JustPaste.it

ফিলিপিন্সে জিহাদী তৎপরতা দমনে সেনা অভিযান
১১ মুজাহিদ শহীদ


ফিলিপিন্সে সরকারী সৈন্যরা ক্ষেপণাস্ত্র ও হেলিকপ্টার গানশিপ নিয়ে মুজাহিদ গেরিলাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। তিনদিন আগে মুসলিম মুজাহিদগণ দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইপিলে আক্রমণের সুচনা করেছিল। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ কথা জানিয়েছে।  এদিকে ফিলিপিন্স সেনাবাহিনী বলেছে. সৈন্য ও মুসলিম বিদ্রোহীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় পাঁচ জিম্মি ও ছয় গেরিলা নিহত হয়েছে। 
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মেলকুইয়াদস ফেলিসিয়ানো জানিয়েছেন, সৈন্য ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। গত মঙ্গলবার বিদ্রোহীদের সশস্ত্র আক্রমণে ইপিল শহরে ৪৫ ব্যক্তি-নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন জানান; জিম্মিদের দু'জন আহত হয়েছে এবং বিদ্রোহীদের হাতে এখনও বহু লোক আটক রয়েছে। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনকে ইপিল থেকে এবং অন্যদের পালানোর বিভিন্ন রুট সংলগ্ন গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের সংখ্যা ৭৫ জনের মতো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন সৈন্যরা এক সময় বিদ্রোহীদের ৩০ মিটারের মধো চলে এসেছিল এবং অভিযান থেকে ফিরে আসা একজন সৈন্য জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা জিম্মিদের “মানব বর্ম' হিসাবে ব্যবহার করছে। সামরিক হেলিকপ্টারের একজন পাইলট তার নিক্ষিপ্ত রকেট হামলায় বহু বিদ্রোহী হতাহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন। 
সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৈন্য এবং মঙ্গলবারের হামলার জন্য দায়ী সন্দেহভাজন আবু সায়াফ গ্রুপের মধ্যে লড়াই থেকে বাঁচার জন্য হাজার হাজার বেসামরিক লোক পশ্চিমে প্রত্যন্ত পাহাড়ী গ্রামগুলোয় পালিয়ে যাচ্ছে। 
এ বিরোধ থেকে ফিলিপিন্স দীপপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ে সংখ্যাগুরু রোমান ক্যাথলিক ও মুসলমানদের মধ্যে ধর্মযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ম্যানিলায় ডেইলি ইনকোয়ারার পত্রিকায় বলা হয়েছে, ইপিল অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল- হয় খ্রিস্টানদের সেখান থেকে বিতাড়িত করা নয়ত মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে যাতে ধর্মযুদ্ধ শুরু করতে না পারে সে জন্য খৃষ্টানদের ভয় দেখানো।