JustPaste.it

বিশ্বব্যাপী মুজাহিদদের তৎপরতা ও মুসলিম বিশ্ব সংবাদ

 

রোববারের বোমা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
জিহাদ ও হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় ব্যাপক ধরপাকড়
    

ফিলিস্তিনী পুলিশ গতকাল গাজা নগরীতে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে হামাস গ্রুপের ১৫০ জনকে আটক করেছে। গত রোববার দু'টি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬ জন ইসরাইলী সৈন্য নিহত ও আরো ৫৪ জন আহত হওয়ার পর এই অভিযান চালানো হলো। পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাতের স্ব-শাসিত সামরিক আদালত একজন কট্টরপন্থীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১০ বছরের ছোট ছেলে-মেয়েদের আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। 
এদিকে হামাস এই অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, শাস্তি প্রক্রিয়া ভঙ্গুল করার জন্য আরো রক্তক্ষয়ী হামলা চালাবে। 
ইসরাইল বলেছে. ১৯৬৭ সালের পর থেকে গাজা এলাকায় এই সাম্প্রতিক বোমা হামলায় ইসরাইলী সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে স্ব-শ্বাসন চুক্তিতে পৌছানোর বিষয়ে নির্ধারিত ১ জুলাইয়ের সময়সীমা ব্যাহত হবে।
রোববারের বোমা হামলার জন্য ইসলামী জিহাদ ও হামাস গ্রুপ দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে। 
ইসরাইল এই দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য আরাফাতের ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।


আফগান-তাজিক সীমান্তে যুদ্ধে নিহত ১০০


তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে নতুন করে গত ৯ ই এপ্রিল রাতে যুদ্ধ শুরু হয়ে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ৩জন সীমান্তরক্ষী নিহত হয় বলে রাশিয়ার সীমান্ত কমান্ড সূত্রে জানানো হয়। এ যুদ্ধ শুরু হবার পরে সংঘর্ষে স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েলথ এর যৌথ বাহিনীর সীমান্তরক্ষী এবং তাজিক ইসলামপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় একশ'র উপর নিহত হয়। রুশ ফেডারেল সীমান্ত কমান্ড স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের যৌথ বাহিনীর ২৬জন সেনা নিহত হয় বলে গত সোমবার জানায়। এর পর আরও ৩ জন নিহত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২৯-এ উপনীত হয়। 
তাজিকিস্তানের সীমান্তে নিয়োজিত রুশসীমান্ত সেকনার কমান্ডার লেঃ আলাতলী টেচুলীনের উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ বাতা সংস্থা জানায় যে, শত্রু পক্ষে ১শর উপর নিহত হয়েছে বলেও জানান।  
১৯৯২ সালে উল্লেখিত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের হতদরিদ্র দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়া হাজার হাজার সীমান্ত সেনা মোতায়েন করে। রাশিয়াসহ রাষট্রসমূহের যৌথ সেনাবাহিনী তাজাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পাহাড়ঘেরা সীমান্তে রক্ষী বাহিনী মোতায়েন কর .

 

শহীদ খালিদের বাড়িতে মানুষের ঢল

 

