JustPaste.it

Diffarent use of chemical

User avatar
Sumon @smn · Sep 23, 2021

Enzyme wash সম্পর্কে জেনে নিন

Enzyme একধরনের জৈব-রাসায়নিক পদার্থ যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ঘটক হিসেবে কাজ করে। এটি একমাত্র সেলুলোজ(উদ্ভিদ)জাতীয়­ ফাইবারে কাজ করে। Enzyme wash এর সময় Enzyme প্রথমে প্রজেক্টিং ফাইবারে এবং পরবর্তীতে ফেব্রিক্সের ইয়ার্ণে এটাক করে হাইড্রোলাইসিস করে। যার ফলে প্রোডাক্টে আমরা ডিজাইন হিসেবে ফেইডেড ইফেক্ট পাই।

✅✅ এনজাইম ওয়াশ: Enzyme wash

Enzyme wash লন্ডারিংয়ের এমন একটি প্রক্রিয়া যা ফ্যাব্রিককে নরম করতে এবং ফিনিশিং করতে এনজাইম ব্যবহার করতে হয়। এটি জীন্স ও অন্যান্য কাপরকে জীর্ণ করে তুলে। Enzyme wash এর সময় Enzyme এর কাজ সেলুলোজকে হাইড্রোলাইজ করা।এটি কাপড়ের অভ্যন্তরে সুতার অংশটিকে আক্রমণ করে এবং আংশিকভাবে সুতার বাইরের অংশকে হাইড্রোলাইজ করে এবং বিবর্ণ প্রভাব তৈরি করে।

⏩Enzyme গুলির প্রাকৃতিক উৎস থেকে উৎপন্ন হওয়ার কারণে Enzyme wsh পরিবেশ-বান্ধব। এটি পোশাক ওয়াশিং এর একটি জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। গার্মেন্টস ওয়াশিং এর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করতে Enzyme wash ব্যবহার করা হয়।

Enzyme প্রধানত দু'ধরনের
১.এসিড (অম্ল) এনজাইম
২. নিউট্রাল এনজাইম( পাউডার/লিকুইড)

-এসিড এনজাইমঃ Acid Enzyme 
. PH Range : ৪.৫-৫.৫
. Temp : ৪০-৫৫ ডিগ্রী সে.
. Time: ২৫-৫৫ মিঃ

-নিউট্রাল এনজাইম(পাউডার): Neutral Enz. Powder 
. PH Range : ৬-৭
. Temp: ৪০-৬০ ডিগ্রী সে.
. Time: ৩০-৫০ মিঃ

-নিউট্রাল এনজাইম (লিকুইড): Neutral Enz. liquid 
. PH Range : ৬-৭
. Temp: ৪০-৬০ ডিগ্রী সে.
. Time: ৪৫-৮০ মিঃ

Enzyme wash এ ব্যবহৃত কিছু ক্যামিকেল:
১.সোডা এ্যস্
২.সেন্ডো ক্লিন পাউডার
৩.বায়ো-ডিটারজেন্ট
৪.সফ্টনার
৫.সোডিয়াম মেটা বাই-সালফেট।

Enzyme wash এ কিছু ভালো দিকঃ
১.সাইজ ম্যাটারিয়েল দূর করে
২. ফেব্রিক্সে থাকা স্টার্চ দূর করে
৩. ফেব্রিক্সের ঘর্ষণ ক্ষমতা বাড়ায়
৪. ফেব্রিক্সের সফ্টেনস বাড়ায়
৫. কালার এবং রাবিং ফাস্টনেস বাড়ায়

Enzyme wash এ কিছু ক্ষতিকর দিকঃ
১. ফেব্রিক্সের স্ট্রেন্থ কমায়
২. সময় সাপেক্ষ
৩. ব্যয়বহুল
৪. প্রোডাক্টের সার্ভিস এবিটিলি কমায়
৫. ক্যমিকেল কনজামসন হাই

 

1/ Desize কি?  
 Ans: যে প্রক্রিয়া fabric থেকে মাড় জাতীয় পদার্থ remove  করে, fabric এর পানি শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় এবং next process এর জন্য  উপযোগী করে তোলা হয়,  তাকে Desize  বলে |

 2 / Enzyme কত প্রকার??  কি কি?
  Ans:  There are two types of enzyme,  such as : 1/ Neutral enzyme 
       2/ Acid enzyme 
 

3/ব্লিচ কত প্রকার ও কি কি?
How many types of Bleach?? 
Ans: There are two types of bleach. Such as : 1 / Chlorine bleach. 
       2/ Non -Chlorine bleach.

