সালে এর সপক্ষে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বক্তব্যগুলোকে উনারই বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে ব্যবহারের মতো নীচতম জাহালাত ও নির্বুদ্ধিতার আশ্রয় নেয়।

 

তাদের স্থুলবুদ্ধিতে ২০০৯ সালে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বক্তব্য ও বর্তমানের বক্তব্যের মধ্যে তফাৎ খুঁজে পায় !

 

২০০৯ সালে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ ‘উন্মুক্ত সাক্ষাৎকার’ পর্ব-২ তে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক (ISI) এর তামকীনের ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ এর বক্তব্যের অংশ উদ্ধৃত করে বলেছিলেন,

ويقول عمن يعترض على دولة الإسلام بأنها غير ممكنةٍ تمكيناً تاماً:

 

 

“ومن تدبر كيف حال دولة الإسلام الأولى يوم أحدٍ ويوم الأحزاب إذ بلغت القلوب الحناجر، ويوم أن ارتدت جزيرة العرب إلا قليلاً بعد وفاة رسول الله –صلى الله عليه وسلم- لعلم أن التمكين المطلق ليس شرطاً لانعقاد البيعة للإمام أو لقيام دولة الإسلام

অর্থঃ  যে ব্যক্তি (ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক এর ) ইসলামী রাষ্ট্রের উপর পূর্ণ তামকীন না হওয়ার আপত্তি তোলে তার ব্যাপারে শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ বলেনঃ  “ যে ব্যক্তি (মদীনায়) প্রথম ইসলামী রাষ্ট্রের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবে যে, উহুদের দিন কিংবা আহযাবের যুদ্ধের দিন তার কী অবস্থা ছিলো,যখন প্রাণগুলো কণ্ঠাগত হয়েছিলো এবং রাসূল সাঃ এর ওফাতের পর আরব উপদ্বীপের অল্পসংখ্যক ব্যক্তি ব্যতীত বাকীরা মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো, তাহলে সে বুঝতে পারবে যে, ইমাম বা রাষ্ট্র প্রধানের বাই’আত সংঘটন অথবা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ‘মুত্বলাক্ব তামকীন’ বা পূর্ণ তামকীন শর্ত নয়।”

 

শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ এর উপরোক্ত বক্তব্যে আঞ্চলিক ইসলামী ইমারত বা ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য পূর্ণ তামকীনকে শর্ত হিসেবে আরোপ করেননি। এই বক্তব্যের সূত্র ধরে আইএস এই দাবি করে থাকে যে, খিলাফতের জন্যও পূর্ণ তামকীন শর্ত নয় !!!!!!!!  

শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ তো ইমারতের ক্ষেত্রে বলেছিলেন। তিনিতো খিলাফতের জন্য বলেননি । তাহলে কী তাদের কাছে এখন ইমারত ও খিলাফত এক জিনিস হয়ে গেলো ????  

 

আইএস সমর্থকদের প্রতি অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন রাখছি (আশা করি তাদের নেতা ও সমর্থকরা এর উত্তর দিবে। অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মানে হচ্ছে, নিজেদের বাতিল মতবাদের গলায় রশি দিয়ে মেরে ফেলা। )

আইএস যতটুকু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে খিলাফত ঘোষণা করেছে, যদি এতোটুকু এলাকায় তামকীনের মাধ্যমে খিলাফত ঘোষণা করা সঠিক হতো,তাহলে শাইখ উসামা বিন লাদেন রাঃ এবং তৎকালীন দুনিয়ার সকল মুজাহিদগণ কেনো তখন খিলাফত ঘোষণা করলেন না  ???

যদি ইমারত তথা ইসলামী রাষ্ট্রের এই তামকীন খিলাফতের জন্য যথেষ্ট হতো এবং ইমারত ও খিলাফত একই জিনিস হতো, তাহলে শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ, শাইখ আবু মুস’আব যারক্বাওয়ী রাহঃ, শাইখ আবু উমার বাগদাদী রাহিঃ এবং শাইখ আবু হামযা আল-মুহাজির রাঃ কেনো খিলাফত ঘোষণা করেননি ???? 