দু'টি আত্মঘাতি বোমা হামলরায় সাতজন ইসরাইলী নিহত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর ফিলিস্তিনী মুজাহিদরা শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে গাজায় তাদের সর্বশেষ শহীদের বাড়ীর দিকে যাত্রা করে। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী খালিদ খতিবের প্রতি এ সম্মান প্রদর্শন পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাতের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জের মতো । এ সময় লাউড স্বীকারে একজন মুজাহিদ চিৎকার করে বলে ওঠে, আরাফাত শুনুন, আমরা দমব না। আপনার গ্রেফতারী প্রক্রিয়ায় আমরা ভীত না।
ইসরাইল পিএলও শাস্তি প্রক্রিয়ার বিরোধীদের নিরন্ত্র করার জন্যে আরাফাতকে চাপ দিয়ে আসছে। পুলিশের সুত্রগুলো জানিয়েছে, রবিবার রাতের মধ্যে ফিলিস্তিনী পুলিশ খালিদ খতিবের ইসলামী জিহাদ গ্রুপ ও বৃহত্তম মুজাহিদ দল হামাসের কয়েক ডজন কর্মীক আটক করেছে। হামাসের আলওয়াতান সংবাদপত্রের সম্পাদক গাজী হামাদ সোমবার বলেছেন. সারারাতে কমপক্ষে দেড়শ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আরাফাত ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী রাবিনের নির্দেশ পালন করছেন। গাজায় এখন চারম উত্তেজনা। রবিবারের হত্যাকাণ্ডসহ গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত হামাস ও ইসলামী জিহাদের আক্রমণে ৬৪ জন ইসরাইলী নিহত হয়েছে। 
গাজার নুসেরাত উদ্বাস্তু শিবিরে খতিবের বাড়িতে আগত শতাধিক সশস্ত্র যুবক বাড়ির ভিতরে মহিলাদের বিলাপের সাথে বন্দুকের গুলি ছুড়ে প্রতিশোধ" 'প্রতিশোধ' বলে চিৎকার করতে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুজাহিদ বলেন. বুলেটের ভাষাই হচ্ছে একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমাদের ভূখণ্ড থেকে শত্রুদের বিতাড়িত করা সন্ভব। ইসরাইলী ইতিম বার্তা সংস্থা খতিবের পিতার বরাত দিয়ে বলেছে, তিনি তার ছেলের জন্য সত্যিই গর্বিত। তিনি বলেন, কোরানে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী সকল ফিলিস্তিনীর জিহাদ শুরু করা উচিত।

 

মুসলমানদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস আইন নমনীয় করার সিদ্ধান্ত মুসলিম সমর্থন না থাকায় মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস পরাজয় বরণ করেছে
-শরদ পাওয়ার


ভারতে সাধারণ নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটারদের আবার সমর্থন লাভের জন্য ভারত সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেস সরকার কঠোর সন্ত্রাস বিরোধী আইন নমনীয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিরোধী গ্রুপগুলো বলছে, এসব আইন রাজনৈতিক বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
 গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শঙ্কর রাও চৌহান মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের এক প্রতিনিধি দলকে বলেন, সরকার সন্ত্রাসবাদী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড দমন আইন (টাডা)-র বদলে এমন এক আইন চালু করতে চায় যার অপব্যবহার কম হতে বাধ্য। 
চৌহানা মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের বলেন, তিনি পার্লামেন্টে স্বীকার করেছেন যে, কোনো কোনো রাজ্যে এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে।
 মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ার রাজ্যের নির্বাচনে তার দলের পরাজয়ের কারণ হিসেবে মুসলমানদের ব্যাপক বিরোধীতার কথাই উল্লেখ করেন। তিনি বলেন. মুসলমানদের বিরুদ্ধে টাডা অহরহ ব্যবহার করা হচ্ছে। 
গত বছর থেকে অধিকাংশ রাজ্যেই কংগ্রেস পরাস্ত হয়েছে। কংগ্রেস সদস্যরা ও দলের বিরুদ্ধবাদীরা অভিযোগ করেন যে. প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও সংখ্যালঘুদের অবহেলা করেছেন। অথচ এরাই হচ্ছে কংগ্রেসের চিরাচরিত নির্ভরযোগ্য ভোটার৷ ভারতের ৯১ কোটি মানুষের ১২ শতাংশ হচ্ছে মুসলমান। ভারত সরকার প্রধানত কাশ্মীরে মুসলিম অভ্যুত্থান দমনের জন্য টাডা আইন চালু করে। কাশ্মীরে মুসলিম অভ্যুত্থানে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার লোক নিহত হয়। এই আইনে সরকার ভারতে আটক ৬৪০০ বন্দীর মধ্যে ১৭০০ কাশ্মীরে, প্রায় ১৫০০ মহারাষ্ট্রে। আটক লোকদের অধিকাংশ মুসলমান।