Type By :অনিঃশেষ আলো

 

 

প্রশ্নঃ Desize কাকে বলে? 

উত্তরঃ‌‌ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বুননকৃত কাপড় হতে স্টার্চ জাতীয় পদার্থ দূর করা হয় এবং কাপড়ে পানি শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তাকে Desize বলে।/ আরেকটি সংঙ্গা সুতা বা কাপড়ে মাড় দেয়াকে আমরা সাইজিং (Sizing) বলি। আর সুতা বা কাপড় থেকে মাড় উঠানোকে ডিসাইজিং (Desizing) বলা হয়। সাধারণত কাপড় বোনার (Weaving) সুবিধার জন্য টানা সুতায় (Warp) মাড় দেয়া হয়। কারণ বুননের সময় টানা সুতায় অনেক টান পড়ে। তাই টানা সুতা যাতে কাপড় বোনার সময় ছিঁড়ে না যায় সে জন্য শক্তিশালী করতে হয়। টানা সুতা শক্তিশালী করার জন্য মাড় (Sizing Material) ব্যবহার করা হয়।

ডিসাইজিং এর প্রয়োজনীয়তা

গ্রে-অবস্থায় মিল বা ফ্যাক্টরি থেকে আমরা যে কাপড় পেয়ে থাকি সে কাপড়ে যথেষ্ট পরিমাণে মাড় দেয়া থাকে। তাই ডাইং বা প্রিন্টিং করার পূর্বে কাপড়ের মাড় তোলা বা ডিসাইজিং করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ গ্রে-কাপড়কে ডিসাইজিং না করলে ডাইং প্রিন্টিং কিংবা ফিনিশিং প্রক্রিয়াগুলিও বিঘ্ন ঘটে। তাই ওয়েট প্রসেসিং-এর প্রাথমিক পর্যায়ে ডিসাইজিং করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে কটন কাপড়ের ওয়েট প্রসেসিং করার পূর্বে মাড় অবশ্যই দূর করতে হবে। কারণ কটন কাপড়ের জন্য স্টার্চ বা শ্বেতসার জাতীয় পদার্থ দ্বারা মাড় তৈরি করা হয়। এই স্টার্চ জাতীয় পদার্থগুলি সহজে স্কাওয়ারিং বা অন্যান্য ওয়েটিং এজেন্ট দ্বারা দূর করা যায় না। স্টার্চ ছাড়া অন্যান্য সাইজিং মেটারিয়াল যেমন সিনথেটিক আঁশের জন্য যে সমস্ত সাইজিং ব্যবহার করা হয় তা সহজেই পানি বা অন্যান্য স্কাওয়ারিং লিকারে দ্রবীভূত হয়ে যায়। সাধারণত দুটি প্রধান কারণে কটন কাপড়কে স্কাওয়ারিং করার পূর্বে ডিসাইজিং করা হয়।

ডিসাইজিং করার বিভিন্ন পদ্ধতি

টেক্সটাইল ম্যাটারিয়ালস ডিসাইজিং করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৪ (চার) টি সহজ পদ্ধতির মধ্যে দুটি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

১। পচন পদ্ধতি (Rot Steeping)

২। এনজাইম পদ্ধতি (Enzyme Treatment)

৩। এসিড (অম্ল) পদ্ধতি (Acid Steeping)

৪। ব্রোমাইট পদ্ধতি (Bromite Process)

১। পচন পদ্ধতি

এই পদ্ধতিটি বস্ত্র শিল্পের প্রাচীনতম এবং একটি সহজ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। বস্ত্রকে গরম পানিতে (৪০০ সেঃ) চুবিয়ে ভালো মতো ভিজিয়ে (যেন ১০০ % আর্দ্রতা বস্ত্রে থাকে) ২৪ ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হয়। উক্ত সময়ের মধ্যে এক ধরনের জীবাণু মাড় ভেঙ্গে ফেলে যাকে হাইড্রোলাইসিস বলে। তারপর কাপড়কে ভালো মতো ধোলাই বা ওয়াশ দিলে যথেষ্ট মাড় দূর হয়। এই পদ্ধতির অসুবিধা হলো এতে অনেক সময় লাগে। জায়গা বেশি লাগে, পানি অপচয় বেশি হয়। এ ছাড়া এ পদ্ধতিতে মাড় সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয় না। তবে কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যেও ব্যবহার ছাড়া শুধুমাত্র পানি ব্যবহার করে ডিসাইজিং করার এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত সহজ।