 

নাকি তারাও খিলাফত চাননি ??? (শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বিরুদ্ধে খারিজী আইএসের চালানো মিথ্যা প্রোপাগান্ডার আলোকে !!! )

 

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে মোল্লা উমর রাহিঃ এর নেতৃত্বে পরিচালিত ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের যে পরিমাণ শক্তি ও তামকীন ছিলো, আবু বকর বাগদাদীর নেতৃত্বে কী এতোটুকু শক্তি ও তামকীন ছিলো ???? কস্মিনকালেও না।

তাহলে সেসময় শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ এবং আইএস যেসব মুজাহিদ নেতৃবৃন্দের নাম দিনরাত ব্যবহার করে তারাওতো তখন আফগানিস্তান থেকে খিলাফত ঘোষণার দাবি জানাননি ????

তাহলে কী শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ, শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী রাহঃ, শাইখ আবু ইয়াহিয়া আল-লিবী রাহঃ, শাইখ আবু মুস’আব যারক্বাওয়ী রাহঃ, শাইখ আবু উমার বাগদাদী রাহিঃ এবং শাইখ আবু হামযা আল-মুহাজির রাঃ সহ সেসময়ের গোটা দুনিয়ার মুজাহিদ আমীর ও আলিমগণ খিলাফত ঘোষণার আবশ্যকতা বুঝেননি ??? 

প্রায় ১০/১২ বছর ধরে সোমালিয়ায় আল-শাবাব মুজাহিদগণ বিশাল ভূমি নিয়ন্ত্রণে নিয়তে শরী’আহ কায়েম করে যাচ্ছেন। এমনকি আল-শাবাব বেশ কিছুদিন সোমালিয়ার রাজধানী  শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ থেকে শুরু করে বাগদাদী পর্যন্ত কেউ কখনো বলেনি যে, তোমরা খিলাফতের ঘোষণা দাও !! নাকি সেসময় বাগদাদীও খিলাফতের গুরুত্ব বুঝতো না !!!

২০০৬ সালে যখন ইরাকে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক (ISI) গঠিত হয়,তখন থেকে শুরু করে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আজকের আইএসের প্রধান আবু বকর বাগদাদী ছিলো কেন্দ্রীয় নেতা। আর ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আবু বকর বাগদাদী ছিলো ISI/ISIS এর প্রধান।

আচ্ছা, এসময়ের মধ্যে আবু বকর বাগদাদী কেনো খিলাফতের ঘোষণা দেয়নি ??? 

এসময়তো তাদের অধীনে অনেক এলাকা ছিলো। নাকি ২০১৪ সালে এসে তারা খিলাফতের গুরুত্ব বুঝেছে ????

যারা ২০১৪ সালে এসে খিলাফতের গুরুত্ব বুঝে, মুসলিম উম্মাহ কীভাবে তাদেরকে খিলাফতের যোগ্য ভাবতে পারে !!!

২০০৯ সালে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের ব্যাপারে দেওয়া বক্তব্য যদি বর্তমানে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে তিনি খিলাফত চান না এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয় এবং ইমারতের ব্যাপারে বলা কথাগুলো খিলাফতের সাথে জুড়ে দেওয়া হয় তাহলে একই কথাগুলো শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ, শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী রাহঃ, শাইখ আবু ইয়াহিয়া আল-লিবী রাহঃ, শাইখ আবু মুস’আব যারক্বাওয়ী রাহঃ, শাইখ আবু উমার বাগদাদী রাহিঃ এবং শাইখ আবু হামযা আল-মুহাজির রাঃ এমনকি আবু বকর আল-বাগদাদীর উপরও বর্তায় !! 

অর্থাৎ গ্লোবাল জিহাদের এই মহান শাইখগণের কেউই খিলাফত কায়ম করতে চাননি  !!!  নইলে তারা কেনো খিলাফত ঘোষণা দিলেন না ???  অথবা তারা খিলাফত প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব বুঝেননি !!! 