২। এনজাইম পদ্ধতি (Entzynatic Process)

এই পদ্ধতিতে ডিসাইজিং করার জন্য কোনো ভালো এনজাইম ব্যবহার করা হয়। এই এনজাইম সাধারণত প্রাণিজ এবং উদ্ভিদ থেকে তৈরি করা হয়। পানির সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ এনজাইম মিশ্রিত করে দ্রবণটি গরম করা হয়। এই দ্রবণের তাপমাত্রা ৬০ - ৭০ ডিগ্রী সেঃ রাখতে হয়। উক্ত তাপমাত্রায় এনজাইম কাপড়ের মাড়ের সাথে ক্রিয়া করে তাকে হাইড্রোলাইস করে ভেঙে পানি করে ফেলে। এই পদ্ধতিটি ডিসাইজিং-এর জন্য একটি অত্যন্ত সফল পদ্ধতি।

কেন ডিসাইজিং করতে হয়?

 ওভেন ফ্যাব্রিক বুননের পূর্বে ওয়ার্পের(টানা) সুতায় সাইজ(স্টার্চ) ম্যাটেরিয়াল দ্বারা প্রলেপ দেয়া হয়, যাতে সুতার স্ট্রেন্থ বৃদ্ধি পায়। কারন যখন ফ্যাব্রিক বোনা হয় তখন ওয়ার্প এর সুতা অনেক বেশি টেনশনে থাকে। তাই এই সময় যাতে এই সুতা যাতে ছিড়ে না যায় সে জন্য কাপড় বুননের পূর্বেই সুতা সাইজিং করা হয়। এরফলে হাইড্রোফোবিক (পানি বিকর্ষী) কাপড় তৈরী হয়। পরবর্তীতে কাপড়কে ডাইয়িং এবং প্রিন্টিং করার আগে এই সাইজ ম্যাটেরিয়াল ফ্যাব্রিক থেকে অপসারণ করতে হয়, যাতে ফ্যাব্রিকটি হাইড্রোফিলিক (পানি আকর্ষী) হয় এবং সহজেই রঞ্জক কণা ও অন্যান্য কেমিক্যাল শোষন করতে পারে।
▪️এতক্ষনে নিশ্চই অনেকটা বুঝতে পেরেছেন যে ডিসাইজিং আসলে কি, ডিসাইজিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে এনজাইম বা এসিড/অ্যালকালি ব্যবহার করে বোনা কাপড় থেকে সাইজ (স্টার্চ) ম্যাটেরিয়ালস দূর করার মাধ্যমে কাপড়কে আরো হাইড্রোফিলিক করা হয়। 

✅ সাইজ ম্যাটেরিয়ালস এবং এর প্রকারভেদ:
সাইজ ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করা হয় সুতার শক্তি বাড়ানোর জন্য। কাপড় বুননের সময় তাদের ঘর্ষণের পরিমান হ্রাস করতে ও তাঁতের (লুম) উপর ইয়ার্ন যেন ছিড়ে না যায় এজন্য কাপড় বুননের পূর্বে ওয়ার্পের সুতায় সাইজ (স্টার্চ) দ্বারা প্রলেপ দেয়া হয়।
▪️বিভিন্ন ধরণের সাইজ ম্যাটেরিয়াল রয়েছে, যথা:
১) স্টার্চ : কর্ন, আলু, সাগো, ইথাইল স্টার্চ ইত্যাদি।
২) প্রাকৃতিক গাম/আঠা : ট্রাগাকান্থ, লোকাস্ট-বিন ইত্যাদি।
৩) প্রোটিন: গ্লু, জেলাটিন ইত্যাদি।
৪) সিন্থেটিক সাইজিং এজেন্ট : পিভিএ, পিভিএসি, পিএএন, পিএএ ইত্যাদি।
৫) অ্যাডিটিভস : ডিফোমারস, থিনারস ইত্যাদি।
সাইজ ম্যাটেরিয়ালের প্রধান অংশটি সাধারনত স্টার্চ, মোম ও ট্যালো দ্বারা গঠিত। এ সমস্ত উপকরন কাপড় বোনার পরেও ওয়ার্প সুতার উপর থেকে যায়।  

✅ ডিসাইজিং এর উদ্দেশ্য:
এই প্রক্রিয়াটির মূল উদ্দেশ্য হল, বোনা কাপড় থেকে সাইজ ম্যাটেরিয়াল অপসারন করা। এই কারনে কাপড়কে ডিসাইজিং বাথ/ট্যাংকে প্রবেশ করানো হয় এবং সাইজ ম্যাটেরিয়াল দূর হয়। নিম্নে আরো কিছু কারন বলা হল:
১) বোনা কাপড়ের এর ওয়ার্পের সুতা থেকে সাইজ(স্টার্চ) উপাদান অপসারন করা।
২) ওয়েট প্রসেস এর প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন হওয়ার উপযোগী করে তোলা।
৩) কাপড়ের এর শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
৪) ডাইয়িং বা প্রিন্টিং করার সময় যাতে কাপড় সহজেই রঞ্জক কণা ও অন্যান্য কেমিক্যালস শোষন করতে পারে।
৫) ডাইয়িং করার পর যেন কাপড়ের চাকচিক্য/উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় সে জন্য এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
৬) কাপড়ের হাইড্রোফোবিক বৈশিষ্ট্য হ্রাস করতে অর্থাৎ, কাপড়ের হাইড্রোফিলিক(পানি আকর্ষী) বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি করতে।
৭) পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য কাপড়কে উপযুক্ত করে তোলার জন্য এই ডিসাইজিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। 

✅ ডিসাইজিং করার উপকারিতা/সুবিধা:
১) এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ফলে কাপড় থেকে সাইজ(স্টার্চ) ম্যাটেরিয়াল দূর হয়।
২) এটি কাপড়ের পানি, রঞ্জক কণা ও অন্যান্য কেমিক্যাল শোষন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩) ডিসাইজিং প্রক্রিয়া, অতিরিক্ত রাসায়নিক এবং রঞ্জক পদার্থ নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচায়।
৪) এই প্রক্রিয়া পরবর্তীতে ভালো ডাইয়িং শেড ও প্রিন্ট পেতে সহায়তা করে। 

✅ ডিসাইজিং এর ক্ষতিকর দিকসমূহঃ
১) কিছু রাসায়নিক এজেন্ট ব্যবহার করার কারনে ফাইবারের শক্তি কিছুটা হ্রাস পায়।
২) প্রচুর পরিমানে পানি অপচয় হয়। 

✅সাইজ (স্টার্চ) ম্যাটেরিয়াল অপসারনের সক্ষমতা যেসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে:-
১) কাপড়ের গঠন।
২) কাপড়ের কোয়ালিটি ও ধরন।
৩) সাইজ ম্যাটেরিয়ালের ধরন।
৪) সাইজ ম্যাটেরিয়ালের পরিমান।
৫) ডিসাইজিং এর পদ্ধতি।
৬) প্লাস্টিসাইজারের প্রকৃতি ও পরিমান।
৭) ডিসাইজিং দ্রবনের ঘনত্ব।
৮) দ্রবনে সাইজ ম্যাটেরিয়ালের সান্দ্রতা।
৯) সময়। 

✅ ডিজাইজিং প্রক্রিয়ার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ:
▪️স্কুইজিং রোলার: ডিসাইজিং বাথ থেকে কাপড়কে স্কুইজিং রোলারের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়, যাতে অতিরিক্ত তরল কাপড়ের সাথে না যায়। এ সময় কাপড়কে রোলারের মধ্যে প্রেরনের গতি, কাপড়ের কোয়ালিটি অনুযায়ী সামঞ্জস্য করতে হবে। কারন, স্কুইজিং রোলারের উপরের রোলারটি নরম এবং নিচেরটি শক্ত।
▪️রোলারের চলাচল: রোলারের চলাচল যথাযথ হওয়া উচিত, যাতে সহজেই একে সরানো যায়।
▪️কাপড় চলাচলের পথ: কাপড় চলাচলের পথ সঠিক ও বাধাহীন হতে হবে এবং এর গতি প্রতি মিনিটে ৮০-১০০ মিটার যা বিভিন্ন ধরনের রোলারের উপর নির্ভর করে।  
▪️পানির প্রবাহ: পানির প্রবাহ যথাযথ ও সঠিক পরিমানে হওয়া উচিত।
▪️বাষ্প সরবরাহ: বাষ্প সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।
▪️তাপমাত্রা: ডিসাইজিং এর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে, এনজাইমেটিক ডিসাইজিং এর জন্য তা ৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
▪️পিএইচ (pH): দ্রবণের পিএইচ ডিসাইজিং এর সময় সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। (৬ - ৬.৫)
▪️ডিসাইজিং বাধেন দ্রবনের উচ্চতা: আদর্শ।
 