আসলে ২০১৪ সালে এসে তাদের নব্য খারিজী মতবাদ প্রকাশ পায়,যার সাথে শাইখ উসামা রাহিঃ এর গ্লোবাল জিহাদ ও খিলাফত কায়েমের চিন্তাধারার কোনো মিল নেই।

 ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের অবস্থানের ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ বলেন,

جوابي هو؛ دولة العراق الإسلامية وإمارة أفغانستان الإسلامية -وأضف إليهما- الإمارة الإسلامية في القوقاز إماراتٌ إسلاميةٌ لا تتبع لحاكمٍ واحدٍ، وعسى أن تقوم قريباً دولة الخلافة التي تجمعهم وسائر المسلمين. والشيخ أسامة بن لادنٍ -حفظه الله- جنديٌ من جنود أمير المؤمنين الملا محمد عمر حفظه الله، وجميع من ذكرت يتناصرون ويتعاونون على نصرة الإسلام والجهاد.

 অর্থঃ “আমার উত্তর হচ্ছে, ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক , ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান এবং এদুটোর সাথে আমি ককেশাস ইসলামী ইমারতকে যুক্ত করছি, এগুলো হচ্ছে ইসলামী ইমারত বা ইসলামী রাষ্ট্র, যেগুলো কোনো একক শাসকের অনুসরণ করে না। আশা করা যায়, সত্বরই খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যা এই ইমারতগুলোকে এবং সমস্ত মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবে। আর শাইখ উসামা বিন লাদেন হাফিঃ আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার হাফিঃ এর সৈনিকদের মধ্য হতে একজন সৈনিক। আর যেসব (ইমারতের) ব্যাপারে উল্লেখ করেছি তাদের সকলে একে অপরকে ইসলাম ও জিহাদের সাহায্যের ক্ষেত্রে পরস্পরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকেন। ”

 

২০০৯ সালে দেওয়া প্রশ্নোত্তরের এই অংশটুকু ভালো করে পড়ুন...... // আশা করা যায়, সত্বরই খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যা এই ইমারতগুলোকে এবং সমস্ত মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবে।//  

 

গ্লোবাল জিহাদের আলিম ও মুজাহিদগণ সেই খিলাফত চেয়েছেন এবং এখনো চাচ্ছেন ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইনশাআল্লাহ্‌ , যেই খিলাফত ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান, ককেশাস ইসলামী ইমারত এবং দুনিয়ার সত্যবাদী মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করবে। আর আইএসের দাবিকৃত খিলাফত তাদের দল ও মতবাদের অনুসারী ব্যতীত দুনিয়ার প্রায় সকল মুজাহিদকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তাদের জন্য (আইএসের মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আদনানীর বক্তব্যে)“মগজ ভেদকারী বুলেট কিংবা ধারালো ছুরি”র ব্যবস্থা রেখেছে।

 

পরিশেষে বলবো, আইএসের দাবিকৃত খিলাফত তাদের খারিজী আকীদা থাকার কারণে মৌলিকভাবেই বাতিল। তদুপরি ইরাক-সিরিয়ায় তারা যে তামকীন দাবি করতো, এটি খিলাফতের জন্য মোটেও যথেষ্ট ছিলো না, যা এখন প্রকাশ্য দিবালোকের ন্যায় সত্যে পরিণত হয়েছে। আইএসের তাদের দাবিকৃত এলাকা সবকিছু হারিয়ে এখন ইরাক-সিরিয়ার সীমান্তে অল্পকিছু এলাকায় চলে গেছে। তাদের অধীনে বর্তমানে ইরাক-সিরিয়ার একটি শহরও নেই। সবকিছু হারিয়ে মিসকিনে পরিণত হলেও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে তাদের মিথ্যাচার থেমে নেই। অথচ শুধুমাত্র আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাবের অধীনেই প্রায় আড়াই লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা বছরের পর বছর ধরে শরী’আহ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।  

আল্লাহ তা’আলা হক্বকে বিজয়ী করুন আইএসের নেতা-কর্মী-সমর্থকদেরকে বাতিল খারিজী আকীদা পরিহার করে হক্ব বুঝার ও মানার তাউফীক্ব দান করুন। 

 লেখার তারিখ…… 21/11/2017