✅ ডিসাইজিং এর কার্যকারিতা পরীক্ষাঃ
ডিসাইজিং এর পর কাপড় থেকে সাইজ ম্যাটেরিয়াল দুর হয়েছে কিনা বা কতটুকু অবশিষ্ট আছে তা জানতে আমাদের কিছু পরীক্ষা করতে হয়। দুই ধরনের পরীক্ষা সচারচর করা হয়ে থাকে -

➡️প্রচলিত পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে,  প্রথমে সাইজ ম্যাটেরিয়াল সহ কাপড়টার ওজন(W1) নিতে হবে। তারপর ডিসাইজিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শুকিয়ে, আবার ঐ কাপড়ের ওজন(W2) নিতে হবে। এরপর প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম (৩৫%) হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিয়ে ৭০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট ঐ কাপড় সহ ট্রিটমেন্ট করার পর পুনরায় শুকিয়ে আবার ও ওজন(W3) নিতে হবে। 
এখন, 
মোট সাইজ ম্যাটেরিয়ালের ওজন= W1-W3
অবশিষ্ট সাইজ ম্যাটেরিয়ালের ওজন= W2 - W3 

▪️ডিসাইজিং কার্যকারিতা= [(মোট সাইজ - অবশিষ্ট সাইজ)/ মোট সাইজ] * ১০০ 

➡️ TEGEWA রেটিংঃ
বিকারক: ১০০ মিলি পানিতে ১০ গ্রাম (১০০%) পটাশিয়াম আয়োডাইড ও ০.৬৩৫৮ গ্রাম আয়োডিন নিয়ে ভালো করে মিশাতে হবে। আয়োডিন সম্পূর্ন মিশে গেলে প্রয়োজনীয় পানি নিয়ে ৮০০ মিলি এর সল্যুশন তৈরী করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ইথানল যোগ করে ১০০০ মিলি সল্যুশন তৈরী করতে হবে।
▪️পদ্ধতি:
১) ডিসাইজ করা কাপড়ের উপর, বানানো বিকারকের ফোঁটা ফেলতে হবে।
২) আলতো করে একটু ঘষতে হবে।
৩) রঙের পরিবর্তন লক্ষ্য রাখতে হবে।

▪️সিদ্ধান্ত: 
১) যদি রঙের পরিবর্তন না হয় তাহলে বুঝতে হবে কোনো স্টার্চ সাইজ ম্যাটেরিয়াল অবশিষ্ট নেই।
২) রঙ ফ্যাকাশে নীল হলে বুঝতে হবে কাপড়ে স্টার্চ সাইজ অবশিষ্ট আছে।
৩) রঙ বেগুনী হলে বুঝতে হবে কাপড়ে স্টার্চসহ সিনথেটিক সাইজ ম্যাটেরিয়াল উপস্থিত আছে।

 

 

 

ওয়েট প্রসেস (ওয়াশিং) এ ব্যবহৃত  কিছু কেমিক্যালগুলোর নাম এবং ব্যবহার জেনে নিন :
১. সোডা :
কালার ফিক্সং করে কোভেলেন্ট বন্ড তৈরি করে। তাছাড়া PH কন্ট্রোল , ফেব্রিকের এবজরবেন্সি বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা  হয়।
২. পার-অক্সাইড :
ফেব্রিকের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল গ্রে কালার রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়।
৩. ডিটারজেন্ট :
ওয়েটিং অথবা ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
৪. এন্টিক্রিজিং এজেন্ট:
নিটিং এর পর ও ওয়েট প্রসেসিং এর সময় ফেব্রিকে ভাজ অথবা ক্রিজ পরে ফলে সেড আন-ইভেন আসতে পারে। ডাইং এর সময় তাই তা দূর করতে এক ধরনের ক্রিজ রিমুভার ব্যবহার করা হয় যেন ক্রিজ না পরে। এটি লুব্রিকেশন টাইপ এর কেমিক্যাল।
৫.ওয়েটিং এজেন্ট :
সারফেস টেনশন দূর করে ফেব্রিকের ভিজানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ওয়েটিং প্রপার্টি ইম্প্রুভ করে।
৬. রিডাকশন এজেন্ট:
ফেব্রিকের সারফেসে লেগে থাকা এক্সট্রা ডাইস দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৭. সোপিং এজেন্ট:
অতিরিক্ত কালার দূর করার জন্য ফেব্রিক ওয়াস করার সময় ব্যবহার করা হয়। এটি লিকুইড সোপ।
৮. এনজাইম :
ফেব্রিকের হেয়ারিনেস দূর করতে ও সফট করতে ব্যবহার করা হয়। এনজাইম পিলিং দূর করে।
৯. এন্টিফোমিং এজেন্ট:
ডাই বাথে যেন ফোম ক্রিয়েট না হয় তা দূর করতে ব্যবহার করা হয় । লিকারে যেনো ফোম না হয় এর জন্য এই কেমিক্যাল ব্যবহার হয়।
১০. সফটনার :
ফেব্রিকের সারফেস লাসচার বাড়াতে এবং ফেব্রিক সফট করতে সাধারনত এটি ব্যাবহার করা হয়। এটি ফেব্রিক এর হেন্ডফিল এবং সুইয়িবিলিটি বাড়ায়।
১১. হাইড্রোজ :
ফেব্রিকের গা থেকে কালার তুলতে ব্যবাহার করা স্ট্রিপিং এর সময়। একে রিডিউসিং এজেন্ট বলে।
১২. লেভেলিং এজেন্ট:
ফেব্রিকের মধ্যে ডাইস কেমিক্যাল সমানভাবে যেন ডিস্ট্রিবিউশন হয় তার জন্য ব্যবহার করা হয়। একে ডাই রিটেন্ডারিং এজেন্ট বলে।
১৩. লবন:
ইলেকট্রো লাইট অর্থাৎ ফেব্রিকের সারফেসে , ডাই-বাথ থেকে ডাইস আনতে সাহায্য করে । চার্জ নিউট্রাল করে।
১৪. ফিক্সিং এজেন্ট:
কালার ফিক্স করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
১৫. হাইড্রোজ রিমুভার:
হাইড্রোসের কর্মক্ষতা দুর্বল ও দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
১৬. এসিটিক এসিড:
ফেব্রিককে নিউট্রাল করতে, বেসিক কন্ডিশন দূর করতে & PH কন্ট্রোল করতে ব্যবহার করা হয়। এটি টেক্সটাইলএ সর্বাধিক ব্যাবহৃত এসিড।
১৭.সোডিয়াম এসিটেট:
পলিস্টার ডাইং এর সময় PH যেন স্টেবল অথবা কন্ট্রোল থাকে তার জন্য ব্যবহার করা হয়। একে বাফারিং এজেন্টও বলে।
১৮. অয়েল রিমুভার:
ফেব্রিকের গায়ে থাকা অয়েল মার্ক দুর করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
১৯. বায়ো-স্কাওরিং ক্যামিকেল :
মাল্টিপারপাস ট্রেটমেন্ট এর উদ্দেশে ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে স্কাওরিং, ব্লিচিং, এনজাইম একসাথে।
২০. এপ্রিটন:
এটি ক্যালসিয়াম অক্সাইড জাতীয় কেমিক্যাল , এটি কাপড় কে হার্ড করে।
২১. এলজিনেট গাম :
এটি ন্যাচারাল গাম, যা লিকার সলিউশন এর ভিসকোসিটি বাড়াতে সাহায্য করে। 
২২.সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড/ কে সি আই/জাপানি ব্লিচ:
ফেব্রিক কে লাইট করে উজ্জল কালার ফিক্সড করে
২৩.হাইপো/মেটা
ব্লিচের পাওয়ার গুন/ক্ষমতা নষ্ট করে ফেব্রিকের নিউট্রাল করে। 
২৪.পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট/ লেবাক্রন পেপ
ফেব্রিক লাইট করে ন্যাচারাল কালার প্রদান করে...
এসিড ওয়াসে এই কেমিক্যাল বেশি ব্যবহৃত হয়। 

Washing BANGLADESH....
type By =অনিঃশেষ আলো